ইউজার লগইন

নিয়োনেট'এর ব্লগ

অসুখের রাত

এরকম রাত অসহ্য লাগে
বন বন ঘোরে বিদ্যুতের পাখা
কানে বিরক্তি ঢালে হিন্দি চ্যানেলের সুর
বাতাসে উড়ে যায়
সস্তা বিড়ির ছাই
উড়ে আসে চোখের পাতার নীচে
যন্ত্রণা দেয় ভীষণ
কষ্ট দেয় তোমার অবিশ্বাস,
সঙ্কোচ আর অনর্থক ভয়-
আমাদের বন্ধুত্ব-ভালোলাগার নিবিড় পরিচয়
এ সব কিছু নিশ্চয়ই নিষ্ফল হবার নয়।

এরকম রাত অপার্থিব মনে হয়
মানবিক সন্দেহ আর দৈব ষড়যন্ত্র
ভারী করে দেয় বাতাস
হারিয়ে দেয় মানুষদের
বিষে ভরিয়ে দেয় নিঃশ্বাস
বালিশে, পেন্সিলে, টাইপ-রাইটারে
স্বস্তি খুঁজতে থাকি
শেষ কবে ঘুমিয়েছিলাম পেট পুরে খেয়ে -
মনে পড়ে না, এ অস্বস্তি পিছু ছাড়ে না
বাতাস বয় না, গাছের ডাল আর পাতারা নড়ে না
দীর্ঘশ্বাস অনুভবে; আবদ্ধ অন্ধকারে চেয়ে।

এরকম রাত নিঃস্ব করে দেয়
আমাদের যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা
সম্পদ আর সুযোগের অভাব
আরও কয়েকগুণ বাড়ায় অস্থিরতা
শব্দে শব্দে মুহূর্তরা বলে শুধু- নাই

অল দা বেস্ট ফর ইউ

দেখ তুমি কতদুর এগিয়েছো-
পাওয়া হয়নি নিশ্চয়ই অনেক কিছু-
খুঁজতে থাকো
জীবনের হীরে মুক্ত।

আমি বহু দিন ধরে ওসব খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়েছি;
জেনে গেছি- সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে কচ্ছপের মত নিঃশব্দে
তবু আমি কিছুই বলতে যাবো না-
বলতে যাবো না যে তুমি বহু আগেই পথ হারিয়েছ
পথ হারিয়েছে তোমার সাথীরাও
পথ হারিয়েছে তোমার সাজসজ্জা
বেশভূষা, অঙ্গভঙ্গি, মস্তিস্ক।

সহস্র দালানের ইট আর প্রেমিকার হাত
উল্টে পাল্টে সর্বস্বান্ত হয়েছি-
খুঁজে পাইনি এক ফোঁটা শীতল শান্তি;
তবু তোমাকে কিছুই বলার নেই- খুঁজতে থাকো
যা যা এখনো মহামূল্যবান-
জৌলুশ, আয়েশ, সুসন্তান
আমি বলতে আসবো না যে বহু আগে তোমার রক্ত নষ্ট হয়েছে
তাই ভ্রষ্ট হয়েছে তোমার সন্তান।

বলতে আসবো না যে এই অন্ধকারে
অর্থহীন তোমার জ্ঞান ও গনতন্ত্রচর্চা,
পেপার পড়া, টিভি দেখা, বেড়াতে যাওয়া এবং ছবি তোলা;
তুমি বরং এগিয়ে যাও-

দু'টো কথা

কি নিয়ে দাঁড়াবো এসে তোমার সামনে
শক্তি-ইচ্ছে সবইতো হারিয়ে ফেলেছি

নির্বুদ্ধিতার চাষাবাদ করে করে
অপচয় করেছি
ক্ষয় করেছি সবটুকু উর্বরতা

এখানে এখন আর একটা বীজও জন্মাবে না
কোন স্পর্ধায় তোমাকে ডাকবো
এরকম প্রাণহীন পৃথিবীতে?


এই দেখ- যে ভালোবাসা প্রয়োজন তোমার
তার সবটা এখানেই আছে
এই যে এই চোখের কোনায়- নাকের ডগায়-
চুলের প্রান্ত থেকে ঝরে যাচ্ছে সব
তুমিই তো বলেছিলে
এসব তোমার চাই
এই দেখ- সব এখানে
এই দেখ সবুজ বন- সমুদ্র- ঢেউ
তুমিই তো চেয়েছিলে
এই নাও- কুয়াশা- শালিখ- রোদের পরশ।

