সাঈদ'এর ব্লগ
গল্প কিংবা ......
ভিষন ভীড়ের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে কোন মতে জামা দেখে বের হয়ে এসেছে রীনা। কয়েকটা দোকান দেখে শেষ পর্যন্ত একটা জামা পছন্দ হোল তার। সব দোকানে গিয়ে দেখে সেলসম্যানরাও বেশ আনন্দ সহকারে ব্যস্ততার উপভোগ করছে । আশে পাশে ভীড় উপচে পড়ছে যেন। কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব চারিদিকে। প্রকৃতিও সেরকম - ঠান্ডাও না এখন , আবার গরম ও না। যে কোন উপ্লক্ষ্যেই এখন সবাই নতুন জামা কিনে , রীনাও তাই কিনতে বের হয়েছে।
বয়ে চলা জীবন-কাব্যের পান্ডুলিপি ১
একটা লেখা শুরু করেছিলাম , খোঁড়াতে খোঁড়াতে ৪ পর্ব ও দিলাম। এরই মাঝে আমার অফিস থেকে দেয়া ল্যাপটপ টা তে শুরু হল নানান ঝামেলা। ল্যাপটপ টা আমি আমার মত করে সাজিয়ে নিয়েছিলাম অভ্র , বাংলা ফন্ট দিয়ে । জনাব ভাইরাস সিস্টেম ফাইল খেয়ে ফেলাতে সেইফ মোড ছাড়া ঢোকা যায়না উইন্ডোজে, তাও কোন মতে ঢোকার পর শুরু হয় একের পর এক ফাইল নাই , এই এরর , সেই এরর ম্যসেজের উৎপাত। অফিসে নিয়ে যে ফরম্যাট দিয়ে আবার সেট আপ দিব - তার উপা
দূরের মানুষ - কাছের মানুষ [গল্প - ৪র্থ পর্ব]
- আজ ১৪ মিনিট দেরী , কালকের থেকে।
- বাহ! সময়ের হিসাব রাখেন দেখি। অপেক্ষায় থাকেন এই সময়ের ?
- ঠিক অপেক্ষা না , আবার অপেক্ষা বলতে পারেন। সংসারের কাজ সেরে এই সময়টুকু এমনিতেই অলস সময় কাটে বিশ্রামে। সেই সময় টুকু একজনের সাথে কথা বলে একাকীত্ব কাটাই, কথা বলে। নিজের সাথেই নিজে কথা বলি , আপনার সময়টুকু নষ্ট হয় মাঝে।
- খুব হতাশ মনে হয়। আপনার স্বামী-সন্তান নিয়ে তো মনে হয় সুখে আছেন, ভালো আছেন।
দূরের মানুষ - কাছের মানুষ [গল্প - ৩য় পর্ব]
মাথার কাছে নিঃস্বাস ফেলার শব্দ করে এ সি টা চলছে আবিদের রুমে। বছর খানেক হল এখানে অফিস নিয়েছে আবিদ। নয়া পল্টনে ছোট খাটো অফিস, হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত বছর এই সি এ ফার্ম দিয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ করে ফেলেছে সে, মার্কেটে একটু একটু করে বাড়ছে তার পরিচিতি। একটু আগে এক ক্লায়েন্ট এসে মিটিং করে গেল আবিদের সাথে। মিটিং শেষ করে আবিদ কাঁচের দেয়ালের দিকে তাকায়। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভার্টিকেল ব্ল
দূরের মানুষ - কাছের মানুষ [গল্প - ২য় পর্ব]
চা শেষ করে কাপ নিয়ে শাহানা তার বেড রুমে ঢুকে। এখনও সকালের বিছানা গোছানো হয় নাই। এক সময় তার শখ ছিল সেগুন কাঠের একটা খাট কিনবে , সেই শখ পূরন হয়েছে বছর খানেক আগেই । কারুকাজ করা খাটে জায়গায় জায়গায় ধূলো জমেছে , বিছানার চাদরটাও বেশ ময়লা হয়ে গেছে।
দূরের মানুষ - কাছের মানুষ [গল্প - ১ম পর্ব]
বাড়ীগুলোর সামনে দিয়ে টানা বিদ্যূতের তারে আপন মনে বসে থাকা কতগুলো কাক , তাদের মধ্যে একটা কা কা করে ডেকে যাচ্ছে তারস্বরে। কিছু বলতে চাইছে হয়তো , হয়তো কিছু বুঝাতে চাইছে সে। আর সকালের আড়মোড়া ভাঙ্গা সূর্য টা এরই মধ্যে তাপ বিলাতে শুরু করেছে চারপাশে। তার আলো ঢাকা শহরের উচু উচু দালান ভেদ করে ভূমিতে স্পর্শ করুক বা না করুক, তাপ পৌছে যাচ্ছে সেই ভূমিতে , পিচ ঢালা রাস্তায় , ডোবা - নালায় এমনকি পরিপাটি করে সাজান
আসুন পিকনিকে গিয়ে নিকনিক করি
পিকনিকে গিয়ে নিকনিক করা - কথাটা প্রথম শুনেছিলাম কোন একটা নাটকে, অনেক ছোট বেলায়। নায়ক ছিল আসাদুজ্জামান নূর আর নায়িকা লুৎফন্নাহার লতা। সেই থেকে মাথায় গেঁথে আছে এই নিকনিক করা কথা টা।
কিন্তু এই নিক নিক করা মানে কি বুঝায় ?
