মাওলা আলীর অভিষেকে প্রাচ্য ভাবগীত ও লালনের কালাম
আমি অবাক। এইটা কবে হল কিছুই জানিনা। অথচ এর আশে পাশে কত আড্ডা দিয়েছি। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ভিতর এই এম্ফি থিয়েটার বানানো হয়েছে জানতামইনা। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল চারটায়। বাঙালের সময়ে কাজ শুরু নিয়া আবার ধরা। পোনে পাঁচটায় আমি আর তৈমুর পৌছলাম তখন শুরুর কোনো লক্ষণ ই নাই। আমরা আসছি বিশ্ব লালন পরিষদের প্রাচ্য ভাবসংগীতের অনুষ্ঠান শুনতে। খবর পেয়েছি পোস্টার দেখে। যদিও এরা কারা, কী করে কিছু জানিনা। তবে স্টেজের ব্যাকগ্রাউনড দেখে ভিরমি খেলাম। মাওলা আলীর অভিষেক। মানে কী কে এই আলী? তারপরে লালনের নবি নিয়ে এক গানের কয় লাইন। লালনকেও মুসলমান বানাবে নাকি ওরা! মেজাজ খারাপ। তবে জায়গাটা ভাল। অগ্রাহায়নের বিকালের হালকা ঠান্ডায় বেশ একটা ভাল লাগা ছিল।
আমরা তখন জাতি জগত মহাগজতের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকলাম। মিনিট কয়েকের মধ্যেই শশাঙ্ক চলে আসল। শশাঙ্ক, মাওলা আলী এই সব দেখে শুকনা মুখে জিজ্ঞাস করে এইটা কোন লালন। আমি বলি বুঝতাছিনা ভাও। জোয়ান আগে আসার কথা। দেরি দেখে তৈমুর ফোন দেয়। ছবির হাটে আসছে কিন্তু এম্ফি থিয়েটার চিনেনা। তৈমুর বিস্তর দিক নির্দেশনা দিলে আসতে পারে শেষ পর্যন্ত।
আমরা তখন আড্ডা দিতে থাকি। কিন্তু গান শুরু হওয়ার লক্ষণ তখনো দেখা না যাওয়ায় হতাশ হই। পাশে আরেকটা গানের মজমার আওয়াজ পাওয়া যায়। আমি আর তৈমুর খোঁজ নিয়ে আসি কিসের মজমা। ঐটা আসলে ভ্যারাইটি শো। টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। অনেক কাল আগে একবার ভ্যারাইটি শো দেখছিলাম। যাত্রার প্রিন্সেস দের নাচ। জোয়ান জেঙ্গিস কে ফোনে খাবার আনতে বলে। জেঙ্গিস গর্মাগরম পিায়াজি, চপ বেগুনের সাথে বেসনে চুবানো ধনেপাতার মুঠা ভাজা আনে।
আমরা তখন সেই ভাজা পোড়া তেতুলের সস দিয়ে খাই। জোয়ান ভিক্টোরিয়াকে ফোন দেয়। অবশ্য ভিক্টোরিয়া এম্ফিথিয়েটার খুঁজতে গিয়া টিএসসিতে সাত পাক দিয়ে ফেলে। তারপর আসে সেকান্দার শাহ। এরমধ্যে বিশ্ব লালন পরিষদের আহ্বায়ক (সম্ভবত:) আব্দেল ভাষণ শুরু করে। আমরা জানতে পারি এই আলী হল হযরত আলী। যার কথা কোরানের শেষে ছিল যে, আলীকে ভালবাসলে আল্লাহকে ভালবাসা হয়। সেইটা কোরান থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এবং আবুবক্করদের ভোগবাদী ইসলাম বাদ দিয়ে আলীর সঠিক ইসলাম অনুসরণের জন্য আহ্বান শুনতে পাই। তিনি তখন কয়েকজনকে ভাষণ দেয়ার জন্য মঞ্চে ডাকেন।
