না হয় পকেটে খুচরো পাথর রাখলাম
বড্ড পরিশ্রম যায় ইদানীং। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই অফিসের জন্য দৌঁড়ানো লাগে। অফিসে পৌঁছানোর পর কুকুরের মতো কাজ শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা শেষে রাত। রাতে বাসায় ফিরে এতো বেশী ক্লান্ত লাগে যে বেশীরভাগ দিনই আমি নয়টা সাড়ে নয়টা থেকে পড়ে পড়ে ঘুমাতে থাকি। আমি অবশ্য এরকম ব্যস্ততাই চাই, এক মিনিটও অবসর চাইনা। অবসর থাকাটাকে আমি প্রচন্ড ভয় পাই। অবসর হলেই মাথায় নানারকম চিন্তা ভর করে আর আমার খুব অস্থির লাগে। আব্বু- আম্মুর সাথে, পিচ্চি বোনদুইটার সাথে সবসময় খুব বাজে ব্যবহার করি। কেন করি জানিনা, কিন্তু করে ফেলি। এবং খুব আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি যে ওরা আমার উপর কোন রাগ করেনা। ফেসবুকে যাইনা। ঐখানে গেলেই দেখি সব সুখী সুখী মানুষদের সুখী সুখী ছবি, স্ট্যাটাস। দেখলেই রাগ লাগে। এতো আনন্দ কোত্থেকে আসে এদের জীবনে কে জানে?
অফিসের কলিগ সম্প্রতি বিয়ে করেছে। সে এখন আর অফিসেই আসতে চায়না। পাঁচটা বাজলেই বাসায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। তার হোম মিনিস্টার নাকি খেপে যাবে পাঁচটায় রওনা না দিলে। এখন আবার সাতদিনের ছুটিতে গেসে। কিছু বললেই বলে, “বউ আছে বলেইতো ছুটি লাগে। বউ চলে গেলে ছুটি দিয়ে কি করবো আমি”? যাক, মানুষজন আনন্দ করুক। দুইদিনের জীবন। কি হবে এতো কাজ করে? উনার বেশীর ভাগ কাজ এখন আমাকে করতে হয়। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি তবু মনে হয়, বেচারা তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ভালো থাকুক। আমার আর কী! আমার জন্যতো আর কেউ অপেক্ষা করছেনা। আমি বরং কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাই।
মেয়েটা সবসময় ছেলেটার কাছাকাছি থাকতে চাইতো। কিন্তু ছেলেটার কাছে মেয়েটার জন্য কোন সময় ছিলনা। পরে একদিন দুইজন পাহাড়ে বেড়াতে যায়। মেয়েটা হঠাত পা ফসকে পাহাড় থেকে পড়ে যেতে নিলে বেঁচে থাকার আকুতিতে ছেলেটার হাত আঁকড়ে ধরে। মেয়েটা পড়ে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে অবাক হয়ে দেখে যে ছেলেটা তার হাত ছেড়ে দিল। জানি, খুব আবোল- তাবোল, উলটো- পালটা লিখছি। আসলে মনটা ভালো নেই।
খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। সিমি খালা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “কেউ কথা রাখেনি” কবিতাটা আবৃত্তি করতো। ও খুব সুন্দর আবৃত্তি করতে পারতো। আমি হাঁ করে শুনতাম, যদিও কোন অর্থ বুঝতাম না। তবু কবিতাটা আমার শুনতে খুব ভালো লাগতো। আমি শুধু বুঝতাম, কে যেন কাকে দেখিয়ে লজেন্স খেতো কিন্তু দিতোনা। আর বুঝতাম, ১০৮ টা নীল পদ্ম এনে দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু দেয়নি। কে বা কারা এবং কেন, সেটা বুঝতাম না। তখন থেকেই নীল পদ্ম জিনিসটা আমার মাথায় ঢুকে গেছে। আমি মনে মনে ভাবতাম, নীল পদ্ম নিয়ে কেউ কোন একদিন আসবে আমার কাছে। যদিও এখন পর্যন্ত নীল পদ্ম দেখার সৌভাগ্য হয়নি। মানুষতো কত কিছুই চিন্তা করে, বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নেই। চিন্তার রাজ্য অসীম কিন্তু বাস্তব বড়ই কঠিন। নীল পদ্মের জন্য আমি আজো অপেক্ষা করি। কবিতাটা যখনই আমার শুনতে ইচ্ছে করতো আমি সিমি খালাকে বলতাম, “সিমি, তুমি আমাকে লাঠি লজেন্সের কবিতাটা একটু শোনাওনা। ওই যে কারা যেন লজেন্সটা দিতে চাচ্ছেনা”। আমার কথা শুনে ও খুব হাসতো আর আমি বিরক্ত হতাম।
