ইউজার লগইন

আড়িয়ল বিল

কিছুদিন আগেই শেয়ার মার্কেট নিয়ে রাজপথ ছিল উত্তপ্ত। সরকারের হস্তক্ষেপে এখন আস্থা হারানো মানুষগুলো সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্ক্রিনের সামনে বসে বসে কত লস কমলো সেই হিসাব করছে। এবারের মত হয়তো সামাল দেয়া গেল।

হঠাৎ আবার উত্তপ্ত জনপদ। এবার

নিয়ে

আড়িয়ল বিল রক্ষা করুন : ডা. ফখরুল ইসলাম চৌধুরী / শাহজাহান বাদল / সাইদুর রহমান সাইদ

১. ঐতিহাসিক পটভূমি
পদ্মা-ধলেশ্বরী-ইছামতি নদী পরিবেষ্টিত ও বিধৌত অঞ্চল হচ্ছে ঐতিহাসিক বিক্রমপুর। এক সময় বাংলার ৫২টি পরগনা এ বিক্রমপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা কালের বিবর্তনে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার অংশ হয়ে টিকে আছে। স্বর্ণগর্ভা এ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক কালজয়ী ব্যক্তিত্ব, যারা যুগে যুগে আমাদের ও বংশধরদের অনুপ্রেরণা হিসেবে বেঁচে থাকবেন। ঐতিহ্যবাহী এ বিক্রমপুরের আরেকটি অহঙ্কার হলো আমাদের আড়িয়ল বিল। আড়িয়ল বিল ও বিক্রমপুর দুটি যেন একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিক্রমপুরের সন্তানদের জীবনধারণ ও সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন করাসহ দেশের খাদ্য যোগান দেয়ার জন্যই মনে হয় সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ এ আড়িয়ল বিল।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোয় বিক্রমপুর ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল এবং কার্যত একটি মুক্তাঞ্চল। এলাকার তরুণরা যুদ্ধ করেছে এবং প্রাণ দিয়েছে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সে এলাকার মানুষ যদি উত্খাত হয়ে যায় তবে তার চেয়ে বড় দুঃখের ব্যাপার কী হতে পারে?
২. আয়তন ও পরিবেশ
প্রথম দিকে এ বিলের আয়তন ছিল ২৫০ বর্গমাইলের বেশি এবং জমির পরিমাণ ছিল ১ লাখ একরেরও বেশি। তবে এরই মধ্যে সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে পদ্মার বালু এসে কিছু অংশ ভরাট, জনসংখ্যার চাপে গ্রাম বর্ধিত হওয়ার ফলে এবং বিলের মধ্যে অসংখ্য মাছের পুকুর (যেগুলো স্থানীয়ভাবে জেঙ্গা নামে পরিচিত) স্থাপনের ফলে বর্তমানে কৃষি জমি ২০ হাজার একরের কিছু বেশি হতে পারে, যা এখনও সরকার বা কোনো সংস্থা সঠিকভাবে জরিপ করেনি। আয়তনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই জলাভূমি শ্রীনগর, সিরাজদিখান, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার অংশ নিয়ে বিস্তৃত। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলার প্রতীক রবিশস্য, তরিতরকারি, মাছে ভরপুর ও অসংখ্য প্রজাতির পাখির অনেকটা অভয় বিচরণ ক্ষেত্র এই আড়িয়ল বিল।

৩. অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান
আড়িয়ল বিল দেশের অন্যান্য জলাভূমির চেয়ে স্বতন্ত্র। কারণ এ বিলে শুষ্ক মৌসুমে ধানসহ অনেক রবিশস্য এবং সাথী ফসল হয়। এ বিলের জমি এত উর্বর যে, প্রতি একরে ১০০ মণেরও বেশি ধান উত্পন্ন হয়, যা দেশের অন্য কোথাও হয় না। বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত জলাভূমিতে লাখ লাখ জেলে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। শুধু আড়িয়ল বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকা নয়, সারা দেশের খাদ্য, মাছ ও সবজি চাহিদার একটা বিরাট অংশ যোগান দেয় এই আড়িয়ল বিল। আড়িয়ল বিলের দীঘির মাছ সবচেয়ে সুস্বাদু, এখানকার একটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন হয় ৫০ কেজিরও বেশি।

