কেন য ঘুম আসে না
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩/৬/২০২১
কেন যে ঘুম আসে না,এত রাত হয়ে গেল
, হাজার স্মৃতি মনে আসে,শুধু দু চোখে ঘুম আসে না।
ঘুৃম আসে না, ঘুম আসে না,দু চোখে ঘুম আসে না।
শুয়েছি সেই সে কখন, সারা দুনিয়া করেছি ভ্রমণ
শুধু এপাশ ওপাশ করে বেড়াই, কোন কিছু খুঁজে না পাই
কি খুজি কারে খুজি, মনে হয় এই পেয়েছি
কি করে পাব তারে, কি খুজি নিজেই জানিনা।
ঘুৃম আসে না, ঘুম আসে না,দু চোখে ঘুম আসে না।
প্রায়শই শুবার পরে, মাথাটা যায়গো ভরে
কেন এ দুনিয়ায় এলাম, আসার আগে কোথায় ছিলাম।
আবার তবে কোথায় যাব,সেখানে কি বা খাবো
আজব আজব চিন্তা যত, করে আমায় ক্ষতবিক্ষত
যতই চাই মুক্ত হতে,পারি আর পারি না।
ঘুৃম আসে না, ঘুম আসে না,দু চোখে ঘুম আসে না।
বন্ধুত্বের জয় হউক
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩১/৫/২০২১
বন্ধুত্বের জয় হউক//
বন্ধু তপন ভারসেটাইল গুনের অধিকারী। তাই রুয়েট ৮৫ সিরিজের বন্ধুরা আদর করে নাম দিয়েছি তপোবন।
সবাই এই গ্রুপে বন্ধু হলেও, কেউ হয়ে গেছে মামা, কেউ বড় ভাই, কেউ শালা কেউ দুলভাই এ এক আজব গ্রুপ।
কারো নামই মনে হয় আর অক্ষত থাকবে না। এই ভয়ে ইতিমধ্যে অনেকের চোখ ও নাকের পানি বইতে আরম্ভ করেছে।।
এদিকে ভুল বাটনে চাপ পড়ে মালেক মামার গ্রুপ থেকে নাম ডেলিট হয়ে গেছে,আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। মালেক মামার নামে শোকজ থেকে আরম্ভ করে আরো কতকিছু।
মালেক মামা গ্রুপ থেকে চলে গেলে আমাদের সকলেরই ক্ষতি। মালেক মামার আশুলিয়ায় বাগান বাড়ির আম, জাম,কাঠাল সাবাড় করতে একটু সমষ্যাই হবে। তাই অত্তসব।
আমি ছাপোষা মানুষ থাকি নিরিবিলি। টুকটাক লিখি। ভাবলাম মালেক মামার পক্ষে কিছু লিখি।
এই দুনিয়া সরাই খানা
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩০/৫/২০২১
এই দুনিয়া সরাই খানা//
এই যে দুনিয়া সরাই খানা কদিন থাকবো আর
আইতে না আইতেই যাবার জন্য হইতে হয় তৈয়ার
আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিলো এই রঙের দুনিয়ায়
এটা করতে বাকি ওটা করতে বাকি কোনটা করবো আর।
আইতে না আইতেই যাবার জন্য হইতে হয় তৈয়ার
শীশুকালের শিশুতোষ স্মৃতি, মনে পরে অল্প অতি
কিশোর কালটা গেল কবে টেরই পাইলাম না
যৌবন কালের রঙের ঘোড়া বানতে চাইলেও ছুটছে তেরা
যৌবনের কালের রঙিন জীবন ফুরুত কইরা হইয়া গেল পার।
আইতে না আইতেই যাবার জন্য হইতে হয় তৈয়ার
যখন পড়লাম ভবের মায়ায়, দেখি পাক ধরেছে চুলের গোড়ায়
