সাঈদ'এর ব্লগ
আমার "রচনা সমগ্র"
মুখবন্ধঃ দেখিতে দেখিতে ফেব্রুয়ারী মাস আসিলো। বই মেলা আরম্ভ হইলো । কোকিলের কুহু কুহু করিতে লাগিলো। বইমেলায় লেখকগণের বই আসিবে , মোড়ক উন্মোচন হইবে। নিত্য নতুন বই এর পাশা পাশি পুরনো বই মেলায় আসিবে । আসিবে লেখকদের "রচনা সমগ্র"। এইসব ভাবিয়া দেখিলাম আমারো রচনা সমগ্র প্রকাশ করিবার দরকার। যেহেতু সেই ছোটবেলা থেকেই লেখা লেখি করি ( তাহা যতই অখাদ্য হউক না কেন) কাজেই আমি একজন লেখক । সকলের ন্যায় আমারো তাই "রচনা সমগ্র" থাকা উচিত। যেহেতু ব্লগেই লেখালেখি করিয়া থাকি , তাই ভাবিলাম ব্লগেই আমার রচনা সমগ্র থাকা উচিত।
বিস্তারিতঃ
কথোপকথন
- তুমি আমার পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে আছো আমার চলার পথে। নদীর বুকে জেগে উঠা বালুচর কে বলে নদী ডেকে।
বালুচর নীরব থাকে ।
- আমাকে যেতে দাও মোহনায় । পদে পদে আটকে দিওনা আমায়। দেখো , সমুদ্র আমার অপেক্ষায় কেমন আছড়ে পড়ছে মোহনায় । আকুতি করে নদীর জল ।
দীর্ঘসময় নীরব থেকে বালুচর বলে উঠে -
- চেয়ে দেখ তোমার কষ্টের পলিমাটি ধারন করে করে আজ আমি বালুচর হয়েছি । আর আমাকেই আজ ভুলে যেতে চাইছো তুমি !!! তোমাকে তো আমি আটকে রাখিনি । আমাকে মুক্তি দাও , তুমি যাও তোমার ঠিকানায়। দেখ , আজ আমার বুকে জমেছে কষ্টের ঘাস, শরীরের বাসা বেঁধেছে অনিশ্চিয়তার সোনালী ডানার চিল । তবু নীরবে সব সয়ে যাই আমি ভালোবেসে ।
অভিমানী নদী একদিন তার চলার পথ বদলে ফেলে। বালুচরখানি কে পাশ কাটিয়ে ছুটে চলে আবার মোহনায় মিলবে বলে ।
আমার পংক্তিমালা ১
ফেসবুকে নানান সময়ে নানান মনের কথা স্ট্যাটাসে দিয়েছিলাম। কিছু গানের লাইন, কিংবা কবিতা কিংবা কবিতার ২ লাইন কিংবা নিজের মনের ভিতর থেকে উঠে আসা কিছু পংক্তি ।
মনের ভিতর থেকে আসা সেই পংক্তিগুলোই আজ একসাথে এই পোষ্টে শেয়ার করা ।
১
আমার পাশবিকতা গ্রাস করছে আমাকে ক্রমশঃ ......
২
একটাই জীবন। তবু টেনে নিয়ে যেতে এত কষ্ট !!!!
জীবনের ভার বড্ড বেশী ।
৩
স্বপ্নের খাতায় ধূলো পড়েছে ... পৃষ্ঠা গুলো মলিন , অক্ষর গুলো অস্পষ্ট এখন
৪
জীবন যাপন সহজ করতে গিয়ে আমরা বেঁচে থাকাটাই কঠিন করে তুলছি ।
৫
এ জীবন আমার নয় ......
৬
খন্ডিত ভালোবাসায় পরিপূর্ন আবেগ , সম্পূর্ন মানুষটার আংশিক ছায়া
৭
এই কোলাহলের মাঝেও নিঃশব্দ , সকলের মাঝেও একাকী।
৮
চৌরাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি। চারটি পথই খোলা তবু পালাবার জন্য পঞ্চম রাস্তা খুঁজি ফিরি ।
৯
হায় জীবন ! হায় জীবন !! হায় বেঁচে থাকা !!!