রুপান্তর

ঠিক কি কারণে এতোটা বিষাদগ্রস্ত হলাম আমি-
এতোটা পথ হেঁটেও বঞ্চিত হলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য থেকে-
আগামীকে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হলাম জরুরী বার্তা-
ঠিক কোন কারণে?
রিকশাওয়ালার সাথে দুর্ব্যবহার করে
শিক্ষকদের অমানবিক আচরণ করতে দেখে?
প্রেমিকার জন্য নিরাপদ আবাস খুঁজে না পেয়ে?
রাস্তায় নগ্ন শিশুদের অনাদরে ঘুমাতে দেখে?
হয়তোবা আমাকে ঘিরে বাবার অশেষ স্বপ্ন শুনতে শুনতে-
হয়তোবা মানুষদের অমানুষে রূপান্তরিত হতে দেখে-
হয়তোবা-
জীবনের অসীম অভাবের তাড়নায় বার বার লজ্জিত হয়ে-
কে জানে?
হয়তোবা এমন আরও অনেক কিছুর কারণে-
আমি ক্ষয়ে যাচ্ছি বুড়ো হাড় হয়ে
বয়ে যাচ্ছি নর্দমায় যুবকের প্রস্রাব হয়ে
পুড়ে যাচ্ছি মাদক হয়ে
বিষে ভরা বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছি
কুকুরের দীর্ঘশ্বাস হয়ে;
মরে যাচ্ছি প্রেমিকার অসহায়ত্ব হয়ে
রাজনীতিবিদ আর সমাজকর্মীদের মিথ্যা হয়ে
ভেঙে যাচ্ছি সন্ত্রাসীর সাবাড় করা মদের বোতল হয়ে

তোমাদের সাথী হতে চেয়েছিলাম বলে

গুলিবিদ্ধ পাখির মতন
নিশ্চল ডানা আর রক্তাক্ত পাঁজর নিয়ে
আমি ফিরে আসছি মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বুকে-
ওরা রাইফেল আর দূরবীন নিয়ে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
তিন ভাগ জল আর এক ভাগ মাটি।

ওদের উদযাপন অপেক্ষা করছে আমার মৃত মাংসের জন্য-
আমি হারিয়ে যাচ্ছি- হারিয়ে যাচ্ছি-

(সড সড স ডর ফে হ হ ক জক ল ফ ড ড)

শোয়া যায় না

''তা মশাই, কি হচ্ছে এসব?
কি যে হচ্ছে তা ওরাই ভাল জানে। আমি আম গাছ। আমগুলো বতী হচ্ছে আমার- এর বেশি কিছু জানি নে।''

আমরা ছয়জন আমগাছের সাথে কথা বলছিলাম। শাহবাগের এটিএম বুথটার সামনে দাড়িয়ে। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে হলদে রঙ ধরা আমগুলোর দিকে। আমরা টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে কয়েকটা জায়গায় দাড়িয়ে বসে রাত পৌনে বারোটার দিকে শাহবাগের গাছের আমের নিচে দাড়িয়ে আছি।

যখন তোমারে চাইতাম

তোমারে পাইতে চাইছিলাম আমি
পাশ ঘেঁষে হাঁটার সময়-
তোমার গায়ের ঘ্রান খুব মোহন করতো আমারে।

আরও অনেক নিভৃতে তোমারে পাইতে চাইছিলাম
ভেজা ভেজা সবুজের মত।
পাইতে চাইছিলাম ফাল্গুনের রাঙ্গা ফুলের মত;
সেই রঙের জোয়ারের মত তোমারে রাঙাইতে চাইছিলাম।

হয়তো বিপ্লবের চেয়েও বেশি রকম তোমারে পাইতে চাইছিলাম।
শুকনো শীতে একটা দেশলাইয়ের মত-

সেই সময় আজো ভোলে নাই-
কি রকম ব্যাকুল আমি- চাইতাম তোমার গায়ের ঘ্রাণ।

২.
ভাবনাতে ঘুম আশুক-
ছোপ ছোপ অন্ধকারের মত।

ভাবনার রেশ ধরে যেতে যেতে

আজ রাত্তিরেও খাওয়া দাওয়া সেরে যেই না সুনীল'দার মিষ্টির দোকানের পাশটাতে দাঁড়িয়েছি অমনি সেই পাগলা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভরপেট খেয়েদেয়ে একটা মিষ্টি গালে দিয়ে এরকম ঝিরি ঝিরি বাতাসে দাড়িয়ে; ঠিক কি কারণে জানি না- একটা ধোঁয়ার কাঠিতে আয়েশ করে আগুন জালিয়েই মনে হল- বিড়িটিড়ি এবার ছেঁড়ে দিলেই হয়- কেন যে আজ অব্দি অনর্থক বিষ খেয়ে যাচ্ছি - এ বস্তুটির কাছ থেকে নিস্তার পেলেই বাঁচা যায়- চাইলেই ছেঁড়ে দেওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। পাশের পাড়ার দাদাও ফুস করে ধোঁয়া ছেঁড়ে সায় দিলেন- হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক কথা।

