কামনাসিক্ত প্রার্থনা
১.
ঘরে লেবু ছিলো না, বীট লবনও নেই। পাশের ফ্লাটে হুড়োহুড়ি শুরু হলো মাত্র। পুরো বিল্ডিংটা ফাঁকা, শুধু পাশের জনাকীর্ন ফ্লাট, আর রুমে নিঃসঙ্গ আমি। সুইডিশ এবসলুট পড়ে আছে তাকে। সীবাস রিগ্যাল শেষ, জ্যাক ড্যানিয়েলসও নেই। পাশের রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে ভাবছি নক করবো কি না। এখানে আর কোলাহল নেই, হার্ড রক মিউজিকের সাথে সাথে চলছে নারী পুরুষের সম্মিলিত যৌন কর্মের চিৎকার। ঠিক কতজন বা কতজোড়া এরকম ফুল ভলিউমে যৌন কর্মে লিপ্ত ধারনার বাইরে। দরজায় টোকা দিয়েই বসলাম।
দরজা খুলে দাড়ালো একজন যুবতী। বা পাশের সুঢৌল স্তন ঝুলে আছে, সাদা শার্টের বোতাম নেই, কোমড়ে নেই কোনও অন্তর্বাস। সিক্ত হয়ে আছে জায়গাটা। দরজাটা পুরোটাই খোলা, আমি বাইরে থেকেই মেঝের ওপর এক নগ্ন যুবতীর ওপর নগ্ন যুবক। আমি মুখে হাসি দিতেই বলে বসলো মেয়েটা,"এই ভারতীয়! কি চাও বলো।"
আমি কিছুক্ষন ভাবলাম লেবুর খোজ করা এই ফ্লাটে অর্থহীন। রাত ১০টায় পাশের কুপ সুপারমার্কেট ও বন্ধ হয়ে গেছে।"আমার রুমে দুটো এবসুলুট ভোদকা, এক কেস নরল্যান্ডস গোল্ড, আরেকটা স্যাফায়ার আছে। লেবু খুজছিলাম?"
: বলো কি? তোমার কাছে তো গুপ্তধন। সব একাই খাবে?
: যেহেতু বাসায় একা, সেহেতু করার কিছু নেই।
: সিন্ডি, ফ্রিজের থেকে ৪-৫ টা লেবু নিয়ে পাশের ফ্লাটে আসো। এই ইন্ডিয়ানটার কাছে অনেক কিছু আছে।
এই মেয়েটার গায়ে তো টি শার্ট ছিলো, কিন্তু সিন্ডির গায়ে তাও নেই। ঢুলতে ঢুলতে যখন সামনে দাড়ালো তখন হাতে দেখলাম প্লাস্টিকের খেলনা।
আমি চোখ কপালে তুলে নিজের ফ্লাটে ঢুকলাম দরজাটা খোলা রেখেই। হাতে এবসলুটের বোতলটা খুলে সোফায় বসলাম আয়েশ করে।
২.
