দল ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির অপরিহার্যতা !!!!!
ইসলামী ছাত্ররাজনীতির ধারক বাহক ছাত্র শিবির-কে দিয়েই আমার ছাত্র রাজনীতির সাথে পরিচয়। তারপর অনেক কাল পের হলাম, অনেক কিছু দেখলাম, শুনলাম, শিখলাম নিজেও জড়িত ছিলাম। এখন আমার কাছে মনে হয় এককালের সর্বেসর্বা ছাত্ররাজনীতি তার নিজস্ব জৌলুস হারিয়ে বিষফোঁড়ায় রুপ নিয়েছে। বর্তমান কালের ছাত্ররাজনীতির সাধারণ ব্যবচ্ছেদ করলে তাকে দুই ভাবে ভাগ করা যায়, একটি দল ভিত্তিক যা প্রায় নব্বই ভাগের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অপরটি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি যা অলিক প্রায়। আমার দেখা দল ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির চেহারা বড়ই কুৎসিত। এর সাথে জড়িত খুব কম সংখ্যক ছাত্রই আছে যার ছাত্রদের অধিকার সম্পর্কে নুন্যতম ধারনা আছে। থাকলেও তার কোন পরোয়া তারা করেনা। উপড়ের সারির নেতাদের বেশিরভাগ-ই হন ত্রিশোর্ধ অছাত্ররা যার বেশিরভাগই হয় কোন আইন কলেজ বা হোমিওপ্যাথি কলেজের রেজিস্টারভুক্ত ছাত্র। কালের বিভিন্ন পত্রিকায় আসা ছাত্রদের বিভিন্ন টেন্ডার ও বালুমহালের দখলদারিত্ব নিয়ে খবরে বিন্দু মাত্র ভেজাল নেই। এইসব নিয়ে বড় বড় রাজনৈতিক দলের উপড়ের মহলের হস্তক্ষেপও আমার নিজের চোখের দেখা। সামান্য থানা পর্যায়ের দলীয় পদ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন মন্ত্রী লেভেলের লোকজন। এতো কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে এইসব ছাত্র নামধারী নেতাদের সময় থাকেনা সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলার বা ছাত্ররাজনীতির মূলমন্ত্র মেনে চলার। কিন্তু আমাদের জন্ম ইতিহাসের সাথে জড়িত ছাত্ররাজনীতির এই দৈনদশা হওয়ার কথা না।
বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির ঐশর্যের সন্ধান করতে গেলে খুব একটা দূরে যেতে হয়না। আমাদের ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন ছিল শুধু মাত্র ছাত্রদের আন্দোলন যার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৯ তারপর ১৯৭১-এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে আমার পুর্ববর্তি ছাত্রনেতাদের অবদান চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ৭১-এর ছাত্র নেতা শিব নারায়ন দাস-এর কথা মনে রাখবে আমাদের জাতীয় পতাকা ডিজাইন করার জন্য, আসম আব্দুর রবকে মনে রাখবে সর্বোপ্রথম এই পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তোলন করার জন্য। স্বাধিনতার পরেও ছাত্ররাই প্রথম মুলধারার দল ছেড়ে বাসদ গড়ার সাহস দেখায় সরকারের কার্যকর্মের বিরোধিতা করে। এমন কি ছাত্রদের কাছে জনপ্রিয় নেতা সেনা শাসক জেঃ জিয়াকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছিল আন্দোলনরত ছাত্ররা। তারপর ১৯৯০ এর স্বৈর শাসক এরশাদের কাহিনী আমাদের নিজের চোখেই দেখা। ৯০এর গন আন্দোলনে এরশাদের পতনের উজ্জ্বল গৌরবের পর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির কোন সাফল্য গাথা নেই। সেই থেকে ছাত্ররাজনীতি যে ডুব সাঁতার দিয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসার কোন লক্ষন নেই। দিন দিন আরো অতলে তলিয়ে যাচ্ছে।