আমরা তখন দেখি একজন জোব্বা পাগড়ি পড়া লোক যে নাকি আওলাদে রসুল মঞ্চে এসে বসে। আমার মাথায় চিন্তা হুমড়ি খায়, কারবালায় না নবির বংশ ধ্বংস হয়ে গেল, তাইলে এই আওলাদ আসলে কীভাবে! সব ধর্মের সম্প্রীতির একজন গেরুয়াধারি মঞ্চে আসেন। আরো দুই একজন আসে কারা এখন মনে করতে পারছিনা। এদের মধ্যে একজন তারপর ভাষণ শুরু করে। উনি বলেন আপনারা হয়ত জানেননা আমারই ৪৫ বৎসর লেগেছে এই সঠিক ধর্ম জানতে। উনি তখন ওহুদ না বদরের ময়দানে হযরত মোহাম্মদ মাইক ছাড়া ভাষণ দিলেন বাট আল্লার কাছ থেকে কোনো কেরামতি না নিয়া এই সম্পর্কে বলতে থাকেন।
আমরা তখন যাকে বলে ধুমাইয়া আড্ডা দিতেছি। একমাত্র জেঙ্গিস দেখলাম মনোযোগ দিয়া ভাষণ শুনছে। একজন বলল ছবির হাটের কাছাকাছি যে লালন চর্চা কেন্দ্র আছে সেইখানে গান হচ্ছে। প্রতি বৃহস্পতিবার সেইখানে লালনের গান হয়। আজকে শিওর ছিলাম না তবু আমরা ভাষণ শোনা বাদ লালন পরিষদকে দিক্কার দিতে দিতে সেইখানে যাই। ঢোল হারমোনিয়াম বাদ্য সহকারে গান চলছে। আমরা গাছের গুড়ির উপর বসে গান শুনি।
আমরা তখন সাধু সেবার জন্য কিছু টাকাও দেই। এতক্ষণে আমাদের খুব ভালো লাগে যেটা শুনতে এসেছি সেটা পাওয়ার জন্য। তারপর ভিক্টোরিয়া ও জোয়ান চলে যায়। গানেরও বিরতি হয় নামাযের জন্য। জেঙ্গিস টিএসসি যায় তার বউ সুলতানাকে আনতে।
আমরা তখন সেকান্দারের সাথে তুমুল তর্কে মেতে উঠি। জিনিসটা সেকান্দারই শুরু করে ঢাকা শহরে এক ছেলে এক মেয়েকে ওপেনলি চুম্বন করেছে আর সেই ছবি ফেসবুকে দেয়া নিয়ে। সমাজের কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় পরে যায় সেকান্দার। তারপর আলোচনা ধর্মের দিকে চলে যায়। সেকান্দার বলে কেউ কোরান পড়লে খারাপ কাজ করতে পারবেনা। দারায়ুস তাকে বাধা দেয়, তুমি কোরান পরছ? সেকান্দার বলে না, আমার বন্ধুর কাছে শুনছি। তৈমুর বলে কোরানে কাফেরদের মারার কথা আছে জানো। ইসলামতো শান্তির ধর্ম, যখন ইসলাম স্টেবল হওয়ার জন্য ফাইট করেছে তখন মারামারির কথা কোরানে আসছে যখন স্টেবল হয়েছে তখন শান্তির কথা বলেছে, সেকান্দার বলে। শশাঙ্ক বলে শান্তি কই দেখলা। খালি তো মারামারি কাটাকাটির ইতিহাস। চার খলিফার একজন ছাড়া বাকি সবাই নিহ্ত হয়েছে। এইভাবে সবাই সেকান্দারকে চেপে ধরে। তখন জেঙ্গিস ও রাজিয়া আসে। সে তার বউকে শুনিয়ে চার বিয়ে করে নবীর সুন্নত পালন করতে চায়। রাজিয়া বলে নবীতো চারটার চেয়ে বেশি বিয়ে করেছিলেন। তৈমুর বুঝিয়ে দেয়, নবি করেছিলেন বেশি বাট সাধারণ মানুষের জন্য এট এ টাইম ম্যাক্সিমাম চারটা। জেঙ্গিসকে একটু হতাশ মনে হল মাত্র চারটা জেনে। তখন দারায়ুস বলে বিয়ের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার কী ক্রীতদাসী রাখেন না কেন যতখুশি তত, কোনো লিমিট নাই। সবাই আবার সেকান্ডারকে বুঝায়, আসলে ধর্মের ঝামেলাটা হল সব ধর্মই নিজেরে বলে আই এম বিগ য়ু আর স্মল। আই এম রাইট য়ু আর রং। আমি ভালো সো তুমি খারাপ। আর এইটা থেকে ধর্মে ধর্মে গেঞ্জাম লাগে।
