টু ডু লিস্ট
আমাদের বাসায় অনেক পুরোনো একটা হারকিউলিস কিংবা হার্ভে সাইকেল ছিলো, সেটার সামনের হেডলাইট জ্বালানোর জন্যে আলাদা একটা ডাইনেমো ছিলো, সাইকেলের চাকার সাথে কোনো একটা প্রক্রিয়ায় সেই ডাইনেমো জুড়ে দেওয়া যেতো আর হেড লাইটের আলোর উজ্জ্বলতা নির্ভর করতো সাইকেলের গতির উপরে। যত দ্রুত চাকা ঘুরতো তত বেশী উজ্জ্বল হতো হেডলাইটের আলো। তবে আমি যখন কিছুটা বড় তখন সাইকেলটা প্রায় বাতিল, কোম্পানীর নামের ঐতিহ্যের বাইরে সেখানে আর বিশেষ কোনো সম্বল ছিলো না। কিছুদিন আমার আগ্রহের বিষয় ছিলো ডায়ানেমো লাগানো হেডলাইটটা- ডায়ানেমো সম্পর্কে অল্প-স্বল্প পড়াও হয়েছিলো বাবার কল্যানে- যদিও এর পেছনের তাত্ত্বিক কারণ জানতে আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও এক যুগ। তবে ডায়ানেমোর সরল গঠন, সেটা কারা তৈরী করলো এইসব সাধারণ জ্ঞান আমার ছিলো। শৈশবের আগ্রহে ডায়ানেমোটা ভেঙে ফেলতে খুব বেশী সময় লাগে নি। অযান্ত্রিক হলেও এই হার্ভে হারকিউলিস টাইপ সাইকেলগুলোতে একটা স্পীডোমিটার ছিলো, কতদুর যাওয়া হলো সেটার একটা আনুমানিক হিসাব থাকতো। সেসব অমূল্য যন্ত্রাংশের কাজ করার ধরণ জেনে যাওয়ার পর সেটা নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরী হয় নি পরবর্তীতে।
এইসব যন্ত্রাংশ নষ্ট করার পর আমি সাইকেল চালানো শেখার ব্যাপারো আগ্রহী হই। সমবয়স্ক অন্যান্য বন্ধু-আত্মীয়রা সাইকেল চালানো শিখছে। মোটামুটি কাছাকাছি সময়েই আমাদের সবাই হ্যাফ প্যাডেলে সাইকেল চালানো শিখে গেলো। যারা হাফ প্যাডেলে সাইকেল শিখেছে তাদের একটা অংশ সীটে বসে প্যাডেল ছোঁয়ার মতো দক্ষতা অর্জন করলেই সীটে বসে সাইকেল চালাতো। হ্যাফ প্যাডেল হয়ে সীটে বসার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার একমাত্র কারণ ছিলো আমাদের সময়ে সাইকেল বেশ দামী যানবাহন ছিলো, অধিকাংশ পরিবারই দীর্ঘ দিন টাকা জমিয়ে একটা সাইকেল কেনার মতো অর্থ সঞ্চয় করতে পারতো। গ্রামের বিয়েতে তখনও যৌতুক হিশেবে জামাইকে একটা সাইকেল দিতে হতো। সেই পরিস্থিতিতে গ্রাম কিংবা মফস্বলে আমাদের মতো প্রায় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে শিশুদের জন্যে আলাদা একটা সাইকেল কেনার সামর্থ ছিলো না। ঢাকার বন্ধুরা অবশ্য কিছুটা সৌভাগ্যবান ছিলো। তখন মহল্লায় ঘন্টা রেটে সাইকেল ভাড়া দিতো। বিকেলে ২টাকা কিংবা ৫টাকা জমা দিয়ে মহল্লা ঘুরতে বের হতো এইসব ছেলেরা। আমাদের মফস্বলে সাইকেল ভাড়া দেওয়ার সংস্কৃতি কখনও তৈরী হয় নি। দুপুরে যখন সবাই কাজ শেষে বাসায় ফেরত আসতো তখন মহল্লার ভেতরে কয়েকটা সাইকেল পাওয়া যেতো, আমাদের দেড় ডজন ছেলের জন্যে মহল্লায় সাইকেল ছিলো ৫টা। আমাদের সমবায় পদ্ধতির সাইকেল চালানোর ভেতরে ঢাকা শহরের পূঁজিবাদী ভাড়াটে সাইকেলের অস্তিত্ব ছিলো না। বিকেলে সাইকেলটা দিবেন সন্ধ্যার আগেই ফেরত দিয়ে যাবো সংলাপ তখনও শোনা যেতো মহল্লায়।
আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কয়েকটা সাইকেল কেনার সামর্থ্য হয়েছে। বাজারেও নানান মাপের সাইকেল সহজলভ্য হয়েছে। এবার জন্মদিনে ঋকের জন্যে বাইসাইকেল কেনা হলো, কার্টুন স্টিকার সামনের ঝুড়ি পেছনের ব্যাকরেস্ট সমেত শিশুতোষ ফ্যান্সী বাইসাইকেল। ঋককে এর আগেও একটা সাইকেন কিনে দেওয়া হয়েছিলো, দুইপাশে সাপোর্ট চাকাসহ একটা, কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই ১২ ইঞ্চি সাইকেলটা কেনার পর থেকেই নষ্ট থাকে। সেই প্রায় নষ্ট সাইকেলের আবেদনও কম না, অবশ্য কয়েকদিন পর সেই সাইকেলটা এক ধরণের খেলনায় পরিণত হলো। আনন্দিতা কিছুটা বড় হওয়ার পর সেখানে উঠে বসে থাকে, ঋক ঠেলে নিয়ে যায় টাইপ প্যারাম্বুলেটরে পরিণত হওয়া সাইকেলটার বদলে জন্মদিনে নতুন সাইকেল ।
আমরা শৈশবে যে দীর্ঘ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাইকেল চালানো শিখেছি আধুনিক যুগে সেই প্রক্রিয়াও বদলে গেছে। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাইকেল চালানো শিখতে এখন খুব বেশী হলে ১ দিন সময় লাগে। তবে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাইকেল চালানো শেখার প্রথম শর্ত সীটে বসে মাটির নাগাল পেতে হবে। পায়ে ঠেলে সাইকেলের ব্যালেন্স ঠিক রেখে কিছুদুর আগাতে শেখার পর পড়ে যাওয়ার ভয় কেটে যায়।
আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ঋককে চিরায়ত পদ্ধতিতে সাইকেল শেখানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু দুই তিন দিনের চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দিলাম। ঈদের আগের দিন সাইকেলের ব্যাক রেস্ট খুলে সীটের উচ্চতা কমিয়ে নিয়ে আসলাম। ইয়্যুটিউব খুলে মাত্র ৩০ মিনিটে সাইকেল চালানো শিখুন ভিডিও দেখিয়ে বললাম এভাবেই সাইকেল চালানো শিখতে হবে। প্রথমে সীটে বসে সাইকেলের ব্যালেন্স ঠিক করো, তারপর প্যাডেল মারতে শিখো। নিজের পরিশ্রমে, নিজের প্রশিক্ষণে ঘরের ভেতরে এক প্যাডেল দুই প্যাডেল দিতে শেখার পর ছাদে গিয়ে দুই দিনের ভেতরেই ঠিক সাইকেল চালাতে শিখে গেলো ঋক। নতুন সাইকেল শেখার একটা উত্তেজনা আছে, সারাক্ষণ পা চুলকায়, মনে হয় আর কয়েক মিনিট সাইকেল চালাতে পারলে ভালো হতো। ঋকের অবস্থাও তাই, দুপুরে রোদের ভেতরে ছাদে গিয়ে সাইকেল চালাতে চায়, সন্ধ্যায় কিংবা বৃষ্টিতে সাইকেল চালাতে চায়। তার জীবনের বর্তমানের লক্ষ্য মহল্লার রাস্তায় সাইকেল চালানো আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া। ও যখন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাবে ওর ক্লাশের অন্য সব বন্ধুরা কি রকম অবাক হয়ে তাকাবে এই চমকে দেওয়ার উল্লাস কিংবা অর্জন দেখানোর জন্যে হলেও ওর স্কুলে গিয়ে সাইকেল চালাতে হবে।
সাইকেল চালাতে শেখাটা একটা বিশাল অর্জন, অন্তত এই বয়েসের প্রেক্ষিতে ওটা এভারেস্ট জয়ের মতো বিশাল একটা কিছু। ছাদে সাইকেল চালানোর সময় অন্য এক ছেলের সাথে পরিচয় হলো। ছেলেটা মহল্লার ভেতরে সাইকেল চালায়। ও বেশ গর্ব নিয়ে বললো আমার যখন ৫ বছর বয়েস তখনই আমি সাইকেল চালানো শিখেছি, তার আত্মীয় ছেলেটা বললো আমিও আমার ৫ বছর বয়েসে সাইকেল চালানো শিখেছি। এরপর কে আগে সাইকেল চালানো শিখেছে সেটা নিয়ে একটা ছোটোখাটো বিতর্ক হয়ে গেলো। বেড়ে ওঠার সময় শিশুদের ভেতরে অনেক ধরণের প্রতিযোগিতা থাকে, এইসব ছোটো ছোটো দক্ষতা অর্জন আসলে সেই প্রতিযোগিতার এক একটা মাইল ফলক। এরকম অসংখ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করে অসংখ্য মাইলফলক ডিঙিয়ে মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায়।
বাবা আমি কবে পাড়ার ভেতরে সাইকেল চালাবো?