যে ছাত্র নেতারা ছিলো আমাদের স্বাধিনতার রুপকার আজ সেই ছাত্রনেতাদের উত্তোসুরিরা এখন পরিনত হচ্ছে মূল ধারার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অপরিহার্য হাতিয়ারে। তারা শুধু আমাদের নেতা কতৃক ব্যবহৃত হয়েই আসছেন। যার মধ্যে কোন গৌরব করার বিষয় নেই। বর্তমান ছাত্র নেতাদের কর্মকান্ডের পরিধি শুধু টেন্ডারবাজিতেই সীমাবদ্ধ নয়, কেউ হচ্ছেন শতাধিক ধর্ষনকারী রেকর্ডের অধিকারী, কেউ হচ্ছেন ভুমি দস্যু, কেউ হচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ী। ছাত্রদের খাবারের চাঁদা থেকেও টাকা সড়াতে তাদের একটুও দ্বিধা হয়না। এই বছরের আজ মাত্র ৪র্থ দিন এর মাঝেই সরকারি দলের ছাত্র শাখার নামধারী কিছু সন্ত্রাসীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিচলিত করে ফেলেছে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্ররাজনীতি অবস্থানের। কুয়েটের মত একটা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সামান্য ফিস্টের টাকার লোভ সাম্লাতে পারলোনা ছাত্রলীগ। প্রতিবাদ করলেই উল্টো হাত পা ভাঙ্গল ছাত্ররা। সন্মানিত শিক্ষকরাও রেহায় পাননি। বুয়েটে সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে এক ছাত্রের হাত ভাঙল যে ছাত্ররা তারা কি একবারের জন্যও চিন্তা করেছে তারা ছাত্র হয়েও বাংলাদেশের একমাত্র গর্ব করার মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্মানের কি পরিমান হানি করেছে? প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মার খেল জ বি ছাত্ররা। তাও কালপ্রিট একটাই। কেন এমন হবে? কেন প্রায় ৬০ বছরের ঐতিহ্যের ছাত্র সংঘটন ছাত্রলীগ যার সাথে ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, ১১ দফা, স্বাধীনতা যুদ্ধ সর্বশেষ স্বৈরাচার আন্দোলন ( জোট ) এর ইতিহাসের সাথে জড়িত সেই ছাত্রলীগের ঐতিহ্যকে ধর্ষন করা হবে?
যে ছাত্র সংঘটন ছাত্রদের উপকারে না এসে শুধু তাদের অধিকার হরনে ব্যবহার করা হয় সে ছাত্র সংঘটন থাকার যৌক্তিকতা কি? কেন এই দল ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবেনা? কেন আমরা আবার সেই মুলদল নির্ভরতা বিহীন কোন ছাত্র সংঘটন দেখতে পাবোনা?
পরিশিষ্ট ঃ কাঁচা কি-বোর্ডের লেখা, ধৈর্য্য কম। ভুল সব পরিমার্জনীয়!!!
আলোচনা পড়ার জন্য গ্যালারীতে বসলাম।

========================
এবিতে
মাঝিসাবের কপিলা কেমন আছে?
জি ভালই। আমার রেফারি-এর তাড়া খেয়ে একখান লিখলাম । এই যা
বর্তমান ছাত্র রাজনীতি যে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শিবিরের রাজনীতি ভালো না খারাপ?
শিবিরের রাজনীতি কোন ছাত্ররাজনীতি নয়। তাদেরটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। তাদের সবচেয়ে ভাল যে জিনিসটা সেটা হলো তাদের চেইন অব কমান্ড। যে কারনে ওরা সুসংঘটিত। তারা বায়তুল মালের নামে চাঁদাবাজি করে কিন্তু কেউ বলতে পারেনা। আমার এক বন্ধু শুধু মাত্র ব্যঙ্গ করার কারনে খুন হয় তাদের হাতে। এখন বুজে নিন ভাল না খারাপ?