আমরা তখন এইভাবে ধর্মীয় আলোচনা করছিলাম। তারপর আসে ধর্মপাল ও নেফারতিতি। সাথে লক্ষী। আমাদের আলোচনা চলতে থাকে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে। ধর্মপাল বলে বৌদ্ধ কোন ধর্ম না। দারায়ুস বাধা দেয়, কেন। এটায় স্রষ্টা নাই বলে? পাল বলে না, ধর্মীয় অনুশাসন নাই। শুধু সামাজিক উপদেশ। দারয়ুস যুক্তি ছাড়ে, না ধর্মীয় অনুশাসন স্প্স্ট করে বলে দেয়া আছে। ত্রিপিটকের তিনটা খ্ন্ড। বিনয় পিটক, সুপ্ত পিটক, অভিধম্ম পিটক। অভিধ্ম্ম পিটকেই বলা আছে ভিক্ষুদের জন্য ডিটেইলস অনুশাসন। জেঙ্গিস বলে, ওরা যে বুদ্ধ মুর্তিকে পূজা করে এইটা কি বৌদ্ধ ধর্মে আছে? বুদ্ধের সময় করত? নবি মোহাম্মদ কি মিলাদ পড়তো, দারায়ুসের পালটা প্রশ্ন। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দু ধর্ম থেকে নেয়া একটা অংশ বলতে পারেন, জন্মান্তার, পূজা, অবতারবাদ ইত্যাদি হিন্দু ধর্ম থেকে নেয়া, জেঙ্গিস বলে। দারায়ুস একমত হয়। নেফারতিতি তখন বলে, বুদ্ধ মেয়েদের অনেক খারাপ বলছে। মেয়েদের সংস্পর্শে নির্বান লাভ হবেনা এমনো বলছে। দারায়ুস বলে, গৌতম বুদ্ধত্ব লাভের পর সুজাতার হাতের পায়েশ খেয়েই কিন্তু রোযা ভেঙেছিল। দেখো অনেক ধর্মের চেয়ে বৌদ্ধ ধর্মে কিন্তু মেয়েদের অনেক অধিকার দেয়া হয়েছে। সংঘ প্রতিষ্ঠা করা ভিক্ষু হওয়ার অধিকার। নান তো অন্য ধর্মেও হতে পারে এইটা আর স্পেসাল কী, নেফারতিতি সন্তুষ্ট না। এইভাবে নানা ধর্মীয় আলোচনা আমরা করতে থাকি। একবার নেফারতিতি বলে উঠল মুতাজিলা মুতাজিলা। আমরা বলি এইটা কী? ধর্ম পাল বলে খারিজি। দারায়ুস বলে খারিজি না। খারিজিরা তো গোঁড়া। মুতাজিলা সম্ভবত মুসলমানদের মধ্যে একমাত্র যুক্তিবাদি সম্প্রদায়। ওরা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাসে বিশ্বাসি ছিল না। এবং যুক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় বিধান ব্যাখ্যা করত। একটা উদাহরণ দেই, ওরা বলত মৃত ব্যাক্তির জন্য দোয়ার কোনো গুরুত্ব নাই। যেহেতু দুনিয়ায় যে কাজ করেছে তার ভিত্তিতেই সে কর্মফল ভোগ করবে। তার জন্য দোয়া করলে যদি মৃত ব্যাক্তির উপকার হয় তাহলে আল্লাহর যে ন্যায় বিচার প্রতিস্ঠা হয় না। এই গ্রুপটা প্রথমে হাসান বসরির শিষ্য ছিল। এইরকম প্রচলিত ব্যাখ্যার বাইরে নতুন মত দেয়ায় হাসান বসরি বলল, ইতাজিলা আন্না অর্থাৎ সে আমার দল ত্যাগ করেছে। তারপর তাদের নাম হয় মুতাজিলা। কিন্তু ইসলামের এই যুক্তিবাদি ধারাটা বেশিদিন স্থায়ি । গোঁড়া দের চাপে এবং পৃষ্ঠপোষক খলিফা বংশের পতনের পর এই মতবাদও শেষ হয়ে যায়।
