আরাধ্য আমার স্বপ্ন
বুকের মাঝে বাসা বেধে আছে কিছু। এই কিছু আমার আরাধ্য শত বছরের। আমি অতীতে পা গুনে হেটে চলেছি এ পথ। কখনো মনে হয়নি আমি ছিলাম ধীর। একটা সময় এসে দেখা গেলো হাতে যে মোটেও সময় নেই। মোটেও সময় নেই লক্ষ্যে পৌছাবার। চলে যাবার এই ক্ষনে সাধ জাগে যদি আর একটি বার সুযোগ পেতাম।
আমি দেখেছিলাম ঘুনে ধরা জনপদে অবিচারের ঝুলোঝুলি। যেখানে নিত্য রক্ত ঝরে হাহাকরের। কাল্পনিক ঈশ্বরের আশায় চোখ মুদে ভুলে যায় এই ভেবে একদিন সে ন্যায়বিচার পাবে। সে একদিন কি কখনো এসেছিলো? তাই আমি পালালাম চেনা মুখ গুলোকে পেছনে ফেলে। কিছু কিছু মুখ হারিয়ে যায়, আমিও খোয়াতে থাকি আমার মনের তৃষ্ঞার্ত অঙ্গগুলো। বিকলাঙ্গতা কখনো কারো স্বপ্ন হয় না। শুধু এক মুঠো হাসি মিশে থাকুক পুরোটা জীবন ভরে।
মেঘলা আকাশের যান্ত্রিক এ জনপদে পা দিয়ে দেখি ভালোবাসার আগাছা গুলো গ্রাস করেছে মানবিকতা। কামনা রিক্তের ছিটেফোটাগুলো মহীরুহ হয়ে রাজত্ব করছে এ শহরের অলিগলি। তবে এখানে আছে ন্যায়বিচার, আছে স্বপ্ন ছোবার হাজারো পথ। থাকুক না হাজারো পথ, যদি বা সে স্বপ্ন এতটাই দূরে থাকে যাকে ছুতে হলে পেরিয়ে যাবে সহস্র জীবন! তাহলে লাভ কি বলো?
আমার পথচলায় ভেসে বেড়ায় নিস্পাপ শিশুদের হেসেখেলে বেড়ানো মুহুর্ত, যার প্রতিটা ক্ষনে মিশে আছে নামহীনা মায়াময়ীর মিস্টি গন্ধে। তার সিল্কি চুলের ঢেউয়ে খেলা করে খুনসুটি দুষ্টুমি গুলো। আমি মন্ত্রমুগ্ধ ডুবে যাই ধীরে ধীরে, হারিয়ে ফেলি ঘোর লাগা তন্দ্রায়। স্বপ্ন গুলো তো ভালোই ছিলো, তবু কেন তাকে চলে যেতে হলো বলো? আমার কি কাউকে বুকের মাঝে আগলে রাখার অধিকার নেই?
বিকলাঙ্গ মনের কান্না কেউ শোনে না এখানে, সত্যিকার ভালোবাসা এখানে খুব বেশী দেখা যায় না। পথচলাও থেমে থাকে না, ঘোর লাগা কেটে যায়। এই বাস্তবতা কেমন যেন রূঢ় মনে হয়। ঠিক তেমনি সময়ে তুমি এলে। পরক্ষনে ভুলে গেলাম আমারি অতীত তবে তা ছিলো ক্ষনিকের। আমি পালিয়ে যাই নিজের অস্থিরতাকে হত্যা করতে। কিন্তু তুমি দিলে না, বেধে ফেললে এক নিস্পাপ হাসির মায়া লাগিয়ে। কিভাবে পারো তোমরা?
তুমি এলে, এরপর শুরু হলো শৃঙ্খলাময় জীবন। কষ্ট ছিলো তবু তাতে মিশে ছিলো সুখেদের আনাগোনা। আমি হাতের রেখায় তাকিয়ে দেখতাম তাতে মিশে আছে ছোট এক শিশুর পদচিহ্ন। সেই পদচিহ্ন চিনে চিনে আমি যেনো পারি দিতে সীমাহীন অতলান্তিক। উদ্ভট নামে এই শিশুটি কখন মুখ ফুটে কিছু বলবে সে আশায় কেটে যেত কতনা প্রহর। তার বিরামহীন কান্নায় ভুলে যাই আমার মন ছিলো বিকলাঙ্গ, তাতে ছিলো এক লক্ষ্য, চাহিদা। কেন যেনো মনে হলো বিকলাঙ্গ মনের লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি। তুমি, আকবর আর ছোট্ট এই ঘর, যদিও কিছুদিন আগে তাতে লাগিয়েছো উদ্ভট এক পিংক রং....উফফ...আর কিভাবে আমাকে খোচাতে পারো বলো আর কিভাবে জানলে তোমার অসহ্য খুচাখুচির বড্ড ভক্ত আমি!
আজ তুমিও নিশ্চুপ শুয়ে পড়লে। অজস্র যন্ত্রপাতী তোমাকে মেপে চলেছে প্রতিনিয়ত। নিয়তি বলে কি সত্যি কিছু আছে অথবা এই অভিশাপ? যাকে ছুয়ে যাই তার চলে যাবার সময় ঘনিয়ে আসে নাকি আমার পথচলাটা অবিরাম ব হুআগে থেকেই নির্ধারিত। নিঃসঙ্গতা ইদানিং গ্রাস করে ফেলে, অন্ধকারের কানাগলিতে ছুড়ে ফেলে দুমড়ে মুচড়ে। আমি যেনো কোনোভাবেই নিজেকে বাচাতে পারি না। হ্যা, আমি স্বার্থপর, আমি নিজেকে বাচাতেই তোমাকে চাইছি। আকবর সে তো দিব্বি আছে। তারপরও তাকে ফেলে তুমি কিভাবে থাকবে বলো?
তোমাকে ভালোবাসি না আর মাইমুনা, তোমাকে পূজো করি আমি নিত্য!
শুভ কামনা রইলো
এখন কি অবস্থা?
মন্তব্য করুন