পিকনিক - সর্বশেষ আপডেট।
আমরা বন্ধু ব্লগ এবং আমরা বন্ধু ইয়াহু গ্রুপের সকল সদস্যদের অত্যন্ত আগ্রহের প্রেক্ষিতে আগামী ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০১০ তারিখে আমরা এক চড়ুইভাতির আয়োজনে গাজিপুরের কালিয়াকৈরের একটি রিসোর্টে একত্র হচ্ছি। সন্মানিত অংশগ্রহণকারীদের অবগতীর জন্য কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
১। পিকনিকের চাঁদা জমা দেয়ার শেষ সময় আগামী বৃহষ্পতিবার (২৮শে জানুয়ারী)
অপেক্ষা [গল্প] - শেষ কিস্তি।
রিমি- এইস এস সি ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়া মেয়ে, আনোয়ার দম্পতির ২য় সন্তান। এই বয়সের মেয়েদের মতই সে বেশী বেশী অভিমানী, বেশী বেশী আবেগী। অল্পতেই যেমন উৎফুল্ল হয় প্রচন্ড তেমনি অল্পতেই মনে হয় তার থেকে কষ্টে আর কেউ নাই। মুখে সদ্য গজানো ব্রন দেখে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়, তেমনি অল্পতেই খিল খিল করে হাসির ফোয়ারা ছুটে, সেই হাসিতে সিক্ত হয় শরীর, মন এমন কি পাশে বসা বাসের সিটের মানুষটিও কিংবা পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোন অ
হ্যা জয় যুক্ত হয়েছে !! হ্যা জয় যুক্ত হয়েছে !! হ্যা জয় যুক্ত হয়েছে !! এখন স্থান সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন।
জয়িতাবু'র ঘুরে আসার প্রস্তাবনা "চলনা ঘুরে আসি" বিল কন্ঠ ভোটে পাশ হয়েছে ।
এখন ঘুরতে যাওয়ার স্থানের নাম দেবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি মাননীয় সদস্যদের কাছে ।
আপনারা এই পোষ্টে এসে আপনাদের মনোনীত স্থান এর নাম প্রস্তাব আকারে পেশ করুন , মহান ব্লগে আলোচনার জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ।
অপেক্ষা [গল্প] - ২য় কিস্তি।
রাত নেমেছে শহরে। সোডিয়াম বাতি দিয়ে দিবালোক কে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা বাইরে রাজপথে, আর ঘরে ঘরে পর্দার আড়ালে থাকা বাসা বাড়ী গুলোতে টিউব বাতির আলোয় দিনের শেষ সময়ের ব্যস্ততা।
অপেক্ষা [গল্প] - ১ম কিস্তি।
যদি কোন কক্ষের সংজ্ঞা দেয়া যায় তাহলে এই কক্ষটিও তার ভিতর পড়বে, যেমন এর চারপাশে দেয়াল আছে, উপরে ছাদ আছে, একটা জানালা আর একটা দরজা আছে, ভিতরে ৬ ফুট বাই ৫ ফুট জায়গাও আছে। দরজা দিয়ে ঢুকলেই হাত দেড়েক পরেই একটা লোহার খাট, সেই দরজা দিয়ে কোনমতে ঢুকা যায় কক্ষটিতে, সেই খাটেও শোয়া যায়। সাথেই সেই রুমের এক তৃতিয়াংশের সমান একটা বাথরুম, সেখানে কোনমতে গোছল ও প্রাকৃতিক কাজ গুলো সারা যায়।
অন্যরকম ভ্রমন কাহিনী।
স্টীমারের সাথে পরিচয় জন্ম থেকে থাকলেও সখ্যতা গড়ে উঠে কলেজে পড়াকালীন সময়ে। প্রথম বন্ধুদের সাথে ঢাকার বাইরে ভ্রমন স্টীমারে করে। সেই থেকে প্রায় প্রতিবছরেই একবার করে
গাঞ্জা কাহিনী ]]] ২ [[[
আমাদের ক্লাশ মেট করিম। ক্লাশে রোল ছিল - ২। বুঝতেই পারছেন , ভালো ছাত্র। জীবনে লক্ষ্য ডাক্তার হবার , ডাক্তার ও সে হয়েছে। চেম্বার আছে আবার পিজি তে ভালো সার্জন হিসাবে নাম ডাক ও নাকি আছে। কিন্তু আমরা অবশ্য তার কাছে যাইনা অসুখ বিসুখে। কেন যাইনা সে এক বিরাট ইতিহাস।
গাঞ্জা কাহিনী ]]] ১ [[[
গত মাসের ২০ তারিখে স্কুল ফ্রেন্ডদের সবাই কে দাওয়াত করেছিলাম বাসায়। দাওয়াত পাইয়া একদল বন্ধু অগ্রগামী অতিথি হিসাবে আগের দিন রাতেই আইসা হাজির, বাসায় বউ-বাচ্চা ফেইলা
সারা রাত ধরে আড্ডা , কার্ড খেলা আর ধোয়া আর তরলে গলধঃকরন। সেই আড্ডায় হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খাওয়ার মত অবস্থা একেক জনের কাহিনী শুইন্যা।