এরপর আবার গান শুরু হয়।
আমরা তখন এক পাগলের গান শুনতে থাকি। পাগল লালনের গানের সাথে নিজের কথা মিশিয়ে বিশাল এক গান গায়। এইখানে গানশুনে আমরা আবার এম্ফি থিয়েটারে যাই। এই আশায় যে আলোচনা শেষ এতক্ষণে গান শুরু হয়েছে। দেখা গেল আসলেই গান শুরু হয়েছে। কিন্তু হযরত আলিকে নিয়ে হামদ জাতীয় গান । আমাদের মেজাজ খারাপ হয়। না এর পরে বাউল জীবন ফকিরের লালনের গান আমাদের হাম্দীয় হতাশা দূর করে দেয়। ভাল লাগে তার স্টাইল এবং উদাত্ত গলার গান। আমরা হট প্যাটিস খাই বিড়ি খাই । আমরা গান শুনি। সেই পাগলা এইখানেও। পাগলা সারা স্টেজে দৌড়াদৌড়ি করে নাচে। তারপর একসময় সেও গান গায়। তার নাচ এবং গানে দর্শক অনেক বিনোদিত হয়। সারা রাত গান হবে। মাঝ রাতে হবে হিন্দি, পার্সি , উর্দু, কবীর, নানক, হাফিজের ভাবগীত। মনে আফসোস হয় শুনতে পাবনা বলে। রাত হয়ে আসলে তারপর আমরা বাসার দিকে ফিরি।
আমরা তখন আবার চা সিগারেট খাই। অন্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার পথে রিক্সায় উঠি। লালনকে শিয়া বা মুসলমান বানানোর জন্য আমরা সবাই ক্ষিপ্ত ছিলাম। যেই লালন জাতের বিভেদের বিপক্ষে বলে গেছে। আর ওরা তাকে আলীর অবতার বানিয়েছে! কিন্তু পরে মাথায় আসে এইসব ইসলামি গান ও তো লালন লিখেছে। তাইলে ওদের দোষ কী? নবী না মানে যারা .. কাফের তারা. এইটা তো লালনেরই লেখা!
[আমার লেখার যে মান! সেইটা আবার কাউকে উৎসর্গ করা বড় ধরণের আহ্লাদ হয়ে যায়। তারপরো সাহস করে মীর কে উৎসর্গ করলাম লেখাটা ]
রায়হান ভাই কী লিখলেন এইটা! অসাম, অসাম
অনেক দিন পর কালকে রাতে ফেরার পর ব্লগ লিখতে ইচ্ছা হল।
ধইন্যা রায়হান ভাই। অনেকদিন পর লিখলেন এবং দারুণ ভাবে ফিরে এলেন
আমার এন্টেনায় ধরে নাই।কোন দিক দিয়ে কী লিখলেন রায়হান ভাই?
রাসেল তুমি বুঝবানা ব্যাপার আছে
ব্যাপার যে কিছু আছে তা বুঝাই যাচ্ছে।
@রাসেল, মনে কর একটা কাল্পনিক সন্ধাপঞ্জি
পুরাটা পড়ে আবার নাম দেখলাম। না ঠিকই আছে, আমগো রায়হান ভাই। সব বুঝি নাই কিন্তু
এইটা আপ্নে দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে লিখছে...
হ মাসুম্ভাই দিক্কারের কাজ না করলে মাসুম্ভাইরে উৎসর্গ করতাম।
তৈমুর, জোয়ান, জেঙ্গিস, ভিক্টোরিয়া, রাজিয়া সুলতানা, সেকান্দার পর্যন্ত চিন্তে পারছি। ধর্মপাল, নেফারতিতি আন্দাজ করছি মোটামুটি সিওর। কিন্তু শশাঙ্ক, দারায়ুস চিনলাম নাহ!
ভাব্লাম মজা করে গানের আসরে গেছে, এতো আসলেই ওয়াজ মাহফিল!
