স্লিপিং উইথ দ্য এনিমি
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের একজন শিক্ষক রুমানা মন্জুর স্বামী নামক পশুর দ্বারা নিজ পিতৃগৃহে যে নির্মম ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা দেখলে যে কোনো বিবেকবান মানুষের হৃদয় ব্যাথায়-ভয়ে শিউরে উঠে। পত্রিকায় বা টিভি স্ক্রীনে রুমানা মন্জুরের ছবি দেখে আমার আর একটি ছবির কথা মনে পড়ে গেল, ১৩ জুন প্রথম আলোয় একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল, শিম্পান্জির হামলায় এক ক্ষত-বিক্ষত নারীর মুখ। চার্লা ন্যাশ নামে ওই মহিলাকে এক শিম্পান্জি হামলা করে, এতে তার দুই হাত,ঠোঁট, নাক আর চোখ খোয়া যায়। পরে সে শিম্পান্জিকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছিল। হাসান সাঈদের আক্রমনে রুমানা মন্জুরের দুই চোখ হারানোর আশংকা করছে ডাক্তাররা আর সাঈদ কামড়ে রুমানার নাক ও মুখ ক্ষত বিক্ষত করেছে। কে বড় পশু?হাসান সাঈদ নাকি শিম্পান্জি? এখন কি আমাদের দেশের র্যাবদের কি উচিত নয় সন্ত্রাস দমন বা মাদক উদ্ধারের নামে আনুষাঙ্গিক কর্ম হিসাবে লিমন বা শুভ’র মত কিশোরদের পঙ্গু বা খুন না করে হাসান সাঈদ নামক হিংস্র পশুদের দিকে অস্ত্র তাক করা।
হাসান সাঈদকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে নিজ সমর্থনে বলে, রুমানার সাথে অন্য পুরুষের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল; সে কারণে সে রুমানাকে শিক্ষা দেবার জন্য এটা করেছে। এই রূপ শিক্ষা একজন বদ্ধ উন্মাদই কেবল দিতে পারে।
আর একটি বিষয় হলো, হাসপাতালের বেডে শুয়ে রোমানা বলেছেন, বিয়ের পর থেকে দশ বছর ধরে তিনি স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসছেন।কথা হলো কেন? সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে? তার মতন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের একজন শিক্ষিকা স্বামীর দ্বারা দিনের পর দিন নির্যাতিত হয়ে এই যদি এই যুক্তি দেখান তাহলে আমাদের দেশের বাদ বাকি আমেনা-জমিলাদের কি দোষ, যারা নিরবে স্বামী নামক পশুদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছেন। তার সন্তানের ভরন-পোষণ বা সামাজিক মর্যাদা- কোনটাই তো তার নিজের থেকে বেশি তার স্বামী দিতে পারত না। তাহলে কেন দশ বছর নিরবে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে গেছেন কোন প্রকার প্রতিবাদ ছাড়াই? পাছে লোকে কিছু বলবে এই ভয়ে? এমন কি তিনি বাবা-মা বা পরিবারের আর কারো সাথে তিনি এই বিষয়টি শেয়ারও করেননি । তিনি কি জানতেন না প্রতিবাদ মানে কোনো সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া নয়, প্রতিবাদ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা। তিনি এক জন শিক্ষিকা হয়ে নিরবে যে অন্যায় সহ্য করে গেছেন তাহলে কি করে তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শেখাবেন!
