ইউজার লগইন

এস এম শাহাদাত হোসেন'এর ব্লগ

বিহারের নাসিমার আশ্রয়ে থাকা আমাদের রুমা ফিরতে পারবে না?

আল-জাজিরা টিভির একটি প্রতিবেদনে ভারতের বিহার রাজ্যের তরুণী নাসিমা নামের এক বাতিঘর সম্পর্কে জানলাম। শ্রদ্ধায় অবনত হলাম। নাসিমা নিষিদ্ধ পল্লীতে বেড়ে ওঠা একজন বিদ্রোহী তরুণী। অন্ধকারে আটকে পড়া মেয়েদের রক্ষা করতে তাঁর যাবতীয় সংগ্রাম। একটি এনজিও গড়ে তুলেছেন। একটি পত্রিকার সম্পাদকও তিনি। শুরুতে চার পাতার পত্রিকাটি হাতে লিখে বিতরণ করত তাঁর সহযোগী মেয়েরা। সেটি আজ ৩২ পাতার পত্রিকা। বিলি হয় সারা বিশ্বে। পতিতাপল্লীতে প্রথম যে কাজটি নাসিমা সফলভাবে সম্পাদন করেছেন, তা হচ্ছে, নতুন কোনো মেয়েকে আনা হলে তাকে রক্ষা করে আপনজনের কাছে ফেরত পাঠানো।

রাশিফলের পূর্বাভাস আর ৫০ হাজার টাকার খ্যাপ

রাশিফলে বিশ্বাস করি না সংগত কারণেই। কিন্তু কৌতুহল ও বিনোদন হিসাবে প্রথম আলোতে প্রায়ই রাশিফলটা দেখে থাকি। যেহেতু এতে উৎসাহমূলক এবং সাবধানতামূলক কথাবার্তা বেশি থাকে, তাই মন্দ কী! কয়েক দিন ধরে আমার রাশিতে বলা হচ্ছিল অপ্রত্যাশিতভাবে টাকা আসতে পারে। আমিও ভাবতে থাকি, চাকরিজীবী ছাপোষা মানুষদের অপ্রত্যাশিত টাকা আসার সুযোগ কোথায়? ব্যবসা-বাণিজ্যে না হয় এসব ঘটে থাকে। আমাদেরতো বরং অপ্রত্যাশিত ব্যয় নিয়মিত ঘটনা।

বিবিধ স্মৃতি : আড়তদারি ব্যবসায়ের অভিজ্ঞতা

আগের দুই পর্বে একান্ত ব্যক্তিগত স্মৃতি অনেকের একঘেয়েমি লাগতে পারে। তাই বিষয়ভিত্তিক স্মৃতি লেখার কথা ভাবছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আড়তদারি ব্যবসায়ের অভিজ্ঞতা, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাবার বাগান গড়ার চেষ্টা, গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর এক্সপেরিমেন্ট, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সূচনা, প্রথম আলোতে ১১ বছর, ইত্যাদি।

বিবিধ স্মৃতি বহন করে দু'বছর পরই ৫০ হবো, সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখি! (পর্ব-২)

৭. ভুট্টো সরকার সেখানে অবস্থানরত বাঙালিদের জন্য পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিতে অপশানের সুযোগ দিল। বাবা তাঁর ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে (সম্ভবত, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার কারণে বৈষম্যের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা করে) পাকিস্তানে থাকার অপশান দিলেন। শুনে মায়ের দিন-রাত কান্নাকাটি চলতে থাকলো। দেশের আপনজন ছাড়া ভিনদেশে থেকে যাওয়া তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। বাবাও দ্বিধায় পড়লেন। অফিসের বসরা তাঁকে স্নেহ করতেন। তাঁদের তালে পড়ে অপশান দিয়েছিলেন। মায়ের কান্নাকাটিতে আবার অপশানের ফরম পূরণ করে বাসায় এসে ঘোষণা দিলেন অপশান দুটোই দেওয়া থাকলো, ভাগ্যে যেটা হবে তা-ই মেনে নেব।

বিবিধ স্মৃতি বহন করে দু'বছর পরই ৫০ হবো, সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখি! (পর্ব-১)

বয়স নিয়ে অনেকের লুকোচুরি থাকলেও আমি বেশ বড়াই করি নিজের বয়স নিয়ে। মনে করি, বয়সও আমার অন্যতম সম্পদ। হিসেব করার চেষ্টা করি, কী পেলাম আর পেলাম না। ব্লগ আঙ্গিনায় আমার মত বয়স্ক হয়ত খুব বেশী নেই, কিন্তু আমি চেষ্টা করি চলমান প্রজন্মের মেধাবী মানুষগুলোর চিন্তার সাথে পরিচিত থাকার। দেখি, আমার চিন্তা/উপলব্ধির ব্যাপারে আমরাবন্ধুর ব্লগাররা আগ্রহী হন কি-না।

১. সুন্দরবন সংলগ্ন এক গ্রাম্য জনপদে কিশোরী মায়ের কোলে জন্ম নিয়ে নানাবাড়ীতে পরম আদরে বড় হচ্ছিলাম। আমার হাজী সাহেব দাদু ছিলেন কোমল মনের কিন্তু কর্কশ আচরণের সমাজপতি মানুষ। কি যে ভয় পেতাম তাকে! হিটলারের কর্মচারিদের কিভাবে দিন কাটতো- ঐ বয়সে টের পেয়েছিলাম।

ব্লগারদের সিডিউল নির্ধারণ করা হোক

আমরা বন্ধুর মোটামুটি নিয়মিত পাঠক হিসেবে মাঝে মাঝে একটু হতাশ হয়ে পড়ি যখন দেখি যাদের লেখা খুব পছন্দ করি তাঁরা কোনো পোস্ট দেননি। বিশেষ করে ইদানিং যেন মন্দা চলছে এই ব্লগটিতে।

তাই, আমরা বন্ধু-তে গা ছাড়া ভাবটা দূর করতে আমার অনুরোধ/প্রস্তাব হচ্ছে, কে কী বারে লিখবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া হোক। যেমনটা, পত্রিকার কলামিস্টদের বেলায় আগে বেশ দেখা যেত। এর মাধ্যমে সেই বিশিষ্ট ব্লগার কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে চমৎকার চমৎকার পোস্ট দিবেন। আমরাও অপেক্ষায় থাকব, এবার মাসুম ভাই কী আমিষ/নিরামিষ পরিবেশন করলেন, সামছা আকিদা জাহান কী ফাটালেন, তুষার আবদুল্লাহর কবিতায় কতটুকু ভেসে গেলাম, মেসবাহ য়াযাদ কী দেখে আসলেন ইত্যাদি।