ইউজার লগইন

সাঈদ'এর ব্লগ

ছবিতে ছবিতে পিকনিকের গপ্পো

আমাদের সবার আকাঙ্খিত , প্রতিক্ষীত পিকনিক হয়ে গেল গতকাল ২৪শে ডিসেম্বর।

মেসবাহ ভাইয়ের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের পিকনিকের প্রেরনার উৎস।

ভাড়া করা হয়েছিল বি আর টি সি'র নতুন চাইনিজ বাস । এবার জয়িতা চাকার উপর না বসাতে বাসের টায়ার নষ্ট হয়নাই, আমরাও কোথাও নেমে চা খাইতে পারি নাই। মেসবাহ ভাই কে চায়ের কথা বললেই বলেন - নো-টি Puzzled

পিকনিক

লাস্ট স্টপেজ - রাজধানী স্কুল থেকে যাত্রা করে বাস । বাসে উঠেই দেয়া হয় নাস্তা

বিমার নাস্তা দর্শন

সব দোষ মধ্যবিত্তদের

মধ্যবিত্ত - খুবই পরিচিত শব্দ আমাদের ।

এই মধ্যবিত্তের বলয়েই আমরা বাঁধা আছি যুগ যুগ ধরে। মধ্যবিত্তদের অবস্থা পাহাড়ী পথের মতন, উপরে উঠতেও কষ্ট, নিচেও নামা যায়না। মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তার মত জীবন, যার বাঁক গুলো বরাবর অচেনা , বার বার জীবনের বাঁক গুলো পেরুতে হয় সাবধানে।

মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম ও বড় হওয়া - অনেক অসুবিধার। নামে মধ্যবিত্ত হলেও এদের ব্যক্তিত্ব , আত্ম অহংকার, সামাজিকতা, নীতিবোধ সব গুলোই উচ্চমাত্রার। পাছে লোকে কিছু বলে - এটা মধ্যবিত্তরেই একমাত্র মানায়।

কিছুদিন ধরে পত্রিকা পড়ে যে অবস্থা বুঝলাম - তাতে সব কিছু নষ্টের মূলে এই মধ্যবিত্তরা।

অনুগল্পঃ ঘুনপোঁকা

দোতালা বাড়ী। বিশাল টানা বারান্দা। আশি সালের দিকে তৈরী করা এই মফস্বল এলাকার প্রথম বড় বাড়ী। লতা পাতার ডিজাইনে বারান্দার গ্রীল। বড় বড় কক্ষের লাল মেঝে তে কালো বর্ডার।

রুদ্র দুপুর থেকেই চুপ করে বসে আছে এই দোতলা বাড়ীর দ্বীতিয় তলার টানা বারান্দায়। পুরো বাড়ী যথারীতি নিরব। চোখ বুজে বসে আছে সে, তাঁর দাদার আরাম কেদারায়। রুদ্রর দাদা যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রতিদিন নিয়ম করে বিকাল হলে এই আরাম কেদারায় এসে বসতেন। নানান লোকজন আসতো তাঁর কাছে। ভিতর থেকে রুদ্রর দাদী পান বানিয়ে দিতেন তাদের জন্য। দাদা মারা যাবার পর থেকে কেউ আর আসেনা , আর তাঁর দাদীও অসুস্থ্য হয়ে এখন বিছানায় শুয়ে থাকেন সারাক্ষন। পাচুর মা'ই এখন সব সামলায়। দোতলার পুরো বাড়িতে এই তিনটি প্রানী। নিচ তলা ভাড়া দেয়া একটা এন জি ও এর কাছে। অফিসের কারনেই সেখানে কিছুটা লোকজন আসা যাওয়া রয়েছে।

এলো বুঝি পৌষ মাঘের পালা, হালা, এইবার পিকনিকের ঠ্যালা সামলা !!!

হেডিং দেখে কেউ মাইন্ডাইয়েন্না ,
পিকনিক নিয়া ২ ছত্র লেখার চেষ্টা করছিলাম আর কি !!!

