ইউজার লগইন

শফিক হাসান'এর ব্লগ

একটি অসমাপ্ত কামের গল্প

চোখ আটকে গেলো সহজেই! আজকাল সুন্দরী মেয়েরা কবিতা লিখতে আসে না বললেই চলে। হেঁজিপেজিদের দেখতে দেখতে অরুচি ধরে গেছে। একটি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে মেয়েটির একগুচ্ছ কবিতা। সাথে তার কবিতাভাবনা ও আলোকচিত্র। ছবিটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন তিনি। সুন্দরীই বটে, আগুনসুন্দরী! সাহিত্য সম্পাদককে কল দিয়ে রুহিনা তাবাসসুমের সেলফোন নম্বর চাইলেন কবি সৈয়দ আবু বকর। ছোকরা সম্পাদক প্রথমে ঘাইগুই করলো; পরে নিমরাজি হয়ে নম্বর দিলো।
এই সমস্যা। এরা মনে করে কবিতা ছাপার বিনিময়ে মানুষটির দখল বুঝে নিয়েছে। এখন ঘরের বউয়ের মতো অধিকার খাটানো যাবে।
দেরি না করে কল দিলেন তিনি- 'রুহিনা তাবাসসুম বলছেন?'
ওপাশ থেকে ভেসে এলো সুরেলা আওয়াজ - 'বলছি'।
'আমি কবি সৈয়দ আবু বকর।'
'সৈয়দ আবু বকর! মানে বাংলাদেশের প্রধান কবি?'
'তা বলতে পারেন! আপনার কবিতা পড়লাম, দৈনিক বগিজগি পত্রিকায়...!'
'তাই! কেমন লেগেছে?'

রেখেছো বামন করে মানুষ করোনি!

মাকাল ফল বলে একটা প্রবাদ আছে! কর্মস্থলের সুবাদে এই মাকাল ফলের দেখা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি সিলেট অঞ্চলে। বিদ্যা-বুদ্ধি যা-ই থাক, অর্থকড়িতে এরা কেউ কেউ তুলনামূলক এগিয়ে- নিঃসন্দেহে। আজকাল শিল্প-সাহিত্যেও ভালো 'অবদান' রাখতে শুরু করেছে এরা। দেশীয় কিংবা বিদেশে অর্জিত অর্থে কোরবানির গরুর মতো মোটা-তাজা অনেক লিটলম্যাগ বের হয় সিলেট থেকে...।
সাবেক কর্মস্থলে সংস্কৃতিসেবক বেশ ক'জন সিলেটির দেখা পেয়েছিলাম। পত্রিকার প দূরে থাক, অ-ও না বুঝে এরা পত্রিকা সম্পাদনা করতে আসে। কাজ করার সময় আমার কাছে আবদার আসে- 'ভাইসাব, সম্পাদকীয় লেকিয়া দেউক্কা' কিংবা 'ভাইসাব, লেখক তো লেখার শিরোনাম দিছুইন না, এককান শিরোনাম বানাইয়া দেউক্কা' টাইপ অনেক কিছুই...!
তারপর সময়ের প্রয়োজনে একসময় আমি চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।

১৯৭১ : কতটুকু ভেতরে, কতটুকু বাইরে?

এ. কে. খোন্দকার '১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' লিখে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিতর্কের বড় একটি অংশে রয়েছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে। এ. কে. খোন্দকার দাবি করছেন বঙ্গবন্ধু ভাষণের শেষে জয় বাংলার পর জয় পাকিস্তান বলেছিলেন। এ তত্ত্ব খোন্দকার সাহেবই প্রথম তোলেননি, এর আগেও তোলা হয়েছিলো। বিশেষ করে কবি শামসুর রাহমানের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'কালের ধুলোয় লেখা' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় দৈনিক জনকণ্ঠে। পরে সেটা বইয়ের আকারও পায়। এই বইয়ে শামসুর রাহমান উল্লেখ করেছেন ভাষণে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক জয় পাকিস্তান বলার বিষয়টি। কী একটা বিতর্কের জের ধরে তা আমি সাপ্তাহিক ২০০০-এ লিখেছিলাম। ২০০০-এর সম্পাদক তখন শাহাদত চৌধুরী।