অনেক দিন বিকেল দেখিনা। আমার জীবন থেকে বিকেল হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে রাধাঁচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, জারুলেরা। কদম ফোয়াড়া থেকে ছিটে আসা পানিরা এখন আর আমার গালে পরশ বুলিয়ে দেয়না। হারিয়ে গেছে আমার “মানি”র লেখা আদুরে চিঠিগুলো। আমার বড় মামীকে আমি “মানি” ডাকতাম। নানুরা যখন আমাদের থেকে দূরে বাসা নেয় তখন “মানি” প্রতিদিন একটা করে চিঠি লিখে ওর অফিসের পিওন দিয়ে আমাকে পাঠাতো। আমিও চিঠির উত্তর পিওনের কাছে দিয়ে দিতাম। খুব আদরে ভরা সেই চিঠিগুলো শুরু হতো “মামণি” দিয়ে। আর কোথাও আমার নাম লেখা থাকতো না। নামের বদলে লেখা থাকতো কুটকুটি, পুটপুটি, জলকন্যা, চাঁদের কনা এই ধরণের শব্দগুলো। হারিয়ে গেছে আমার মানির দেয়া অসংখ্য চিঠি। মানি মারা যাওয়ার পর আমি অনেকদিন আকাশের তারাগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর মানি ভেবে গল্প করতাম। আমার বড় মামাকে দেখলাম কিছুদিন খুব কাঁদলো। পরে ঠিক এক বছরের মাথায় আরেকটা বিয়ে করলো। ভালোবাসার মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত।
আমিও হারিয়ে যাবো। অনেক দূরে চলে যাবো একদিন। অনেক অনেক দূরে।
প্লিজ আর হারাইয়া যাইয়ো না প্রিয় প্রিয় আপু, হারিয়ে গিয়ে কেউ ভালো থাকে না - ভালো থাকা সম্ভবই না। কষ্ট একটু বেশি হলেও ভালোবাসা মানুষদের, ভালোবাসার মানুষদের মায়ার আদর গায় জড়িয়ে রাখলে পথচলাটুকু অন্তত চলতে হয় বলে চলার দায় হয়ে দাড়ায় না।
সেটাতো বুঝলাম। কিন্তু তুমি এতোদিন কোথায় ছিলা সেটা আগে বল।
নতুন টাচসেট পাইয়া হিতে বিপরীত হইছে, শান্তিমত কিছু টাইপ করতে পারিনা। বাসার নেট নিয়াও ঝামেলা তাই পিসি থাইকাও নাই।
শেষে ত্যাক্ত ব্র্যাক্ত হইয়া পুরান সেটটা চালু করলাম আবার, জাস্ট ফর এবি।
তোমারে না দেখতে পেয়েতো আমি ভাবলাম তুমি মনে হয় বিদেশ টিদেশ কোথাও চলে গেস। যাক, কোন খানে যাওনাই শুনে ভালো লাগলো।
অনেক দিনের পর,
কারো লেখায় প্রথম মন্তব্য করতে পারলাম!
আহ! শান্তি শান্তি লাগতাছে।
অনেক দিনের পর তোমার কমেন্ট প্রথমে পেয়ে আমারো ভালো লাগল। ভালো থাকো, খুব ভালো।
সেই চেষ্টাতেই আছি, দোয়ায় মনে রাইখো।
তোমার দোয়ায় আমারে রাইখো, আন্টিরে রাখতে বইলো। কারন আমার দোয়ার বিশেষ দরকার।
এতটুকু মেয়ে ! কোথায় না হৈ হল্লা করে চারপাশ মাতাবেন, তিনি আছেন রাশি রাশি বেদনা নিয়ে ! বলি হলো কি আজকালকার ইয়াংদের ? হাসি আনন্দ্ ছেড়ে সাড়াক্ষণ হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে !
রাগ করলেন ? আসলে ঘুম থেকে উঠে বকা দিতে ইচ্ছে হলো । আপনাকেই পেয়ে গেলাম সামনে । তো রাগ করবেননা প্লিজ !
