ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
রকেট (ইংরেজি: Rocket) একটি বিশেষ ধরনের প্রচলন কৌশল। এটি এমন এক ধরনের যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে বের করে দেয়া হয় এবং এর ফলে উৎপন্ন ঘাতবলের কারণে রকেট বিপরীত দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হয়। এক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত হয়।
(সূত্র উইকিপিডিয়া)
ওয়ার্নার ভন ব্রাউন (মার্চ 23, 1912 - জুন 16, 1977) ছিলেন জার্মান রকেট সায়েন্টিস্ট, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ও স্পেস আর্কিটেক্ট । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আমেরিকার রকেট প্রযুক্তির উন্নয়নের এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ত্ব ছিলেন তিনি ।
(সূত্রঃ সামহোয়্যার ইন ব্লগ, ব্লগার আপেল বেচুম)।
আরে ‘অমুক’ কাজটা তুমিও পারবে, দিজ ইজ নট আ রকেট সায়েন্স!
আরে তুমি পারবে। এটা রকেট সায়েন্স না।
এটা যে তমুক অমুক উদ্দেশ্যে করেছে তা বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না!
(বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণীর, বিভিন্ন রকম মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন জনের প্রাপ্ত উপদেশ)।
উইকিপিডিয়া এবং ব্লগের আর্টিকেল দুটি কেউ একজন, অথবা অনেকেই পড়ছিলো। আর পড়ার কারণ হলো পরবর্তীতে উল্লিখিত উক্তিত্রয়। একদিন কোনো একটা অফিসিয়াল মিটিংয়ে কোম্পানির আয় উন্নতির তাগিদে যখন নতুন নতুন টেকনিক্যাল টুলস শেখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছিলো, তখন বিশিষ্ট কর্মকর্তাগণ একমত হন যে কাজে যোগ দেয়া ইন্টার্নরা এগুলো সহজেই শিখতে পারবে, এবং এগুলো শিখতে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। কথাগুলি গভীরভাবে হৃদয় ছুঁয়ে গেলো ইন্টার্ন আর টপ ম্যানেজমেন্টের মাঝামাঝি থাকা একজন এক্সিকিউটিভের। সে ভাবলো রকেট সায়েন্স সম্পর্কে যদি সে গভীর ভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, তবে বাকি অন্যান্য কাজগুলো সহজেই করা সম্ভব হবে। অনেকদিন নতুন কিছু না শিখে কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতে নিজের ভূমিকা রাখতে না পারায়, বড় কথা হলো, পদোন্নতি, এমন কী চাকুরি নিয়ে সংশয়গ্রস্ত হওয়ার তার মধ্যে এই ব্যতিক্রমী চিন্তাটি এলো। স্মৃতি হাতড়ে সে এমন অনেক উদাহরণই খুঁজে পেলো, যেখানে কঠিন কোনো কিছুর মাপকাঠি হিসেবে রকেট সায়েন্সকে উল্লেখ করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় হায়ার ম্যাথে ভালো করতে না পারায় কলেজে ওঠার পর গ্রুপ চেঞ্জ করে আর্টস নেয়া এবং সেখানে পাঠ্যসূচিতে যুক্তিবিদ্যা থাকার কারণেই যে উক্ত এক্সিকিউটিভ এই অসাধারণ সিদ্ধান্তটি নিতে পারঙ্গম হলো, এ ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত হতে পারেন।
এক্সিকিউটিভ প্রথমেই খোঁজ নিলেন ঢাকায় রকেট সায়েন্স শেখার কোনো শর্ট কোর্স আছে কি না। ইদানিং বুলেট কোর্স, ক্র্যাশ কোর্স জাতীয় ব্যাপার স্যাপার ঘটছে, যেখানে অল্প দিনেই কোনো বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করা যায়, এমন কী বিশেষজ্ঞ হবার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। রকেট সায়েন্স সম্পর্কিত কোর্স কারা করাতে পারে? সাইফু(র/ল?)স? না কি বিসিএস এর কোচিং সেন্টারগুলো? চিন্তা করতে করতে তার মাথায় সূক্ষ্ণ ঘামের রেখা দেখা দিলো। সে ভাবলো এই জটিল সমস্যার সমাধান মনে হয় করাই যাবে না আর। বিসিএস কোচিং সেন্টারগুলো কেন রকেট সায়েন্স শেখাতে যাবে? কী দায় পড়েছে তাদের? রকেট সায়েন্স পড়ে কেউ কি আমলা বা কাস্টমস অফিসার হতে পারে? কিন্তু রকেট সায়েন্স শেখা থাকলে অবশ্যই এইসব চাকুরিতে তারা অনেক ভালো করতে পারতো, কারণ আমলামি, অথবা ব্যাংকামি ইজ নট আ রকেট সায়েন্স! তারপরেও মন্দের দ্বন্দ্ব ঘোচানোর জন্যে সে বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করে শুধু নেতিবাচক তথ্যই জানলো। তবে ভুল করে একবার একটি ঘটক কোম্পানিতে ফোন করার পর সে আশ্বাস পেলো যে তারা ১০০% নিশ্চয়তায় এক মাসের ভেতর রকেট সায়েন্স জানা সুশ্রী, সঙ্গত কারণে ডিভোর্সি এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম ঘরের রকেট সায়েন্সে অধ্যয়নরত পাত্রী সাপ্লাই দিতে পারবে। তবে এত দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার চিন্তা সঙ্গত কারণেই এক্সিকিউটিভ বাতিল করে দিলেন। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই ক্ষমতা যে তাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে সাহায্য করবে, এ ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যেতেই পারে!
