দুধ কলা দিয়ে পুষে রেখেছি একটা মরিচা পড়া মগজ
লিখতে বসতে বসতে একটা গান মনে পড়ল। একটি দুটি তিনটি করে ফুলগুলো সব যাচ্ছে ঝরে, ফুলবতী গাছের বুকে ভীষণ হাহাকার। গীটার বাজিয়ে এক বন্ধু গানটা গেয়ে থাকে। গানের কথার সাথে নিজের বাস্তবতার মিল আছে কি? বর্তমানকে বিশ্লেষণ করলে বেশ খানিকটা মিল পাওয়া যেতে পারে।
শীতকালীন নিয়মানুসারে আজও বেলা দুপুরে ঘুম ভেঙ্গেছে একটা নিমন্ত্রণের ফোনে। সন্ধ্যায় জহুরুল হক হলে মুরগী পুড়িয়ে খাবার নিমন্ত্রণ। অনেকেই ভাবতে পারেন মুরগী পোড়ানো টোড়ানো আসলে কিচ্ছু না, আসলে খাবে নেশা পুড়িয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করুন বন্ধুগণ পরীক্ষার আগের এই সন্ধ্যাগুলোতে মুরগী পোড়ানোর বিষয়টাই দারুণ রোমাঞ্চকর লাগে।
আজকে প্রাতঃকৃত্য সারার সময়ে পত্রিকার সাহিত্য পাতায় একটা গল্প পড়ছিলাম। লিখেছেন ধ্রুব এশ। দারুণ বস্তাপচা গল্প। তাই আবার কাগজেও ছেপেছে। কিন্তু আমি পড়লাম। মগজের জং টা একটু তাড়াবার জন্য।
স্নান খাওয়া বাদে সারাদিন কিছুই করি নি। বিকেলে কম্পিউটারটা সেট আপ করার চেষ্টা করলাম। হল না। শেষে দেখি খাটের তলে ইন্টারনেটের তার ইঁদুরে কেটেছে। আর তাই কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছুতেই আমি সমস্যাটা ঠিক করতে পারি নি। যাইহোক, সেই তার জোড়া লাগাতে গিয়ে সন্ধ্যা।
এরকম সন্ধ্যায় আমার রুমে বসে থাকতে একদম ভালো লাগে না। এই সময়টা আড্ডা আর উদ্দামের জন্যই রাখা হয়েছে। কিছু না হলেও রাস্তায় গিয়ে বসে থাকা ভালো। কিন্তু আমি টেবিলে বসে এখনো।
বছর ঘুরে পরীক্ষাটা এসেছে। যথারীতি আমারও মনটা ভালো নেই। সারাবছর ফাঁকি দেবার দায় চেপেছে মাথায়। ক্লাসের বই খুলে মনে হল- এখন কি করি। বই টই বন্ধ। মগজে দারুণ পুরনো মরিচা। সবাই বলেছে পড়াশুনার ভিতরে থাকলে ধীরে ধীরে মাথা ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু সন্ধ্যায় আমার বাইরে যেতেই হবে। ভাই ব্রাদারদের সাথে দেখা হলে ভালো লাগতে পারে। কি জানি বিনীতা কেমন আছে। আমার এই বিপদের কথা কেউ জানে না।
তোমার অবস্থা 'উইনি দ্যা পুহ্' এর মতো।
এক্সামের আগে মনের অবস্থা এমন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক!
মন্তব্য করুন