বেশ কিছু বছর আগে আমার সাথে এক মেয়ের কথা হয়, সে গ্রামের বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা শহর এসেছিল। মেয়েটি বলেছিল, তার স্বামীর শখ হলো বিয়ে করা। সে ছিল স্বামীর দুই কি তিন নম্বর স্ত্রী। মেয়েটির দুটি সন্তান জন্মানোর পর তার স্বামী আবার বিয়ে করতে চাইলে মেয়েটি বাঁধ সাধে। স্বামী নিজের স্বামীত্বের বলে মেয়েটিকে খুব মারধর করে আবার বিয়ে করতে চলে যায়। মেয়েটি জানত না কি করে স্বামীকে তালাক দিতে হয়। সে তখন গ্রামের গন্যমান্যদের কাছে গিয়ে বলে এসেছিল,আমি আমার স্বামীরে তালাক দিছু। তারপর সে সন্তান দুটি নিয়ে ঢাকা শহর চলে এসেছিল কাজের সন্ধানে। আমার মনে আছে কথাবার্তার শেষ পর্যায়ে মেয়েটি বলেছিল, অমন সোয়ামীর মুখত আমি মুতি।
মনের কথা এমন অকপটে স্বীকার করবার সৎ সাহস বোধ করি আমাদের কম জনেরই আছে।
লেখাটা ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ।
রুমানে কে আমার করুনা করতে ইচ্ছে করছে। এত অমেরুদন্ডঈ প্রানী কেন সে? তার বাবা তো মেজর। আর্মি অফিসারের ছেলে-মেয়েরা অত্মসচেতন বেশী মাত্রায় হবার কথা।
কারো সন্তান বলে কথা নয়, একজন শিক্ষিত মানুষের আত্মসচেতনতা বোধ থাকা উচিত।
এটাই হচ্ছে ন্যাচারাল শিক্ষা যা খুবই সাধারণ উপলব্ধি থেকে অর্জন করতে হয়। আমরা তথাকথিত সভ্য জীবন-যাপন করতে গিয়ে মুখোশের উপরে মুখোশ পরি। তারপর নিজেকেই আর নিজে চিনতে পারি না, অন্যকে দূরের কথা।
সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তা ধরে রাখতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখা খুব জরুরি মনে করি। সবার আগে ঐ মানুষটির মানবিক বোধ, তার পরে সম্পর্কের ধরণ এবং সর্বোপরী তার চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ।
মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান থেকে শুরু করে সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য মনে করি।
উদাহরণ দেই, আমাদের পারিবারিক কিছু সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে চতুর্থ ভাইয়ের নামে লিখে দিলাম। বিশেষ করে আমরা দূরে থাকি বলে বিক্রি করার সুবিধার্থে এটা করা হলো। বড় হিসেবে আমার এই সিদ্ধান্ত বাকীরা মেনে নিল। পরে দেখা গেল সেই সম্পত্তি নিজের দাবি করছে। আমরা সবাই হতভম্ব হলাম ওর আচরণে। রীতিমত বোকা বনে গেলাম। বেশীতো নয়, সব মিলিয়ে দুই/আড়াই লাখ টাকার সুবিধা। অথচ আমরা, বড় ভাই-বোনদের, ইচ্ছা ছিল আমাদের সম্মীলিত বিনিয়োগ দেখা-শোনার দায়িত্ব ওকে দেওয়া হবে। ওর নীতির পরিচয় পেয়ে আমরা সত্যিকার অর্থে বড় ক্ষতি থেকে বেঁচে গেলাম।
এখন ওর সাথে আমরা যোগাযোগ রাখি না। কিন্তু বড় হিসেবে দূর থেকেই আমরা ওর শুভ কামনা করি, ও ভালো থাকুক। কিন্তু, আসলে কি ও ভালো থাকবে? ও কষ্টে থাকলে আমাদের মনের কষ্ট বেড়ে যাবে। কিন্তু কী-ই বা করার আছে? ছোট বড় কিছু কষ্ট মনে পুষে রাখাইতো মানুষের নিয়তি। অথচ ওকে প্রশ্রয় দিলে সবাই আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হতাম না? আসলে কাছের মানুষদের ছোট-বড় অন্যায় বা আব্দার মানা-না মানার ব্যাপারে পরিণামদর্শী হওয়া উচিত। রুমানা এখানেই ভুল করেছে। দোয়া করি, তিনি এই বিপর্যয় সামলে উঠুন।
আমি আপনার কথার সাথে এক মত পোষন করি। ধন্যবাদ।
জানতে ইচ্ছে করছে ৭ বছর প্রেম আর তারপর ১১ বছর সংসার করে রুমানা মঞ্জুর কি তার স্বামীকে এতটুকুও চিনতে পারে নাই? একদিনে হঠাৎ করে সাঈদ এত হিংস্র হয়ে উঠলো?? তাহলে কেন থাকলো সে এই লোকটার সঙ্গে? কোন সমাজ বা সামাজিকতার দোহাইয়ে?
কত বছর এক সাথে থাকলে একজন মানুষকে চেনা যায়?
সাঈদ একদিন কি দশ বছরে এত হিংস্র হয়ে উঠেছে কিনা এটা কোন বিষয় নয়, ব্যাপার হলো একজন মানুষ কি করে এত পাশবিক হতে পারে! আমার ধারনা, সাঈদের ভেতর যদি সামান্য মানবতা বোধ, এক বিন্দু মমত্ব বোধ থাকত তবে সে কারো প্রতি এত হিংস্র হয়ে উঠতে পারত না।
রুনা, আমার পার্সোনাল এসেসমেন্ট, রুমানা হয়তো সাঈদকে ছেড়ে দিত। এটা বুঝতে পেরেই সে এতো হিংস্র হয়ে এ কান্ড ঘটিয়েছে।
অঃটঃ অনেকের সাথেই ঘুরে ফিরে দেখা হয়। তোমাকে এখানে দেখে কি যে ভালো লাগছে, লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। নিয়মিত এসো। আড্ডা হবে।
আমি অনেক দিন ধরে তোমাকে ফলো করছি, করতে করতে চলে এলাম এখানে....