সুরের রাজ্যে সন্তরণ করি, কি যে সাদ আহা মরি মরি
সাহিত্যের শাখায় বিচরন করি প্রেমে পড়েছি কারি কারি
আরো কত কিছু করতে বাকী কয়টা বলবো আর
আইতে না আইতেই যাবার জন্য হইতে হয় তৈয়ার
যখন চালাই সাধের গাড়ি, মনটা চায় যেন হাওয়ায় উড়ি
রঙের ঘোড়া
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৬/৫/২০২১
রঙের ঘোড়া।
রঙের ঘোড়া বলছো তুমি, বল রং কি কভূ শেষ হয়
বয়সটা ৫৩ হলেও মনে টিন এজের বাতাস বয়।
বাদল মামার সাহস ভীষন দিল খোলে কথা কয়
আমরা তার লেজ টেনে ধরি এটা মোদের পরাজয়
মনের ঘোড়ার তেজ কমে না কভূ, সদাই যৌবন রয়
বয়সটা ৫৩ হলেও মনে টিন এজের বাতাস বয়।
পুকুর পাড়ে নদীর ধারে টিন এজের ভীরে হারিয়ে গেলে
নিজের বয়সটা যাই যে ভুলে, মন চায় কারো দেখা মেলে
হাওয়ায় হাওয়ায় রঙিন হাওয়ায় কত স্বপন বয়
বয়সটা ৫৩ হলেও মনে টিন এজের বাতাস বয়।
সে কি জানে
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৯/০৫/২০২১
সে কি জানে//
আমি যার তরে থাকি জেগে সেকি এসব জানে
কে জানে কে জানে
আমি যে স্বপন দেখি, ব্যাকুল হয় যে দুটি আখি
বল, বলগো কেউ তার কানে কানে
সে কি জানে?
কে জানে কে জানে।
একটি নয় গো সাতটি আকাশ, শন শন বয় বিরহ বাতাস।
আমার হৃদয়ের গানের সুর, হারিয়ে যায় কোন সে সুদুর
তার বিরহে আমার নিঃশ্বাস, বন্ধ হয় যে থাকি থাকি।
সে কি জানে।
কে জানে কে জানে।
এই যে এই নিশুতি রাতি, সুনশান নীরবতা অতি
মাঝে মাখে ঝি ঝি পোকা, কার বিরহে গাইছে একা
যাও গো ঝি ঝি বল তারে, বিরহ আর সইতে নারে
বল বলো গো তার কানে কানে
সে কি জানে
কে জানে কে জানে।
ওরে ও সুন্দরী
আবুল হোসেন
মানিকদী
ঢাকা সেনানিবাস
২০২১.০৫.১৩
<ওরে ও সুন্দরী >
ওরে ও সুন্দরী পিছন ফিরা চা
রাগ করে আর থাকিস না কলিজা ছিড়া যা।
কি আটা আছে তোরি মাঝে, খুইজা বেড়াই সকাল সাঁঝে
যাইতে চাই দুরে যখন হেচকা টান মারিস তখন
দড়িও দিখি না সুতাও দেখিনা চেষ্টা করি খামাকা
রাগ করে আর থাকিস না কলিজা ছিড়া যা।
তাইতো সবি ছাইড়া দিছি, আছি আছি শুধু তোরি আছি
শত জনমের কথা দিলাম, তোমাতে আজ বিলিন হলাম
কলিজা ছিড়ে দেখাতে পারি দেখবি যদি আ।
রাগ করে আর থাকিস না কলিজা ছিড়া যা।
আবেগ
আহসান হাবিব
সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট
বৈশাখ,০৩,১৪২১
কবিতাঃ আবেগ
এত আবেগ ঢেল না
আমি ডুবে যাব,
আর তুমি-
সেই সে ভয়ে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়া
আমার আবেগের সীমানা থেকে।
কিন্তু পেরেছে কি?