আমার তৈরী উত্তর ছিলো " আগে ছাদের উপরে পা না নামিয়ে দশবার ঘুরতে শিখো তারপর নীচে নেমে সাইকেল চালাবে"। আমার ধারণা আর দুই তিন দিনের ভেতরেই এই দক্ষতা তৈরী হয়ে যাবে ওর। আশেপাশের ছেলেদের দেখানোর জন্যে হলেও ও তখন ২০০ গজের গলিতে সাইকেল চালাবে বিকেল বেলা।
এইসব ছোটো ছোটো অর্জনের গুরুত্ব আছে। অর্জনগুলো আত্মবিশ্বাস তৈরী করে। আমিও চেষ্টা করলে পারবো আত্মবিশ্বাস জীবনের প্রয়োজনীয় উপকরণ, আমরা বড়রা বিভিন্ন সময়ে ওদের সামনে আমাদের যোগ্যতা দক্ষতা অর্জনের যে চিত্র তুলে ধরি সেই ছবিতে এক ধরণের অদৃশ্য অলিখিত চাপ আছে। যদি আমরা এমনটা করতে পারি তুমি পারবে না কেনো? তুমি কি ডাম্ব? অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো এই উপহাস কিংবা চাপ কাজে আসে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটার একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়। দুপুরে যখন সবাই কাজ শেষে বাসায় ফেরত আসতো তখন মহল্লার ভেতরে কয়েকটা সাইকেল পাওয়া যেতো, আমাদের দেড় ডজন ছেলের জন্যে মহল্লায় সাইকেল ছিলো ৫টা। এই ধরণের তুলনামূলক আলোচনার ফলে বেড়ে ওঠার সময় তারা নানামুখী হীনমন্যতার শিকার হয় , সেই হীনমন্যতা তাদের নতুন কোনো এডভেঞ্চার থেকে বিরত রাখে, নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।এক ধরণের কূপমূন্ডকতা তৈরী করে।
তার বিপরীতে ছোটো ছোটো অর্জনের আত্মবিশ্বাস বাড়ন্ত শিশুদের ভেতরে নিজের সামর্থ্যের আশ্বাস তৈরী করে। সেটা তাদের নতুন কিছু শিখতে, নতুন ভাবনা ভাবতে , নতুন পথ খুঁজতে সাহস যোগায়। আমাদের জীবতকালীন সময়ে প্রযুক্তি আর বিশ্বের মানচিত্র যেভাবে বদলে গেলো সেই পরিবর্তনের ধারা সামনে আরও তীব্র হবে। আমরা এখনও কল্পনা করতে পারছি না এমন ধরণের নতুন কোনো প্রাযুক্তিক আবিস্কার এক ধাক্কায় অনেক মানুষকেই নিতান্ত অদক্ষ অযোগ্য মানুষে পরিণত করবে। সে সময়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তাকে চতজলদি অনেক কিছু শিখতে হবে। মাথার ভেতরে আমি পারবো না, আমি অযোগ্য, আমাকে দিয়ে হবে না হীনমন্যতা নিয়ে নতুন জগতে পা রাখতে পারবে না ওরা।
সাইকেল চালানো শেখার পর আমরা পরবর্তী টু ডু লিস্ট ঠিক করলাম। সাঁতার, আইস স্কেটিং, ফুটবল- ক্রিকেট- মোটর সাইকেল এবং গাড়ী চালানো। আগামী ৬ বছরের ভেতরেই আমরা এইসব শিখে যাবো।
কি দারুন ভাবে লিখলেন দ্বিচক্রযান নিয়ে!