পোস্টটা একটু অন্যরকম লাগলো।
অনেক কিছু করছেন কিন্তু কইলেন খালি ইসলামী ছাত্র শিবিরের কথা। ঠিক বুঝলাম না আর কি কি করছেন? খোলাশা কইরা কইলে ভালো হইতো।
বিবরণ দিতেছেন ছাত্র রাজনীতির কিন্তু ৬২'এর শিক্ষা আন্দোলন নিয়া কিছু লিখলেন না; বুঝলাম যে ঐ ইতিহাস আপনের খুব একটা জানা নাই, লোকমুখে শোনা।
স্বাধীনতার পর ছাত্রদের দিয়া তৈরী করলেন বাসদ।
তারপর যেই গলা কাঁপানো বক্তৃতা দিলেন সেইগুলিতে মনে হইলো দল আপনেরে দাগা দিছে। নেতারা একটু খায়খাতির করলেই দল কেন্দ্রীক রাজনীতিরে ভালো কইতেন। ভেতরে ছাত্রদের সাথে ভালো ব্যবহার করলেই হইতো, বাইরে তারা যাইচ্ছা করুক।
এই লেখাটা হঠাৎ করে লিখতে বসা। তাই হয়তো অনেক কিছু মিসিং এখানে। কালকেই মাত্র এই ব্লগে আমার হিসাবের খাতা খোলা। আগেই বলেছি কি-বোর্ডে হাত ভাল না। কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়েও সম্পুর্ন অজ্ঞ। উপদেশ সহযোগিতা আবশ্যক। ইতিহাসও কম জানি। বিভিন্ন ব্লগ থেকে আর উইকি-ই একমাত্র ভরসা।
১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ভুলে যাওয়া মোটেও উচিত হয়নি। বিশেষ করে ১৭ সেপ্টেম্বরের ঢাকা কোর্টের সামনে ৩ জন শহীদ হওয়ার কথা।
১৯৭২ সালের মার্চ মাসের ঘোষণার প্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ৩১ শে অক্টোবর তারিখে "মুজিববাদ" থেকে বের হয়ে এসে প্রতিষ্ঠিত হয় 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ’, এই সংঘটনের মূল উদ্যোক্তারা ছিলেন ‘ডাকসু’র সহ-সভাপতি জনাব আ স ম আব্দুর রব , ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজাহান সিরাজ তাদের নেতা ছিলেন কর্নেল আবু তাহের, কিন্তু আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়ছিলেন সিরাজুল আলম খান। আরো যারা ছিলেন- নূরে আলম জিকু ,জননেতা আবদুল আউয়াল , ক্যাপ্টেন কবির আহমেদ মধু , ডাঃ আজাহার উদ্দিন , ক্যাপ্টেন আজিজুল হক বীর প্রতীক মির্জা সুলতান রাজা , বিধান কৃষ্ণ সেন , আব্দুল মোতালেব খান পাঠান আরো অনেকে। এখন বলেন বাসদ-এর মূল উদ্দোক্তারা কি ছাত্র ছিলো না!!!<এখানে ছোট্ট করে লিখা আছে http://en.wikipedia.org/wiki/Jatiyo_Shomajtantrik_Dal>
আসলে প্রথম লাইন দ্বারা আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম ছাত্ররাজনীতির অস্তিত্ব বোঝা, রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়া নয়। আমি বিগত জোট সরকারের আমলে বর্তমান সরকারের ছাত্র সংঘটনের আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। খায়খাতির করার স্বভাবটা আমার কম। তবে আমার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার পর আর ছাত্র রাজনীতি করতে হয়নি। তারপরও আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। তবে দল আমাকে দাগা দেয়নি, তবে আমার প্রত্যাশাও খুব একটা ছিলনা। ভাই আমি বক্তৃতা দিতে চাইনি মোটেও। কিছু অসঙ্গতি বলতে চেয়েছিলাম মাত্র
আপনেরে বোর করার জন্য দুঃখিত।
আপনের ভেতরের ছাত্রদের মধ্যে খুব কম ছাত্রই আছে যারা ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাই বুর্তমান ছাত্ররাজনীতিতে, বিরোধী দল বা সাধারণ ছাত্র কোন সমস্যা না। সমস্যা হলো নিজ দলের বিরোধী লবি।
আপনে যেই অর্থে ছাত্ররাই রাজনৈতিক ইতিহাসের মা-বাপ প্রমাণে নামছেন তাতে মনে হইলো এক আমেরিকার আব্রাহাম লিংকন বাদে আর সবাই কোনো না ভাবে ছাত্র আছিলো।
জাসদের মূল নেতা বা পরিকল্পক সিরাজুল আলম খান। রব সাহেব বা আরো যাগো নাম কইলেন এরা তৎকালে ছাত্র রাজনীতি করলেও এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা রাইখা তখন আর ছাত্র ছিলেন না। আর বাসদ গঠিত হইছিলো জাসদের সাথে কিছু মার্ক্সিয় আদর্শিক বিরোধের তর্কে। তাতে ছাত্ররা কি ভূমিকা রাখছিলো সেইটা উইকি'তে লিখা থাকার কথা না।
দলভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে এই দেশে সবচাইতে সোচ্চার ছিলো আমাগো এরশাদ চাচ্চু। তিনি তার ছাত্র সংগঠন বাতিল কইরা দিছিলেন। তারপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীগো দিয়া এলাকার মস্তান-সন্ত্রাসী পোলাপাইনরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়ি ঘুরানের সার্টিফিকেট জোগার কইরা দিছেন। আমার এক মস্তান কিসিমের মামতো ভাইয়েও লক্ষীবাজারে এমন দলহীন ছাত্রনেতা হইছিলো।
