শত জনমের বন্ধুরে
আবুল হোসেন // শত জনমের বন্ধুরে
হাসনাবাদ
০৩/১২/২০২০
পরানের বন্ধুরে //
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
তোর পিড়ীতে পইরা আমার ২
জীবনটা বুঝি যায়।।
শতজনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
বেড়াবার লাগি নিয়া আইলেন রাঙামাটির ওই হিলে
উচা উচা পাহাড় দেইখা পানি নাই মোর দিলে-২
এখন আবার বায়না তোমার
ছবি উঠাইতে পাহাড়ের চুড়ায়
বলতো দেখি, এত ঝালা আর কি সওয়া যায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
পাহাড়ের পর পাহাড় দাড়িয়ে হাজার বছর ধরে
আমি এলাম তোমার ঘরে শত জনমের তরে।
এমনি করে আদর সোহাগে রেখো ২
আর কেবা কি চায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
এই যে পাহাড় এই যে নদী
ঔই যে ঝর্ণা ধারা
কত প্রানীকূল,পাখির দল
সরীসৃপে ভরা।
সাথে নীলাকাশ মিলাইছে হাত
মহান যে মহান তারি ইশারায়
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
পথ চললে
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
০১ ডিসেম্বর ২০২০
পথ চললে পথ//
পথ চললে পথ শেষ হবে আস্তে আস্তে
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
ছোট্টে একটা বীজ বুনলে মাটির ভিতরে
সেদিনে তুমি কিছুই পাবে না মাটি খুড়িলে
আলো বাতাস পানি নিয়া ধীরে ধীরে বড় হইয়া।
ডাল পালা পাতা ফুল ফল ধরিলে
মনে দোলা দেবে যেন আছ বেহেশতে।
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
কঠিন মাটির বুক চিরিয়া পাইল বসাইলে
সেদিনে কি ঘর পাইবে হাজার চেষ্টা করিলে
লাগাও ইট পাথর সিমেন্ট বালি আপনা হস্তে
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
আমার কোন লজ্জা নাই
আমার কোন লজ্জা নাই//
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই
নিজের কামাই নিজেই করি
কারো ধার ধারি না তাই।
সারা পৃথিবীর রাজা আমি
আমার দুলদুল ডিসকভার ভাই
কেউ বা আবার টিবি এস চালায়
নিত্য নতুন ব্রান্ড যে চাই।
সিংহের মত ছুটিয়ে তড়ি
আল্লাহর নামটি স্বরন করি
ট্রাফিক আইন মেনে চালাই গাড়ী২
দূর্ঘটনার ঝুকি কমাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
শত শত জোয়ান ছেলে
শত শত সুদর্শন ছেলে
মাষ্টার ডিগ্রি পাশ করে
রাইড শেয়ার করে চালায় জীবন
চাকরির ধান্দা ছেড়ে।
এটাও একটা সন্মানের কাজ
এটাও একটা বড় সেবা
দাড়ায় থেকে অস্থির হয়েও
বাসের দেখা নাহি পাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই।।
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৯ নভেম্বর ২০২০ খ্রীঃ
আমাদের এক ভাই আমার ইনবক্সে লিখেছিল
ভাই আমরা রাইড শেয়ার করি
আমাদের নিয়া কিছু লেখেন।
তুমি চাঁদ হতে যদি //
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৭ নভেম্বর ২০২০
তুমি চাঁদ হতে যদি
দিগংগনায় হারিয়ে যেতাম
হয়ে জনম জনমের সাথী
তুমি চাঁদ হতে যদি।
ওই যে বিশাল আকাশ নীলিমায় ছাাওয়া
তারই মাঝে মিলেমিশে একাকার মোরা
জীবনের গান গাওয়া।
এ গানের সুর রবে কতদিন
এ গানের সুর রবে কতদিন বল, বলনা,
সা রে গা মা পা
সা রে গা মা পা
থাকুক না জনম জনম অবধি।
তুমি চাঁদ হতে যদি।
আবেগের ভেলায় ভেসে
তারা নিহারিকার সাথে মিশে
আমরাও জ্বালাবো প্রনয়ের জোনাকি আলো
দাও না ছড়িয়ে এ আলো
দাও না ছড়িয়ে এ আলো, দাও, দাওনা
সা রে গা মা পা
সা রে গা মা পা
ছড়িয়ে দাও সপ্তাকাশ হতে মানবের পৃথিবী অবধি।