ভোদকার বাজে একটা গন্ধ আছে। প্রথম প্রথম আমিও ভুল করেছিলাম। একেতো নীট তারপর সিপ দিয়েই নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়েছিলাম। গন্ধটা পুরো শ্বাসতন্ত্র ছড়িয়ে বমির উদ্রেকের সৃষ্টি করে। ভোদকায় সীপ দিয়ে সবসময় মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ফেলতে হয়, তাহলেই বমির হাত থেকে বাচা যায়। সিন্ডি গিলতে পারলেও ক্রিস্টিনা বমি করে মেঝে ভাসিয়ে দিলো। বিশ্রী গন্ধ বমিতে। লেবুর বদলে সিন্ডি নিয়ে আসছে ভিনেগার। বোকা মেয়েটা ভিনেগার মিশিয়ে ড্রিংক বানাচ্ছে, আর সেগুলো গিলছে। কিভাবে গিলছে কোনো আইডিয়া নেই।
সিন্ডি বাথরুম থেকে পরিস্কার হয়ে আমার সামনে দাড়ালো," কি নাম যেমন তোমার? ওহ...সুশী! সুশী আমি মনে হয় বেশী খেয়ে ফেলেছি। প্রচন্ড গরম লাগছে।"
ওর নগ্ন নিটোল দেহের দিকে তাকিয়ে বললাম,"তাই মনে হচ্ছে। বসো এখানে। আমি একটা নতুন কিছু দিচ্ছি। বিশ্বাস করো, মজা লাগবে।আমি মিউজিকটা বাড়িয়ে দিচ্ছি।"
স্পটিফাই থেকে এনিগমার মিউজিক সিলেক্ট করে ভলিউম টা বাড়িয়ে দিলাম সোনিয়ার রেখে যাওয়া ফিশকেকের প্যাকেট থেকে কতগুলো কেক ট্যাবলেট নিলাম। সিন্ডিকে ৪টা ক্রিস্টিনাকে ৫ টা ধরিয়ে দিলাম। ওরা মুড়ির মতো চিবিয়ে খেলাম।
সিন্ডি আমাকে টেনে বসালো, আমার ঠোটে বসালো নেশাতুর চুম্বন। ওর চুম্বন আস্তে আস্তে আমার নীচে নামতে লাগলো। প্যান্টের বেল্ট খুলতে থাকলো। ওদিকে ক্রিস্টিনা আমার বুকের ওপর বসে কোমড় দোলাতো লাগলো।
রাতটা প্রচন্ড গরম ছিলো, নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায় বন্যতার আদিম নেশা ছড়িয়ে দিলো। উন্মুক্ত বাল্টিক হাওয়া আমাদেরকে শীতল করতে পারছিলো না আদৌ।
৩.
সকাল বেলা খুম ভেঙ্গে দেখি বেহাল অবস্হা পুরো ফ্লাটের। সোফার পায়া ভেঙ্গে গেছে। বিছানায় বেড ছিড়ে গেছে, বালিশের তুলো মেঝে ময়। কম্বলটা রুমের কোনো ভিজে চপ চপ। সিন্ডি আমার পায়ের কাছে, ক্রিস্টিনা আমার মাথার ওপর। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো আমার ড্রয়িং রুমে আরও দুটো নতুন মেয়ে আর তিনটি নতুন ছেলে শুয়ে আছে ন গ্ন হয়ে জড়াজড়ি করে। কাচের টেবিলে সাদা পাউডারের ছেড়া প্যাকেট, আর রান্নাঘরে গাজার গন্ধ।
বুকটা ধ্বক করে উঠলো। পুলিশ আসলে শুধু এরা না, আমিও জেলে। সব কটাকে লাথী মেরে উঠালাম। ন গ্ন অবস্হায় ঘর থেকে বের করলাম, ঘর সাফ করলাম। সিন্ডি আর ক্রিস্টিনাকে বের করতে পারলাম না। এদের ঘুম কোনো মতেই ভাঙছে না। সাদা পাউডার, গাজা সব টয়লেটে ফ্লাশ করে এখন শান্তি।
ওদিকে দু'জন কখন ভাঙ্গে তার অপেক্ষায় বসে।
দুটো লেবুর খোজে ঘরে আমি কি যন্ত্রনা নিয়ে আসলাম!
অকপটে বলেন বলেই আপনার লেখাগুলো পড়তে ভাল লাগে ! ধন্যবাদ !
কি যে ছাইপাশ লিখেছি নিজেরই লজ্জা লাগছে
গুড রাইট আপ!
ধন্যবাদ
কেমন আছেন?
একটু বেশিই অকপট বলা হয়ে গেছে..
লেখাটা মুছে ফেলতে চাচ্ছি, কিভাবে মুছবো বলুনতো?
কেন?এডিট অপশনে গিয়ে নিজের পাতায় রেখে দিলেই তো হয়..
অনৈতিকতাকে প্রচার আর প্রশ্রয় দেয়, এমন যে কোন লেখাই অবাঞ্চিত আর খারাপ।
লেখক এখানে যেটা লিখেছেন সেটা পছন্দ করার মত কোন কারণ খুঁজে পেলাম না...!
মন্তব্য করুন