শামীমা একটা লেখা দিয়েছিলাম এ প্রসঙ্গে পরে কেমন লাগবে জানিনা, সময় পেলে পরে দেখটে পারেন।
http://tinyurl.com/3mgjsdp
বিশেষ করে পরের পর্বটা পড়ার অনুরোধ রইল।
পড়েছি, ভালো লেগেছে।
আমার মনে হয়েছে -হাসান সাঈদ একজন বিকারগ্রস্থ মানুষ । তাছাড়া রূমানা-সাঈদের সংসার জীবনে আছে আরও সব ভয়ংকর জটিলতা - আমরা জানি না ।
বিকারগ্রস্থ মানুষ তো অবশ্যই।
আর সংসারে জটিলতা থাকলে বুঝি মানুষকে অমানুষ হতে হবে...এটা কেমন কথা?
ধন্যবাদ।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে আসলে কিছুই থাকেনা। বন্ধুত্বহীন- শ্রদ্ধাহীন-সম্মানহীন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোন মানে নেই।
আপু, এবিতে স্বাগতম।
বেশি বেশি লিখুন.......
আসলেই তাই, সম্মানহিন, শ্রদ্ধাহিন সংসার করার চেয়ে না করাই ভাল। কিন্তু আমার ধারনা যত সহজে এই কথা বলা যায় তত সহজে তা স্বীকার করবার মত মানসিক জোর আমাদের মধ্যে কমই আছে। তার উদাহরণ তো রুমানা মন্জুর নিজেই।
ধন্যবাদ।
আমিও ভাবি এমন এক হিংস্র জানোয়ারের সাথে এতটা দিন কেমন করে কাটালো? যে আগেও নির্যাতন করেছে তাকে সহ্য করলো কিভাবে?
স্বাগতম এবি তে
ধন্যবাদ।
আপনি রুমানা কেন এতদিন সংসার করলো প্রশ্ন করছেন, কিন্তু আমার কাছে এটাই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। আমি দেখেছি এটাই সবাই করছে। যতক্ষণ না অত্যাচারের মাত্রা বীভৎস পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা আমরা যত সহজে সরলীকরণ করে ফেলছি, বাস্তবে অত সহজ না। যে ভুক্তভোগী, সেই বুঝবে, অন্যদের বোঝার কথা না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা আমেনা মহসিনের একটা বক্তৃতা ইউটিউবে দেখেছি, দেখতে পারেন। অনেক কিছু এসেছে উনার কথায়। রুমানা তাঁকে বলেছেন, "এসব কথা কি বলা যায়?"
এই কথাটার ভার ভুক্তভোগী ছাড়া বুঝবেনা।
পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে ভুক্তভোগী মেয়েরা এভাবেই সব মানিয়ে নেয়। নিজের উপর সব কষ্ট টেনে নিয়ে বাকী সবকিছু রক্ষা করার চেষ্টা করে। এটা স্রেফ আমাদের স্থূল চিন্তায় আসা "মান-সম্মান রক্ষার কারণে"ই শুধু না। মানসম্মান একটা ফ্যাক্টর বটে, তবে এর বাইরেও অনেক প্যারামিটার জড়িত।
বিশেষ করে যে মেয়েটি কোনোদিন তাঁর বাবাকে মায়ের ওপর শারীরিক অত্যাচার করতে দেখেনি, অথচ স্বামীর অত্যাচারের হাতে পড়ে, তার জন্য এটা একটা করুণ বিস্ময়। তার সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলার কথা ছিলো, অথচ সে আবিষ্কার করে, যে বিশ্বাস নিয়ে সে সংসার শুরু করেছিলো সেটা অত মধুর না। সে চেষ্টা করে তার এই কষ্ট তার মধ্যেই থাক, বাকী সব ঠিক থাকুক। যেমন কয়েকটা উদাহরণ দিই,
১) তার মার খাওয়ার কথা শুনে বাবা-মা'র শান্তি নষ্ট না হোক।
২) সে বোঝে তার বিদ্রোহে এই অধপতিত সমাজে কোনো পরিবর্তন আসবেনা, তার বাচ্চাটি জীবন হবে আর দশটা বাচ্চার চেয়ে ভিন্ন।
৩) সে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, কারণ, আমরা পুরুষরা তো সমাজটাকে এমন করে রেখেছি যে একটা মেয়ে তার পাষন্ড স্বামী, বিশেষ করে যে লোক স্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল, তাকে তালাক দেয়ার পর যে আক্রমনের শিকার হবেনা এমন গ্যারান্টি সে পায়না।