তুমি চাঁদ হতে যদি।
নিসংগতা
মানিকদী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট,ঢাকা
২৫/১১/২০২০ খ্রীঃ
নিসংগতা//
গতপরশু গিন্নি মেয়েকে সাথে করে দিনাজপুর গেছেন। আমরা বাপবেটা বাসায়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে অনলাইন ক্লাস প্লাস অনান্য বিষয় সহ আপন ভুবননিয়ে ব্যস্ত। খাবার টেবিলেও সময়মত পাই না। কাজেই একেবারে নিসংগ।
ওরা ট্রেন ধরার জন্য সন্ধা ৭টার (২৩/১১/২০২০) সময় বাসা থেকে বের হয়ে যাবার পর থেকে মনটা কেন যে এত খারাপ হলো বুঝতে পারছিলাম না।
কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম, গিটার, কোনটার উপরেই কোন আকর্ষন নাই। ফেবু, হোয়াটসঅ্যাপে কিছুটা গুতাগুতি করলেও ইউটিউবে সিরিয়াল দেখতেও মন চাচ্ছে না। এখন তো মোবাইল, পিসি বা ল্যাপটপের পাশাপাশি Smart 4k UHD TV গুলোতে ইউটিউব, গুগল এবং মেইল সবই ব্রাউজ করা যায়। তবু কিছুই করতে মন চাচ্ছে না।
আমার ভাবনাগুলোর কাউকেই যেন খুজে পাচ্ছি না। আমার এই নিসংগতার সুযোগে ওরাও যেন সুযোগ নিচ্ছে।
জীবন নদীর ওপারে
মানিকদী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
২৩/১১/২০২০
জীবন নদীর ওপারে//
(প্রথম পর্ব)
দূরের গ্রামে সামায় পল্লী বধুদের তালে তালে চিঁড়া কুটার শব্দ শুনা যাচ্ছে। একটি ক্ষুদার্ত শিয়াল সাড়ারাত খাবার যোগার করতে না পারার ব্যর্থতায় হুকা হুয়া শব্দে তার করুন আর্তনাদ ব্যক্ত করছে।প্রতিবেশী বনমালী কাকা ভোর বেলায় বনেদী গুড়গুড়িতে সুর তুলে দম দিতে দিতে কাজের ছেলে অরুন মানীকে গরুগুলো গোয়াল থেকে বের করে চাষে যাবার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। উনার মুখ নিসৃত ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশ পানে উঠার সাথে তার তীব্র কাশির শন্দ যখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখন ইহা যে কখনো কখনো কারও সকালের নিদ্রা ভঙের কারণ হয় তা বলাই বাহুল্য।
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (রওজা জেয়ারত)
ছোটকাল থেকেই আল্লাহর বান্দা, রাসূলের উম্মতরা বড় হয়ে উঠি হায়াতুন নবীর রওজা জেয়ারতের ইচ্ছে নিয়ে। ওমরা কিবা হজ্বে যাবার তৌফিক যাদের হয় মসজিদে নববী'তে গিয়ে এই ইচ্ছে পূরনের সৌভাগ্য পান তারা। সাধারনত হজ্বের প্রথমদিকের ফ্লাইটগুলোতে যারা যায় তারা আগে মদিনাতে গিয়ে পরে মক্কাতে যান, এঁনারা বেশিদিন মদিনায় অবস্থান করতে পারেন। আর হজ্বের শেষের দিকে যাওয়া হাজীরা আগে হজ্বের কাজ সমাধা করে পরে মদিনায় যান মাত্র ৯/১০দিনের জন্যে। ভীষন ভিড় থাকে এসময়ে মসজিদে নববী'তে, রওজা জেয়ারত করার সময় প্রচন্ড চাপাচাপি চলে। হজ্বের কালে প্রথমদিকে যারা যান, এই ভিড়টা এড়িয়ে শান্তির সাথে ইচ্ছেমতোন রওজা জেয়ারত করতে পারেন। আল্লাহ আবার কখনো হজ্বে যাবার তৌফিক দিলে আগে মদিনায় যেতে চাই।
আমি যাচ্ছি বটেই!
আমি যাচ্ছি, তবে কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছি না।
চলমান কোন এক যন্ত্রের উপর আছি, টের পাচ্ছি, আমি যাচ্ছি!
শুধু এতটুকু মনে করতে পারছি, আমি যাচ্ছি, আমি যাচ্ছি!
আমার চার পাশে অনেকেই আছে, এদের আমার কাছের মানুষ বলেই দুনিয়া জানে,
দলিলে লেখা অথচ সত্য আমি জানি, এরা মুলত আমার কেহ নয়,
তাঁরা আমার প্রসঙ্গেও অব্যহিত নয়, আমি তাদের আগ্রহের কোন কিছু নই!
জ্বী, আমি যাচ্ছি, অজানা পথে আমি একাই যাচ্ছি!
