কেন আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না (১ম পর্ব)
সমগ্র পৃথিবী শ্রেনীগতভাবে দু’ভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত শ্রেণীর দ্বন্দের প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সমাজ।চেতনার দিক থেকে বস্তবাদ ও ভাববাদের জন্ম সেই আদিম সাম্যবাদী সমাজের গোড়া থেকে। ঐতিহাসিক কারনে শোষিত শ্রেনী বস্তবাদী ও প্রগতিশীল কিন্ত শোষক শ্রেণী ভাববাদী-প্রতিক্রিয়াশীল। আদিম সাম্যবাদী সমাজের ধ্বংসস্তপ থেকে গড়ে উঠা সমাজ কাঠামো গুলোর পূজিবাদী স্থর পর্যন্ত “রাষ্ট্র” নামক শোষন যন্ত্রটি শোষক শ্রেণীর পক্ষে কাজ করে। আর রাষ্ট্র কখনই শোষিত শ্রেণীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চায় না। কারন শোষিত-নির্যাতিত-দরিদ্র জনগোষ্টীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুললে স্বয়ং রাষ্ট্রের অস্থিত্ব চ্যালেন্জের সম্মূখীন হয়ে পড়ে। অপরদিকে আধুনিক শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্টীর মন ও মগজ সাধারনত: পশ্চাদপদ ধর্মাশ্রয়ী ভাবনার এক উর্বর আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠে। দারিদ্রতা যাহার ইহকালের সুখ কেড়ে নিয়েছে,পরকালের স্বাচ্ছন্দের প্রতি সেই দরিদ্র-অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মোহ থাকা স্বাভাবিক। সে কারনে ভাববাদ তথা ধর্ম প্রসার রাভ করিয়াছে। এই পুস্তিকায় সৌরজগতে পৃথিবী কেন্দ্র না সূর্য্য কেন্দ্র সে বিষয়ে ইসলাম ধর্ম ও বিজ্ঞানের দ্বান্দিক রুপটা সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ধর্মগ্রন্থ্য ও অন্যান্য বিজ্ঞান সম্মত গ্রন্থ্য হতে নেয়া হয়েছে।আমি শুধু সংগ্রহ করে এক জায়গায় সাজিয়েছি মাত্র।
সৌর জগতে পৃথিবী কেন্দ্র সূর্য্য কেন্দ্র এ বিষয়ে অতীতে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে এবং এখনো বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কের কারনে জ্যোতি বিজ্ঞানী ব্রুনোকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। পৃথিবী সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরে এই তত্ব প্রচার করার কারনে কোপারনিকাসের বিরুদ্ধে চলেগিয়েছিলেন প্রটেষ্টানবাদী আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্বয়ং মার্টিন লুথার কিং। মার্টিন লুথার কিং নিজে কোপারনিকাসের তত্ব প্রত্যাখান করার আহবান করেছিলেন। সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও কোপারনিকাসের তত্বকে সমর্থন দিলে ইতালীর আ্যারিষ্টোটল পন্থী অধ্যাপকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে কোপারনিকাসের তত্ব অধ্যায়ন নিষিদ্ধ করার জন্য ক্যাথলিক চার্চের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন। আ্যারিষ্টোটল ও কোপারনিকাসের তত্বের তুলনামূলক আলোচনা করে গ্যালিলিও “Dialogue concerning the two cheif world system” নামক বই লিখলে ক্যাথলিক গ্যালিলি ক্যাথলিক চার্চের হাত থেকে নিস্তার পান নি। বিজ্ঞান সম্মত এই সত্য বলার অপরাধে ১৬৪২ সালে এই অমর বিজ্ঞানীকে গৃহবন্দী অবস্থায় নির্মমভাবে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। তারপরও বিজ্ঞান থেমে থাকেনি।্