না রাগ করিনাই কাদের ভাই।
আপনার যতো খুশী বকা দ্যান। কোন সমস্যা নাই। 
লেখা ভালো হইছে, কিন্তু এত সেন্টু খায়েন না, সব ঠিক হয়ে যাবে, বি কুল বি স্মার্ট, প্রিয় নামের লোকেরা সকলের প্রিয় হয় এই কথা প্রিয়জনেরা বলে!
আই এ্যাম ট্রাইং ইয়ার, আই এ্যাম ট্রাইং মাই লেভেল বেস্ট
দিনগুলো আসলেই কান্তিময়। বেঁচে থাকুন কান্তির আড়তে। একদিন অন্তিম আবসর আসবে, অপেক্ষা দরকার।
অন্তিম অবসর যাতে না আসে সেই চেষ্টাতেই আছি। কারন আমার অবসরের দরকার নাই।
অবসর ত আপনিতেই আসবে। তখন লুকানো হবে কোথায়?
যখন সময় ছিল, ছিল কল্পনা তখন তোমার সেই মন ছিল না।
আপু, আমি নিতান্তই নির্বোধ প্রকৃতির একটা মেয়ে। আপনার কথা বুঝতে পারি নাই।
কষ্ট করে একটু বুঝায় দ্যান।
আমারতো সবসময়ই মন থাকে। 
আমার খুপড়িটা যদি খুব বেশী খারাপ না হয় তবে মনে হয় এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম। তবে আমার প্রিয় সব জনদের মন্তব্য থেকে বুঝতে পারলাম আপনি ব্লগের অনেক পুরনো ও সবার অতি প্রিয়। আপনার একটি লেখা পড়ে আমিও ভক্ত হয়ে গেলাম।
আপনার ছবি দেখে আপনাকে তো অখুশি হবার মত কিছু দেখি না, তবে মামীর মত এত প্রিয় কাউকে হাড়ালে দুঃখ তো হয়ই। যাক সব দুঃখ কেটে, ফিরে আসুক অনেক সুখ, ভাল লাগা, ভালথাকা।
মানি মারা গেছে আমার সাত বছর বয়সে। ওর জন্য এখন আর তেমন কোন কষ্ট হয়না। আপনি আমার ব্লগ বাড়িতে এসে ঘুরে গেলেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনার তো ব্লগ বাড়ি আছে, তাই সহজেই এসে গেলাম।আমার কিন্তু বাড়ি নেই, রাস্তা বা রেল লাইনের ধারে হুগ্লা বা পলিথিনে মোড়ানো খুপড়ি যাতে মাথা নুইয়ে ঢুকতে হয়। তবু যদি ভুল করে এদিকটা আসেন, একটু জিরিয়ে যাবেন!
হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন। পলিথিনে মোড়ানো বাড়িতে থাকতে হয়তো খুব কষ্ট কিন্তু দেখতে ইন্টারেস্টিং। আমি কখনো এরকম বাড়িতে যাইনাই।
আমি আপনার পলিথিনে মোড়ানো খুপড়িতে ঘুরে আসবো কথা দিলাম। 
চেনা জীবন, চেনা গলপ, চেনা কষট
(
আপনে কই ডুব মারেন একটু বলেন তো?
অফিস আদালত করেন এত রাইতে ব্লগে কি করেন?
ঘুম দেন
কি আশ্চর্য! আমি কি রাতে থাকি নাকি! শুধু মাঝে মধ্যে একটু একটু থাকি।
আপনাকে আমি মাঝে মাঝে হঠাত রাত দুইটা আড়াইটাতেও লগইন দেখেছি
হাহাহাহাহাহা। ভালোই পুলিসিং করতেসেন। আরেকদিন আপনারেও আমি কট করসি চারটার সময়।
আমি ইউটিউব, ফেসবুক আর ব্লগ তিন জিনিস খুলে বই পড়তে বসি! রাত প্রায় প্রতিদিনই এখন তিন চারটা বাজাই। বেকার মানুষ, দশটা অবধি ঘুমালেও কিছু যায় আসে না!
এতো বেকার বেকার কইরেন না। চাকরি একবার শুরু করলে তখন "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" অবস্থা হয় দেইখেন। তাই যতদিন চাকরি শুরু হয়নাই এনজয় করে নেন।।
গত তিন বছর হয়ে গেল বিবিএ শেষ করেছিলাম, তারপর এক টেস্ট ম্যাচ টাইপের এমবিএও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর কাহাতক বেকার বিলাস? আমার মতো সময় উপভোগ কেউ বাপের জন্মেও করে না!
