কিশোরী, তরুনী ও নারীদের বলছি- সতর্কতা ১
হ্যা মানবী, আপনাকেই বলছি। আপনার কিছু সহজাত প্রবৃত্তি আছে যা জানা থাকলে আপনি নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারবেন। সুরক্ষা মানসিক পার্থিব বা উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি অযথা সমস্যা/বিপদ এড়াতে তথ্যগুলি আপনাকে সাহায্য করব।
প্রশংসা- আপনি না চাইলেও যা আপনার মন স্পর্শ করে তা হচ্ছে প্রশংসা। সচেতন অবচেতন দুইভাবেই প্রশংসা আপনাকে প্রভাবিত করে। রেগে গেলেও ভেতরের অপর মন আপনাকে প্রশংসাকারীকে ভালো লাগাতে শেখায়।
যদি দেখেন কোন সদ্য পরিচিত বা অল্প পরিচিত মানব নিয়মিতভাবে বা প্রায়ই আপনার প্রশংসা করে যাচ্ছে (রূপ, যোগ্যতা, মেধা ইত্যাদি), সেই ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো সিন্ধান্ত । কেননা খুব দ্রুতই সে আপনার মনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে, আপনার মানসিক বা অন্য কোনো ধরণের ক্ষতি করার সুযোগ তার তৈরী হয়ে যাবে।
অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা প্রশংসাকারীর উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। খুব কম নারীই পাওয়া যাবে যারা রূপের প্রশংসায় মনে মনে খুশী হয়না, যার আধিক্য বিপদও ডেকে আনে।
সংবেদনশীলতা- নারীমনের কোমলতা মানষের কষ্টে সংবেদনশীল। অন্যের মানসিক কষ্টে সে ক্ষণিক স্বস্তি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে এমনকি সামনের মানুষটি নিত্যান্ত অপরিচিত হলেও।
বিষয়টি শুধু ইচ্ছা বা দু’একটা শান্তিময় বাক্য দ্বারা সীমাবন্ধ হওয়াই ভালো যদি মানুষটিকে আপনি তেমন না চিনে থাকেন। বেশী সময় তার সাথে অতিবাহিত করার ইচ্ছা থাকলে জেনে নিন, আপনার প্রতি সংবেদনশীলতা ব্যবহার করে পরিচিত হওয়া এবং পরবর্তিতে এই পরিচয় থেকে টাকাসহ বিভিন্ন সুযোগ নেওয়া অনেকের একটা ভালো কৌশল।
অন্ধ-বিশ্বাস- বিশ্বাসে শ্রদ্ধা রাখা যায় যতক্ষণ পর্যন্ত তা অন্ধত্ব সৃষ্টি না করে। স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নারী প্রবৃত্তি অনেক ক্ষেত্রেই সেটাকে অন্ধত্বের পর্যায়ে নিয়ে যায় ভালোবাসার নাম দিয়ে, অথবা ভালোবাসা হারানোর ভয়ে কাছের মানুষের আর কিছু বিবেচ্য বলে বোধ হয় না (সবার ক্ষেত্রে প্রযোগ্য না)।
একটা কথা এখানে বলে রাখি, আপনি যদি দেখেও না দেখার ভান করেন। সেটা নিজেকেই নিজে বোকা বানানোর মত। সম্পর্কের স্বচ্ছতার স্বার্থে সামান্য খোজখবরও আপনার কাছের মানুষ সম্মন্ধে যদি না নেন সেটার ক্ষতিপূরণ নিজেকেই দিতে হয়। তাই বিশ্বাস করুন স্বচ্ছতার সাথে। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হবে। অন্ধবিশ্বাসে কোন গৌরব নেই। এটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না।
মনোযোগ আকাংক্ষা- এই বিষয়টা বিশেষ করে নব কিশোরীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নতুন অনুভবের এই সময়টা কোন মানবের বিশেষ মনোযোগে তোড়পাড় হওয়ার মতই সময়। অনেক মানবই সামান্য মনোযোগ ব্যয় করে কিশোরি মনোজগৎ নিয়ে খেলা করার অফুরন্ত সুযোগ পায়, বিশেষ করে যাদের মানবদের সাথে মেলামেশার সুযোগ হয়নি তেমন। এর থেকে সুরক্ষার উপায় হচ্ছে, কেউ আপনাকে বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করলে তার থেকে দূরে থাকুন। পরিবারের বড় কারো সাথে বা শিক্ষিকার সাথে স্বাচ্ছন্দবোধকর সম্পর্ক থাকলে আপনার সমস্যা তার সাথে আলোচনা করে দেখতে পারেন। পরিবারের মানুষ আপনাকে নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে পারবে।
