দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট)
নেদারল্যান্ডসের করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়াতে ছয়ই আগস্ট মার্ক রুতে টিভিতে এলেন নতুন করে আবার নিয়ম- নীতি নিয়ে কথা বলতে
বেসিক যে নিয়মগুলো দেয়া আছে সেগুলো পালনের কোন বিকল্প নেই। অনেক জায়গাতেই সেগুলো পালিত হচ্ছে না বলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিউজিয়াম, ট্যুরিস্টি প্লেস, রেস্টুরেন্ট আবারও বন্ধ হোক তা কেউই চায় না তাই সর্তক থাকার কোন বিকল্প নেই বলে আবারো সবাইকে জানালো হলো। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আপাতত এর কোন সমাধান কারো হাতে নেই।
দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষই টেস্ট করাচ্ছে না, সর্দি-কাশিতে বাড়ি থাকছে না, দেড় মিটারের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে না তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়ে চলছে।
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (২)
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (২)
হজ্বের সময়ে কাবা শরীফ প্রথম নজরে আসার সাথে সাথে যে দোয়া করা হয়, আল্লাহ সুবহানাল্লাহতালা সেটি অবশ্যই কবুল করেন। কিন্তু কাবা নজরে আসামাত্রই মনমগজে যেই ধাক্কাটা লাগে, কি দোয়া বলতে কি বলা হবে তা তালগোল পাকিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে কাফেলা থেকে শিখিয়ে দেয়া বাংগালী চিপাবুদ্ধি হলো, কাবা দেখামাত্র ঝটপট বলে দেয়া, "ইয়া আল্লাহ, এই হজ্বের কালে যতো দোয়া করবো, সেসব কবুল করে নেন মাবুদ"।
অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮
ধূসর- কালো-সাদা এমনি সব রঙের চঞ্চল কবুতরদের ঝাঁক দু'হাত মেলে ছুটে এসে উড়িয়ে দিতে দিতে খিলখিল করে হাসছিল শ্বেতশুভ্র পোশাকের মেয়েটা, সাদা পরীর মতোন লাগছিলো ওকে আর সেই মূহুর্তটাকে নীচু হয়ে বসে ফ্রেমবন্দি করায় ব্যস্ত ছিল সঙ্গী ছেলেটা। যদিও দূর থেকে মেয়েটার বাঁধভাঙা হাসি কানে পৌঁছাচ্ছিলো না, কিন্তু তাও খর-রোদতাপা কংক্রিট-বালুময় রুক্ষ ঐ পরিবেশের মাঝে এই সামান্য দৃশ্যটাও বেশ নজর কাড়লো। শ্রান্তক্লান্ত হয়ে হেঁটে ওদের পেরিয়ে আসতে আসতে ভাবছিলাম, এইদিকে এমন করে হাসতে দেখিনি কাউকে, আর এতোটা পরিপাটি সাজের মেয়েও চোখে পড়েনি। ঠিক তখনই মনে পড়ে গেলো, এরা নিশ্চয়ই স্থানীয় বাসিন্দা, আজ এদের সাজসজ্জাতো হবেই। কারন আজ তো এখানে ঈদ।
২০২০ঃ করোনা কালে হজ্বের তাওয়াফের ছবি। নেট কালেকটেড
বিপ্রতীপ
স্রোতের বিপরীতে স্রোত থাকে
নদীর বুকে ও নদী
গভীর যে সাগর তার ও থাকে
অদেখা সাগর বা স্রোতস্বিনী