প্রতি বছর প্রকৃত আয় হয় ১,০০০ কোটি টাকারও অনেক বেশি।
৪. আড়িয়ল বিলকে কেন্দ্র করে জীবিকা ও কর্মসংস্থান
ক. কৃষি জমির মালিক ও বর্গাচাষী হিসেবে ২৫,০০০ একর জমিতে প্রতি একরে ৫ জন করে হলেও এ বিলের ফসলের ওপর নির্ভরশীল ১,২৫,০০০ মানুষ। খ. কৃষি শ্রমজীবী, যাদের অধিকাংশ উত্তরবঙ্গ, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে এখানে ধান বপন, চাষ ও কাটার মৌসুমে এসে জীবিকা নির্বাহ করে ৪ লাখ মানুষ। গ. মত্স্যজীবী (যাদের অনেকেই ভূমিহীন কৃষক ও জেলে) ২,০০,০০০ মানুষ। ঘ. অন্যান্য রবিশস্য ও গবাদিপশু পালন কাজে নিয়োজিত ১ লাখ মানুষ। মোট ৮ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। কমবেশি প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এ আড়িয়ল বিলকে কেন্দ্র করে।

৫. প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্ব
আড়িয়ল বিল বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর প্রবাহিত অতিরিক্ত পানিসহ কয়েক কোটি টন পানির জলাধার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যাতে করে বিক্রমপুর, নবাবগঞ্জ, দোহারকে অনেকাংশে বন্যা ও নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে।

তাছাড়া প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতের পাখির বিচরণ ক্ষেত্র হচ্ছে এ বিল। বিলের মাঝে অবস্থিত দীঘিগুলোর পাড়ে বনজ গাছগুলো পরিবেশ রক্ষায় রাখছে অনন্য ভূমিকা।

৬. প্রস্তাবিত ২৫ হাজার একর জমিতে বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট শহর স্থাপিত হলে যে ভয়ঙ্কর বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং জাতির জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি :
ক. ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারানো : বিক্রমপুর তথা ঢাকার নবাবগঞ্জ-দোহার উপজেলার যে গর্ব ও অহঙ্কার ‘আড়িয়ল বিল’ তা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পুরো বিক্রমপুরের নামই হয়ত এভাবে একদিন কালের গর্ভে মুছে যাবে।

খ. অর্থনৈতিক ক্ষতি : আড়িয়ল বিল থেকে বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বছরে আয় বন্ধ হয়ে ক্ষুদ্র জমির মালিকরা ভূমিহীন দিনমজুরে পরিণত হবে এবং এতে ঢাকা শহরের ওপর জনসংখ্যার চাপ আরও বাড়বে। সরকার ঢাকার ওপর চাপ কমানোর যে যুক্তি দেখাতে চাচ্ছে বরঞ্চ তার উল্টোটি হবে।

গ. বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে : প্রতি বছর আড়িয়ল বিলে বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন—ধান বপন, চাষ, ধান কাটা ও মাড়াই, মত্স্য ও সবজি চাষ করে আড়িয়ল বিলের পাশের অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়বে।

ঘ. প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে মারাত্মকভাবে : আড়িয়ল বিল ভরাট করা হলে বর্ষা মৌসুমে যে কয়েক কোটি টন পানি এ বিল ধারণ করে, এ বাড়তি পানি আড়িয়ল বিলের চারপাশ তথা মুন্সিগঞ্জের অন্যান্য উপজেলা ও ঢাকার নবাবগঞ্জ, দোহারে প্রবল বন্যা দেখা দেবে এবং শুষ্ক মৌসুমে চারপাশে ডিএনডি বাঁধ এলাকার মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে।

এতে করে শুধু আড়িয়ল বিলের জমি অধিগ্রহণের ফলে যারা নিঃস্ব হবেন, বেকার হবেন তারাই নয়, সার্বিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং বর্ষায় পদ্মার পানির চাপ সহ্য করতে না পেরে বন্যাসহ ব্যাপক ভাঙনের মুখে একদিন সম্পূর্ণ বিক্রমপুর নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