ফোন কলগুলি ব্যর্থ হবার পর এক যুগান্তকারী এবং সৃজনশীল আইডিয়া এলো এক্সিকিউটিভের মাথায়। কেন যে অন্যের কাছে ধর্ণা দেবে? সে নিজেই তো চাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটে শিখে ফেলতে পারে! স্বশিক্ষিত হবার চেয়ে ভালো কিছু নেই। স্বশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই সুশিক্ষিত, বলেছিলেন কে যেন টেক্সটবুকে ছিলো, এখনও স্পষ্ট মনে আছে তার উক্তিটি। সাথে এও মনে আছে যে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় একটি প্রখ্যাত গাইড বইয়ের ব্যাখ্যার সাথে নিজের সম্পূর্ণ নতুন দুটি বাক্য যোগ করে ক্লাশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলো। এই স্মৃতি মনে পড়ায় সে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে, সাথে ইনসপায়ার্ড হয়। কাজ শুরু করার আগে এখন দরকার কিছু মোটিভেশনাল স্পিচ শোনা। কারটা শোনা যায়? বাজারে এখন কার কাটতি সবচেয়ে বেশি? একটা মোটিভেশনাল ক্যালকুলেটর থাকলে ভালো হতো। কার মোটিভেশনাল স্পিচ শুনলে কতক্ষণের জন্যে মোটিভেট থাকা যায় যদি যাচাই করা যেতো! কারো স্পিচ হয়তো বা ১ ঘন্টা শুনলে ৩০ মিনিটি চাঙ্গা থাকা যায়, কারোটা ১০ মিনিট শুনলে ২ দিন চাঙ্গা থাকা যায়। আপাতত তার ৭ দিনের জন্যে হলেই চলবে। অনেক ঘেঁটেঘুঁটে সে জনপ্রিয় একটা স্পিচের লিংক পেলো ইউটিউবে। সেখানে সে জানতে পারলো যে বক্তা একসময় আইটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, জব পরবর্তী কোন এক মিটিংয়ে তাকে বোকার মত বসে থাকতে হয়েছিলো। তার বস তাকে এ ব্যাপারে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলে সে দুইদিন ইনটেন্স পড়াশোনা করে সাবমেরিন কেবল, ফাইবার অপটিকস ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান লাভ করে, এবং পরের মিটিংয়ে গম্ভীর মুখে কিছু টেকি টার্ম ব্যবহার করে সহকর্মীদের আপ্লুত করে দেয়। এভাবেই তার জয়যাত্রা শুরু হয়। নিঃসন্দেহে খুবই উদ্দীপক বক্তৃতা। এক্সিকিউটিভের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়, সেও পারবে! মানুষ চেষ্টা করলে কী না পারে! মানুষের সাধ্যের কোনো সীমা নেই; এসব কথা সে আগে শুনেছিলো, এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
রকেট সায়েন্স শেখার এই মহান অভিলাষ এবং এর পেছনের ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা শেয়ার করার জন্যে তার মন আকুলি-বিকুলি করতে লাগলো। যদি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়া যেতো, রকেট সায়েন্স শেখার কথা ভাবছি-is feeling excited তাহলে কতই না ভালো হতো! তবে নিজেকে নির্মোহ ধ্যানীতে পরিণত করতে তার খুব বেশি বেগ পেতে হলো না। শুরু করাটাই সবচেয়ে কঠিন। কীভাবে শুরু করবে বুঝতে পারছে না। রকেট সায়েন্স লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার লিংক আসে। কিছুদূর পড়ার পর সে প্রথমে যা পড়েছে তা ভুলে যায়, আবার এক আর্টিকেল থেকে অন্য আর্টিকেলে গেলে মাঝে মাঝে মনে হয় যে সম্পুর্ণ অন্য কোনো বিষয়ে পড়ছে। পুরো ব্যাপারটাকেই তার আস্ত এক রসিকতা মনে হয়!