১০
বারিধারা - (ছোট গল্পের অপচেষ্টা)
ভোরের আলো ফুটবার আগে থেকেই বৃষ্টি টা আরম্ভ হয়েছে। জানালা দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ঢুকতেই অয়নের ঘুম ভাঙ্গে। এর আগে মেঘ ডাকার শব্দে কয়েকবার ঘুম ভেঙ্গেছিল তাঁর । গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ছিটা বাতাসের সাথে সাথে জানালা দিয়ে ঢুকছে। মাথার কাছের জানালার গ্রীলের ফাঁক গলে সেই বৃষ্টির ফোঁটা এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে বিছানার চাদর , বালিশ , অয়নের ঘুম কাতুরে মুখ।
মেঘেদের জ্যামে আটকে গিয়েছিল সূর্যের আলোর পথ। ঝির ঝির করে বৃষ্টি প্রথমে আলপনা আঁকে গাছের ধূলা মাখা পাতায়, আলপনা আঁকে জানালার কাঁচে, কংক্রীটের শুকনো দেয়ালে। বেলা বাড়ে , সাথে সাথে বাড়ে আকাশে মেঘের ব্যস্ততা , বাড়ে বৃষ্টির ঝংকার। এক সময় বৃষ্টির হুংকারে স্তব্ধ হয়ে যায় অন্য সব জাগতিক শব্দ।
অনেকক্ষন বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে উঠে বসে অয়ন, মা'র ডাকে।
এই ঘোর বর্ষায়ও মা'র বিরাম নেই - উঠতে উঠতে ভাবে অয়ন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০ টা বেজে ৩০।
হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ - ১
১
মানুষ সিংহের প্রশংসা করে, কিন্তু আসলে গাধাকেই পছন্দ করে।
২
পুঁজিবাদের আল্লার নাম টাকা, মসজিদের নাম ব্যাংক।
৩
সুন্দর মনের থেকে সুন্দর শরীর অনেক আকর্ষণীয়। কিন্তু ভণ্ডরা বলেন উল্টো কথা।
৪
হিন্দুরা মূর্তিপূজারী; মুসলমানেরা ভাবমূর্তিপূজারী। মূর্তিপূজা নির্বুদ্ধিতা; আর ভাবমূর্তিপূজা ভয়াবহ।
৫
শামসুর রাহমানকে একটি অভিনেত্রীর সাথে টিভিতে দেখা গেছে। শামসুর রাহমান বোঝেন না কার সঙ্গে পর্দায়, আর কার সঙ্গে শয্যায় যেতে হয়।
৬
আগে কারো সাথে পরিচয় হ’লে জানতে ইচ্ছে হতো সে কী পাশ? এখন কারো সাথে দেখা হ’লে জানতে ইচ্ছে হয় সে কী ফেল?
৭
শ্রদ্ধা হচ্ছে শক্তিমান কারো সাহায্যে স্বার্থোদ্ধারের বিনিময়ে পরিশোধিত পারিশ্রমিক।
৮
আজকাল আমার সাথে কেউ একমত হ’লে নিজের সম্বন্ধে গভীর সন্দেহ জাগে। মনে হয় আমি সম্ভবত সত্যভ্রষ্ট হয়েছি, বা নিম্নমাঝারি হয়ে গেছি।
৯
বিভক্ত হলো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ।
আজ ২৯ শে নভেম্বর , ২০১১ । জাতীয় সংসদে পাশ হয়ে গেল ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (বিভক্তি) আইন ।
এই আইনের কারণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ২ ভাগে ভাগ হলো - ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিন।
১৯৭৯/৮০ সালের আগে বর্তমান ঢাকা শহরে তিনটি পৌরসভা ছিল । - ঢাকা পৌরসভা, মীরপুর পৌরসভা ও গুলশান পৌরসভা।