দেখতে দেখতে আরেক টা শীতকাল চলে এল। গত শীতে এবি থেইকা পিকনিকে গিয়া যে মজমা , যে ফূর্তি করছে সেটা মনে উঠলেই এখন পিকনিক করতে মঞ্চায় শুধু।

সক্কাল সক্কাল বের হইলাম, বাসে চড়লাম, কিছুদূর গিয়া টায়ার ফাটলো ( টায়ারের উপর জয়িতা বইছিল বলেই নাকি টায়ার ফাটছিল, লোকমুখে শুনি)। মেসবাহ ভাই আমাদের নিয়া গেল সেইইই গাজীপুরের ভিতরে কোন এক বনে। এর থেইকা সুন্দরবন আরো কাছে মনে হয়!!! একদম সকাল ১২ টার সময় পৌছলাম সেখানে। পাশে ছিল পদ্মা নদীর লেক। সেখানে নৌকায় চড়লো বালকেরা, বালিকারা বৈঠা বাইলো। কেউ কেউ নদীর লেকের পাড়ে বাঁশী বাজাইলো কেউবা উদাস হয়ে দেখলো বউ পাশে নিয়ে। ব্যাচেলর ছেলেরা নারীদের হাসি দেখে গলে গলে পড়লো, ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলতে লাগলো।

কক্সবাজার - অন্য চোখে দেখা

কক্সবাজার গেলাম কিছুদিন আগে, যদিও এর আগে ১০/১১ বার গেছি । কারণ একটাই - সাগরের ডাক। এই ডাক থেকে দূরে থাকতে পারিনা বেশিদিন, দৌড়াতে হয় তাই কিছুদিন পর পর। সেই ১৯৯৫ সালে প্রথম গেলাম কক্সবাজার, যে মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছি সাগরের ঢেউ, এখনো চোখ বুজলে তা শুনতে পাই যেন।

যখন প্রথম গেলাম কক্সবাজারে - তখন চিটাগাং - কক্সবাজার রাস্তা তৈরীর কাজ চলছিল , জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা রাস্তা - ঝাকাইতে ঝাকাইতে আমাদের নিয়ে গেল কক্সবাজার।

এত হোটেল মোটেল ছিল না, ছিলনা তেমন সুবিধা। মোটেল প্রবাল এর ডরমেটরি তে আমরা ৫ বন্ধু ছিলাম এক সাথে। লাবনী পয়েন্টে কয়েকটা দোকান - তাও বেড়ার কিংবা কাঠের, কাঠের পাল্লা - অল্প কিছু রিকশা। আর হোটেলে খেতে গেলে ভাতের সাথে শুটকী ভর্তা আর ডাল ফ্রী।

বারো রকম ছাগু - একটি গবেষণা ধর্মী পোষ্ট।

বাংলা ব্লগ ইতিহাসে "ছাগু" সম্প্রদায় একটি বিশাল স্থান লইয়া রহিয়াছে। ইহাদের বংশবৃদ্ধি যাহাতে না হয় , সেইজন্য অনেক উদ্যোগ লওয়া হইয়াছে পূর্বে । সকলের সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করিয়া ইহারা শুধু বংশবৃদ্ধিই করে নাই , ইহাদের রকমভেদ বাহির হইয়াছে ।

অধূনা বাংলা ব্লগ গবেষণা করিয়া বারো রকমের ছাগু সম্প্রদায় চিহ্নিত হইয়াছে। সেই গবেষণা খানি আজ আপনাদের সম্মুখে পেশ করিয়া আমি নিজেকে বড়ই কৃতার্থ মনে করিতেছি।

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৫

এক.

