অনন্ত রহমান অনু'এর ব্লগ
নাস্তিক্যবাদ : কমিউনিষ্ট ধারনা নাকি বূর্জোয়া বিপ্লবের আবশ্যিক কতব্য ?
শুধু মার্কসবাদীরাই ধর্মের বিরুদ্ধে লড়েনি। যদিও আমাদের দেশে ধর্মের বিরুদ্ভে আলোচনা-সমালোচনা করলেই বলা হয় “কমিউনিষ্ট”। যেন নাস্তিক মানেই কমিউনিষ্ট। ধর্মের সঙ্গে সংগ্রামটা হলো বূর্জোয়া বিপ্লবের অবশ্য কতৃব্য এবং পশ্চিমে বূর্জোয়া গণতন্ত্র তার বিপ্লবের যুগে অথবা সামন্ততন্ত্র ও মধ্যযূগীয়তার উপর আক্রমনের যুগে সে কর্তব্য অনেক পরিমান পালন করেছিলো বা পালন করতে নেমেছিলো। ফ্রান্স এবং জার্মানীর উভয় দেশেরই আছে ধর্মের বিরুদ্ধে বূর্জোয়া সংগ্রামের ঐতিহ্য।
কেন আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না (১ম পর্ব)
সমগ্র পৃথিবী শ্রেনীগতভাবে দু’ভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত শ্রেণীর দ্বন্দের প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সমাজ।চেতনার দিক থেকে বস্তবাদ ও ভাববাদের জন্ম সেই আদিম সাম্যবাদী সমাজের গোড়া থেকে। ঐতিহাসিক কারনে শোষিত শ্রেনী বস্তবাদী ও প্রগতিশীল কিন্ত শোষক শ্রেণী ভাববাদী-প্রতিক্রিয়াশীল। আদিম সাম্যবাদী সমাজের ধ্বংসস্তপ থেকে গড়ে উঠা সমাজ কাঠামো গুলোর পূজিবাদী স্থর পর্যন্ত “রাষ্ট্র” নামক শোষন যন্ত্রটি শোষক শ্রেণীর পক্ষে কাজ করে। আর রাষ্ট্র কখনই শোষিত শ্রেণীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চায় না। কারন শোষিত-নির্যাতিত-দরিদ্র জনগোষ্টীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুললে স্বয়ং রাষ্ট্রের অস্থিত্ব চ্যালেন্জের সম্মূখীন হয়ে পড়ে। অপরদিকে আধুনিক শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্টীর মন ও মগজ সাধারনত: পশ্চাদপদ ধর্মাশ্রয়ী ভাবনার এক উর্বর আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠে। দারিদ্রতা যাহার ইহকালের সুখ কেড়ে নিয়েছে,পরকালের স্বাচ্ছন্দের