নাহ এভাবে হবে না। টিপস খুঁজতে হবে। ৭টি বা ১১টি টিপস। এগুলো এখন অনলাইনে হরেদরে পাওয়া যাচ্ছে। সেদিনই সে মশা তাড়ানোর ৭টি প্রাকৃতিক উপায়, এবং প্রেমিকার আগে কোনো এ্যাফেয়ার ছিলো কি না বোঝার ১১টি টিপস পড়ে অশেষ উপকৃত হয়েছে। রকেট সায়েন্সের ক্ষেত্রে এমন টিপস পাওয়া কঠিন হবে, তবে একটা বড় কাজ করতে গেলে তো একটু কষ্ট করতেই হবে!
টানা দুইদিন অফিসে কাজের ফাঁকে রকেট সায়েন্স সম্পর্কে অখণ্ড মনোযোগে পড়াশোনা করতে লাগলো। এত মনোযোগ দিয়ে কী পড়ছে জানতে চাইলে সে স্মিত হেসে ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিলো। তবে বাসায় গিয়ে সে শুরু করলো মহা শোরগোল। মাকে জানিয়ে দিলো সে গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করবে, তার জন্যে যেন ফ্লাস্ক ভর্তি করে কফি রেডি থাকে। এছাড়া শুকনো খাবার এবং ঠান্ডা পানির জন্যেও সে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিলো। তার মার চোখ আবেগে ভিজে উঠলো। ছেলে তার কত পরিশ্রমী, আর উদ্যমী! অফিসের কাজের পরেও পড়ালেখা করে উন্নতির জন্যে। এইচএসসি পরীক্ষার দুই সপ্তাহ আগে জ্বর না এলে সে নিশ্চয়ই গোল্ডেন এ প্লাস পেতো!
কফি এবং শুকনো খাবার তাকে অনুপ্রেরণা এবং শক্তি যোগালেও খুব একটু সুবিধে করতে পারছিলো না এক্সিকিউটিভ। সে প্রচুর, প্রচুর, প্রচুর ঘাঁটতে লাগলো, কিন্তু মোটামুটি একটা ভালো আর্টিকেলেই সব কাভার করা যায় এমন একটি আর্টিকেলও সে পেলো না। সবই তার কাছে অসম্পূর্ণ এবং খাপছাড়া মনে হতে লাগলো।
রাত ৩টার সময় কফি, খাবার, মোটিভেশনাল স্পিচ, সব অস্ত্রই নিস্ক্রিয় হয়ে যেতে লাগলো। একটা সময় সে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার কথা পর্যন্ত চিন্তা করবে কি না ভাবতে শুরু করলো। কারণ আত্মহত্যা থেকে যারা ফিরে আসে, তারা জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারে। তাদের মনোবাঞ্জা পূর্ণ হয়। এমনটা দেখা গেছে পৃথিবীর ইতিহাসে বারবার। একটা পিস্তল থাকলে ভালো হতো। ডার্ক ওয়েবে না কি অস্ত্রপাতি অর্ডার করা যায়। টর ব্রাউজার ডাউনলোড করে ব্রাউজিং শুরু করবে না কি?
এমন গুরুতর অবস্থায় আশার আলো ফিরে পেলো সে একটি অসাধারণ আর্টিকেল পেয়ে। আর্টিকেল না বলে এটিকে গ্লোসারি বলাই ভালো। এখানে রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং স্পেস সায়েন্সের যত পরিভাষা আছে, সব, সব লিপিবদ্ধ করা। সাথে ১-২ লাইনের সংজ্ঞাও আছে! কিছু সংজ্ঞা পড়ার পর ধাঁই-ধাঁই করে তার আত্মবিশ্বাসের পারদ চড়তে লাগলো।
Geo-: Prefix referring to the Earth.