দাদা মনে হয় ক্ষেপে গেছেন, আর ক্ষেপে গেলে মনে হয় ইমোশনাল হয়ে যান। ক্ষেপে গিয়ে এক্কেরে আব্রাহাম লিংকন সাহেবরে কবরের থেকে তুইলা আনলেন। সরি, আপনাকে ক্ষেপীয়ে দেওয়ার দুঃসাহস দেখানোর জন্য। তবে কি বাপ মায়ের কথা যা বলছেন বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান দিনের আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড হিসাবে এক্কেরে বাপ মা নাহলেও কাছা কাছি পর্যায়ে থাকে ছাত্ররা।
আমার মূল লেখায় ভুল করেছিলাম জাসদের জায়গায় বাসদ লিখেছিলাম (স্লিপ অব ফিঙ্গার অর মাইন্ড যাই বলেন) সেটা আমি আপনার মন্তব্যের জবাবে ঠিক করে দিয়েছিলাম, যদিও আমার ভুলটা উল্লেখ করিনাই তখন। এখন একটু কষ্ট করে বাসদের জায়গায় জাসদ পড়লেই কৃতার্থ হই। কিন্তু এটা আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়। আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছাত্র ও ছাত্রলীগ নিয়ে। তাদের বর্তমান কার্যকলাপ নিয়ে। তবে আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আর আমার হাতের লেখা খারাপ জিনিসটা আমি লেখার শেষে উল্লেখ করেছিলাম।
আপানার মামাতো ভাইয়ের কথা জানিনা তবে এইসব পাড়ার মাস্তানদের আমরা মাস্তান হিসাবেই জানতাম। যাদের সাথে একটা গ্রুপ থাকতো আর সেই গ্রুপের কিছু স্কুল, কলেজের ছাত্র থাকত। কিন্তু তাদের ছাত্র নেতা হিসাবে দেখিনি কখনো। তারা ওই সব স্কুল কলেজের ছাত্রদের অস্ত্র বহনকারী বড় ভাই হিসাবে কাজ করত। এখনকার অবস্থা দেখে মএন হয় এরশাদ চাচ্চু খারাপ কিছু করতে চান নি। বরং ভালোই হতো।
আপনার লেখার পরথম লাইনটা পড়ার পর কেমন বমি আসতে ছিল। কোন স্বাভাবিক মানুষ কি শিবির করতে পারে? তারপরও ধৈর্য নিয়ে আপনার লেখাটা পড়লাম। তেমন কোন আগা মাথা নাই আপনার লেখায়। আমি ছাত্রলীগকে খুবি ঘৃণা করি কিন্তু আমার মনে হয় শিক্ষাঙ্গন গুলাতে ছাত্র রাজনীতি তুলে দিলে শিবির তাবলীগে ময়দান দখল করে বসবে তাই শিবির দমানর জন্য হলেও ছাত্রলীগ কে মাঠে রাখা লাগবে


ছাত্রলীগ আর শিবির কাচা গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ এবার আপনি ঠিক করেন কোন পীঠ আপনি সাপোর্ট করবেন
মাহমুদ ভাই, আপফনের বমি ভাবটা পূর্বাহ্ন-এর দিকে হয়েছে। ইহাকে ডাকতর সাহেবরা মনে হয় "মর্নিং সাইন" বলে থাকেন। জাস্ট কিডিং। তারপরও ভাল হয় ডাকতর দেখালে। আমার লিখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আগা মাথা বাদ দিয়ে মধ্যমাটা লেখার চেষ্টা করেছি আপনি ধরতে পেড়েছেন বলে সাধুবাদ জানাই।
শিবিরের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পুর্ন তাদের আয়ত্তে নিয়ে আসা। সেটা যেভাবেই হোক। তাদের প্রধান অস্ত্র ধর্ম ভিরু মুসলিম-দের মাঝে ধর্ম বিক্রি করা। তারপর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে বাড়ি ঘর করে সেখানের এলাকাভিত্তিক পেশীর সহায়তা নেওয়া। এই মিশনের জন্য তারা তাদের কর্মিদের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৈরি করা শুরু করে। তারা পেশাগত জীবনেও তাদের মূল দলের থেকে সব সহযোগিতা পেয়ে থাকে। এগুলো খুব সাধারণ জিনিস। তবে একটা কথা যা আমি দেখেছি তা হলো- শিবির নেতারাও মেয়েদের সম্মুখদেশ আর পশ্চাদ্দেশ ঠিক সেভাবেই চেক করে যেভাবে সাধারণ একজন নাস্তিক করে বরং আরো নোংরা ভাবে ব্যাখ্যা করে।
বর্তমান ছাত্রলীগ-কে ভালোবাসার কারন খুব একটা নেই। তারপরও এই সংঘটনের অনেক সোনালী ইতিহাস আছে। তার মধ্যে একটা আপনি আজ যেই ভাষায় লিখছেন, কথা বলছেন, প্রেমিকাকে বলছেন "ভালোবাসি", সেখানে এই সংঘটনের কিঞ্চিৎ হলেও অবদান আছে। :দ । ভাই আমি কাচা গু আর পাকা চিনিনা। তার আবার এপিঠ ওপিঠ হয় নাকি!!! তবে কি শিবির আর ছাত্রলীগ এক নয়। তবে ছাত্রদল আর ছাত্রলীগ এক বলতে পারেন কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান দুই মেরুতে। তাই ছাত্রদল-কেও ভালোবাসার কিছু নেই। সুতরাং বর্তমান পরিস্তিতিতে কোন ছাত্র সংঘটনকেই ভালবাসার কিছু নেই, সেটা আমার মত। একান্তই আমা।

ধন্যবাদ!
