পুরুষ ভাবনা এবং নারী
আমার একজন বন্ধু তার কিছু ভাবনা ফে বু তে শেয়ার করে। তার ভাবনা গুলো নিন্ম রূপ যার শিরোনাম ছিল “Thoughts from Man's heart ( পুরুষের মন প্রসূত ভাবনা)”।
When we are born, our mothers get the compliments and the flowers.
(সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর মায়েরাই সব শুভেচ্ছা আর ফুল পায়)
When we are married, our brides get the presents and the publicity.
(বিয়ের সময় বধূরাই সব উপহার আর প্রচারণা লাভ করে)
When we die, our widows get the life insurance.
( আমাদের মৃত্যুর পর জীবন বীমার মালিক হোম স্বামী প্রয়াত নারীরা)
সর্বশেষে তার প্রশ্ন-
What do women want to be liberated from?
(নারীরা এর কোনটি থেকে মুক্তি চায়?)
তার মনের এই প্রশ্নগুলো আমাকেও নাড়া দেয়। মনে হয় আসলেইতো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব সুবিধাতো নারীদের ফরেই যায়। শুভেচ্ছা, ফুল, প্রচারণা, উপহার এমনকি জীবনের শেষ অব্ধি চালিয়ে যাওয়া বীমার টাকাটাও যায় নারীদের পকেটে তাহলে নারীরা কেন আবার স্বাধীনতা চায়। কিন্তু পরক্ষনে কথা গুলোর একটু গভীরে ঢুকে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করি। প্রশ্নাকারে যে উত্তর গুলো খুঁজে পাই সেগুলো আজ এখানে শেয়ার করবো সবার সাথে। হয়ত আমাকে কেউ নারীবাদী বলেও সন্মান করতে পারেন আমি মাথা পেতে নেব সেই সন্মান টুকু। আমি আমার বন্ধুর চিন্তা গুলো একটি একটি করে খন্ডানোর দুরূহ চেষ্টা করছি এখানে যার শিরোনাম আমি রেখেছি “প্রতি- ভাবনা”
১)একজন মা যখন ভ্রূণ ধারণ করেন ঠিক তখন থেকে মায়ের শরীরে নানা রকমের হরমোনাল পরিবর্তন শুরু হয়। ভ্রূণ ধারণের প্রথম ও শেষ চার মাসকে ডাক্তাররা সাধারণত সর্বোচ্চ সতর্কতার সময় বলে নির্ধারণ করে থাকে। এই সময় মায়ের নানা রকমের শারীরিক পরিবর্তন দেখ দেয় যা অনেক সময় অনেক মায়ের সহ্যের বাইরে চলে যায় যা তখন মায়ের মানসিক দিককেও আক্রান্ত করে। সন্তান ধারণের শেষ মাসের কথা ধরলে শুধু মাত্র সন্তান ধারণের জন্য (সন্তান, এম্নিয়টিক ফ্লুইড, জরায়ু...) ওজন বাড়ে ২৩-৩৫ পাউন্ড। জানিনা একজন পুরুষের পেটে এই পরিমাণ ওজন বেঁধে দিলে তিনি কতক্ষণ তা বহন করতে পারবেন! এই সময়টাতে মাকে তার খাওয়া, চলাফেরা থেকে শুরু করে সব গতি প্রকৃতিতে নিতে হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। কিন্তু এই সতর্কতা তার নিজের জন্য নয়, নিতে হয় তার সন্তানের জন্য। এভাবে তাকে চলতে হয় সুদীর্ঘ নয় মাস। এই নয় মাস পরে এই জগতের সর্বোচ্চ ব্যথার মধ্যে যাওয়ার পরও কোন শুভেচ্ছা বা ফুল তার মুখে হাসি ফুটাতে পারেনা যতক্ষণ না মা তার সন্তানের কান্নার আওয়াজ পায়।
২) জীবনের প্রথম অধ্যায় যেখানে আমরা কথা বলতে শিখি, চলতে শিখি, লিখতে পড়তে শিখি বুঝতে শিখি, সেই সময়টাকে সম্পূর্ণভাবে ভুলে গিয়ে একটা অচেনা জগতে প্রবেশ করতে হয় একটা নারীকে। শুধু প্রবেশই নয় নিজেকে পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে হয় সেই পরিবেশের জন্য। ঠিক বিয়ের দিন থেকেই দায়িত্ব নামের এক পর্বত পরিমাণ বোঝা চেপে বসে প্রতিটি নারীর ঘাড়ে। নিজের পছন্দ অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে তাকে ভালবাসতে জানতে হয় অন্যের অনেক কিছুকেই। ঠিক বিয়ের দিন থেকেই মা বাবার আদরের উদাসীন, চপল রাজকন্যা নিহত হয় দায়িত্বশীল গৃহবধূর হাতে। সামান্য উপহার আর লোক দেখানো প্রচারণা কতটুকু সান্ত্বনাই বা তাকে দিতে পারে।
৩) যেদিন একজন নারী বিধবায় পরিণত হয় তখন থেকেই সে হারিয়ে ফেলে তার আসল পরিচয়। নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে স্বামী সন্তানের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া নারী তার আসল ভরসার কেন্দ্র-চ্যুত হয়। সারাজীবন একটু একটু করে গড়ে তোলা তার সম্রাজ্যের অর্থ হারিয়ে ফেলে। তার সমগ্র চিন্তা ভাবনা আর স্বপ্নের কেন্দ্র হতে থাকা স্বামী হারিয়ে যাওয়ার পর জীবন বীমার অর্থের কতটুকুই না মূল্য থাকে তার কাছে!
**এখন আমার কথা হল এর কোনটা থেকে একজন নারী মুক্তি চায় না!!
পরিশিষ্টঃ
একজন অতি আত্মমর্যদা সম্পন্ন নারী ব্যথিত বাকি সব নারীরই মনের মধ্যে একটা সুপ্ত বাসনা থাকে পুরুষ দ্বারা যত্নের নামে শাসিত হওয়ার। আত্ম মর্যদাসম্পন্ন নারী আমাদের সমাজে খুব-ই বিরল। আর একটা পরিবারে সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য একজন পুরুষকে একজন দক্ষ রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অবতির্ন হতে হয়।
লেখাটা ভালো লেগেছে।
তয় সাজিদ সাব দেখলে খবর আছে।
আপনার মহৎ ভাবনা চিন্তা পরে আপনার প্রতি সম্মানে আমি গদগদ।
বাংলায় একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, জুতো মেরে গরু দান
এটা আমার বন্ধু না আসলে, এখানে আমরাবন্ধু
সত্যেই েগ্রট। panama lawyers.
মন্তব্য করুন