১৯৭৯/৮০ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন করা হলো মীরপুর ও গুলশান পৌরসভা কে একীভূত করে । এই একীভূত ছিল সময়ের প্রয়োজনেই। এটা ঢাকা কে দিয়েছে পরিপূর্ণতা ।
বর্তমান সরকার আজ ঢাকাকে আবার ২ ভাগে বিভক্ত করলো । অনেকটা বঙ্গভঙ্গের মতই মনে হচ্ছে বিষয়টা ।
কারণ যাই থাকুক না কেন, এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এই সিদ্ধান্ত জনগণের ভোগান্তি বাড়াবে বৈ কমাবে না। সরকার যেসব যুক্তি দিচ্ছে বিভক্তির পক্ষে , তা মামুলী খোঁড়া যুক্তিই মনে হয়েছে এ পর্যন্ত।
এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবী জানাচ্ছি সরকার বাহাদুরের কাছে।
বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৬
অনেকদিন ধরে ব্লগে আসা হয় না। কিছু লেখা হয়না। লেখা মানে অভ্রের সাহায্যে কী বোর্ডের বারোটা বাজানো।
লেখা বলতে যা বুঝায়, তা তো আর হয় না । তবুও একটু আধটু চেষ্টা। কয়েকটা অবিন্যাস্ত বাক্যের প্রক্ষেপন , কিছু শব্দ চয়ন আর ২/১ টা কমেন্ট আসে - খারাপ লাগে না সব মিলিয়ে ।
সব কিছুরই একটা সময় থাকে , একটা প্রস্তুতি থাকে । ব্লগিং করারও মনে হয় সেরকম সময় , প্রস্তুতি থাকে। গত কিছুদিন যাবৎ মনের অবস্থা ছিল সদ্য বন্যার জল নেমে যাওয়া বিধ্বস্ত জনপদের মতন ।
চারপাশ থেকে বানের জলের মতন আসা একটার পর একটা ঝামেলার মুখোমুখি হতে হতে নিজের উপরেই আস্থা হারাতে শুরু করেছিলাম এক পর্যায়ে। জীবনটা এরকমই। আর আমার পুরো জীবনটাই এরকম - ঝড়ের কবলে পড়া জাহাজের মতন - ডুবে যেতে যেতে আবার ভেসে উঠে । ভেসে উঠেই ভুলে যেতে চাই ঝড়ের মুখে পড়া ভাঙা মাস্তুল কিংবা ছিঁড়ে যাওয়া পালের সাথে জড়ানো জীবনের কথা ।
কাজী মোতাহার হোসেন এর কাছে লিখা কাজী নজরুল ইসলাম এর একটি চিঠি।
১৫, জুলিয়াটোলা স্ট্রীট
কলিকাতা
০৮-০৩-২৮
সন্ধ্যা
প্রিয় মতিহার
পরশু বিকালে এসেছি কলকাতা। ওপরের ঠিকানায় আছি। ওর আগেই আসবার কথা ছিল , অসুখ বেড়ে উঠায় আসতে পারিনি। ২/৪ দিন এখানেই আছি। মনটা কেবলই পালাই পালাই করছে। কোথায় যাই ঠিক করতে পারছিনে। হঠাৎ কোনদিন এক জায়গায় চলে যাবো, অবশ্য দু - দশ দিনের জন্য। যেখানেই যাই, আর কেউ না পাক, তুমি খবর পাবে।
বন্ধু, তুমি আমার চোখের জলের মতিহার, বাদল রাতের বুকের বন্ধু। যেদিন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর আর সবাই আমায় ভুলে যাবে , সেদিন অন্ততঃ তোমার বুক বেঁধে উঠবে। তোমার ঐ ছোট্ট ঘরটিতে শুয়ে , যে ঘরে তুমি আমায় প্রিয়ার মত জড়িয়ে শুয়েছিল, অন্ততঃ এইটুকু স্বান্তনা নিয়ে যেতে পারবো , এই কি কম সৌভাগ্য আমার !!!
আর রৌদ্র না উঠলেই কি হোত না ?