দিবাস্বপ্নের মতই ছিল স্বপ্ন গুলো, আশা ছিলনা , ছিলনা কোন লক্ষ্য। কেউ যদি প্রশ্ন করে ছোটবেলায় তুমি কি হতে চেয়েছিলে? সমস্যায় পড়ে যাই। কোন কিছুই তো হতে চাইনি তখন। শুধু বড় হতে চেয়েছিলাম, আর কিছু না।

বড় হতে হতে ,চলতে চলতে এই চলার পথে কত জনের সাথে পরিচয় হলো। পরিচয় হলো ছাত্র জীবনে , পরিচয় হলো কর্ম জীবনে। সেই সাথে পরিচয় হলো ভার্চুয়াল জীবনে - সে চ্যাটিং, ব্লগিং কিংবা অন্যকোন ভাবেই হোক।

রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে গবেষণা

রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে কিছুদিন ধরে গবেষণা করছিলাম। গবেষণা করে দেখলাম রবি বাবু যে আমাদের জীবন যাপনের কথা ভেবে এত আগেই গান রচনা করে গেছে, তা কে জানতো ?

রবিন্দ্রনাথের রচনা বিশেষ করে গানের প্রাসঙ্গিক ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে এসেছে প্রেমের ক্ষেত্রে, ছ্যাকামাইছিন খাইলে, নাটকে কিন্তু আসলে তিনি গান লিখেছেন অন্য কারণে, সেটা কেউ ধরতে পারে নাই আমার আগে, গবেষণা করে সেটাই পেলাম।

যেমনঃ

শিরোনামহীন।

ঝিঝি পোঁকার বিরামহীন ডেকে চলা , মাঝে মাঝে তা ছাঁপিয়ে সুপারির পাতায় হুমড়ী খেয়ে পড়া বাতাসের সাথে সুপারির পাতার ধস্তাধস্তির শব্দ। সেই বাতাসের কিছু অংশ মাঝে মাঝে পথ ভুলে ঢুকে পড়ছে জানালার ভিতরে, বের হবার পথ না পেয়ে আবার ফিরে যায় অজানায়।

একটি পোষ্ট, নিজের ঢোল নিজে পিটানো এবং একখানা সাহায্যের আবেদন।

ছবি তোলার শখ অনেক আগে থেকেই।

আজকের আমরা বন্ধুর আড্ডা + খাড্ডা

Picture-AB adda 029.jpg

Picture-AB adda 006.jpg

একটি উপন্যাসের গল্প

অন্তু অনেক ক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছে ফুটপাতের পাশের রেলিঙে হেলান দিয়ে।

সামনে দিয়ে অজস্র লোক আসা যাওয়া করছে কেউ দ্রুত পায়ে কেউ আস্তে ধীরে, ভীড় সামলে । সবারই প্রচন্ড তাড়া, সবারই বাসায় যেতে হবে কিংবা কর্মস্থলে কিংবা যার কোথাও যাবার যায়গা নেই তাকেও হয়তো যেতে হবে নতুন করে বানিয়ে নেয়া ঠিকানায়।

ঃপল - The Octopus এর গণনার বহুমুখী ব্যবহারঃ - আপনাদের বুদ্ধি চাই।

এবারের বিশ্বকাপে পল - The Octopus কে গোল্ডের বুট দেয়া উচিত ছিল, এমন নির্ভুল গণনার জন্য ।

বেচারা যা কইছে তাই লাগছে। ঝড়ে বক পড়লেও এরকম ভাবে তো আর পড়ে না তাই পল কে আমাদের গণক ঠাকুর কইতেই হয়।

পল কে ইতঃমধ্যে খেয়ে ফেলার , মেরে ফেলার ছেড়ে দেয়ার হুমকী আইছে। খুবই খারাপ কথা। শুনে খুবই খারাপ লাগলো আমার।

আমি কেন খেলোয়াড় হইলাম না

অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখছিলাম যে আসলে খেলোয়াড় হওয়া উচিত না আমার জন্য, তাই আর খেলোয়াড় হই নাই জীবনে, সে ফুটবল হউক, ক্রিকেট হউক আর লন টেনিস হউক ।

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৪

চলতে চলতে একদিন হঠাৎ থেমে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই মনে হল , আমি চলছি কেন ? এই যে নিত্য ছুটে চলা বিরামহীন ভাবে সকাল সন্ধ্যা... কি হবে এই ছুটে চলে ?