আমি বিজ্ঞানী বা গবেষক নই,সামান্য একজন রাজনৈতিক কর্মী। প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত তাই বিজ্ঞান সম্মত সিদ্ধান্তগুলো বিশ্বাস করি এবং জনগনের মধ্যে প্রচার করার চেষ্টা করি। এই লেখায় অনাকাঙ্খিতভাবে কোন ভূল তথ্য সংযোযিত হয়ে থাকলে সেটা ধরিয়েদিলে খুশী হবো। একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা নিয়ে যতই আন্তরিকতা থাকুক না কেন,সংগঠিত কোন প্রতিক্রিয়াশীল ভাববাদী ধারনার বিরুদ্ধে কার্য্যকর রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় না।
সৌরজগতে পৃথিবী কেন্দ্র না সূর্য়্য কেন্দ্র
বিজ্ঞান সম্মত মতবাদ
আমরা বাল্যকাল থেকেই জেনে এসেছি যে, পৃথিবী সুর্য়্যের চারিদিকে ঘুরে এবং এটাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের এই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তটিই শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্ত ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ্য “আল কোরআনে” বলা হচ্ছে পৃথিবী সম্পূর্ন স্থির। বিজ্ঞান বলছে “সৌরজগতে সূর্য্যকে কেন্দ্র করে সকল গ্রহ নক্ষত্রগুলো ঘুরছে। শুধু তাই নয়,সূর্য্যকে পরিভ্রমনরত অবস্থায় গ্রহ-নক্ষত্রগলো নিজের অক্ষের উপর ঘুরছে।
প্রাচীন কালে ৩৪০ খৃষ্ট পূর্বাব্দে গ্রীক দার্শনিক আ্যারিষ্টোটল তার “অন দ্যা হ্যাভেনস” বই এ লিখেছিলেন যে, পৃথিবীটা স্থির এবং সূর্য্য,চন্দ্র,গ্রহ ও নক্ষত্রগুলো পৃথিবীর চারিদিকে বৃত্তাকার কক্ষে চলমান। তিনি নিজেও এটা বিশ্বাস করতেন কারন তিনি অতীন্দ্রিয়বাদী(mystical) যুক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। পাশ্চাত্য দেশের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পশ্চাতে রয়েছে ইহুদী-খৃস্টান ধর্মীয় চিন্তাধারার প্রভাব। সেই চিন্তা-ধারনা অনুযায়ী ঈশ্বর একদিন বিশ্ব সৃষ্টি শুরু করেন এবং ৬ দিনে সৃষ্টিকর্ম শেষ করে ৭ম দিনে বিশ্রাম নেন। আমাদের বৈজ্ঞানিক দর্শন প্রধানত সংখ্যা ভিত্তিক। সেই দর্শনে ঈশ্বরকে এরকম প্রাধান্য দেয়া হয় নি। সংখ্যাকাররা বলেন,প্রমান না থাকায় ঈশ্বর কল্পন অসিদ্ধ। সেজন্য সাংখ্যের চতুবিংশতি তত্বে ঈশ্বরের কোন স্থান নেই।
খৃষ্টীয় ২য় শতাব্দীতে টোলেমী(Ptolemy) আ্যারেষ্টোটল এর ধারনা বিস্তার করে মহাবিশ্বের একটা সম্পূর্ন প্রতিরুপ(Cosmological Model) অংকোন করেন। টোলেমীর প্রতিরুপে পৃথিবী ছিলো কেন্দ্রে এবং তাকে ঘিরে ৮(আট)টি গোলক। এই গোলকগুলো বহন করতো চন্দ্র,সূর্য্য,তারকা এবং সেই যুগে জানিত ৫টি গ্রহ যথা বুধ,শুক্র,মঙ্গল,বৃহস্পতি ও শনি। টোলেমীর সেই প্রতিরুপ সবাই মেনে নেননি। তবে খৃষ্টীয় চার্চ এই প্রতিরুপ গ্রহন করেছিলো কারন তাদের ধর্ম শাস্ত্রের সাথে ঐ প্রতিরুপের মিল ছিলো। তাদের জন্য ঐ প্রতিরুপের সুবিধা ছিল; স্থির তারকাগুলোর বাহিরে স্বর্গ ও নরকের জন্য অনেকখানি জায়গা পাওয়া যায়।