৪) সমাজের আরো অনেক সমস্যা আছে। বাচ্চার দাদা-দাদীরা প্রভাবশালী হলে বংশের বাত্তিকে নিজেদের কাছে রেখে দেয়ার জন্য সব চেষ্টা চালাবে। সন্তানের জন্য মার প্যারালাল বাবা হতে পারেনা।একজন মা সবকিছুর বিনিময়ে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইবে।
৫) মেয়ের বয়েস যদি চল্লিশের কম হয়, বাচ্চা নিয়ে আলাদা হয়ে গেলেও বাবা-মা থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবেরা মিলে তাকে আবার বিয়ে করতে চাপ দেবে। তখন সে ভাববে তার সন্তানের কথা।
এরকম আরো অসংখ্য ব্যাপার আছে যা একজন মেয়েকে বা মাকে নানানভাবে চিন্তিত করে তোলে পাষন্ড স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যাবার ক্ষেত্রে। বেশীরভাগ মেয়েরাই সাঈদের মতো পাশবিক আক্রমণের শিকার হয়না, চড়-থাপ্পড়কে মেনে নিয়ে এই মায়েরা সন্তান আর চারপাশের সবকিছুকে আগলে রাখে।
"আমার জীবন না হয় শেষ, বাকীরা ঠিক থাকুক, ছেলেমেয়েরা মানুষ হোক" এই ভেবে এরা নিজের ভেতরে নিজেকে মেরে ফেলে।
তাদের সেই ত্যাগগুলো আমাদের ভিজুয়ালাইজ করার দরকার আছে। এর আগে রুমানাকে ব্যাখ্যা করা যাবেনা।
রুমানার মতো কেইসে, অধিকাংশ মেয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাকে বিসর্জন দিয়ে মুখ বুজে থাকে। রুমানা সেটুকু অন্তত করতে চাননি, সেই ইচ্ছেটুকুর কারণে আজ এই ভয়ংকর এক্সপিরিয়েন্সের সামনে পড়লেন।
একটা পরিষ্কার কথা, অনেক জায়গায় বারবার বলেছি, যতদিন না রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন "সচেতনতা বাড়ানো", "প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া" টাইপের তরল আলোচনায় কিছু হবেনা। এসব কথা সেই ছোটোবেলা থেকে শুনে আসছি, সমাজে পরিবর্তন দেখছিনা। কারণ অধিকাংশ মানুষের বেলায়ই বিচারের বাণী নিভৃতেই কাঁদে।
রুমানার ক্ষেত্রে এটা না ঘটুক সেই কামনা করা ছাড়আ আর বেশী কিছু করতে পারছিনা।
আপনার পয়েন্টগুলি ঠিকই আছে। আমাদের সমাজে অধিকাংশ মেয়েদের ভাবনা চিন্তা এরকমই। তবে একটা কথা, রাষ্ট্র কিন্তু সমাজের মানুষদের নিয়ে, রাষ্ট্র আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়। সমাজের মানুষরা যদি আইনের শাসন চর্চা না করে তবে কি করে রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে? মানুষ যদি তার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয় তবে নিশ্চয় বিচারের বানী নিভৃতে কান্নার সুযোগ পাবে না।
ধন্যবাদ।
অনুভূতিহীন সম্পর্ক আসলে কোন সম্পর্কই নয়।
ঠিক বলেছেন।
হমমমমমমমম ! Pleasefind it out whether your sleeping partner is your Enemy or not !!
মজা করলাম, আসলে কদিন থেকে এসব দেখে শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে, পরম নির্ভরতায় যার সাথে রাতে ঘুমাবেন সেই মানুষটিই যদি আপনার ঘাতক হয় তবে ব্যপারটা কত ভয়ানক! সব দেখে শুনে হতবাক হয়ে যাই! জ়ানি আমার মত অবস্হা সবার সাথে মজা করলাম।
রুনা তোমার লেখাটা আমার নিজের মনের অনেক কথাই বলে দিয়েছে।
লীনা,আমার পরম শত্রুও একজন, বন্ধুও একজন....কি আর করা....
এবিতে স্বাগতম। আর লেখা নিয়ে নতুন কিছু আর বলার নেই।
মন্তব্য করুন