৭. আদৌ আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা
বিমান চলাচলে বিশেষজ্ঞসহ আমরা সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করছি, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরটির যে ধারণক্ষমতা আছে তা সম্পূর্ণ ব্যবহৃত হচ্ছে না। পত্রিকায় প্রকাশিত বিশেষজ্ঞের মতে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জমির পরিমাণ মাত্র ২,০০০ একর। আন্তর্জাতিক রুটে বিমানের সংখ্যা, পিকআওয়ার বিমান মুভমেন্ট ও যাত্রী সংখ্যার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আগামী ২০২৫ সালে পর্যায়ক্রমে ফ্লাইটের সংখ্যা ৫৭,০০০ এবং প্রতি ঘণ্টায় ২৯টি ফ্লাইট ও ৪,৮০০ যাত্রী হতে পারে বিধায় বর্তমান বিমানবন্দরেরই কিছু আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সহজেই চলবে।

পরীক্ষা সাপেক্ষে ট্যাক্সিওয়েকে ২য় রানওয়েতে পরিবর্তন করে বা পশ্চিম দিকে কিছু স্থাপনার যুক্তিসঙ্গত পুনঃস্থাপনে একটি ২য় রানওয়ে নির্মাণ করা যেতে পারে বলেও তারা জানিয়েছেন।
সরকারের অনেক অগ্রাধিকার প্রকল্প আছে, যেমন—খাদ্যশস্যসহ দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান করা, বিদ্যুত্ সমস্যা লাঘব, ঢাকা শহরের যানজট কমানো ইত্যাদি। কিন্তু এসব না করে আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করা সমীচীন নয়। এটি জাতীয় সম্পদের অপচয় এবং একটি বিলাসবহুল প্রকল্প বলেই জনগণ মনে করবে।

৮. বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য আড়িয়ল বিল উপযোগী কিনা
সাধারণভাবে যে কেউ এটা স্বীকার করবেন, যে জমি বর্ষা মৌসুমে ১০ থেকে ২৫/৩০ ফুট পানির নিচে থাকে সেখানে বিমানবন্দর করতে হলে হাজার হাজার কোটি টাকা শুধু পাইলিং ও মাটি ভরাটের জন্যই প্রয়োজন হবে এটিকে ভারী বিমান অবতরণের চাপ সহ্যের উপযোগী করতে। এরই মধ্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এ প্রকল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমাদের মনে হয়, শুধু মাটি ভরাট করতেই এর চেয়ে অনেকগুণ বেশি টাকা চলে যাবে। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের মতে, আড়িয়াল বিল বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য কোনো ক্রমেই উপযোগী নয়।
স্যাটেলাইট ছবিতে এ এলাকার মাটিতে গভীর পিট কয়লার স্তর দেখা যায় বিধায় এখানে বিমানবন্দরসহ সব স্থাপনাই দেবে যাওয়ার সার্বক্ষণিক হুমকিতে থাকবে।

আমাদের মতো দরিদ্র দেশে যেখানে অজস্র সমস্যা, সেখানে এ ধরনের অবাস্তব, অবৈজ্ঞানিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কোনো ধরনের টেকনিক্যাল, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমীক্ষা না করে তোঘলকি আমলের মতো ভূমি অধিগ্রহণের পদক্ষেপ কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

৯. আন্তর্জাতিক খাদ্য সঙ্কট ও আল্লাহ প্রদত্ত একটি খাদ্যভাণ্ডার নষ্ট করা
সারা বিশ্ব এখন একটি মহা খাদ্যশস্য সঙ্কটের দিকে যাচ্ছে। এ বছর আমাদের সরকার বাধ্য হচ্ছে খাদ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য অনেক চড়া মূল্যে ১.৫০ লাখ টন খাদ্য আমদানি করতে। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র খাদ্যশস্য রফতানি করতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জরুরি বৈঠক আহ্বান করছে বিশ্বের খাদ্য সমস্যা মোকাবিলার জন্য। তারা আশঙ্কা করছে বিশ্ব একটি কঠিন খাদ্য সমস্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে আড়িয়ল বিলের মতো একটি খাদ্যশস্যের ভাণ্ডারকে ভরাট করে বিমানবন্দর করার উদ্ভট পদক্ষেপ শুধু আত্মঘাতীই নয়, দেশকে দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গার ঝুঁকিতে ঠেলে দেয়ার একটি অশুভ পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