থাকে দেনা পাওনা হিসাব
আর ভুল শুদ্ধ বিচার,
রাজনীতিতে ও থাকে সম্পর্ক
সকল পাপ, সকল ঘৃণা
জব্জল্যমান
অপ্রকাশিত থেকে যায়
মায়া, অনুভব, বিষণ্ণতা, বিপন্নতা
অপ্রকাশিত থেকে যায়
ভালবাসা, ভাললাগায় ভরা চাহনি
শব্দাভাবে
অপ্রকাশিত থেকে যায়
কিসের এতো মায়া,
এতো প্রেম,
এতো বিপন্নতা।
ভুল সব ই ভুল
ভুল ছিল, এতো টা কাছে আসতে দেয়া ভুল ছিল
ভুল ছিল, চাওয়ার শব্দ গুলো অনুচ্চারিত রাখা ভুল ছিল
ভুল ছিল, অজলা পেতে অপেক্ষা করতে থাকা টা ভুল ছিল
ভুল ছিল, অপেক্ষার দিন গুলো দীর্ঘ করা ভুল ছিল
তোমাকে বুঝায় এবং বুঝতে না চাওয়ায় ভুল ছিল
পালিয়ে যাওয়া তোমায় খুঁজে পেয়ে ও
নিজের কাছে না রাখা ভুল ছিল
তুমি এখন এক মেগা বাইট দূরে নও
বুঝতে না পারা, ভুল ছিল
নিজেকে বুঝতে পাড়ায় ভুল ছিল
আসে যায়
আমি সরলা। আমরা তো গরীব তাই আমাদের বাড়িতে কোন বিড়াল থাকে না।
আমাদের চার পাঁচটা বাড়ির পরে দত্তদের বাড়ি। ওদের বাড়িতে চার পাঁচটা দুধ সাদা বিড়াল। আমি স্কুল যাওয়ার পথে দেখতাম বেড়ালগুলো ওদের বাইরের সোফায় বসে থাকত। কখনো বা গিন্নীমার পায়ে পায়ে ঘুরত। কোন কোন সময় ওদের পরীর মত মেয়েটা টেবিলে বসিয়ে ওদের খাওয়াত।
যেদিন স্কুল থেকে ফেরার পর ঘরে দেখতাম একটুও খাওয়ার নেই তখন ওই খাওয়ারের কথা মনে পড়ত। আহা রে! বিড়ালও খেতে পাচ্ছে। রাতে বাবা চাল ডাল আনলে সেই ভাতের গন্ধে আমি দাদা দিদি গোল হয়ে উনুনের পাশে বসতাম। দূরে একদিন একদিন দেখতে পেতাম বিড়ালের চোখ।
ভয় পেতাম না। কেন না খাওয়ার সময় এলেও কাছে ঘেঁষত না। তখনই বুঝতে পারতাম এ দত্ত বাড়ির বিড়াল। রাতে একটু টহল দিতে বেরিয়েছে।
সুলতানা
জানো সুলতানা,
আমি এখন আমার নিজের সব কাজ করতে পারি,
কাপড় চোপড় পরিষ্কার, হাড়িপাতিল ধোঁয়া,বিছানা চাদর, শোফা, মেজে,
রান্না তো তোমার কাছ থেকেই শেখা ছিলো!
জানো সুলতানা,
তোমার সেই তাছিল্য কথা গুলো এখনো আমার মনে পড়্,
তুমি কত তাচ্ছিল্যের সাথে বলতে, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না!
জানে, সেই আমি এখন নিজের সব কাজ নিজেই করি!
জানো সুলতানা,
তোমার অতি আদরের পুত্র গত কয়েকদিন আগে,
বলে দিয়েছে, সে আর এই দেশে ফিরবে না,
এই দেশের নাকি সব কিছুই ভেজাল্, সুশাসনের বালাই নেই,
বেঁচে থাকার উপযুক্ত নয়!
তোমার মেধাবী মেয়েটাও আর তেমন খোঁজ নেয় না,
আমেরিকায় গবেষনার কাজে ওর হাতে সময় নেই,
আমি রাজী ছিলাম না, তবু তুমি তাকে পদার্থ বিজ্ঞানে পড়িয়েছিলে!
ছেলেমেয়েদের নিয়ে তোমার অনেক গর্ব ছিলো,
অথচ আমি বার বার বলতাম, ওদের মানুষ করো,
হ্যাঁ, ওরা অনেক বড় মানুষ হয়েছে দেশ ও দশের চোখে,
কিন্তু আমার কাছে 'অমানুষ'ই!