বিয়ে-পূর্ব বিছানা- এটা আজকাল এত জনপ্রিয় হয়ে গেছে যে এর বিরুদ্ধে কিছু বললে হয়তো ক্ষ্যাত, সেকেলে, বোরিং জাতীয় কথা শুনতে হয়। আপনি যখন অনিচ্ছাকৃতভাবে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন এই কথকগণ কিন্তু দ্বায়িত্ব নিতে আসেন না। এমন কি আপনার ভালোবাসার মানুষটিও না। বিছানার কথা ভাবার আগে, আপনার বিছানা-সংবাদ জনগণের কাছে মা বাবার কাছে চলে গেলে আপনার কেমন লাগবে ভেবে দেখুন। অনেকেরই গিয়েছে, সচিত্র আকারে। আপনারটা যাবে না কোন নিশ্চয়তা নেই।
তাই ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসা রক্ষার্থেই সবিনয়ে বলুন, “বিছানা বিয়ের আগ পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাক। তাকে অসময়ে জাগানোর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।”
ভালোবাসার মানুষ যদি রেগে যায়, আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়, তাকে যেতে দিন। এ ধরণের মানুষ শুধু বিপদেই ফেলতে পারে। আর কিছু নয়। আপনার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ আপনাকে ছেড়ে কখনো যাবে না।
বাকী তথ্য পরের পর্বগুলোতে লিখবো। আজ থাক। ভালো থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।
ভাল লেগেছে। উঠতি বয়সে খুবই দরকার এই কথাগুলো।
আমার উনি বলেন, মেয়েরা মিথ্যে শুনতে ভালবাসে তাই ফাদে পড়ে
(
ছেলেরা আরো কিছু কথা খরচ করে, তুমি সবার থেকে আলাদা, সো ইউনিক
রহস্যময়ী 
তিনি কথাটা আসলে সত্য বলেছেন।
মেয়েরা যা শুনতে পছন্দ করে সেটাই তারা বলে মন জয় করে নেন। কত বোকা আসলে আমরা।
আমার তো এখানে কমেন্ট করাই নিষেধ তাহলে
তবে অস্হির সময়র এতটা হাইপার বা সন্দেহবাতিক হলে সমাজে চলাটা মুশকিলও হতে পারে
আপনার কথায় পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, লেখাটা সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা। আমি আমার মতামত জানাই নি। ঘটনাগুলো জানিয়েছি মা্ত্র । এছাড়া সতর্ক থাকার সাম্ভব্য উপায় বের করার চেষ্টা করেছি। সে চেষ্টায় আপনাকে যোগদান সুস্বাগত জানানো হ্ল।
ভাল লাগল। অত্যান্ত স্পষ্ট ও ব্যাতিক্রমি চিন্তা। খুব কঠিন সময় বাচ্চাদের জন্য। ছেলেটি প্রতারক হবে না তো? মেয়েটি প্রতারিত হবে নাতো? মেয়েকে কোন প্রতারকের সাথে বিয়ে দেব নাতো?
একটু খোজখবর নিয়ে এগোলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সুবিধার হবে । ভালো থাকুন.। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ও আপা সব কি শুধু ছেলেরাই করে? মেয়েদের কি কোনো দোষ থাকে না ? ছেলে হলেই যে প্রতারক হতে পারে মেয়েরা ও কি এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে না? তবে কথা গুলো সত্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা হয় এই সমস্যার সম্মুখীন।
মেয়েদের অবশ্যই সমান পরিমান দোষ থাকে (বেশীরভাগ সময়ে বেশীই থাকে)। সেগুলো কেন হয়, ফলাফল এবং বিরত থাকার উপায় নিয়ে লিখবো ক্রমান্বয়ে। সেগুলো মানবীদের স্পর্শ করলে, মানবদের উপকার হবে সবচেয়ে বেশী।
ব্লগ নীতিমালাঃ http://www.amrabondhu.com/nitimala
নীতিমালা মেনে ব্লগে লেখালেখি করার অনুরোধ রইলো। লেখাটি ব্লগের প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হইলো!
মন্তব্য করুন