ঝলমলিয়ায় সনাতন মেলায় - ২
সনাতন বিশ্বাস ঢাকার চারুকলা থেকে পাশ করা অকাল প্রয়াত প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। অবাক লাগে এই অজ পাড়া গাঁর সাধারণ বাড়ি থেকে একজন রাজধানীর চিত্রশিল্পের অঙ্গনে নাম লিখিয়েছিলেন। তার থেকেও অবাক লাগে মৃত্যুর পরও বন্ধুরা বছরের বছর কী চমক্প্রদ আয়োজন করে যাচ্ছে বন্ধু স্মরণে। সনাতন মেলা মূলতঃ সানতনের চিত্রশিল্পী বন্ধুদের উদ্যোগে প্রতি বছর হয়ে থেকে ঝলমলিয়ায় সনাতনের বাড়িতে। সনাতন স্মরণে র্যালি, গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের রং তুলিতে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, সনাতনের চিত্র প্রদর্শনী, মাতম, গানের আসর এসব নিয়েই সনাতন মেলা। আর এই সব আয়োজন তার বন্ধুরা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কী অসাধারণ বন্ধুত্ব!
সকাল নয়টার পর র্যালির শুরু। আর টিভির ক্যামেরাও হাজির মেলা কাভার করার জন্য। ছোট ছোট শিশুদের প্রত্যকের হাতে একটা করে গোলাপ ফুল। গান গেয়ে দিঘী প্রদক্ষিণ করে সনাতনের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সনাতনের চিত্র কর্মের প্রদর্শনী।
খানিক পর শুরু হয় শিশুদের রং তুলি দিয়ে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। সারা গ্রামের বাচ্চারা মনে হয় এই দিনের অপেক্ষায় থাকে। ভোর থেকেই ওরা এসে ভিড় করে। মা দেরও আগ্রহ কম না। এই মেলা না হলে এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা হয়ত রংতুলি দিয়ে ছবি আঁকার সুযোগ পেতনা। মেলা সে সুযোগ করে দিচ্ছে। কে জানে হয়ত এদের মধ্যে থেকেই সনাতনের মত শিল্পী উঠে আসবে। মেলার আয়োজকদের মহতী কাজের কথা ভেবে আমি আবার অভিভূত হই।
একটা আর্টিস্টিক্ট ছবি।
এইসব অনুষ্ঠান শেষে আমি আর বিমা বের হলাম গ্রাম দেখতে। নিরিবিলি একটা গ্রাম, মেঠো পথ, লোক জন নাই, বিরান মাঠ, অথবা জঙ্গল ঘেরা দিঘী এই সব আমাদের মত পঙ্গপালের মত মানুষে গিজগিজ করা ঢাকার লোকদের কাছে স্বপ্নীল মনে হয়। যদিও আসল গ্রাম বাংলার ছবি পাওয়া যায় না এখানে। ফসলের ক্ষেতের বদলে চিঙড়ির ঘের। চোখে বিরক্তি লাগে। আমরা হাটতে হাটতে নদীর কাছে চলে যাই। এখানে দেখা যায় ধানক্ষেত। নদীর নাম মোংলা।
সুন্দরবনের মত এই এলাকায় গোল গাছ অহরহ দেখা যায়। এর নাম গোল কেন আল্লাই জানে। লোকজনদের জিজ্ঞাস করে উত্তর পাই নাই। এই গাছের পাতা ঘরের চালে ব্যাবহার করা হয় প্রায় বাড়িতেই। এড় ফল তালের শাসের মত সুস্বাদু। এবং মিস্টি রসও ও পাওয়া যায় গাছ থেকে। খাওয়া হয় নাই কোনোটাই।
ছাগ বান্ধব বিমা।
বিমা ছাগলের বাচ্চাটাকে আদর করতে গেলে ওটা আঙুল চুষতে থাকে। কী মজা পেল চুষতেই থাকে, যতক্ষণনা ওটার মা উদ্বিগ্ন হয়ে বার বার ডেকে বিমার কাছ থেকে নিয়ে গেল।
পুরো জীবনটাই কেটে গেল বিদেশে । দেশের কত কিছুই দেখা হয়নি ! জীবন এত ছোট কেন ভাবি ! আপনি পোষ্টটা নাদিলে এত সুন্দর ছবি গুলো কখনো দেখা হতোনা । সনাতন বা তার মেলার বিষয় জানা হতোনা ! কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেব !
আপনিই বরং আমার ধন্যবাদ নিন , পোস্ট পড়া ও কমেন্ট করার জন্য।
এই ছবিগুলাও সুন্দর । এরকম একটা গ্রামেও এমন আয়োজন, অবাকই লাগে । আবার ভালোও লাগে ।
একটা আর্টিস্টিক্ট ছবি। এটাকে কি আপনি এইরকম করেছেন? ভালোই লাগতেছে
গোলফল আসলেই মিস করছেন । অনেক মজা । আমি খাইছি ।
হ্যা ফটোশপে করেছি।
আমরা ফেরার সময় ভয়ান চালক চেষ্টা করেছিলেন অনেক আমাদের খাওয়ানোর জন্য কিন্তু পথে পাওয়া যায় নাই। নেক্সট টাইম
ছি ছি ছি। বিমা ভাই ছাগ বান্ধব, ঝান্তাম্নাতো?
ভালো লাগলো পোস্টের ছবিগুলো দেখে। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার। শুভেচ্ছা হাসান রায়হান ভাই।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
ভালো লাগলো পোস্টের ছবিগুলো দেখে। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার। শুভেচ্ছা হাসান রায়হান ভাই।
ছবি আবারো ভালো লেগেছে। খড় মাথায় তোলা ছবিটা আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে।
অফট পিকঃ পোস্টের শিরোনামে '' া'' ছুতে গেছে চোখে লাগছে রায়হান ভাই।পোস্টের মধ্যেও ''সনাতন'' বানানটা স্লিপ অফ টাইপিং আছে।
ভালো লাগলো পোস্টের ছবিগুলো দেখে। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার। শুভেচ্ছা হাসান রায়হান ভাই।
সাধারণ। গুরু কেমন আছেন?
শুন্লাম আপনি নাকি জেল থেকে মুক্তি পাইছেন! ওয়েলকাম ব্যাক টু এবি।
অসাধারণ। গুরু কেমন আছেন?
দারুন লাগলো ।
ছবি আকাঁর মাঠটাকে দেখতে যেন রঙের মেলা লাগছে।
লালভাই তো পুরা কানমাথা বাইন্ধা কাজ করতাছে দেখি!
আর্টিস্টিক ছবিটা বানানির পন্থা শিখার শখ আছে, ক্যামেরাই নাই, তাই শিখতাছি না। তবে একদিন ...
খুবই সোজা পানির মতন।
আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার।
পুরাটা কপি না করায় মাইনাস।
পুরাটা কপি করতেও আলসেমি লাগসে রায়হান ভাই।
ভালো লাগলো পোস্টের ছবিগুলো দেখে। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার। শুভেচ্ছা হাসান রায়হান ভাই।
কপিপেইস্টের মাজেজা বুঝলাম না বইলা বিরত থাকলাম। ঘটনা হইলো আপনি গোল পাতার রস না খাইয়া ক্যামনে আইসা পড়লেন? এইটার এতো সুনাম শুনছি, আমি গেলে না খাইয়া আসতাম না।
পাওয়া টা সমস্যা। ঝলমলিয়ায় খেজুড়ের রস ও পাই নাই।
আর্টিস্টিক্ট ছবি তো পুরাই আর্টিস্টিক্ট হইসে।
ঘরের ছবি দু'টা বেশী ভালো লাগসে।
অসাধারণ বন্ধুত্ব........... এমনও বন্ধুত্ব আছে !!!!
হ্যা অবাক করা বন্ধুত্ব।
আমি আর কিছু না বললাম!
আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার।
চলবে বলে না চালাইলে লোকে কথা বলে, চালাইলে পরে কেউই কিছু বলতে চায় না।
চালানোর জন্যে আমার তরফে একটা ধন্যবাদ নেন। আরো কয়েকটা দারুন ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা।
কালো জলে কুচলা তলে
ডুবলো সনাতন
আজ চারানা কাল চারানা
পায় যে দরশন
ভালো লাগলো পোস্টের ছবিগুলো দেখে। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই চমৎকার। শুভেচ্ছা হাসান রায়হান ভাই।
ঝলমলিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে । কিন্তু . . . .
চমৎকার।
দারুন
সব্বাইকে ধন্যবাদ।
হাতরে অনেক কাজে লাগাইলেন
ছাগলরে আঙ্গুল দেওয়ার অভ্যাসটা গেলো না মুরাদের। ছাগল দেখলেই আঙ্গুল দেয়।
হা হা হা হা
সবই আপনাদের সাথে সাথে থেকে শেখা বড় ভাই
গ্রামের ছোট ছোট শিশুগুলো যখন মাঠজুড়ে বসে ছিলো কি যে দারুন লাগছিলো তখন!!! মনে হচ্ছিল কোন স্বর্গীয় দৃশ্য। এখনো আমার চোখে ভাসে। আমি তখন কিছুতেই চুপচাপ পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। একগাদা কালারপ্লেট হাতে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম শিশুদের হাতে দেয়ার জন্য।
অসাধারন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ট্যুরটাতে, সনাতনের বন্ধুদের আবারো ধন্যবাদ দিতে চাই।
অসাধারণ
মন্তব্য করুন