এই তো সেদিন, ভোরের হিম শীতল আবহাওয়া আমাকে ডেকে বলে,
আয় কাছে আয়, গায়ে মেখে নে,
আমি দুনিয়ার এই সুন্দরতম দৃশ্য উপভোগ করতে পারি নাই।
কারন আমাকে যেতে হচ্ছে, আমি যে চলমান এক যন্ত্রের উপর আছি!
তেঁতুলের ডালে বসে আমাদের গ্রামের কোকিল কত না কুহু কুহু করছে,
আয়, আয়, আয় না। গাছের ছায়ার বসে একটু বিশ্রাম নে।
আমি বুঝতে পারছি, কিন্তু আমার যে থামার কোন উপায় নেই,
"ভেবে বলুন তো? "
"ভেবে বলুন তো? "
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
উপজাতি পাড়ার,
উরাও ও সাওতাল বন্ধুদের সাথে
হা-ডু-ডু খেলা চলছে
একগেম দুদিন হলো কোন দল হারে না।
খেলা চলছে।
এরই মাঝে
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
খেলা নিয়া কাইচাল
দক্ষিণ পাড়ার পোলাদের মারতে হবে
কত জোগাড় যন্ত্র,
মাঝের ঢালী বাড়ির পোলারা কার পক্ষ নিবে
এর জন্য দেন দরবার চলছে
কোনই সুরাহাই হলো না।
এরই মাঝে
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
সিংগিয়ার সাথে চন্ডিপুরের ফুটবল খেলা
খেলার মাঠ ছোট খোচাবাড়ি
খেলার দিনের জন্য সাজ সাজ রব
খেলা তো হবে
কিন্তু মারামারি যদি লেগে যায়
তাই
দুটোর প্রস্তুতিই চলছে সমান তালে।
দক্ষিনপাড়া উওরপাড়া,উপজাতি পাড়া
সবাই আজ এক।
নেই কোন মারামারি
নেই কোন রেষারেষি।
চন্ডিপুরেকে জিততে হবে।
গোলকিপার ৭ ফুট লম্বা রাব্বানের (মরহুমের নামটা আজ মনে নেই)
গল্প: শঙ্খচিলেরা যেভাবে বকাবকি করতো আমাদের
১.
বিকেলের মাঝামাঝি সময়ে লাল আর সবুজ রং দেখতে দেখতে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মুহুর্তে একবার আকাশী নীল রং চোখে পড়েছিলো। বহুদিন পর প্রিয় রংয়ের শাড়ি চোখে পড়লো। আবারও সেই ছিপছিপে লম্বা মেয়েটি। উবায়েদ ভাইয়ের দোকানে যাকে দেখেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এবার ওর সাথে কয়েকটা কথা বলবো। অথচ ভিড় আমাদের দু'জনকে কাছাকাছি হতে দিলো না।
-নাম্ব সময়ের দিনলিপি, ১৭/১২/২০১৩ ইং
ছিপছিপে লম্বা সেই মেয়েটির সাথে পরে আমার আরও দেখা হয়েছিল। প্রথমে একবার দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালের দিকে, কিন্তু অনলাইনে। ২০১৯-এ গিয়ে আমাদের দেখা হয় সামনাসামনি।
------
কিছুটা সময় মুঠো তে বন্দি করতে সব পিছনে ফেলে ১৪ ঘণ্টা ছুটে চলা। সাদা বরফ দেখে যার শরীর হিম হয়ে যায়, কাঁপতে ২ ফুট বরফ হাচরে পাছরে ছোট এক কামরা র দরজায় টোকা দেয়া। শুধু একটু সংসার সংসার খেলার লোভে সবার চোখ ফাঁকি দেয়া, হাজার বাহানা দেয়া। ব্রেক আপ, প্যাঁচ আপ এর চিন্তায় চোখের জলে ভাসা। কোন এক সময় ছোট কোন ভুলে দূরে সরে যাওয়া আর অনেক অনেক বছর পর অকারন কোন চেনা পথে দেখা হয়ে গেলে শব্দ ভাণ্ডার খুঁজে খুঁজে হয়রান হওয়া। কোন কাব্যিক কথোপকথন নয়। কোন অভিযোগ নয়। দাঁড়ি পাল্লা হাতে ভালবাসা আর ছলনার মাপকাঠি নয়।
কিছু ই আর হবার নয়। তোমার অনুপস্থিত ব্যাথিত করে, ক্ষিপ্ত করে, রাগান্বিত করে।
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১০ (আগস্ট)
আঠারোই আগস্ট জানালেন প্রিমিয়ে মার্ক রুতে, দু সপ্তাহ আগের সাংবাদিক সম্মেলনের পর নেদারল্যান্ডসে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সংক্রমনের হার আর হাসপাতালে ভর্তির হার দুটোই বেড়ে গেছে। এখনই যদি সর্তক না হই আবার সংকটে পরতে দেরী হবে না। আমরা কিছুতেই অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয়বার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না। আজকে রাতেই আমাস্টার্ডামের মেয়র জনবহুল এলাকার জন্যে তাদের আলাদা নিয়ম নীতির ঘোষনা নিয়ে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে কোথাও কোথাও এলাকা ভিত্তিক নীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশ জুড়ে যে নিয়মগুলো বলবৎ থাকবে তা হলোঃ