এই বর্ষায় আগামী শীতে

ভাবি এখন ঢাকায়! Smile Smile
এটা কোনো সংবাদ না। সংবাদ হচ্ছে, ভাবিকে নিয়ে আমি এখন স্ট্যাটাস দিই না―এ নিয়ে মানুষের অভিযোগ! তবে কি ভাবির সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে!?
কত আর দেয়া যায়―স্ট্যাটাস দিতে দিতে তো স্ট্যাটাসের মানই নামিয়ে ফেলেছি! নতুন করে লিখবোই বা কী―আমার ভাবি আমার অহংকার, ভাবি এলে ঢাকা শহর প্রাণচাঞ্চল্যে জেগে ওঠে, চলে গেলে অন্ধকারে ঢেকে যায়, ভাবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি ডাকে/ নদী বয় কুলকুল করে/ ফুল ফোটে―সৌরভ ছড়ায়, ভাবির হাতের ছোঁয়ায় শুকনো মরিচটি আমার কাছে অমৃতের স্বাদ নিয়ে আসে... মোটামুটি এসব শোনাতে শোনাতে ফেসবুক বন্ধুদের কান পচিয়ে ফেলেছি! বিরক্তির শেষ সীমা অতিক্রম করতে চাইনি। Big smile
আমার কাছে আমার ভাবি পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হতে পারেন কিন্তু এটাকেই আদিখ্যেতা ভাববেন এমন মানুষের সংখ্যাও তো খুব একটা কম না! এরা সস্তা আবেগ বলে উড়িয়ে দেবেন।

ডামি লেখক বইয়ের ফ্ল্যাপ লিখলে...

অনেক তরুণ লেখকই চান বইয়ের ফ্যাপটি বিশিষ্ট কোনো লেখককে দিয়ে লিখিয়ে নিতে। এতে মূল্যায়নের পাশাপাশি একটা ‘সনদ’ও জুটে যায়! দুর্ভাগা তরুণরা জানতেই পারেন না, প্রিয় মানুষটি ব্যস্ততা কিংবা উন্নাসিকতার কারণে বই ছুঁয়েও দেখেন না! নবীন লেখক যদি নাছোড়বান্দা হন, প্রতিষ্ঠিত লেখক অবলম্বন করেন ভিন্ন পদ্ধতি! অগুরুত্বপূর্ণ কাউকে দিয়ে ফ্ল্যাপ লিখিয়ে, সেটা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে তরুণ লেখককে ‘বুঝ’ দেন! হাতে ললিপপ ধরিয়ে দেয়া ফ্যাপগুলো কেমন? দেখুন-

লেখকের বউয়ের ফ্ল্যাপ
বই : বাঁশগাছের মাথার উপর চাঁদবাগান (গল্পগ্রন্থ) Smile

নিজেরে করিতে গৌরব দান...!

