ইউজার লগইন

সাঈদ'এর ব্লগ

বিজ্ঞাপন তরঙ্গ

রেডিও বাংলাদেশ । আমাদের ঘড়িতে সময় এখন ১ টা বেজে ৫ মিনিট হয়ে অমুক সেকেন্ড - ঘোষক/ঘোষিকার ঘোষনা। আপনার শুনতে পাচ্ছে এই এই এই শট ওয়েভ মেগা হার্টজে । এখন প্রচারিত হবে বিজ্ঞাপন তরঙ্গ।

সাথে সাথে প্যা প্যা পো পো করে শব্দ (বিজ্ঞাপন তরঙ্গ আরম্ভ হবার আবহ সঙ্গীত ছিল ঐটা) , শব্দের মাঝের একজন টেনে টেনে বলতো - বিজ্ঞাপন তরঙ্গ। তারপর আরো কয়েক সেকেন্ড বাজতো প্যা পো শব্দ।

একজন কবিকে খুঁজছি !!!!

একজন কবিকে খুঁজছি। কবি ভাইয়েরা আওয়াজ দিয়েন প্লিজ। সেই কবিকে জব্বার পুরষ্কার দেয়া হবে।

তবে তার আগে বলতে হবে নিচের কবিতা টি তার লেখা কিনা।

শেষ প্রহরের আলোয়।

বসিয়া বিজনে
ঘরের কোনে মুদিয়া নয়ন
বৃদ্ধ ভাবিতেছে আনমনে
তাহার অতীত জীবন যৌবন
শৈশব কাটিছে তাহার হাসিতে খেলিতে
একাকার হইয়া ধূলা আর বালিতে।
কৈশর গিয়াছে চলি
করিয়া বন্ধুর সাথে গালাগালি আর গলাগলি।
আম্র চুরি করিতে গিয়া
আসিয়ছে ঘরে পা ভাঙ্গিয়া,
বাবার শাস্তি আর মা'র বকুনি
কষ্টের সহিত আনন্দ লহিয়াছে আনি।
তারুন্যে সে ছুটিয়াছিল নব নব ভাবনায়
পোঁকা ধরা সমাজ ভাঙার তথাকথিত বাসনায়।

অভাগা স্টুডেন্ট ব্যাচ।

কথায় আছে অভাগা যেদিকে তাকায় , সাগর ও শুকায়। আর আমাদের স্টুডেন্ট ব্যাচ তাকানোর আগেই শুকনা সাগর দেখে আসছে সেই প্রথম শ্রেনী থেকে। কি আর বলবো সেই কষ্টের কথা।

ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হলাম , কোন সরকারী বই পাইনাই । ক্লাস টু তে উঠার পর শুনি শুধু ক্লাস ওয়ানে ফ্রী সরকারী বই দেয়া হবে। এইভাবে থ্রী তে উঠার পর শুনি টু পর্যন্ত ফ্রী বই দেবে, ফোর এ উঠার পর শুনি থ্রী পর্যন্ত সরকারী বই দিবে।

প্রিয়তমেষু........

প্রিয়তমেষু

ভালো আছো জানি।

একটি রূপকথা

অনেক অনেক দিন আগে , এক দেশে দুই রানী ছিল। হা - রানী আর খা - রানী । রানী হলে কি হবে !!! সেই দেশের লোকজন ঠিক করতো কে দেশ চালাবে। খা রানী ৫ বছর দেশ চালায় তো হা রানী ৫ বছর দেশ চালায়। এভাবেই তারা একজনের পর আরেকজন দেশ চালাতে লাগলো।

এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম [গল্প!]

জুবায়ের সাধারন কোন মেয়েকে ভালোবাসলে হয়তো এরকম হৈ চৈ হোত না। একটা ছেলে , একটা মেয়েকে ভালোবাসতেই পারে , এটাই চিরাচরিত নিয়ম কিন্তু জুবায়েররের ভালোবাসার কারনে যখন কলেজের হোস্টেলের অন্য বাসিন্দাদের কেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল , তখনই সেটা আর সাধারন দশ-পাঁচটা ভালোবাসার গল্পের মত থাকেনি।

সেমিনার এবং অতঃপর ...

আমাদের এক বন্ধু । ওর সাথে পরিচয় সেই ছোট বেলা থেকে। ২৬ বছর বয়স হবে বন্ধুত্বের। নাম না হয় নাই কইলাম। ধইরা নেন ওর নাম - মিঃ এক্স।

আড্ডায় কেডা কেডা আইতাছেন ?