ভেবে দেখ।
অন্য আর একজন
চায় শুধু চায়...আবেগ।
ঢালো আবেগ
আরো ঢাল
আবেগে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও
ডুবিয়ে দাও
দিগন্ত প্রসারিত দু বাহু ভরে
তত টুকু আবেগ দাও
যা সমুদ্রের থেকেও গভীর
যে সমুদ্রে আমি সন্তরণ করব
কখনও ডুবে যাব।
আকাশের থেকে উঁচু
যেখানে আমি মনো হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়াব।
দিগংগনা হতে দিগংগনায়।
ঝরনার চেয়েও স্বচ্ছ সরোবর
যেথায় হংস হংসী হয়ে জলকেলি করব
নিঃশ্বাসের চেয়েও হবো প্রিয়।
সেই সে তপ্ত নিশ্বাসে
আপন মনে তাপিত হব
যাপিত হব
হিমালয়ের চেয়েও শক্ত হবো।
যাতে দুজনা দুজনাকে
এমননি ভাবে বেঁধে নিব
জনম জনমতক হব নাকো...।
-সমাপ্ত-
আবেগ
আহসান হাবিব
সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট
বৈশাখ,০৩,১৪২১
কবিতাঃ আবেগ
এত আবেগ ঢেল না
আমি ডুবে যাব,
আর তুমি-
সেই সে ভয়ে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়া
আমার আবেগের সীমানা থেকে।
কিন্তু পেরেছে কি?
ভেবে দেখ।
অন্য আর একজন
চায় শুধু চায়...আবেগ।
ঢালো আবেগ
আরো ঢাল
আবেগে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও
ডুবিয়ে দাও
দিগন্ত প্রসারিত দু বাহু ভরে
তত টুকু আবেগ দাও
যা সমুদ্রের থেকেও গভীর
যে সমুদ্রে আমি সন্তরণ করব
কখনও ডুবে যাব।
আকাশের থেকে উঁচু
যেখানে আমি মনো হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়াব।
দিগংগনা হতে দিগংগনায়।
ঝরনার চেয়েও স্বচ্ছ সরোবর
যেথায় হংস হংসী হয়ে জলকেলি করব
নিঃশ্বাসের চেয়েও হবো প্রিয়।
সেই সে তপ্ত নিশ্বাসে
আপন মনে তাপিত হব
যাপিত হব
হিমালয়ের চেয়েও শক্ত হবো।
যাতে দুজনা দুজনাকে
এমননি ভাবে বেঁধে নিব
জনম জনমতক হব নাকো...।
-সমাপ্ত-
প্রার্থনা
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২০২১.০৪.১৫
প্রার্থনাঃ
সেহরী খেয়েছিস, না খেলে খেয়ে নে
আর ক মিনিট বাকি।
মুয়াজ্জিন উচ্চস্বরে উঠিবে ডাকি
তাই ত্বরা কর, ওজু করে তৈরী হয়ে নে।
শুধু কি মজজিদে মন্দিরেও যে বাজিবে ঘন্টা
গীর্জা প্যাগোডা, পশু পক্ষীর ঘরে বাদ যাবে কোনটা
এই যে দিনের আগমনে, কিংবা সন্ধা ঘনিয়ে এলে
প্রকৃতির সকল প্রাণী, সকল জীব আপনা আপনা বোলে
গাহিছে প্রভুর গুনগান কৃতজ্ঞতার স্বরে
হে প্রভু ক্ষমা মাগি তব কাছে আপনা আপনা গুনাহের তরে।।
ক্ষম ক্ষম মোরে, পরীক্ষা করোনা মোদেরে
করেনা বা করোনা সম বালা মসিবত দিয়ে জগতেরে।
এই দুনিয়ায় কে হবে না সংগী
আহসান হাবিব //এই দুনিয়ায় কেউ হবে না সংগী
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২০২১.০৪.১১
এই দুনিয়ায় কেউ হবে না সংগী যতই তুমি কাউকে চাও
স্বার্থ ছাড়া সংগী হয়না কেউ, কেউ হয়না কারো বাও।
এই দুনিয়ায় কেউ হয় না সংগী যতই তুমি কাউকে চাও
মাওলার সাথে বাও হইলে দিলে দিল যায় মিলে
এই দুনিয়া ফানুস লাগে মাওলার ভাব পাইলে
খাবার দাবার পানি পিপাসা, না মিটিলেও যায় না পিয়াসা
সদাই তোমার রয় সে দিলে দেখতে চাইলে দেখতেও তুমি পাও।
এই দুনিয়ায় কেউ হয় না সংগী যতই তুমি কাউকে চাও