কবিকে দিও না দুঃখ, তাহলে সে তার দুঃখ ছড়িয়ে দেবে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে...
কবিকে আমরা দুঃখ দিতে চাই না। তারপরও অজান্তেই কবি দুঃখ পান, কষ্ট পান—আমরা ব্যথিত হই, কিন্তু কিছুই করার থাকে না।
কে কবি আর কে কবি নয়—কোনো মানদণ্ড নেই।
কে ছোট কবি আর কে বড় কবি—তারও কোনো মানদণ্ড নেই।
তবুও কবিরা কষ্ট পান, হয়তো কষ্ট পেতে ভালোবাসেন। তাদের এই কষ্টবিলাসটা যখন আমাদের মতো গোবেচারা, নির্বিরোধী মানুষকেও আক্রান্ত করে—পীড়িত না হয়ে উপায় থাকে না!
মাসিক পত্রিকায় ছেপেছিলাম একজন 'শক্তিশালী' কবির কবিতা। তিনি ক্ষুব্ধ, তার কবিতা অনেক পেছনে ছাপা হয়েছে। যোগ্যতা বিবেচনায় তার কবিতাই আগে থাকার কথা ছিলো! বয়সেও তিনি অনেক বড়। হাঁটুর বয়সী কবির কবিতার নিচে কবিতা ছেপে তাকে অপমান করা হয়েছে। তিনি বিদায় নিলেন; এই পত্রিকায় আর লিখবেন না। আমরাও সসম্মানে তাঁকে বিদায় দিলাম। এমন মহান কবির মর্যাদা আসলেই আমরা করতে পারবো না। তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ কী!

রাজনীতিবিদ বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প

অবশেষে নোমান মামা দিব্যজ্ঞান লাভ করলেন। জ্ঞানলাভের জন্য বনে-বাদাড়ে ঘুরতে হয়নি, বিশেষ গাছের নিচেও বসতে হয়নি_ দেশপ্রেমের দীক্ষাটুকুই যথেষ্ট। দিব্যজ্ঞানালোকের সঠিক প্রয়োগে সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন_দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি নয়, রাজনীতিবিদদেরই সংস্কার আবশ্যক! রাজনীতিবিদ পরিশুদ্ধ হলে আপনাআপনি রাজনীতিও মূলধারায় ফিরবে!
রাজনীতিবিদ বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প হাতে নিয়ে কোমরে গামছা বেঁধে নামলেন মামা। প্রথমে দড়িই বাঁধতে চেয়েছেন। গামছায় রাজনীতির গন্ধ আছে।
দড়ি না পাওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই গামছা বাঁধলেন! জনসেবামূলক কাজে মেরুদণ্ড সোজা রাখা জরুরি। মেরুদণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কোমরের!
নিজ এলাকায় পরিপূর্ণ সংস্কারের পরই বাংলাদেশের সব অঞ্চলে নজর দিতে হবে। প্রথমে তিনি সাক্ষাতের চেষ্টা করলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপির সঙ্গে। এমপি দুরস্ত, তার পিয়নের নাগাল পেতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে টানা ৪ মাস! অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১১ মাস পর পাওয়া গেল এমপি সাহেবকে। যারপরনাই বিরক্ত তিনি_'কী ব্যাপার, অসময়ে ডিসটার্ব করছেন কেন?'
মামা হাসিমুখে বললেন, 'স্যার, সময়মতোই এসেছিলাম। আপনার দেখা না পাওয়ায় ...!'

শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার অপ্রকাশিত ফোনালাপ

দেশের সর্বত্রই বর্তমানে একটাই আলোচনা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ফোনালাপ। সাধারণ, অসাধারণ সব মানুষের আগ্রহ, কৌতূহলের পরিধি এতটাই ব্যাপক- সূর্য পশ্চিমে উঠলেও আরো কম ‘পাত্তা’ পেতো। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ফোনালাপটি গুরুত্বের সাথে প্রচার প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা খণ্ডিত, ভগ্নাংশমাত্র। শুধু ৩৭ মিনিট নয়, তারা আলাপ করেছেন আরো বেশি সময় ধরে। মিডিয়ার অগোচরে। কথোপকথনের বাদ পড়া অংশটুকু স্বপ্নলোক থেকে জানাচ্ছেন কল্পলোকের বাসিন্দা শফিক হাসান

শেখ হাসিনা : হ্যালো! কেমন আছেন?
খালেদা জিয়া : আবার হেলানোর ফন্দি! হেলাতে হেলাতে আমার পীঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিলেন। আর কত হেলাবেন?

