ঘোলাটে হাওয়ায় হারিযে ফেলেছি কৈশোরের ডায়েরি
মানুষের জীবনের এই যে সীমিত সময়- যদ্দিন বাঁচি খেয়ে পরে আয়েশে কাটাতে হবে। কিন্তু কি করে তা সম্ভব হবে? কয়েক বছর আগেও উত্তরটা সিরিয়াসলি খুজিনি। কয়েক বছর আগে একটা পরিকল্পনা ছিলো। ইন্টার পাশ করে বরফ পড়া কোনও এক দেশে পড়াশোনা করতে যাবো। রাস্তার নির্জনতা মাড়িয়ে ঘরে ফিরবো। ভেবেছিলাম দারুণ হবে ব্যাপারটা।
কিন্তু দেখা গেলো ক্লাসমেটদের ভিতরে যাদের মুখে কখনো বিদেশ যাবার কথা শুনিনি তাদের কেউ কেউ চলে গেছে চীন কিংবা ইন্ডিয়া। আর এদিকে আমি মিশে যাচ্ছি এই শহরের হাহাকারে।
কলেজের দিনগুলো ছিলো নিশ্চিন্তে পথচলার মত। প্রতি রাতে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাদের বুকে আগলে রেখে আমি ঘুমাতাম। সেই ঘুম ছিলো সত্যিকারের শান্তির ঘুম। দিনগুলো কিভাবে যে শেষ হয়ে গেছে তা আমি জানি না। সেই সব দিনে কখনোই ভাবি নি পরের বছরগুলো কেমন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় বছরেও সময়ের দিকে তাকাইনি একবারও। কিন্তু সেই নিশ্চিন্ত সময়ও শেষ হয়ে গেলো হটাৎ করে।
এখন ঠিক কি চাই তা যখন ভেবে বের করতে পারি না তখন পেছনের সময়গুলোকে খুব এলোমেলো মনে হয়। আর ভবিষ্যতের কোনও পরিকল্পনার ব্যাপারেই নিশ্চিত হতে পারি না।
আজ হলে ফেরার পথে দেখছিলাম একটা ট্রাক থেকে সিমেন্টের বস্তা নামাচ্ছে কয়েকজন। পা দুটো থেমে গিয়েছিলো কিছুক্ষনের জন্য। ধুলায় ধুসর পোশাক তবু ওরা কাজ করে যাচ্ছে মাঝরাতে। ভাবছিলাম ওরা কত টাকা রোজগার করে এক দিনে।
সেদিন এক বন্ধুর সাথে আলাপ হচ্ছিল। আমরা বড় হয়ে গেছি। বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার সময়টা নাকি চলে এসেছে। যেন এক রাতের ভিতরেই জীবনের সমস্ত হিসাব নিকাশ করে ফেলতে হবে।
আমার দুশ্চিন্তা করতে ভালো লাগে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বলেছিলেন- বড় হবার সাথে সাথে জীবনের সঙ্কটগুলোও বড় হতে থাকে। তবু একদিন সব কিছুর উপায় হবে- এ আশাটুকু যত্ন করে রেখেছি।
অলমোস্ট সেম হিয়ার!
হাঁটতে থাকুন, সোনাকাঠির পাশে রুপোকাঠি যেন ঠিক ঠাক থাকে ।
শুভকামনা, দিন সুখেরই হোক!
শিরোনামটা জোস হইছে।
ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও এক বোতল শুভকামনা রইল।
শিরোনামটা অসাধারণ হয়েছে, সেই সাথে লেখাটাও।
ধন্যবাদ কুহেলিকা। শিরোনামটা আমারো খুব ভালো লেগেছে। ভাললাগার একটা গান থেকে শিরোনামটা চুরি করেছি।
মন্তব্য করুন