স্বার্থ ছাড়া সংগী হয়না কেউ, কেউ হয়না তোমার বাও।।
চোখের আলো না থাকিলে দেখা না যায় জগতটাকে
মনের আলো জ্বেলে দেখতে হয় মওলার অস্তিত্বকে
একবার তার পাইলে দর্শন, মওলায় তোমায় দর্শন দিলে
সেই হবে তোমার ধ্যান জ্ঞান স্বপন
শয়ন কিংবা স্বপনেতে সদাই রবে তোমার সাথে যখন যেথায় যাও।
এই দুনিয়ায় কেউ হয় না সংগী যতই তুমি কাউকে চাও
মনটা ছিল মনের ভিতর
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২০২১.০৪.০৯
গানঃ
মনটা ছিল মনের ভিতর শরীরটা ছিল দুরে
অনুভবে মন ছটফট করে কখন পাব তারে
শরীরে শরীর মিলনে দিলটাই গেল উড়ে
মনটা ছিল মনের ভিতর শরীরটা ছিল দুরে
বুজানের বর চাকরি করে কাড়ি কাড়ি টাকায়
জমিন জিরাত কিনছে গ্রামে ফ্লাটভি আছে ঢাকায়
তোমার শালার চাল কিনার টাকা
জোগার হয় ধার করে
অনুভবে মন ছটফট করে কখন পাব তারে
তুমি কি আজ দাঁত মাজনি মুখের গন্ধ লাগে
আহ্ ঠোট দুটা মন চায় কামড়িয়ে খাই, দেখা হলে আগে
এখন শুইতে গেলে উল্টা দিকে শোয় দেখতে নারি তারে।
অনুভবে মন ছটফট করে কখন পাব তারে
সারারাত ভরে দেয়ালে লিখেছি তার নাম ভালোবাসি তোমারে
আমার ভালবাসার সাগর কত বড় দেখাতে তাহারে
এখন কোথাও তাহার নাম দেখিলে, বাহির হতে ঘরে এলে দেখতে চাই না তারে
অনুভবে মন ছটফট করে কখন পাব তারে।।
ভূলে ভরা জীবন আমার
আহসান হাবিব //ভূলে ভরা জীবন আমার ভূল করি ক্ষণে ক্ষণে
হাসনাবাদ
২০২১.০৪.০৭
গানঃ
ভূলে ভরা জীবন আমার ভূল করি ক্ষণে ক্ষণে
সদা আকুলি ব্যাকুলি মন ভুল করারই জন্যে।
সুন্দর সুন্দর ফুল দেখিয়া গেলাম গন্ধ নিবার আশে
গিয়ে দেখি সে ফুলের গন্ধ নাই মেতেছি অন্য ফুলের সুবাসে
এমনি শত ভুলন করিয়া, সুদে আসল শেষ করিয়া
এসেছি জীবন নদীর সায়াহ্নে
সদা আকুলি ব্যাকুলি মন ভুল করার জন্যে।
সদাই মেতেছি নারি প্রেমে, সদাই ভালবাসার ভ্রমে
লাঠিম সম ঘুরেছি বিশ্ব চরাচরে
কোথাও তাদের দর্শন না মেলে, তাও ঘুরেছি সকল ফেলে, ঘুরেছি জীবন ভরে
ঘুরাঘুরির শেষ যে কোথা,জীবন ভাবে বসিয়া হেথা,
কখন যে জিন্দেগী শেষ হলো, কখন এলাম সায়াহ্নে
সদাই আকুলি ব্যাকুলি মন ভুল করার জন্যে।
ও মাওলা
দিগন্তে মরুভূমি দিগন্ত বৃক্ষকুল, সকলই তোমার সৃজন তোমার সৃষ্টি ফুল
মরুভূমির মরিচিকা,বৃক্ষরাজির ছায়া ঢাকা,
সৃষ্ট যত কিছু আছে
ছোট হতে চাইলেই কি
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ
২০২১/৩/৩০
ছোট হতে চাইলেই কি আর ছোট হওয়া যায়
যে দিন চলে গেছে সেদিন কি আর ফিরানো যায়।
কিশোর বেলা গেল হেলাফেলা খেলায় মেতে
যৌবন গেল উড়ন্ত ভাবনার আবেগেতে
আমিই সেরা আমিই বেশ, এভাবনার হায় হয় না শেষ
ভাবতে ভাবতে জীবন নদীর পরপারে কখন যে এসে গেছি ভাবিতে না পায়।
যে দিন চলে গেছে সেদিন কি আর ফিরানো যায়।
নারীর প্রেমেতে মজি, হয়েছি বিবাগী,শূন্য হয়েছে সাজি
ঘুমহারা রাতে ঘুম ভেগেছে সকাল না হতে
নিত্য এহেন নাগর দোলায়, জীবনের ফেরি খেলায়
কখন যে তীরে ভেলা, লেগেছে লাগিয়ে দোলা
বুজিতে না পায়।
যে দিন চলে গেছে সেদিন কি আর ফিরানো যায়।
সি রামচন্দ্র, রান্নার গ্যাস কিংবা চলমান ডিপ্রেশন!