একটু চিন্তা করো ... শশান্ক টা টাফ হইলেও দারায়ুস রে চেনা এহেবারে সহজ
জানতাম ধরতে পারবা
কড়া লিখছেন রায়হান ভাই। দারুন লাইক হইছে
থেন্কু
আমি নিশ্চিত, আপনে এই লেখাটা যার যার নামে লিখে, তারপর Ctrl+F, Ctrl+v দিয়ে খুঁজে নতুন নাম বসাইছেন..
সার্টেনলি নট।
খাইছে আমারে !!!
পাব্লিক তো কিছুই বুঝবো না
মেসবাহ য়াযাদ ছাহেবের কথা তখন মাথায় ছিল। সেইটাই ফলো করে লিখছি। উনি বলেছিলেন, মতি ভাই বলেছেন তোমরা যখন নিজেরা বলবা তখন ব্যাক্তিগত। কিন্তু প্রকাশ করবা তখন ব্যাক্তিগত থাকবেনা তাই সেইটা মাথায় রাখবা।
এই নাম দেখে মানুষ চিনবে না । রায়হান ভাই জটিল পোষ্ট দিলো বহুদিন পর।
হ এইবার সবাই একে একে কয়ে ফেলান কে কোন নাম ভুমিকায় অভিনয় করছেন?
জয়িতা ঠিকই বলেছে রায়হান ভাই। এক কথায় জটিল পোষ্ট। অনেকগুলা ব্যাপার নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু ধৈর্য্য খালি বাধ সাধে। তবে এটা বলতে পারি এবং বই টই পড়ে যা জেনেছি যে বাউল ধর্মের আবিষ্কারক লালন না হলেও তিনি নবী বিশ্বাস করতেন। তার গান গুলোতে এবং বাঊলদের ধর্ম পালনের ধারায় তার প্রমান আছে। যদিও বাউল ধর্মের অনুশাসনে অনেক ধর্মের অনুশাসনের মিশ্র প্রতিকৃতি দেখা যায়। যেমন ধরেন বাউলদের জীবিকা নির্বাহের পদ্বতি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতো, বাউলদের গুরু শিষ্য পদ্ধতি এবং গুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর পদ্ধতি শিখ ধর্মের অনুকরনে পালনকৃত। আবার বাউলদের ধ্যান সাধনা এবং গুরুদক্ষিনার পদ্ধতি প্রায় প্রত্যেক ধর্মেই একই রকম। বাউলরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করলেও তাদের মতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিকৃতি মানুষে প্রকাশিত। এই ব্যাপারগুলো ছাড়াও বাউলদের জীবন ধারনে একেবারেই স্বতন্ত্র বিভিন্ন বিষয়াদির উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য। এই সব কারনে বাউল ধর্মকে একটা আলাদা স্বতন্ত্র ধর্ম বলাই ভাল এবং বাউলরাও সেটাই বিশ্বাস করে। বাউল ধর্মকে কোন বিশেষ ধর্মের শাখা বা এই ধর্ম কোন বিশেষ ধর্ম হইতে আবির্ভূত বলার অবকাশ নাই যেটা করার একটা ভাল রকমের প্রচেষ্টা করা হয়েছে দেখলাম মনের মানুষ ছবিতে আর আপনার বর্ননায় বিশ্ব লালন পরিষদের কর্মকান্ডে।
বিশ্ব লালন পরিষদ হাস্যকর ভাবে লালনের একটা গানকে আলীকে প্রচারের জন্য ব্যবহার করেছ। যদিও সেইখানে আলী সম্পর্কে লালন কিছুই বলে নাই। ওরা হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের মত অবতারবাদের কথা বলতে চায়। যে লালন মাওলা আলীরই অবতার।
লালন সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ লালন মোল্লা গান, সুফি গান, হিন্দু গান এমন বিভিন্ন ধরণের কালাম দিয়েছে। শেষে লোকজন সংশয়ে পরে গেছে এই লোকের ধর্ম আসলে কী। তখন লালন ফাইনাল কথা বলেছে এই কালামে, সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে..