Geocentric: Earth centered.
Geodesy: The science of the Earth's shape.
আরে, এত সহজ! রকেট সায়েন্স তো আসলেই রকেট সায়েন্স না! তবে স্ক্রল করে নামতে নামতে তার উদ্দীপনা যে কিছুটা হলেও কমে এলো, এ কথা অস্বীকার করা যায় না। প্রায় হাজারখানেক সংজ্ঞা। সবগুলো পড়ে মুখস্ত করা, তারপর বিস্তারিত জানার জন্যে আরো পড়া, এত কি কুলোবে? কোনো শর্ট সাজেশন দিতে পারবে না কেউ? শর্ট সাজেশন, ভিভিআই কোশ্চেন, কী এক সুদিনই না ছিলো তার স্কুল এবং কলেজে! Rocket science vvi question লিখে সার্চ দিয়ে তেমন ভালো রেজাল্ট না পাওয়ায় সে পৃথিবীতে রকেট সায়েন্স শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখবে বলে নিজেকে তাগাদা দিলো।
দুই দিন পরে, আবার এক মিটিংয়ে এক্সিকিউটিভ এক চমৎকার বক্তৃতা দিলো,
-ওয়েল, আমাদের নতুন প্রোডাক্টের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আমরা যে টার্গেট অডিয়েন্স সেট করবো, তাকে আমরা রকেটের ফুয়েলের কেমিক্যালের প্রেক্ষিতে চিন্তা করতে পারি যেমন ধরুন ক্রাইজোনেক, নামক যে ফুয়েলের কেমিক্যালটি আছে, সেটা অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে, আমাদের এই তরলটাই চাই। ডপলার এফেক্টের কথাই চিন্তা করুন, আমরা জানি যে...
...আমাদের এভারেজ আর্থ রেডিয়াস হলো... আসল ব্যাপার হলো এলিভেশন...এছাড়াও অরবিট...
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাথে রকেট সায়েন্সের এই সুস্বাদু খিচুড়ি প্রথমদিকে সবাই বেশ আগ্রহ এবং শঙ্কা নিয়ে শুনতে থাকলেও পরে ইঙ্গিতপূর্ণ গলা খাকারি, এবং চা খাবার বিরতির প্রস্তাবনা দিয়ে সফলতার সাথে তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রসঙ্গান্তরে যেতে সক্ষম হয়।
এমন আচরণে কিছুটা দমে গেলেও এক্সিকিউটিভ মোটেও নিরাশ হলো না। নতুন কিছু শেখা এবং প্রয়োগ করার ব্যাপারে বিভিন্নমাত্রিক প্রতিবন্ধকতা আসতেই পারে। আর সবাই যে সব কথার মর্যাদা বুঝবে ব্যাপারটা এমনও না। এই কথাগুলোই যদি সে স্ট্যাটাস আকারে ফেসবুকে দিতো, তাহলে রিএ্যাকশন নিশ্চয়ই এরকম হতো না! অন্য লেখাগুলোর চেয়ে অবশ্যই বেশি লাইক পেতো নিঃসন্দেহে।
রাত নটার সময় এক কাপ কফি নিয়ে সে সম্ভাবনাময় লাইক প্রসবা স্ট্যাটাসটি লিখতে বসে। লেখা শেষ হলে ভাবে, যদিও সে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা মত যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছে, তারপরেও তাকে আর জানতে হবে রকেট সায়েন্স জানতে হবে আর ভালো করে। আজ রাতে শুয়ে শুয়ে আধা ঘন্টা চোখ বুলিয়ে নেবে গ্লোসারিটিতে। পরীক্ষার আগে ভালোভাবে রিভাইজ দেয়া তার পুরোনো অভ্যাস।
এক সপ্তাহ পরে,
রকেট সায়েন্স লিখে গুগলে সার্চ দিলেই যে আর্টিকেলটি পাওয়া যায় তার শিরোনাম হলো,
“রকেট সায়েন্স সম্পর্কে যে ৭টি বিষয় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে”
লেখকের নাম আপনারা কি অনুমান করতে পারেন?
মন্তব্য করুন