বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৮
ব্লগে আসা হয় না নিয়মিত। কমতে কমতে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে পোষ্ট দেয়া।
কেন আসা হয় না তাঁর কোন সদুত্তরও নেই। সারাটাদিন ফেসবুকেই থাকা হয় বেশি। ফেসবুকেও করার কিছু থাকেনা , বসে বসে পোষ্ট দেখি, লিঙ্ক শেয়ার দেখি , ছবি দেখি , নোট দেখি আর লাইক দেই। মন চাইলে কমেন্ট।
একরকম জড়তা , অবসাদগ্রস্ততা গ্রাস করছে ধীরে ধীরে। অফিসে আসা যাওয়ার পথে নানা রকম চিন্তা , কতো ভাবনা এসে জড়ো হয় ।ভাবি , ব্লগে একটা পোষ্ট দেই। অফিসে ঢুকলে বা বাসায় ঢুকা মাত্রই কেন জানি উবে যায় কর্পুরের মতন ইচ্ছাটা। লেখা হয়ে উঠেনা। কিংবা হয়তো লেখালেখির যতটুকু শক্তি ছিলো , শেষ হয়ে গিয়েছে। আগেও যে খুব লিখে উল্টায় ফেলতাম, খুব যে ভালো গল্প উপন্যাস লিখতাম - তা নয়। আমি রাইটার নই , তাই বলতেও পারছিনা রাইটার্স ব্লক ।
তবে এখন ঘুরাঘুরি বেড়ে গেছে অনেক। সময় বানিয়ে নিয়েই দৌড় দেই ঢাকার আশে পাশে কিংবা আরেকটু দূরে । সাথে থাকে ক্যামেরা। না , আমি ফটোগ্রাফারও নই। ক্লিক করা আমার শখ। ক্লিক করতেই থাকি ।
অনেক কিছু করার শখ ছিলো, অনেক কিছু হবার শখ ছিলো। কিছুই করতে পারিনি, কিছুই হতে পারিনি। একটা সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন টাই ছিলো কঠিন, লড়াই করতে গিয়ে শখ গুলো কখন যে মরে গেছিল, খেয়াল করি নাই। সময়ের সাথে সাথে আবার কিছু কিছু ইচ্ছা গুলো জন্মাতে শুরু করেছে আগাছার মতন।
জীবনে চলার পথ কখনোই মসৃন ছিল না। এখনো চলছে সেরকম অমসৃন পথে হাঁটা । হয়তো এই কারণেই হাঁপিয়ে উঠি । শুদ্ধ অক্সিজেনের জন্য দৌড়াই কিংবা দূরে গিয়ে ভুলে থাকতে চাই বাস্তবতা কিংবা ফেসবুকের নানান মানুষের ভীড়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই ।
এই ভুলে যাইতে গিয়ে , ব্যস্ত রাখতে গিয়ে মাঝে উদভ্রান্তের মতন দৌড়াদৌড়ি করি। চুপ করে বসে থাকি নিজের মনের আঙিনায় । স্বপ্নের কুয়াশা লাগা চোখে দেখি নিদারুন দাবদাহ। যেন পুড়িয়ে চলেছে অবিরত।
বয়েস তো কম হলো না বেলায় বেলায় এখন কি আর ব্লগিংয়ে মন বসে?
আরো কিছু লিখতে পারতেন যাই লিখছেন তাই মন্দ না!
কত বয়স্ক লোক ব্লগিং করতেছে
আরো কিছু লিখতে পারতাম কিন্তু ঐ যে , পারিনা।
কথাটা দারুন লাগলো, পুরো মেঘলৎ মতো ইংরেজি থেকে বাংলা "make time"
শুদ্ধু না শুদ্ধ হবে
যা আছেন অনেক ভাল আছেন, আশেপাশে তাকিয়ে দেখেনতো কয়জন আপনার মতো আছে
অনেকের থেকে ভালো আছি কিন্তু আবার অনেকের থেকে খারাপ আছি।
আমি উপরের দিকে তাকাতে চাই, উপরে উঠার জন্য।
ভগবান দড়ি ফালা, সাঈদ ভাই বাইয়া উডি যাক

তাও বিয়ে করা থেকে তো ভালো। ধুঁকে ধুঁকে মরার থেকে ।
বিয়ার বয়স হইছে আপনের,
আর কিছু না!
বিয়ার বয়স হয় নাই, হয়ে পার হয়ে গেছে।
ক্যান, ৮০ পার হৈয়া গেছে নাকি?!
বিয়াকৈরালান
ব্লগের হগ্গলের অটো দাওয়াত!

পাত্রী দেখেন। যার বাপের অনেক টাকা আছে, কালো টাকা হৈলেও সমস্যা নাই। অনেক ক্ষমতা আছে । বিয়ের পর বিশাল যৌতুক দিবো । এরকম একটা পাত্রী খুজে দেন, বিয়া করি ।
আরীক্ষাইচে। এরাম পাত্রী পাইলে আপ্নে বিয়া করনেরাগে আম্রারে একখান খব্র দিয়েঙ্গো। মাউলা চাহেতো সুন্নতডি পালন কৈরাই ফেলাইয়াম।
ধুর । কেউ কোন কামের না , হুদাই উপদেশ দেয়।
উফদেস দিসে কোন হালায়? মুই আফনের পাতে দৈদিবার্কৈসি
বিয়ে করেন না কেনু?
সময় তো থাকপেই না। ফেসবুক সারাদিন, নাইলে ঘুরাঘুরি নাইলে দোতলার অতৃপ্ত বিরিয়ানী
হয়ো, সমুস্যা কি?
আপনি বিয়া করেন , আমরা কব্জি ডুবাইয়া খাই।
সাইদ ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে সবাই এতো চিন্তিত কেনও? উনি তো ভালোই আছেন!
আমিও বুঝিনা সবাই কেন এত চিন্তিত ।
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

ধন্যবাদ
ভালই তো লেখেন, এত কম কেন?
লোকজন বিয়ার পরামর্শ দিতাছে দেকতাছি, পরাধীনতা কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি জানতে পারবেন, আগে বিয়াটা করেন !
লিখতে পারি না তাই এত কম।
আপনি আমার মনের কথা টা বলেছেন।
আপনেরে হুদাই ডর দেখায়। মেয়েরা অনেক লক্ষী
কইলেই হইলো
ব্যস্ত রাখতে গিয়ে মাঝে উদভ্রান্তের মতন দৌড়াদৌড়ি করি। চুপ করে বসে থাকি নিজের মনের আঙিনায় । স্বপ্নের কুয়াশা লাগা চোখে দেখি নিদারুন দাবদাহ। যেন পুড়িয়ে চলেছে অবিরত।
খুব ভাল লাগল কথা গুল। কখন কিছু কথা থাকে যা শুনলে মনে হয় কথাটা আমার কত আপন ।
মামা , ওয়েল সেইড!!!
থ্যাঙ্কু মামা
পড়লাম, কি বলিব বুঝিতেছি না।
জীবনের লাইফটা এইরামই!!!!
আসলে , জীবনের লাইফটা এরকমই
কোনো একটা পানীয়র এ্যড ছিল এমন লোকের কথায় কি হয় নিজের তেষ্টার শুনতে হয়। সেইটা মনে করে নিজে যে কাজে অক্সিজেন পাবেন বলে মনে হয় সেইটাই করা ভালো।
ঠিক ঠিক ।
দারুন লেখা.....চলুক
মন্তব্য করুন