আপনার মূল লেখার চেয়ে এই মন্তব্যই বেশি পরিষ্কার। অন্তত পক্ষে শিবির সাপোর্ট করেননা এতেই খুশি। একসময় শিবির করতেন এইটা নিয়া এখনো একটু দুঃখ রয়ে গেল।
কথায় আছে শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। মন্তব্যে পরিষ্কার করার পরও আপনের মাথাত্তে আমি শিবির করি কথাটা মুছে যায়নি বলে খারাপ লাগছে। তয় আবার বলছি আমি কখনোই শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলাম না। পারলে শিবির আমারে ভর্তা বানাইত।

আপনার এই মনতব্যটা সুসথ মাথায় লিখেছেন? কিছু কিছু লাইন পড়ে চরম হতাশ আর বিরকত হলাম
১০ নমবরটার কথা বলছি
আমি যা দেখেছি লিখেছি। কিছুই কল্পনা প্রসুত নয়।
তবে আপনার অভিজ্ঞতা অন্যরকম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
এধরনের রগরগে বিষয়ের আলোচনাসভায় আমার থাকার সৌভাগ্য কখনোই হয়নি
ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আর একটু সতর্কতা আশা করবো, মন্তব্যের প্রতিউত্তর লেখার সময়
সরি


আপু, আমি সলে অই ব্যাপারটা রগ রগে না করার জন্য চেষ্টা করেছি।আর সাধারণত আমরা বদ ছেলেরা রগ রগের্থে অই শব্দ ব্যবহার করি না।
তারপরও দুঃখিত।
এইটার কেপি টেস্ট করা জরুরি।
আসস্লামুয়ালাইকুম মীর ভাই।

(ভাই আপনের নামটা শুনলেই হাসি পায়। মিরাক্কেলের কথা মনে পড়ে তাই)
তা ভাই কি টেস্ট দিমু বলেন।
কোন বই পইড়তে হবে?
কুনু সাজেশন আছে??
পাস মার্ক কত?
ফেল মারলে রি-এপিয়ার করা যাইবতো?
পাশ কইরলে মিষ্টি খাওয়ান লাগব বুঝি??
-------------------------------------------
ভাই একখান কথা টেস্ট কি পরিমান জরুরী??
অল্প জরুরী না মারাত্মক জরুরী??
দলভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি একটা দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পদার্থ।
আমি ক্যাম্পাসে শিবির নিয়ে যা তা বলি। কবে যে আমাকে খুঞ করে ফেলবে আল্লাহই জানেন। খুব শখ একটা সুন্দর মরণের।
তাইলে দাদা শিবির নিয়ে বলা বাদ দেন। কারন তারা অন্যদের মত শুধু শুধু হুমকি ধামকি করে না। নিরবে নিভৃতে কাজ সারে। শুধু আপনি ছাড়া আর কেই টেরই পাবে না কবে খাল্লাস হয়ে গেছেন। সুতরাং সাধু সাবধান।

খুব চমৎকার েপাষ্ট। শিবির ভাল না, অাপনার েপাষ্ট পড়ে মনে হলো,িকন্তু অাপনােক িবশ্ব. করব কি ভাবে।Panama lawyer.
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর.।।।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর. অামি মানেত নারাজ। panama lawyers.
মন্তব্য করুন