১৫১৪ সালে নিকোলাস কোপারনিকাস(Nicholas Copernicus) একটা সরলতর প্রতিরুপ অংকোন করেন। এরপর জার্মানীর জোহান কেপলার এবং ইতালীর গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রকাশ্যে কোপার নিকাসের তত্ব সমর্থন করেন। কোপারনিকাসের ধারনা ছিলো,সূর্য্য সূর্য্য কেন্দ্রে স্থিরভাবে অবস্থান করে এবং পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ বৃত্তাকার পথে সূর্য্যকে প্রদক্ষিন করে। আ্যারিষ্টোটল ও টলেমীর তত্বের উপর মরন আঘাত আসে ১৬০৯ সালে। সেবছর গ্যালিলি সদ্য আবিস্কৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। বৃহস্পতি গ্রহকে দেখবার সময় তিনি কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপগ্রহ অর্থাৎ চন্দ্র দেখতে পান,সেগুলো বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিন করছে। এর নিহিত অর্থ হলো আ্যারিষ্টোটল ও টলেমী যা ভাবতেন সেই মতানুসারে যদিও সবারই পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করার কথা কিন্ত সবগুলো গ্রহ পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করছে না ।অবশ্য তখনো মানুষ বিশ্বাস করতো পৃতিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রে স্থিরভাবে অবস্থান করছে এবং বৃহস্পতির চন্দ্রগুলি অত্যন্ত জটিল পথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
নিউটনের মহাকর্ষীয় তত্ব আবিস্কৃত হওয়ার পর প্রমানিত হয়েছে পৃথিবী স্থির নয়। অর্থাৎ আল কোরআন বা বাইবেলে উল্লেক্ষিত পৃথিবী স্থির সম্পর্কিত তত্ব সঠিক নয়। নিউটন তার মহাকর্ষীয় তত্বে উল্লেখ করেছেন যে Evevry particle in the universe attracts every other particle with a force directly propotional to the product of their masses and mrersely propotional to the squire of the distance অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি পদার্থই এক অপরকে সজোরে আকর্ষন করে। এই আকর্ষনী শক্তি নির্ভর করে প্রত্যক্ষভাবে তাদের ভরের গুনফল এবং পরোক্ষভাবে দূরত্বের বর্গের উপরভ
অর্থাৎ আকর্ষনী শক্তি G = প্রথমটার ভর*২য়টার ভর
(দুরত্ব)
নিউটনের উপরোক্ত সূতানূযায়ী দুটো পদার্থের আকর্ষনী শক্তি নির্ভর করে তাদের ভর ও দুরত্বের উপর। যদি একটার ভর অপরটির চাইতে বেশী হয় তবে যার ভর বেশী সে অপরটিকে কাছে টানবে। দুরত্ব বেশী হলে এই আকর্ষনী শক্তি কমে যায় যার ফলে কাছে টানতে পারেনা কিন্ত আকর্ষনী শক্তি দিয়ে তার চতুর্দিকে ঘুরায়।
বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সূর্য্য পৃথিবীর চেয়ে ১৪ লক্ষ গুন বড়। তাই সঙ্গত কারনে পৃথিবী সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরে। গ্যালিলি এর তত্বের পর সমগ্র খৃষ্টান ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা চমকে উঠেছিলো। পরবর্তীতে নিউটনের মহাকর্ষীয় তত্ব আবিস্কৃত হওয়ার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে পড়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু খৃষ্টান ও ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন,সূর্য্য অগ্নিময় ও বায়বীয় পদার্থে গঠিত তাই আয়তনে পৃথিবী ছোট হলেও সূর্য্যের চেয়ে পৃথিবীর ভর বেশী,তাই পৃথিবী নয় সূর্য্যই পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে। বিজ্ঞান এই ভাববাদী ধারনা নাকচ করে দেয়। বিজ্ঞান বলছে,বিরাট আয়তনের সূর্য্য বায়বীয় পদার্থে গঠিত হলেও তার ওজন পৃথিবীর চেয়ে কম নয়। তাছাড়া সূর্য্য প্রথম থেকে বায়বীয় ছিলোনা,কঠিন ও তরল পদাথই বায়বীয় পদার্থে পরিনত হয়েছে। কোন কটিন বা তরল পদার্থ বায়বীয় পদার্থে পরিনত হলে তার আয়তন বাড়লেও ওজন কমেনা। এটাই বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত ও প্রমান।
নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্রে আরও বলা হয়েছে যে, বস্ত পিন্ডগুলির দূরত্ব যত বেশী হবে বলও তত কম হবে। নিউটনের মহাকর্ষীয় বিধি অনুসারে একটি তারকার মহাকর্ষীয় আকর্ষন,অর্ধেক দূরত্বে অবস্থিত একই রকম আর একটি তারকার আকর্ষনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ হবে। এই বিধি পৃথিবী,চন্দ্র বিভিন্ন গ্রহ-উগ্রহের কক্ষ(orbit) সম্পর্কে অত্যন্ত নির্ভূল তথ্য দিতে সক্ষম।
অন্যদিকে মহাকর্ষের কোয়ান্টাম তত্ব একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এ সম্ভবনায় স্থান কালের কোন সীমানা থাকবে না, সুতারাং সীমানার আচরন নির্দিষ্ট করারও কোন প্রয়োজন থাকবে না। সেক্ষেত্রে এমন কোন অনন্যতা থাকবে না যেখানে বিজ্ঞানের বিধিগুলো ভেঙ্গে পড়ে এবং স্থান কালের এমন কোন কিনারা থাকবে না, যেখানে স্থান কালের সীমানা স্তির করার জন্য ঈশ্বর বা অন্য কোন বিধির দ্বারস্থ হতে হবেনা।
শুরুতে পৃথিবী ছিলো অত্যন্ত উত্তপ্ত। তখন পৃথিবীর কোন বায়ূমন্ডল ছিলো না। ধীরে ধীরে পুথিবী শীতল হয়ে বিভিন্ন প্রস্তর থেকে নির্গত হওয়া বায়বীয় পদার্থের সাহায্যে নিজস্ব বায়ু মন্ডল গঠন করলো। এই আদিম বায়ু মন্ডল আমাদের জীবন ধারনের উপযোগী ছিলো না কারন সে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ছিলো না। অনেক বিষাক্ত বায়ু ছিলো যেমন হাইড্রোজেন সালফাইড কিন্ত অন্য কয়েক রকম জীব ছিলো, যেগুলো এই পরিবেশে বৃদ্ধি পেত। এগুলোর প্রথম বিকাশ ঘটেছিলো মহাসমূদ্রে। কতকগুলি পরমানুর আকস্মিক স্বমন্বয়ে কয়েকটি বৃহত্তর অবয়ব সৃষ্টি হয়েছিলো,যে গুলোর নাম স্থল অনু(marcomolecule)। এগুলো মহাসমূদ্র অন্যান্য পরমানু সংগ্রহ করে সমরুপ অবয়ব গঠন করতে পারতো। এইভাবে তারা বংশ বৃদ্ধি ও বংশ রক্ষা করতো। কোন কোন ক্ষেত্রে সন্তান সৃষ্টিতে ভুল হতো । অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলটা এমন হতো যে,নতুন স্থুল অনুগুলি নিজেদের বংশ রক্ষা করতে অক্ষম হতো এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিন্ত দু’একটি এমন ভুল হতো যার ফলে যে নতুন স্থুল অনু সৃষ্টি হতো,সেগুলো বংশ রক্ষা ও বংশ বৃদ্ধিতে আরও বেশী পটু হতো। সুতারাং তাদের অবস্থা