তাই বুঝতে হবে তোকে শুধু সত্যি-মিথ্যে ঝোঁকে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করলো তখন প্রায় সব খেলাতেই অবধারিত ভাবে হারতো। আমি প্রায় কখনোই খেলা দেখতাম না, হারবে জানিই আর অনেক সময় খেলা শুরু না হতেই শেষ, সব আউট। দৈবাৎ কখনো জিতে যাচ্ছে ব্যাপার থাকলেই খেলা দেখতে বসতাম। ভাই, কাজিন, চাচা-মামা অন্যদের সাথে আমি-আমরাও গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতাম, ছক্কা, চার ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদেরও ফুলতো, লাফালাফি করতাম, বাংলাদেশ তো আমাদেরও, এটাই ভাবতাম। কিন্তু কখনো বিজয় মিছিল, রঙ খেলায় আমাদের-আমার অংশ গ্রহণ ছিলো না, আমাদের পরিধি ছিলো, খেলা শেষ হলে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে সেটা বাসার বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে দেখা, অন্যদিন বাসার বাইরে পা দেয়ার কোন পারমিশান থাকলেও সেসময় বিশেষ করে সব বন্ধ। পরদিন পেপারে দেখা যেতো বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাস গুলোতে মিছিল হয়েছে, টিএসসিতে রঙ খেলা হয়েছে এবং এই খবরের পাশে আলাদা বক্সে প্রায়শঃই দু’
পাখিদের দুঃখ সুখ
আচ্ছা, পাখিদের কি কোন সুখ দুঃখ আছে?
পাখিদের কি করে জীবন কাটে?
কোথায় পাখিরা রাত কাটায়,
পাখিদের সঙ্গী কি হারিয়ে যায়?
সামান্য মলিমালন্যে পাখিদের সঙ্গী কি কর্কশ হয়ে উঠে!
আমি সারাদিন আমাদের খোলা বারান্দায় বসে,
পাখিদের ঊড়ে যাওয়া দেখি, বিশেষ করে সকাল বিকাল সন্ধ্যায়,
সকালে পাখি গুলো উড়ে দক্ষিন থেকে উত্তরে যায়,
আবার গৌধুলীর আগে উত্তর থেকে দক্ষিনে,
পাখি গুলো কেন প্রতিদিন এমন করছে!
পাখিদের শৃঙ্খলিত জীবন আমাকে অবাক করে।
দুরের আকাশে কি করে এত নিয়ম মেনে একসাথে ঊড়ে
আজ পর্যন্ত পাখিতে পাখিতে আকাশে কোন সংঘর্ষের খবর পেয়েছেন!
না, আমি আমার পাখি দেখা বহু বছরেও এমন দেখি নাই
গতকাল বিকেলেও যে পাখি গুলো উত্তর থেকে দক্ষিনে যাচ্ছিলো
সেখানেও আমার চোখ পড়েছে!
প্রকারভেদে পাখি অনেক প্রকারের হলেও,
নিজ বর্ণে পাখিদের মাঝে তেমন কোন ফারাক নেই!
এরা একে অপরকে চিনে কি করে,
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট)
নেদারল্যান্ডসের করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়াতে ছয়ই আগস্ট মার্ক রুতে টিভিতে এলেন নতুন করে আবার নিয়ম- নীতি নিয়ে কথা বলতে
বেসিক যে নিয়মগুলো দেয়া আছে সেগুলো পালনের কোন বিকল্প নেই। অনেক জায়গাতেই সেগুলো পালিত হচ্ছে না বলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিউজিয়াম, ট্যুরিস্টি প্লেস, রেস্টুরেন্ট আবারও বন্ধ হোক তা কেউই চায় না তাই সর্তক থাকার কোন বিকল্প নেই বলে আবারো সবাইকে জানালো হলো। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আপাতত এর কোন সমাধান কারো হাতে নেই।
দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষই টেস্ট করাচ্ছে না, সর্দি-কাশিতে বাড়ি থাকছে না, দেড় মিটারের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে না তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়ে চলছে।