আজ রৌদ্র না উঠলেই কি হোত না ? কিছুক্ষন আরো বৃষ্টি ঝরতো আকাশ ভেঙ্গে। জল জমতো গাছের পাতায়, জানালার কাঁচে। জল জমতো ভাঙ্গা পথে। খোয়া উঠা রাজপথে। ধুয়ে যেত ঘাসের ডগার অনেকদিনের অবহেলার ধুলো। ঝুল বারান্দার গ্রীলে জমতো আরো কিছু বৃষ্টির ফোঁটা । হিম বাতাসে জড়িয়ে রাখতো কিছু ক্ষন।
কিছুক্ষন আরো বৃষ্টি ঝরতো আকাশ ভেঙ্গে। খিচুড়ী খাবার একটা বাহানা খুঁজতাম। গান শোনার বাহানা। ছুটে চলা নাগরিক জীবন কিছু বিরাম পেত , বৃষ্টির অজুহাতে। আলসেমি তা কাটতো সারা দিন, বৃষ্টি ভেজা অলস দুপুর। ঝিরি ঝিরি শব্দে কাটতো সময়গুলো।
আজ কি রৌদ্র না উঠলেই হোত না ? কিছুক্ষন আরো ঝরতো বৃষ্টি আমার আবেগের করিডোড়ে, খেয়ালী মনের খাতায়, কাব্যিক কিছু সময় ধরে।
যদিও মা দিবস ......
আজ মা দিবস । মা'কে ভালোবাসতে দিন লাগে না তবুও একটা দিন একটু বেশী করে মা কে ভালোবাসার আইডিয়া টা খারাপ না। আজ তাই ফেসবুকে মা কে নিয়ে স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি, হয়তো অনেকে মা'র জন্য টুকটাক গিফট কিনবে ।
শীর্ষেন্দুর পার্থিব উপন্যাসে মা কে নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম -মানুষ যখন ভয় পায়, যখন বিপদে পড়ে, যখন মনে হয় একা , তখন ভয়ার্ত শিশুর মত মা'কেই আকড়ে ধরে। " আসলেই মা'র প্রতি অনুভূতিই এমন । পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।
মা'কে নিয়ে কিছু লিখতে পারিনা, আজও মা'কে নিয়ে লিখবো না। যদিও আজ মা দিবস, কিন্তু আমি লিখতে বসেছি আমার বড় বোন কে নিয়ে।
৩ বছরের ব্যবধানে বাবা - মা যখন মারা গেল, বড় বোন আবির্ভুত হল মা -বাবা তথা অভিভাবক এর ভূমিকায়। তখন সে মাত্র এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর আমি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।
একটি কৌতুক ও আমাদের মিডিয়া।
একজন ফাদার চার্চের জন্য কিছু টাকা তুলতে চান। তিনি বিশপকে জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে কিছু টাকা আয় করা যায় বলুন ত! চার্চে কিছু সংস্কার কাজ করা হবে। কিন্তু ফান্ডে যথেষ্ট টাকা নাই।
বিশপ বুদ্ধি দিলেন, শহরে ঘোড়ার রেস হয় প্রতি সপ্তাহে। একটা ঘোড়া কিনে সেখানে অংশ নাও।
পরের সপ্তাহেই ফাদার গেলেন ঘোড়া কিনতে। কিন্তু ঘোড়ার দাম শুনে তার চক্ষু চড়ক গাছে। বেচারা আর কিছু কিনতে না পেরে একটা গাধা কিনে নিয়ে চলে এলেন।
শহরে এসে ভাবলেন, কিনছি যখন গাধা, সেটাকেই রেসে লাগাই। কি আর এমন হবে যদি হেরে যাই।
রেসের ময়দানের সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাধাটা ঘোড়ার রেসেই তৃতীয় হয়ে বসল। শহর জুড়ে গাধার প্রশংসা আর তার কীর্তির আলাপ হচ্ছে। পত্রিকাগুলাও পরদিন ফলাও করে খবর ছাপাল, Father'S ASS SHOWS!!!
এসব প্রশ্ন কখনো কর না । বোবা কালা হয়ে থাকো।
কেন ইউনুস প্রশ্নে বিচলিত যুক্তরাষ্ট্র ???
কেন সরকারের ২ বছর পর মনে হলো ইউনুস অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আছেন ?
কেন এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ ব্যাক্তির সাথে লেন দেন করলো ?
কেন এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেয় নাই ইউনুস সাহেবের বিরুদ্ধে?
কেন সেই কুমিরের ছানার মতন একই গল্প - টিনের চাল খুলে নেয়া, লাশ দাফন করতে না দেয়া , গরু নিয়ে যাওয়ার গল্প বলা হচ্ছে ? এর বাইরে আর কি কিছু ঘটে নাই ? কেন ঘটে নাই ? যদিও বা ঘটে সেগুলো কেন আমরা জানিনাই?