হতো আরও বেশী সুবিধাজনক এবং আদিম স্থুল অনুগুলির পরিবর্তে নিজেদের প্রতিস্থাপন (replace) করার সম্ভাবনা থাকতো। এভাবেই একটি বিবর্তনের ধারা শুরু হলো। তার ফলে ক্রমশ আরও জটিল থেকে জটিলতর আত্মজ সৃষ্টি করতে সক্ষম জীব বিকাশ লাভ করলো। নানা পদার্থ আদিম জীবের ভক্ষ ছিলো,হাইড্রোজেন সালফাইড সেগুলোর মধ্যে একটি। এরা অক্সিজেন পরিত্যাগ করতো। এইভাবে ধীরে ধীরে বায়ূমন্ডল পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক অবস্থায় পৌছেছে। ফলে উচ্চতর জীবের বিকাশ সম্ভব হয়েছে,যেমন মাছ,সরীসৃপ,স্থন্যপায়ী প্রাণী এবং পরিশেষে মানবজাতি।
সীমানাহীন অবস্থা সাপেক্ষে অন্যান্য ভবিষ্যদ্বানী নিয়ে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আদিম মহাবিশ্বের একরুপ ঘনত্ব থেকে যে সমস্থ সামান্য বিচ্যুতির ফলে প্রথমে নীহারিকা,তারপর তারকা এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের উদ্ভব হয়েছে সেগুলির পরিমাপ একটি বিশেষ সমস্যা। আদিম মহাবিশ্ব সম্পূর্ন একরুপ হতে পারতো না,তার কারন কনিকাগুলোর অবস্থান এবং গতিবেগে(velocity) কিছু অনিশ্চয়তা এবং হ্রাসবৃদ্ধি থাকেতো।
সীমানাহীন অবস্থা বিচার করে আমরা জানতে পারি,আসলে মহাবিশ্ব নিশ্চয় শুরু হয়েছিলো অনিশ্চয়তার নীতি অনুমোদিত সম্ভাব্য সর্বনিন্ম বিচ্যুতি দিয়ে। তারপর মহাবিশ্ব কিছুকাল অতি স্পীতমান প্রতিরুপে(যে রুপ অনুমান করা হয়েছে) দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছিলো। সেই যুগে মহাবিশ্বের প্রাথমিক এক রুপত্বের অভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধি পেতে পেতে এমন অবস্থায় পৌছেছে,যা আমাদের সবদিকে পর্যবেক্ষন করা গঠন গুলির উদ্ভব (origin of the structures) ব্যাখ্যা করতে সক্ষম। যে সম্প্রসারন মহাবিশ্বে স্থান থেকে স্তানান্তরে পদার্থের ঘনত্বের সামান্য হ্রাসবৃদ্ধি হয়,সেখানে মহাকর্ষের ক্রিয়ার ঘনতম অঞ্চলের সম্প্রসারন শ্লততর হবে এবং সে অঞ্চলগুলোর সংকোচন শুরু হবে । এর ফলে গঠিত হবে নীহারিকা,তারকা এবং শেষ পর্যন্ত সুষ্টি হবে আমাদের মত জীব।
ঘচনাবলী ব্যাখ্যায় এবং বৈজ্ঞানিক তত্বগুলোর সাফল্যের ফলে অধিকাংশ বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিই বিশ্বাস করেন যে,আল্লাহ বা ঈশ্বর একগুচ্ছ বিধি অনুসারে মহাবিশ্বের বির্তন অনুমোদন করেন মাত্র কিন্ত এই বিধি ভঙ্গ করে তিনি মহাবিশ্বের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন না।
যতক্ষন পর্যন্ত মহাবিশ্বের শুরু ছিলো ততক্ষন পর্যন্ত আমরা অনুমান করতাম মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা থাকতে পারে। কিন্ত মহাবিশ্ব যদি সত্যিই পূর্ণরুপে স্বয়ং সম্পূর্ন হয় এবং যদি এর কোন সীমানা বা কিনারা না থাকে তবে এর আদিও থাকবে না অন্তও থাকবে না,থাকবে শুধু অস্থিত্ব। তাহলে ঈশ্বরের স্থান কোথায় ।
শিরোনামের বানানটি ঠিক করে দিলে বাধিত হব।
ঈশ্বর আগেও যেখানে ছিলেন এখন সেখানেই আছেন। মানুষের কল্পনায় বিশ্বাসে
কোরানের কোথায় বলা আছে পৃথিবী সম্পূর্ন স্থির ?