শেখ হাসিনা : ছি ছি, এভাবে বলছেন কেন? হাজার হলেও আপনি আমার বন্ধু মানুষ।
খালেদা জিয়া : বন্ধুত্বের দরজায় আপনি খিল লাগিয়ে রেখেছেন। নইলে এডিসিকে দিয়ে ফোন করাতেন না। নিজেই করতেন!

শেখ হাসিনা : এডিসি আপনার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ফোনে...।

৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন

চন্দ্রমুখী চলে গেলো। তার যাওয়ার সাথে সাথে জননীর আত্মহননের চেষ্টা―খুব মনোপীড়ায় কেটেছে কিছুদিন। কোনো কিছুই আজকাল আমার, আমাদের টনক নাড়ায় না। কিন্তু এ ঘটনায় স্বাভাবিক থাকতে পারিনি।
নাজনীন আখতার শুধু সাধারণ একজন মা নন, একজন সাংবাদিকও। সাংবাদিককে সবসময় 'কঠিন' হতে হয়। এই কঠিন মানুষই যখন চরম 'আবেগী'র মতো আচরণ করে বসেন, বুঝতে হয় ব্যথার গভীরতা আসলে কতটা।

এই ক্ষতের ভেতর দিয়ে আমার ভাবি চলে গেলেন বাড়িতে। ভাবি চলে গেলে শুধু ঢাকা শহরই ফাঁকা হয়ে যায় না, মনটাও ফাঁকা হয়ে যায়। চারদিকে কেমন এক শূন্যতা বিরাজ করে।

মন খারাপের মধ্যে গত পরশু আরেকটা বড় খবর। প্রথম আলোর অনলাইলে পড়া। (কেন যে তারা পরদিন মূল সংস্করণে খবরটা দেয়নি)।
কুষ্টিয়ায় এক বাবা তার ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। ছেলে সওদা নিয়ে এলো। বাবা হিসাব চাইলে ছেলে অবশিষ্ট ৪ টাকা ফেরত দিলো না। বললো, 'চানাচুর কিনে খেয়েছি।'
দরিদ্র বাবা সইতে পারলেন না এ ‌'অপচয়'। রাগে থাপ্পড় দিলেন ছেলের গালে। এক থাপ্পড়েই মৃত্যু হলো ছেলের। হাসপাতালে নিয়েও কোনো লাভ হলো না।
৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন। কী কঠিন সমীকরণ।

তৃতীয় শক্তি উত্থিত হয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা, অসহযোগিতা ও অদূরদর্শিতার জন্য : রতনতনু ঘোষ

রতনতনু ঘোষ―প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সমাজচিন্তক। তিনি ত্রিশ বছর ধরে দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে। তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা সাত শতাধিক এবং প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৪৩টি। মানুষের স্বরূপ, স্বদেশ সমাজ সাহিত্য, রাজনীতিহীন রাজনীতি, মুক্তচিন্তা, বিশ্বায়নের রাজনীতি, ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ- নোবেল বিজয়ীদের নির্বাচিত প্রবন্ধ, উত্তরাধুনিকতা, বহুমাত্রিক বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র : স্বরূপ সংকট সম্ভাবনা, ৩৪ নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎকার। পেশাগত জীবনে অধ্যাপনা করছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে রতনতনু ঘোষ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন―শফিক হাসান

আপনি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছেন। দৈনিক পত্রিকায় সমকালীন সমস্যা বিশেষত রাজনীতি নিয়ে ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন সাপ্তাহিকে লিখে চলেছেন। তাতে কি বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো গুণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন?