গল্প: গরিবের অসুখ
আমার বাপজান হইলো গিয়া কাঠ মিসতিরি। এই ধরেন, আপনাগো বাসা-বাড়িতে যেই টেবিল-চেয়ার আছে এসব বেবাক বাপজান বানাইয়া দিতে পারবো। বাপজান মাঝে মইধ্যে কয়, চলতে চলতে বলে কাম করে। এই ধরেন, কাঠের যে দোকানগুলা থাহে না? ওইহানে হুটহাট কামের লোক লাগলে বাপজান কইরা দেয়। আমারে কয়, হে-য় টেবিল-চেয়ার বানাইতে পারে। আসলে কচুডাও পারে না। পোলার কাছে ভালা হওনের লাইগা এসব কয়। তয় ওই যে চেয়ার টেবিলে যে রঙ করে এইডা ভালো পারে। আমি নেজ চোহে দ্যাখছি, এর জইন্যেই কইতে পারি।
ভাবতে পারেন, পোলায় এত বাপ বাপ করে ক্যা? মায়ে কই? মা কাম করে মাইনষের বাড়ি। কার বাড়িত কাম করে কেমনে কমু? মায়ে খালি সকালে ঘুম থেকা উইঠা দেয় দৌড় আর আহে হেই সন্ধায়। আমগার জইন্যে ভাত আর বাসি তরকারি লইয়া আহে। এট্টু গন্ধ লাগলেও প্যাট ভইরা খাই। প্যাট ভরন দিয়া কথা।
মাঝে মইধ্যে মায়েরে জিগাই, আম্মা তুমি বাসি খাওন আনো ক্যান? হেরাও কি বাসি খায়?
এ কোন হাসি রাশিরাশি
করোনার কারনে এবারের ঈদ নিরানন্দই কেটে গেল। ঈদের দিন বিকেল বেলা আমাদের সেনা ক্যাম্পের সামনে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পের বিশাল ফাকা প্রান্তরে শত শত লোকের সমাগম হয়। প্রায় প্রতিদিনই হয়। করোনার কারনে ঘর বন্দি মানুষ যেন বিদ্রোহী হয়ে এখানে আসে ক্ষনিকের তরে হাস্যময় জীবনের খুজে।
তাইতো শিশু কিশোর যুবক যুবতী নব্য বিবাহিত যুগল সবাই যেন হাসি আনন্দে মেতে উঠে। ক্ষণিকে তারা ভুলে যায় করোনার সব করুণ স্মৃতি। আমি নিজেও কখনও সামিল হই, বা কখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি আর ভাবি।
এ কোন হাসি রাশিরাশি উছলে উথলে পড়ে
এই হাসিটাই লেগে থাকুক সবার জীবন ভরে।
বন্ধু সবার জীবন ভরে।
জীবন পথের যাত্রা সেতো নয়ত অনেক বড়
এই টুকরো টুকরো স্মৃতি গুলোই করবে তাকে বড়।
আলসেতে পিছন ফিরে দেখবে যখন তারে
এক জীবনকে রাঙিয়ে নিবে হাজার জীবনের ভীরে
যখন সায়ান্নেতে হিসেবের খাতা শূন্যে যাবে ভরে
ছলাৎ ছলাৎ হাসির স্মৃতি করবে পূরণ তারে
Aim in life .......
এক রিম নিউজ পেপার দাও, এক রিম সাদা কাগজ, একটা ইউয়ত কালি। রহমান ভাই আসছিল এই কয় দিনে?
না স্যার আসে নাই। আসলে কিছু বলতে হবে? স্যার কিছু নতুন বই আসছে দেখবেন? কালাম স্যার এর নতুন বই টা ও আসছে।
শিরোনামহীন দিনলিপি ১
প্রায় আট বছর পর আবার শিরোনামহীন দিনলিপি লিখতে বসলাম। কেমন আছেন সবাই? এই আট বছরে কত কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, মানসিকতা, লেখার অভ্যাস কত কিছু। ব্যস্ত সময়ে করনা এসে অলস বানাই দিল। একটা সময় বাংলা লেখা কত সহজে লিখতে পারতাম আর আজকে এতটুকু লিখতেই খেই হারায় ফেললাম। ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার না করে বাংলা লিখাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে।
হয়ত এইটাই আবার শুরু .........