লেখা খুব ভাল হয়েছে ! পড়ে ভাল লাগলো । তয় রাসেল ভাই'র ইদানিংকার লেখা পড়ে কেমন কেমন যেন মনে হয় ! এটা কি আমাদের রাসেল ভাই'র লেখা ? তিনি আমাদের [পাঠকদের] সাথে লুকোচুরি খেলছেননাতো ? নিজের সাথেও কি ? দেশ, মানুষ, সমাজ, সমস্যা সব ছেড়ে ছূঁড়ে দিয়ে শুধু ছোট্ট ঋককে নিয়ে পড়ে থাকবেন ? তা থাকুন ! বাপতো ! থাকতেই পারেন । তাই বলে তাঁর পাঠক, দেশ, সমাজ, দেশের চলমান সমস্যা এগুলো অবহেলিত থাকবে ? জানি গেল বছর দারুণ ভুগেছেন তিনি ! কিন্তু এটাওতো ঠিক যে তাঁর পাঠকরা তাঁর সাথ দিয়েছিল ! আর এওতো ঠিক, সমাজে কিছু লোক থাকেন যারা অন্যায়/অনিয়মের বিপক্ষে সবসময় বলিষ্ট কন্ঠে প্রতিবাবাদ করেন ! তাঁর গুণমুগ্ধ পাঠক হিসেবে বর্তমান সরকার কতৃক গৃহিত সম্প্রচার নীতিমালার উপর তাঁর কাছে একটা লেখা আশা করা কি অন্যায় হবে ? জানি রিস্ক আছে ! রিস্কতো তাঁর মতো লেখকদের নিতেই হয় ! " ভাত দে হারামজাদা" লিখে কবি রফিক আজাদ সে '৭৪ এ জেলে গিয়েছিলেন । নজরুলের কথা বললাম না নাহয় ।
বয়স হয়ে গেছে । খুব হতাশ থাকি ইদানিং । '৭১ এ গণতন্ত্রের লড়াইয়ে এদেশের মানুষ জিতেছিল । কিন্তু ’৭২ এ মুজিব সরকারের শুরু থেকে এ’ দেশে গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের মানুষেরা শুধু মার খেয়ে আসছে । এখন তার কন্যা গণতন্ত্রের নাকে দড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন যাতে নাকি সুরেও না কানতে পারে । পাছাও সেলাই করলেন বলে যাতে বায়ুও ত্যাগ করতে না পারে । আমার প্রয়াত শিক্ষক চৌধুরী সাহেব আয়ুব খাঁ’র মৌলিক গণতন্ত্রের নাম দিয়েছিলেন ‘খচ্চরতন্ত্র’ । বেঁচে থাকলে হাছিনারটার অবশ্যই নাম দিতেন ‘হা তন্ত্র’ আর খালেদাটার নাম হতো ‘খা তন্ত্র’ । খাওয়ার জন্য সাড়াক্ষণ হা মেলে থাকার কি অসুন্দর প্রতিযোগিতা ইহাদের ! অথচ ইহারাই দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এ দেশের প্রধান মন্ত্রী ! ধিক তাদের মন্ত্রীত্বে/নেতৃত্বে ! বুঝিনা এমন কেন হয়না, ইহারা সেচ্ছায় চলে গিয়ে দেশ-মানুষ-সমাজ-সভ্যতাকে রেহাই দিলেন!
রাগ করবেননা রাসেল ভাই । একজন বয়স্ক মানুষের ভীমরতি মনে করে মাফ করে দিয়েন ! আমার হয়েছে যত জ্বালা ! কত কথা অন্তরে ছটফট করে ! নিজে লিখতে পারিনা । রাসেল ভাই, মাসুম ভাই,মীর ভাই’র কথা মনে পড়ে । অথচ ইনারা লিখবেননা ! তো কে লিখবেন ?
এ টি এম কাদের ভাই সরকারী নিষ্পেষণের ভয়ে ব্লগে সরকারবিরোধী লেখা লিখছি না এমন না। কিছুটা পারিবারিক বাধা আছে, ভয়-ভীতি আছে- না লেখার একটা বড় কারণ এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই লিখছি। ব্লগে লেখা হচ্ছে না কারণ ফেসবুকে এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়া লিখে ফেলার পর একই জিনিষ ব্লগে লিখতে আলস্য লাগে।
গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে সরকার এখনও ঘোমটা খুলে নি, খসরাগুলো খসরা হিশেবে আছে, পাবলিক অপিনিয়নের জন্যে তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড হয় নি। আমি এখনও নিশ্চিত না গণমাধ্যমের আওতায় তারা ব্লগ-ফেসবুক-পার্সোনাল মেইল ম্যাসেজ অন্তর্ভুক্ত করেছে কি না, সংবাদপত্র প্রকাশের যে বিধি অনলাইন সংবাদপত্রের জন্যেও এমনতর বিধি আছে- সেটা যতক্ষণ ব্যক্তিগত পর্যায়ের মতপ্রকাশকে আক্রান্ত করে সে বিষয়ে মতামত দেওয়াটা কঠিন।
মন্তব্য করুন