আমার এমবিএ শেষ হলো ডিসেম্বরে। আমি ৪ আউট অফ ৪ পেয়েছি ফাইনালে।
আপনি তো দেখি মেধাবী, আমার এম্বিএতে মন ছিল না, সারাদিন চায়ের দোকান ও আড্ডা, তাই কোনো রকমে থ্রি!
আমার আপনার মতো ফ্রেন্ড সার্কেল থাকলে আমিও সারাদিন আড্ডা দিতাম। হিহি ঠিঠি করতে আমার খুউব ভালো লাগে। আফসুস আমার কোন ফ্রেন্ড সার্কেল নাই।
আন্ডারগ্রেডের একটা বন্ধুও নাই, সব হালায় সিরিয়াস জীবন লইয়া, তাই আমি নিজের মতো হাফ সিরিয়াস বন্ধু খুঁজে নিছি। আন্নে তো চাকরী বাকরী করেন, ওতো বন্ধু বান্ধব থাকলেও লাভ নাই, না থাকলেও ক্ষতি নাই। আর আমার সব চাইতে বড় বন্ধু বই, ব্লগ আর ফেসবুক!
ফেসবুকে কি করেন? আমি সারাদিন ক্যান্ডি ক্রাশ খেলি। ৫০০ লেভেল এ আসছি। খুউব মজা লাগে।
আমি ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দেই, লুটুপুটু গান শেয়ার দেই, লোকজন পাইলে গপসপ করি, আর টিকারে মাইনসের কাজ কাম দেখি, সময় সুযোগ পাইলে এড দিয়েন!
ঘুম দেন রাইত মেলা হইছে। হুদেই প্যাচাল পারলাম!
লুটুপুটু গান নিয়ে স্ট্যাটাস আমিও দেই তবে জ্বালাময়ী দেইনা। আমার মধ্যে জ্বালাময়ী ভাব কম
মানুষের ন্যাকামী মার্কা ছবি, স্ট্যাটাস দেখি আর বিরক্ত হই। গপসপ কম করি। কারন মানুষজন আমারে বিশেষ একটা পছন্দ করেনা।
আর বেশী করে ক্যান্ডি খেলি। এজন্য আমারে অনেকে ক্যান্ডি ডাকা শুরু করসে। আপনি ক্যান্ডি খেলেন না? আর আপনারে পামু কনে? বরং আপনিই আমারে খুঁজে বের করেন। এটা আপনারে টাস্ক দিলাম। 
বাইর করতে পারবো না। ছোটবেলা থেকেই হোম টাস্কে কাঁচা। খুলনায় প্রতি ঘন্টায় মাইর খেতাম স্কুলে। বাংলায় আরাফাত শান্ত লেইখা যদি কোনোকালে সার্চ দেন, আমারে পাইবেন আশা রাখি। আমি স্কুল কলেজের বন্ধু বান্ধবরে ফেসবুকে রাখি না। আর গত দেড় বছর ধরে রিকয়েস্টও পাঠাই খুব কম, একেবারে ইগোর উড়োজাহাজ, আগে মেলা লাইক লুইক পাইতাম এখন দুই তিন হালি পাই মাত্র, আমি এক কালে ফার্ম ভিলে খেলতাম, সেই খেলা সেই কবেই বাদ, এখন আর খেলাধুলা মনে ধরে না।
গুড। লাইক কম পাওয়াই ভালো। আরেকদিন দেখি কে যেন মৃত্যু সংবাদ দিসে তাতেও ডজনখানেক লাইক। ভয়ংকর অবস্থা। আচ্ছা এখন যাই। আমি অফিসের একটা রিপোর্ট লিখতে বসছিলাম। তার অবস্থাতো এখন দেখতেই পাচ্ছেন। এখন অফ লাইন না হইলে রিপোর্টটা আজকে রাতে আর শেষ করতে পারবোনা। খুদা হাপেজ।
সব দোষ তো আমার, প্যাটপেট শুরু করিলাম আমি, কাল রিপোর্ট না নিয়ে গেলে সব দোষ আমার। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ঘুমায়া পড়েন জলদি~!
জলদি ঘুমায়া পড়লে রিপোর্ট লিখবে কে? এখানেও তো মেয়েঘটিত সমস্যা। আমার বস মহিলা। যদি আমি টাইমলি কালকে ওইটা না দেখাইতে পারি তাইলে আমার উপর ঝাপায়া পড়বে।
কিন্তু ছেলে কলিগের ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাপার ভিন্ন। 
মন্তব্য করুন