..লাভ য়ু রায়হান ভাই। চেনাজানা পরিমণ্ডল নিয়া চমৎকার একটা লেখা এবং
ততোধিক চমৎকার একটা উৎসর্গ
পড়ে রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক নাম সম্পর্কেও একটা ধারণা জন্মাইলো
ছেলেরা ছেলেদের উৎসর্গ করে ক্যান আমরা কি মরে গেছি
ঠিকই আছে। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই।
আর আপনেরা মনে হয় উৎসর্গ পানই না?
কিয়ার ভাই, কোন ভাই-টাই নাই ইয়ে মানে উৎসর্গ পাইলে ব্যাপক ভাল লাগে
কথা ঠিক। উৎসর্গ পাইলে ব্যপক ভালো লাগে।
সুতরাং রায়হান ভাইকে আবারো
যাই বেসন দয়ে ভেজে খাই।
১. জেঙ্গিসের সাথে একবার দিলেন রাজিয়ারে আবার আরেকবার দিলেন সুলতানারে। দুজন কি একই ব্যক্তি নাকি ভিন্ন। একই ব্যক্তি হলে নাম কি সুলতানা রাজিয়া নাকি রাজিয়া সুলতানা? জেঙ্গিসকে জিজ্ঞাসা করাতে সে উত্তর দিল- দুজন আলাদা হলে সে খুশি হবে।
২. যদিও টুকটাক মিসটেক আছে কথাবার্তায়; তবে ৫% ক্ষেত্রে একজনের কথাবার্তা আরেকজনের মুখে ঢুকে গেছে। ব্যাপার না; ঘটনা হলো, আপনি যে এতোগুলো কথা মনে রাখতে পেরেছেন আমি এতেই অভিভূত। এবি ব্লগের পক্ষ থেকে আপনাকে 'স্মরণশক্তি অব দ্য ইয়ার' পদক দেয়ার প্রস্তাব রাখছি।
৩. লেখায় ধইন্যা পাতায় দেবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আপনিই তো লিখলেন ধইন্যা পাতা বেসনে চুবায়া ভেজে খাওয়া যায়। তাই আর সেটার অপচয় করলাম না।
বেসন ভাজা খাইবেন নাকি আজকে?
বাবর থুক্কু , গৌতমকে প্রশ্ন
নাহ্ আজকে আর যামু না।
আমার প্রশ্নের উত্তর কই?
রাজিয়া সুলতানা যদি জেঙ্গিসের এই দিলের খায়েসের কথা জানতে পারে, তবে আদতেই সে কেবল রাজিয়া আর সুলতানা রে দুইজন হিসেবে পাইবেন না, বাকি সবকিছুই তার কাছে দ্বিগুন প্রতিভাত হইবে, শুধু দ্বিগুন কেন চারগুনও হইতে পারে সংখ্যা!
জেঙ্গিসরে আপনার মন্তব্য দেখাইলাম। ব্যাটা হাসে, কয় রাজিয়ার কাছ থেকে নাকি চার খানের অনুমতি সে পাইসে!
খুব ভালো লাগলো।
জেনে ভাল লাগল।
এক কথায় চমতকার।
ধন্যবাদ।
চমৎকার লিখেছেন গুরু।
ছবির মত হয়েছে।
ধন্যবাদ জালাল ভাই।
জালাল ভাইয়ের শুভেচ্ছা থাকল।
বেশ দারুন আড্ডা দিয়েছেন বুঝা যায়! আমি নিজে অবশ্য এরকম জ্ঞানীদের আড্ডায় চুপচাপ থাকি, সবার কথা শুনার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে একটু-আধটু তাল দিই!
পোস্ট ভাল হয়েছে, তবে আরেকবার সম্পূর্ণ পড়ে প্রবাহটা আরেকটু ঠিক করলে যারা আড্ডায় ছিল না তাদের জন্য সুবিধে হত।
উল্লেখ্য চার বিয়ে করা নবীর সুন্নত না!! পোলাপাইন যেদিকে সুবিধা পাইব সেদিকে খালি নবীর সুন্নত বানাইয়া কাম সারতে চায়, হেহে!
এইটা একটা ফান পোস্ট নারু। সিরিয়াস কিছুনা।
ঘটনা বুঝতে পারছি শুধু চরিত্র চিনতে পারি নাই। আপনার সাথে আলুচনা করতে হবে
কীসের আলুচনা?
বুঝি নাইক্কা
মন্তব্য করুন