২য় পর্বে পাবেন।ধন্যবাদ।
লে হালুয়ে, ঈশ্বরেই বিশ্বাস করেন্না? ভাইজান কুব ইউনিক আইডে বের করেচেন। বাহবা বাহবা ব্রেশ।
ঈশ্বর দিয়াই শুরু করলেন
বস... ধর্মীয় কচকচানি আর ভাল্লাগেনা... অন্য কিছু দেন... প্লিজ..
পড়তে পড়তে ঘুমায়া পর্ছিলাম
ভালো করছেন!
আপনি আর কি কি করেন না তার একটা তালিকাসহ বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা প্রত্যাশা করছি...
কেউ যখন স্রষ্টায় অবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেন, ভালোই লাগে, খুব মনযোগ দিয়ে তাকে দেখি, তার কথা শুনি। বিশ্বাসীদের চেয়ে অবিশ্বাসীদের মধ্যেই কেন জানি এই প্রবণতাটা বেশি, তারা কেবল বলেই যেতে থাকেন স্রষ্টা বলে কেউ নেই। আপনিও বলেন, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম, আমার আবার আজাইরা সময়, ঘণ্টা-ঘণ্টা সময়ের অপচয় করতে পারি।
এই কথাটা ঠিক না। ধর্মের পথে আনতে মানুষরে এতো কচকচানি মহাপুরুষরা, হুজুররা, মৌলভী, পাদ্রী, পুরুতরা খরচ করেন, ততো এনার্জি অন্য কোন কাজে কেউ করে নাই আজো
মহাপুরুষ, হুজুর, পাদ্রী...পর্যন্ত আমার যাতায়ত নাই, আমার আশে-পাশে যাদের দেখি অর্থাৎ আমার মতো যারা বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী তাদের কথা বলেছি।
তারাও মাশাল্লাহ কম জান না
ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের এই একটাই যুক্তি দিতে দেখা যায় - সূর্য্য ও পৃথিবীর ঘূর্নন। ভাই এটা ছাড়া অন্য যুক্তি দেন।
আর কোরআন এর বঙ্গানুবাদ কতটুকু সঠিক , সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার।
লে হালুয়া এখানেও ধর্ম নিয়া কচকচানি......