১০. জাতীয় পানি নীতি ও জাতীয় পানি আইন ২০১০ উপেক্ষিত
জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯ সালের আর্টিকেল ৪.১৩-তে বলা হয়েছে, হাওর-বাঁওড় এবং বিলের মতো জলাভূমি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিবেচনায় এগুলোর মূল্য অনেক। বিল, হাওর এবং বাঁওড়ের জলাভূমিকে পানি নিষ্কাশন ও জলজ পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সংরক্ষণ করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলেই ওই পানি নীতি চূড়ান্ত করা হয়, যার ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন, এ ধরনের নীতিমালার অভাবে এরই মধ্যে দেশের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই নীতিমালার প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

১১. বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরুতে নজিরবিহীন দ্রুততা
যে দেশের প্রকল্প গ্রহণে সমীক্ষা প্রস্তাব (চ.চ) প্রণয়ন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন ও একনেক হয়ে প্রকল্প পাস হতেই কয়েক বছর লেগে যায়, সেখানে এত বিশাল প্রকল্প নেয়ার আগে প্রয়োজনীয় কোনো ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই হঠাত্ করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়া রীতিমত বিস্ময়কর ও বিপদসংকুল।

আড়িয়ল বিল ও তত্সংলগ্ন এলাকার জনসাধারণ আজ অসহায় ও উদভ্রান্ত। সরকারি আমলাদের অতিউত্সাহী তোষামোদি কর্মকাণ্ডে ত্বরিত উচ্ছেদের আশঙ্কায় তারা আড়িয়ল বিল রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ হচ্ছে এবং সেখানে কৃষক-শ্রমিক, নারী-পুরুষ সবার একই দাবি—‘জান দেব, তবু জমি দেব না।’
এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আড়িয়ল বিল রক্ষার দাবিতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ৪ ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে রাখে। পক্ষান্তরে দু’জন সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তাদের উপস্থিতিতে ঢাকা-মাওয়া সড়কে বিমানবন্দর স্থাপনের পক্ষে মানববন্ধন হয়, যাতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও স্কুলের কোমলমতি শিশুদের (ছাত্রছাত্রী) নিয়ে আসা হয়েছে, যা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যমান এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আকুল আবেদন, অবিলম্বে আড়িয়ল বিলে সম্পূর্ণ অমানবিক, বেআইনি, অবৈজ্ঞানিক ও অপ্রয়োজনীয় এ বিমানবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করবেন এবং লাখ লাখ মানুষকে বেকার, ভূমিহীন ও তাদের বাপ-দাদার বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করবেন না। আমাদের সামনে খাদ্য সঙ্কট অপেক্ষা করবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করতে হবে। সেই বিবেচনাতেও ২৫ হাজার একর জমি নষ্ট করা কীভাবে চিন্তা করা হচ্ছে সেটাও আমরা ভেবে পাই না। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে পরিণতি যে কী হবে তা ভাবতেও আমাদের গা শিউরে ওঠে।

http://bangla.newsbnn.com/2011/01/24/43422

আড়িয়ল বিলে ভিন্ন বাস্তবতা

বিমান বন্দরের নামে আড়িয়াল বিলে রাষ্ট্রীয় ভূমি আগ্রাসন!

বিমানবন্দরের নামে ভূমি আগ্রাসন : সমীক্ষা ছাড়াই আড়িয়ল বিলে আঞ্চলিকতাদুষ্ট প্রকল্প

‘ভালো থেকো বক, আড়িয়ল বিল’

তাজমহল হতে আড়িয়ল বিল, ...ভালবাসার অমর কাহিনী।

আড়িয়াল বিলের আদ্যোপান্ত

পোস্টটি ২ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

অরিত্র's picture

নিজের সম্পর্কে

================