১৭ তারিখে আড্ডা উপলক্ষ্যে গরুর তেহারী রান্না করতেছি। (সবাই জোরে বলেন আমীন আর লগে ১ প্যাকেট ওরস্যালাইন নিয়ে আইসেন )

আপডেটঃ তেহারী না , খাসির রেজালা , সবজি আর খিচুড়ী রান্না হইবে (তবুও সবাই ওরস্যালাইন নিয়ে আইসেন ...কওন যায়না)

সাথে সালাদ থাকতাছে। কুক থাকতাছে ।

বাড়তি হিসাবে এক কাপ ইশপিসাল চা বানায় খাওয়াবো সবাইরে।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা (ভার্সন - ২০০৯)

১ম দৃশ্য

নবাব সিরাজ বসে আছেন সিংহাসনে। তাঁর সামনে চেয়ারে উপবিষ্ট সভাসদ।

সিরাজঃ বাংলা বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি......

এমন সময় কে যেন বলে উঠলো - কা-আ-ট

সিরাজঃ কে কে ওখানে ? কাট বলে কে ?

জনৈক সভাসদঃ গোস্তাগি মাফ করবেন হুজুর। বাংলা সিনেমার এক আবাল  ডিরেক্টর, আপনার রাজদরবারে "দেবদাস" সিনেমার শুটিং এ এসেছিল। আপনার ডায়লগ শুনে মনে করেছে এখানেও সিনেমার শুটিং হচ্ছে বুঝি !!!

বাংলা ব্যকরন ক্লাশ - ১ (আজকের বিষয় - এক কথায় প্রকাশ)

যাহা মাঝে মাঝে আসে - ইলেকট্রিসিটি

যাহা নিভু নিভু করিয়া জ্বলে - গ্যাসের চুলা

যাহা পাওয়া দুস্কর - ওয়াসার পানি

যাহা অতিক্রম করা যায়না - ঢাকার রাজপথ।

যাহারা অবিরত চাঁপা মারিয়া থাকে - নেতা

ক্রয় বিক্রয় করিবার স্থান - ফুটপাত

যাহা ৫ বছর পর পর পরিবর্তনশীল - যাবতীয় নাম

খিস্তী খেউড় করিবার স্থান - সংসদ

মারামারি করিবার স্থান - বিশ্ববিদ্যালয়

লোক দেখানো যাহা - চেতনা

একটি সকালের গল্প [অনুগল্প]

কাদের ঘুম থেকে জেগে দেখে মাথার কাছের ফ্যানটা নিশ্চুপ হয়ে আছে। সারারাত ঘড় ঘড় শব্দ করে বাতাস দেয়া টেবিল ফ্যান এখন আর নড়াচড়া করছে না। নিচে তোষক , চাদর, বালিশ ঘামে ভিজে জুবুথুবু অবস্থা। অনেক ক্ষন ধরেই ইলেকট্রিসিটি নাই।

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি ...২

মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা - রোগে ধরে। কিছুই ভালো লাগেনা তখন, ব্লগিং, আড্ডা, এমনকি অফিসও। সেই সময়টা কারো সাথে সাথে দেখা করিনা, আড্ডা দেইনা , অফিস জোর করে যাই, অফিসে গিয়েও প্রয়োজন না পড়লে কারো সাথে কথা বলিনা। নিজের ভিতরেই নিজে লুকাই।
নিজের ছায়ার সাথে খেলি।

হাসের বাচ্চার সাঁতার শেখা (যথারীতি পূর্ব প্রকাশিত)

১৯৯৭ তে চাকুরি তে ঢুকি। ১৯৯৯ কি ২০০০ সালেই ইন্টারনেটের সাথে প্রথম পরিচিত হই। তখন অফিসে হাতে গোনা কয়েকজনের কম্পিউটার এ ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছিল, আমি তার মধ্যে একজন। অফিসে, বন্ধু মহলে ভাব বেড়ে গেল কয়েক গুন। কয়েক দিনের মধ্যেই আবিষ্কার করলাম ইন্টারনেটের বিশাল উপকারী জিনিস - চ্যাটিং। আমাদের সার্ভারের জন্য প্রথম কয়েকদিন mirc এর বাংলাদেশ রুমে যেতে পারিনি। প্রথম প্রথম তখন একটা ওয়েব (www.bangla2000.com)

ইজতেমার বয়ান ও বেয়ান

[আগামী বছর থেকে নাকি ইজতেমা ২ বার হবে । একটু চিন্তায় আছি, আখেরী মোনাজাত কি ২ বার হবে নাকি?? যাই হোক , একটা ইজতেমা নিয়ে স্মৃতি আমরা বন্ধু জন্য দিলাম, আগেও প্রকাশ করেছিলাম অন্য ব্লগে। ]