কেন পি কে এস এফ দেশে ক্ষুদ্র ঋন চালু করলো ? কেন ইউনুস মডেল ফলো করলো তারা ?
কেন অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋন প্রদান কারী এন জি ও দেশে এখনো ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে কাজ করছে, যদি এটা এতই খারাপ বিষয় হয় ?
কেন ক্ষুদ্র ঋনের আরো ভালো ফর্মুলা নিয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না ?
কেন শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র ঋন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, যদি এতই খারাপ হয় ?
বিশ্বকাপ টুকিটাকি ।
১।
বিশ্বকাপ আরম্ভ হবার বেশ আগে দেখি বেগম রোকেয়া স্মরনীতে কার্পেটিং হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম ওটা বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। সাথে সাথে পাশের ফুটপাত গুলো ঠিক করা হলো , হকার দের কে সরিয়ে দেয়া হলো । অর্থাৎ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে মিনিমাম মানদন্ডে জায়গা টা ঠিক ঠাক করলো, আর আমরা তার থেকে আরো নিম্ন অবস্থায় এখানে বসবাস করছি। এই সময়েই দেখলাম বসবাসের অনুপোযোগী শহরের মধ্যে ঢাকা দ্বিতীয়।
২।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ঢাকায় ভিক্ষুক মুক্ত করা হয়েছে। ভিক্ষুক দের উৎপাত সরকারের চোখে পড়ে তাহলে !!! কিন্তু সরকার কিছুই করে না এ ব্যাপারে !!! বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ঢাকার বস্তি গুলো সরিয়ে ফেললে আরো ভালো হত। ঢাকা চকচকে শহরে পরিনত হত।
৩।
হ-য-ব-র-ল
ব্লগে খুব বেশী আসা হয়না ইদানিং , মাঝে মাঝে আসি তাও অফলাইনে। কেন জানি কমেন্টও করতে ইচ্ছা হয়না ।
আবার মাঝে কিছুদিন ছিলাম চট্টগ্রামে, অফিসের কাজে।
মীরপুরে এখন সাজ সাজ রব । আর্মির লোকজন উন্নয়নের কাজ তত্ত্বাবধান করছে, রাস্তা গুলো কার্পেটিং করা হচ্ছে , অবশ্য যদিও দেখে মনে হচ্ছে না যে নতুন কার্পেটিং করা। আশা করা যায় বিশ্বকাপ পর্যন্ত এগুলো ঠিক থাকবে।
ফুটপাত গুলো ঠিক করা হয়েছে, অনেক আগেই ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে । মাঝে আইল্যান্ড গুলো তে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে , রাস্তার খানিকটা দখল করে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনের উপকরন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। রাস্তায় বাঁধছে জ্যাম । স্টেডিয়াম থেকে ক্যামেরা যতদূর যাবে সম্ভবতঃ ততদূর পর্যন্ত ঠিক ঠাক করা হচ্ছে। কারন মীরপুর ১১-১২ নম্বরের অবস্থা আগের মতই । এদিকে ক্যামেরা আসবে না , বিদেশী মেহমানরা আসবেন না ধরেই নিয়েছে সরকার।
পুনর্মুষিকোভব
মহাসড়কটি ধরে কিছু দূর এগুলেই চোখে পড়ে গ্রামটি।
আর পাঁচ-দশটা গ্রাম থেকে আলাদা কিছু না। পাশাপাশি থাকা চৌচালা বাড়ী গুলো , উঠোন, গোয়াল ঘর , মাটির রাস্তা আর গাছ-গাছালি জড়সড় করে চেনা দৃশ্যপট তৈরী করা।
সে গ্রামে বাতাসের তুলিতে রৌদ্রের জলরঙ দিয়ে আঁকা হয় সহজ সরল মানুষগুলোর জীবনের ক্যানভাস । গ্রামের আরেক পাশে বিস্তীর্ন ফসলী মাঠ, সে মাঠে আকাশ আর মাটি কথা বলে ফিসফিসিয়ে।