প্রিয়তমা কলেজ

আজকে রাতে আমি একেবারেই জড়ো পদার্থে পরিণত হয়েছি। প্রাণহীন, কি যে করি। সব ছেঁড়ে ছুঁড়ে বহুদুরে ছুটে যেতে না পারার গ্লানি আঁকড়ে ধরেছে মনটাকে। নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরছে। আমার পাশে কেউ নেই। এই বিশাল শুন্যতা ভাগাভাগি করলেও কি আর এমন কম হোতো?

শুন্যতা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। যেদিন ছেলেপেলে কলেজে গেছে রি-ইউনিয়ন করতে। আর আমি যেতে পারিনি। আজকে দুপুরটায় যখন নিজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছি হলের ফুল বাগানে তখন থেকেই টের পাচ্ছি যে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না আর এক মুহূর্তও। কলেজের করিডোরগুলোকে ডেকে এনে পাশে বসিয়ে দেখাতে ইচ্ছে করছে আমার জানালা, মাঘের দুপুর আর বুকের ভেতরের শুন্যতা। প্যারেড গ্রাউন্ড আর একাডেমিক ভবনের সিঁড়িগুলোকে শোনাতে ইচ্ছে করছে আজ আমি কতোটা বদলে ফেলেছি নিজেকে। আর ফাইনাল পরীক্ষার ষড়যন্ত্রে আটকা পড়ে কি করে দিন কাটাচ্ছি।

লেট নাইট কুকিং

দরজা জানালা বন্ধ করা। তারপরও মনে হচ্ছে বেড়ার ফুটো দিয়ে শির শির করে বাতাস ঢুকছে ঘরে। রাত প্রায় শেষ। একটু পরেই মাইকে আজান দেবে। ঘণ্টা কয়েক ধরে ইন্টারনেটে বার্তাচালাচালি করে যখন খুব খিদে লেগেছে তখন একটু ফেসবুকে ঢুকে পড়লাম। আর দেখি একটু আগেই সুফিয়া কামাল হলের একটি রুমে "লেট নাইট কুকিং'' শেষে খাবার দাবারগুলো সযত্নে পরিবেশন করে রাখা হয়েছে।

থালার মাঝখানে একবাটি ভাত উল্টো করে রাখা, চাইনিজদের মত করে। তার পাশে চিংড়ি মাছের কি একটা তরকারি। ভাতের উপরে একটু ধনে পাতা। আর গোলাপ ফুলের মত করে কাঁটা একটা টমেটো। ছবির ক্যাপশনে লিখেছে ''লেট নাইট কুকিং। শ্রিম্প উইথ সবজি, আর কি চাই? কার কার খিদে পেয়েছে??''

অবকাশ নামক ফাঁকিবাজি

ক্যামন আছি সত্তি জানি না। সময় দরকার। পড়াশোনা, কাজ কর্ম সারা এবং গুছিয়ে চিন্তা করার জন্য। হয়ত পিছিয়ে পড়ছি। কিন্তু অবকাশটাও দরকার বলে মনে হচ্ছে।

আমার আসলে একটা অবকাশ দরকার। অন্তত একটা বছর। হয়ত তাই হতে যাচ্ছে। তাই যদি হয় তবে জীবনের পরবর্তী বছরগুলোর একটা পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা প্রস্তুত করে ফেলতে হবে এর ভিতরেই।

অনেক কাজ করা দরকার। প্রধানত শিক্ষামূলক। বই পড়া এবং ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করা। পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোলাটে হয়ে আছে বলে জীবন নিয়ে এখন কিছু ভাবাও প্রায় অসম্ভব। ফাইনাল পরীক্ষার পর চাকরি খোঁজার সুযোগ আছে হয়ত, কিন্তু সেটা করা ঠিক হবে না বলে কেউ কেউ বলছে। আমারও সেটাই মনে হচ্ছে। কেননা তাতে আমি এই অবকাশটা পাবো না।

কথাচুরি

পাঁচ মিনিট ধরে ভাবলাম। কিন্তু কিছুতেই কি দিয়ে লেখা শুরু করবো খুঁজে পেলাম না। সারারাত ছুটে বেড়ানোর সময়টাতে লেখার জন্য মন টানে, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা নিজেকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানোর পর রুমে ফিরে আসি যখন তখন বসতে ইচ্ছে করে না।