চলে এসো
বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া, চমকে উঠে অন্তরাত্মা, চমকে উঠা মেঘে। চারদিক ভেসে যায়, যত ধুলা। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অহংকারী গাছেরা ভালবেসে অবনত হয়। ছুঁয়ে দিতে চায় মাটি। নিরাপদ বদ্ধ ঘরে জানালার কাচ ভেদ করে বৃষ্টির ঝাঁপটা চোখে লাগে না। তাও চোখ ভেসে যায়। বদ্ধ ঘরে তুমি ভিজে যাচ্ছ, একাকী । তোমার কি ভিজতে ভাল লাগছে? নাকি খুব অনিচ্ছায় নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছ জলে। জলে ভিজে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছে না তোমার? দরজায় দাঁড়িয়ে গামছা হাতে আমরা। নাকি ছাতা পাথিয়ে দেব, ঐ যে বড় সাত রঙা ফ্যামিলি ছাতা কিনেছিলাম আমরা ওটা দিব পাঠিয়ে? অনেক দিন হয়ে গেল যোগাযোগ হীন। কেমন আছ? কি করছ? আমাদের মনে পড়ে? আসতে ইচ্ছে করে না? আনন্দি প্রতি রাতে তোমার কথা শুনতে চায়, তোমার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমায়। এমন ঝড়ো রাতে বাইরে আছো একা, তাও আসছনা।
অন্য সব অসুখী শিরোনামদের মতো এটাকেও একটা যাচ্ছেতাই বানালাম
সকাল বেলায় ক্লাসটা করেই হাঁটা দিলাম সেন্ট জোসেফ হাসপাতালের পথে। গিয়ে দেখি সেখানেও স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ। মেইনগেইট বন্ধ করে দিয়ে লিখে রেখেছে, কলিংবেল চাপুন। কলিং বেলের লাউডস্পিকার থেকে কথা ভেসে এলো, আমি বললাম, আমার পায়ে সমস্যা, ডাক্তারের কাছে যেতে চাই। আমি কেন জানি হাসপাতালে গেলেই ওরা বলে হাউস ডাক্তারের কাছে যেতে। আমি বল্লাম, আমার হাউস ডাক্তার নাই, দয়া করে কোনো একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে দিন। মহিলা বললেন, বিকাল চারটায় ইমারজেন্সি গেটে আসবেন।
আমি বাসায় ফিরে কফি আর মিউজিক সহকারে আরও একটু লেখাপড়া, দুপুর বেলায় লাঞ্চ এবং আরও একটি অনলাইন লেকচার অ্যাটেন্ড করে বৈকাল বেলায় আবার সেই পথে। আমার মুখে মাস্ক নেই দেখে ইমারজেন্সি গেটের মহিলা শুরুতেই আমাকে একটা মাস্ক বাড়িয়ে দিয়ে আমার কানের ভিতর তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রটার সুচালো আগাটা ঢুকিয়ে দিলো।
কালো কার্বন ফাইবার ফ্রেমের চশমা
কালো কার্বন ফাইবার ফ্রেমের চশমাটার গায়ে আলো পড়ে না সহজে। কালো গায়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার চেপে থাকে কখনো, কখনো এক চিলতে আলো ছুঁয়ে যায় ধুলো জমা কাঁচে। কখনো মানে যখন যেখানে চশমাটার বাস- ড্রয়ারটা খোলে।
নিজে থেকে তো আর হয় না- কেউ খোলে যখন, তখন। আলো আসে, ধুলোজমা কাঁচে আবছা প্রতিচ্ছবি ভাসে। কখনো কোন হাত, কখনো কপাল, কখনো দুটো চোখ- কখনো কাছাকাছি আসতে থাকা হাত।
শেষবারের হাতের স্পর্শে চশমাটা সরে গেছিল একটু, ওর নিয়মের জায়গা থেকে। মাঝারি আকারের খাতা একটা, বাঁধাই করা, পেপারব্যাক বাঁধাই- অত শক্ত কিছু না, আবার চট করে ছিঁড়ে যায় অমনও না।
উপরে সুন্দর করে লেখা- “লেখার খাতা”। সেটা লেখা না অবশ্য- ছাপা। কিন্তু ছাপাটা আবার লেখার মত দেখতে, কী একটা ঝঞ্ঝাট, বোঝানোও তো মুশকিল।
Excerpts from the memoir of an unforgiving moron
Don't know why but all along these long and wasted years of my life, I was trying to avoid it with all the forecs: growing up. 'Grow up or die' - it took me longer than usual to write that down on a piece of paper, which did not happen until I was almost 30. Although not sure if all is being done in proper manner, cause I still stare out the window while and write things like this while I should be doing something else on the desk, here's something I wanted all of you young suckers out there to know: growing up is hard and it sucks.