আজ একটা ব্লগ লেখতে ইচ্ছে করছে খুব। কিছু লেখা আছে ফেসবুকে লিখতে ইচ্ছে করে না, কোনো নিউজ এজেন্সির জন্য তুলে রাখা হয় না, কারো সাথে বলাও হয় না, তা খালি ব্লগেই লিখতে ইচ্ছে করে। ব্লগার ছাড়া আমাদের আর বলার মতো পরিচয় কি? আমার বন্ধু বান্ধব তো সব ব্লগ সূত্রেই। এর বাইরে ছিল যারা তারা কেউ আছে কেউ বা গেছে। আজ সকালে আমার ঘুম ভেঙ্গেছে আজানেরও আগে। ঘুমিয়েছি মাত্র তিন ঘন্টা। উঠেই মনে পড়লো রাসেল ভাইয়ের কথা। লোকটা আর নেই, চাইলেও আর পাওয়া যাবে না। আমরাবন্ধুর কিছু পোষ্ট ছাড়া রাসেল ভাই বিলীন হয়ে গেলেন এই ব্যস্ত শহর থেকে। মন খারাপ নিয়ে রাসেল ভাইয়ের কিছু পোষ্ট পড়লাম। আকাশ ফর্সা হতে হতেই একটা অন্য চিন্তায় চলে গেলাম। এমন যদি হতো আমরা মৃত্যুর পরেও খালি ব্লগ লিখতে পারবো কেমন হতো। বেঁচে থাকতে কত কথা বলা হয় না। ইগো, রাগ, ঘৃণা কিংবা ভুল ধারনায় কত কিছু নিয়ে আমাদের অব্যক্ত থেকে যায় সেই কথা গুলো শোনা যেত।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
১৯৮৫ সালের ঘটনা। লাহোর স্টেডিয়ামে তৈরি মঞ্চে ধীরে ধীরে উঠে এলেন ইকবাল বানো। তাঁর পরনে কালো শাড়ি! এ যেন রবীন্দ্রনাথের ‘পূজারিণী’ কবিতার শ্রীমতী; চরম বুদ্ধ-বিরোধী রাজা অজাতশত্রুর নিষেধ অমান্য করে, মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে যে স্তূপে অর্ঘ্য সাজাতে চলেছেন।
সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউল হক পাকিস্তানের নারীদের জন্য ‘হিন্দুয়ানি পোশাক’ শাড়ি পরা নিষিদ্ধ করেছিলেন। নিষিদ্ধ করেছেন বিখ্যাত প্রগতিবাদী উর্দু কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের গান বা কবিতার চর্চা। সামরিক শাসকের সেই ফরমানকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ৫০ বছরের এক সাহসী গজলশিল্পী ইকবাল বানো মঞ্চে উঠলেন শাড়ি পরে। তিনি গাইবেন সেই নিষিদ্ধ কবি ফয়েজের গান, যিনি মারা গেছেন এক বছর আগে। হাজার হাজার দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে দর্শকের উল্লাসধ্বনির মধ্যে ইকবাল বানো গেয়ে উঠলেন,
হাম দেখেঙ্গে, হাম দেখেঙ্গে
লাযিম হ্যায় কি হাম ভি দেখেঙ্গে;
আমরা দেখব, আমরা দেখব
নিশ্চিত জানি, আমরাও দেখব;