ঈদের ছবির নায়ক-নায়িকাদের সাথে গোল টেবিল বৈঠক

এবারের (২০১২) ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ৮টি বাংলা সিনেমা। অনেক শীর্ষ তারকা এই ঈদে উপস্থিত ছিলেন না রূপালি পর্দায়―মৌসুমী, শাবনূর, রিয়াজ, পপি, পূর্ণিমা, আমিন খানদের নাম উল্লেখ করা যায়। ৮টি ছবির কলাকুশলীদের সাথে এক বিশেষ গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন শফিক হাসান

শফিক হাসান : মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমরা জেনে নিই এবারের ঈদের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো কী কী। ছবি মুক্তি পেয়েছে মোট ৮টি, এর মধ্যে শাকিব খানেরই ৪টি। শাকিব অভিনীত ছবিগুলোর নাম-এফআই মানিক পরিচালিত ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘ডন নাম্বার ওয়ান’, সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘সে আমার মন কেড়েছে’, সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ঢাকার কিং’। অন্য ৪টি ছবি হচ্ছে―অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, আশরাফুর রহমান পরিচালিত ‘তুমি আসবে বলে’, বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘হঠাৎ সেদিন’, শাহজাহান চৌধুরী পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘আত্মদান’। ‘হঠাৎ সেদিন’ ও ‘আত্মদান’ ছবির বিশ্ব প্রদর্শনী হয়েছে চ্যানেল আইতে।

ভিআইপি 'নেতা' বনাম যানজট

ঢাকার যাত্রীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন―যানজট আসলে কী, কোন কোন উপায়ে এটা পয়দা হয়। ব্যাপারটা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেছে অনেকেরই। Smile
মাঝে-মধ্যে আমরা শরীরচর্চা+টাকা সেভ করার জন্য শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত হেঁটে যাই। বাসার উদ্দেশে কারওয়ান বাজার থেকে বাসে উঠি। গত রবিবারও যথারীতি যাচ্ছিলাম। শাহবাগের পরের ওভার ব্রিজটার মুখে পুলিশ মামা দাঁড়িয়ে, কাউকে উঠতে দিচ্ছেন না। অবাকই লাগলো, জায়গাটা হিজড়া এবং পতিতাদের দখলে থাকে এই সময়টায়, রাত ৮-৯টার পর থেকে। সেখানে আবার 'উপদ্রব' কেন...। বোঝার জন্য আশপাশে তাকালাম, অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার পাশে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তা পুরো ফাঁকা। কোনো পথচারীকেই রাস্তার এই পাশ থেকে ওই পাশ, ওই পাশ থেকে এই পাশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ মামাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, কোনো এক ভিআইপি আসবেন, তাই এই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। Big smile
যেদিকেই হাঁটি পুলিশ আর পুলিশ; কেউ কেউ কটমট করে তাকাতেও ভুলছেন না! একেই বলে বোধহয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা!

দেহরক্ষী!

'বহুল আলোচিত' সিনেমা দেহরক্ষী দেখলাম গতকাল। ফার্মগেটের আনন্দ হলে। আনিসুর রহমান মিলন, মারুফ এবং দেহসর্বস্ব নায়িকা ববি―কমবেশি সবার প্রতিই বিরক্তি জেগেছে। ডিমের নাম যেমন আন্ডা, তেমনি সব বাংলা সিনেমাই মূলত এক। আমাদের দেশে সিনেমা হয় না, হয় 'বাংলা সিনেমা'!
বিগ বাজেটের ছবিতেও বাড়তি কিছু পাওয়া যায় না।
নায়িকার ক্ষুরধার ফিগারই যদি ছবি হিট করতে ভূমিকা রাখতো, তাহলে সবাই তা-ই করতো। নায়িকারাও অভিনয় না শিখে ফিগার ঠিক করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিতেন। কিন্তু ছোটখাটো এসব জিনিস ঢাকাই ছবির পরিচালকরা বোঝেন না।
'দেহরক্ষী' দেখার পর মনে হলো, একটা রামছাগল যতটুকু বুদ্ধি ধারণ করে, আমাদের দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা ততটুকু বুদ্ধিও রাখেন না।
এরা পারেন শুধু মুখস্থ সংলাপ বলতে আর পরিচালক-প্রযোজকের ন্যাওটা হয়ে থাকতে।
নিজের বুদ্ধি থেকে এরা গল্পের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না, ফাও সংলাপ ডেলিভারি দেয়ার আগেও কোনো আপত্তি তোলেন না। 'জি হুজুর' বলতে যারা অভস্ত, তাদের আপত্তি থাকার কথাও না।
এমন 'অনুগত' লোক লইয়া আমরা―সিনেমার দর্শকরা কী করিবো!?