ভাইসাব লেখা ভালা হইসে মুক্তমনায় দ্যান।
প্রিয়,
আমার ব্লকের সহ-ব্লকার বন্ধুরা,
আমার শুভেচ্ছা জানবেন। আমার আসলে কম্পিউটার নেই এবং এক বন্ধূর এখানে এসে মাঝে মাঝে ব্যবহারের সুযোগ পাই। যার কারনে আলাদা আলাদা উত্তর দিতে পারছি না,দু:খিত। কিছু বানান ভূল আছে লেখায়,মার্জনা করবেন। আর যে কেহ ইচ্ছা করলে লেখাটা কপিপেষ্ট করে ব্যবহার করতে পারেন আমার কোন আপত্তি নেই। কারন আসলে আমি বিজ্ঞানের বিষয়গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে এক জায়গায় করেছি মাত্র। আমার নিজস্ব কোন আবিস্কার না। ইতিহাসের চিরায়ত সত্য জানার চেষ্টা করেছি মাত্র।আমার প্রতিটি লেখা যে কেহ উচ্ছা করলে নিজের নামে অন্য ব্লগ/পত্রিকা/পুস্তিকা প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হলো। আমি শুধু চাই যে,সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হোক এবং ধর্মের নামে যাহারা রাজনীতির ব্যবসা করে,তাদের ব্যবসাটা বন্ধ হোক।
সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য আপনাদের সবাই কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই, আল্লাহ, ইশ্বর, ভগবান, খোদা, টাও, যিশু - এগুলো বুঝার জন্য কতগুলি শব্দ, যার অর্থ একটিই - স্রষ্টা বা আপনার আমার উৎস - যেখান হতে আমার আগমন এবং যেখানে আমার প্রস্থান । সব কিছু বাদ দিয়ে আপনার প্রকৃত পরিচয়টা জানার চেষ্টা করেন। আপনার মধ্যে যে অসীম শক্তিটা বিরাজ করে, যার বলে আপনি বর্তমান, যে শক্তিটা না থাকলে আপনি থাকেন না, সেটাকে চেনার চেষ্টা করেন । যারা আল্লাহ, ইশ্বর, ভগবানের গুনগান গেয়েছেন, সবাই আপনাকে সজাগ করার জন্য এসেছিল । তাদের স্বার্থের জন্য নয় । নেগেটিভ থিংকিং বাদ দিয়ে একবারওতো ভাবলেন না - কেন তারা একথা বলে ।একটু খতিয়ে দেখি । যাদের দেখে এবং যাদের কথা শুনে ধর্মের প্রতি আপনার অরুচি এসেছে - হয়তো তারা নিজেও সত্যিকারের ধর্ম জানে না । অংক শিখার কথা যদি বলেন - অংক বুঝেনা এমন শিক্ষকের কাছে গেলে সে আপনাকে ভুল অংকই শিখাবে, যা দেখে আপনি ৭ ৫=১২ মিলাতে পারবেন না, তখন হয়তো ভাববেন অংক জিনিসটাই ভুল । কিন্তু এটা একবারের জন্যও চিন্তা করবেননা, যিনি অংক শিখাচ্ছেন তিনি ভুল করছেন কিনা? সঠিক শিক্ষকের কাছে গেলে অাপনাকে অংকের ওস্তাদ বানিয়ে ছাড়বে । সুত্রের ভুল নাই - যারা সুত্র এপ্লাই করবেন, তারাই ভুল করেন । ধর্ম কে দোষ না দিয়ে, ধর্ম কি বলতে চায় সেটার গভীরে যেয়ে দেখুন । ধর্ম হচ্ছে - দৃশ্য আর অদৃশ্যের ব্যাখাকারী এবং বাস্তব উপলব্দি সম্মত এক মহাবিজ্ঞান । লালন শাহের ভাষায় - আত্মতত্ব যে জেনেছে - দিব্যজ্ঞানী সে হয়েছে । ইসলাম বলেছে - যে নিজেকে জেনেছে - সে তার স্রষ্টাকে জেনেছে। সক্রেটিস বলেছে - নো দাইসেলফ । লালন শাহ এবং তার গান গুলোকে রিসার্চ করুন - তাহলেই বুঝতে পাবেন, সত্য কি জিনিস । আপনি যেমন অস্তিত্ববান, আপনার স্রষ্টাও অস্তিত্ববান । কারণ, তার অস্তিত্ব না থাকলে আপনি কোথ্থেকে এলেন ? আপনিই আছেন বলেই - আপনার একজন স্রষ্টা আছে । আপনি যদি না থাকতেন, আপনাকে কউ সষ্টার কথা বলতো না । মানা - না মানা আপনার বিষয় ।
মন্তব্য করুন