কিন্তু কি দিয়ে লেখা শুরু করা যায়? মনের ভিতরে কত কথা ছিল। তারা সব গেল কোথায় যেন হারিয়ে। জেমসের গান প্লেলিস্টে। আঙুলগুলোও নেশাতুর হয়ে থাকতে চায়। কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না।

হারিয়ে যাবার ঠিকানা বলে নাকি আসলে কিছু নেই। হারিয়ে যাওয়া মানে নাকি নিজেকে আবার খুঁজে পাওয়া। আমি কেন বার বার হারিয়ে যেতে চাই? অনেক লোকের ভিড়ে কিংবা একা ছাদে গিয়ে? নিজেকে খুঁজে পাবার জন্যই মনে হয়। তার মানে নিশ্চয়ই আমি সব সময় নিজেকে খুঁজতে থাকি। কিন্তু এসব তাত্ত্বিক আলোচনা বৃথা। ফুল নেবে না অশ্রু নেবে বন্ধু?

শীতের বিকেলগুলো

এভাবে কেন চলে যাও
পৌষের এই বিকেলের মত
তোমার সাথে কথা ছিল যত
মুছে দিতে দিতে চাও
এই প্রেমটুকু বিকেলের শেষ নিশ্বাসে?


আমার খুব বিষণ্ণ লাগছে
অনেক অনেক দিন ধরে
আর অবিকল এরকম আরও একটি বিষণ্ণ সন্ধ্যা
যখন আমাকে গিলে ফেলেছে প্রায়-
তখনই তোমার সাথে আমার পরিচয়।

বেশ হত যদি বলতে আমি টি এস সি তে-
এক্ষুনি চলে এস আমাকে নিতে
টর্নেডোর মত হাজির হতাম
পাঁচ মিনিটে স্নান সেরে
এতো দেরি করলে কেন- তবুও তুমি গাল ফুলোতে।

অথচ তুমি করে ডাকার অধিকারও আমার হয়নি এখনো।

দুধ কলা দিয়ে পুষে রেখেছি একটা মরিচা পড়া মগজ

লিখতে বসতে বসতে একটা গান মনে পড়ল। একটি দুটি তিনটি করে ফুলগুলো সব যাচ্ছে ঝরে, ফুলবতী গাছের বুকে ভীষণ হাহাকার। গীটার বাজিয়ে এক বন্ধু গানটা গেয়ে থাকে। গানের কথার সাথে নিজের বাস্তবতার মিল আছে কি? বর্তমানকে বিশ্লেষণ করলে বেশ খানিকটা মিল পাওয়া যেতে পারে।

শীতকালীন নিয়মানুসারে আজও বেলা দুপুরে ঘুম ভেঙ্গেছে একটা নিমন্ত্রণের ফোনে। সন্ধ্যায় জহুরুল হক হলে মুরগী পুড়িয়ে খাবার নিমন্ত্রণ। অনেকেই ভাবতে পারেন মুরগী পোড়ানো টোড়ানো আসলে কিচ্ছু না, আসলে খাবে নেশা পুড়িয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করুন বন্ধুগণ পরীক্ষার আগের এই সন্ধ্যাগুলোতে মুরগী পোড়ানোর বিষয়টাই দারুণ রোমাঞ্চকর লাগে।

আজকে প্রাতঃকৃত্য সারার সময়ে পত্রিকার সাহিত্য পাতায় একটা গল্প পড়ছিলাম। লিখেছেন ধ্রুব এশ। দারুণ বস্তাপচা গল্প। তাই আবার কাগজেও ছেপেছে। কিন্তু আমি পড়লাম। মগজের জং টা একটু তাড়াবার জন্য।

আলস্যের দিনলিপি ৩

আমার সবকিছু প্রচণ্ড অগোছালো হয়ে আছে। কতোটা অগোছালো তা মাপারও কোনো উপায় নেই। পড়াশুনা করি না কত যুগ তারও হিসেব নেই। অনেকদিন হল ক্লাসে যাই না। অনেকদিন হল বেলা দুপুর করে ঘুম থেকে উঠি। হটাৎ করে একদিন শীতকাল চলে এলো। আর আমার আলসেমিও কয়েকগুণ বেড়ে গেল। আমি আসলে করি টা কি? কোথায় আমার মন, জানি না।

অথচ আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে। স্নান করে একটা ডিম ঝালফ্রাই দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেছি। নজরুলের গান শুনতে শুনতে আরাম করে একটা সিগারেটও টেনেছি- মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর। আহা কি স্নিগ্ধ সকাল। আর ভাবছি কেন ক্লাসে গেলাম না। এই ক্লাসটা খুব বেশি জরুরি নয়।