সবার ওপরে Boss সত্য

বস-ভীতি কমবেশি সব চাকুরেরই আছে। অবশ্য বস মানে যে কারও অধীনে চাকরি করতে হবে, চাকরি করলেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বস হয়ে যাবেন_ তা নয়। ক্ষেত্রবিশেষে বসের সংজ্ঞাও পাল্টে যেতে পারে। কর্মসূত্রে যার বস নেই, তার দজ্জাল বউ (বা প্রেমিকা) আছে, ঘরে মা-বাবা আছে। ধরণীর পথে পথে আরও কতজন কতভাবে যে বসের আসন অলঙ্কৃত করে আছেন, তার ইয়ত্তা নেই।

বস বিষয়ে সাধারণের ভুল ধারণা
- চিকনা-চাকনা মানুষকে অনেকেই পাত্তা দিতে চায় না। কিন্তু সেই 'চিকনা'টা যদি বস হয়, তার ঠেলায় পুরো অফিস থরকম্প হয়ে যেতে বাধ্য।
- দুর্বল চিত্তের কর্মচারীরা বসকে হিংস্র জন্তুর মতো ভয় পায়। প্রকৃতপক্ষে কোনো বসই অতটা ভয়ানক নন।
- বুদ্ধিমানরা বস নয়, ভয় করে বসের ক্ষমতাশালী চেয়ারকে। মামুলি একটা চেয়ারের কত ক্ষমতা! কাউকে লহমায় ওপরে তুলতে পারে আবার কাউকে নিচেও আছড়ে ফেলতে পারে!
- বস মানেই যেন অলৌকিক শক্তিধর। এ অলৌকিক শক্তির হাতেই রয়ে গেছে মরণকাঠি-জিয়নকাঠি।
- বসকে তার আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষ, দূরের মানুষ কেউই পছন্দ করে না।

বসের দৃষ্টিতে কর্মচারী

গাছে তেঁতুল জিবে জল

ন্যাড়ার বেলতলায় যাওয়া মানা থাকলেও তেঁতুলতলায় মোটেও বাধা নেই। তেঁতুল অনেক উদার, অসময়ে ঝরে পড়ে ন্যাড়ার মাথা ফাটিয়েছে_ অপবাদ দিতে পারবে না কেউই! তারপরও অধিকাংশ ন্যাড়া বেলতলার দিকেই ছোটে! শক্তের ভক্ত হিসেবেই বোধহয়! ব্যতিক্রম পাওয়া গেল নোমান মামাকে। এক মাওলানার ওয়াজ শুনে আজকাল তিনি তেঁতুলতলায় ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন। এদ্দিন শুনতাম_ গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল; মামার হাব ভাবে মনে হয়_ গাছে তেঁতুল জিবে জল!
মহল্লার সামাদ সাহেবের বেশ কয়েকটি তেঁতুলগাছ আছে। তেঁতুলগাছের পাশাপাশি আছে মেয়ে মহুয়াও। মেয়েটি কারও সঙ্গে মেশে না; শুধু তেঁতুলের সিজনে তেঁতুলতলায় ঘোরাঘুরি করে। কখনও দু-একটা বিচি মুখে পোড়ে, বাকি সময় উপভোগ করে ঝুলন্ত তেঁতুলের সৌন্দর্য! বাড়িতে মানুষজন বলতে সামাদ সাহেব ও তার স্ত্রী, মহুয়া একাই ঘোরে ফেরে।