ওড টু মাই ফ্যামিলিঃ ৭
গতসপ্তাহে পর পর দুই রাত ধরে আমাদের এলাকায় টর্নেডো এলার্ট ছিল।
প্রতি সপ্তাহান্তেই আমেরিকায় আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কাজের শেষে সবাই পরিবার নিয়ে পার্কে যায়, ঘন্টার পর ঘন্টা কাটায় প্রিয় রেঁস্তোরায়, ছাত্র ছাত্রীরা সেজে-গুজে পাড়ার বারে গিয়ে আড্ডা মারে, ভাগ্য ভালো হলে কারো কারো একটা ডেট ও জুটে যায়। মোটের উপরে সারা সপ্তাহ কলুর বলদের মত খাটার পর দুইদিন চুটায়ে উপভোগ করতে চায় সবাই। এ বিষয়ে একটা জনপ্রিয় বচনও আছে, Thank God, it’s Friday। ফলে শুক্রবার আসলেই সবার মন ভাল হয়ে উঠতে থাকে, অফিসের কিউবিকলগুলিতে শুরু হয় মোটাদাগের ঠাট্টা-তামাশা, কিভাবে কোথায় ছুটির সময় কাটানো হবে তার পরিকল্পনা। এই সুযোগে ব্যস্ত হয়ে উঠে দোকানপাট। পুঁজিবাদের এই পূন্যভুমিতে “আল্লায় বাঁচাইলো আইজ শুক্রবার” নিয়ে ব্যবসা হয় হরহামেশা। একটা খাবারের দোকানের নামই হলো T.G.I.F. বা Thank God, It’s Friday. মানুষের মুখে শুনেছি, শুক্র-শনি-রবি এই তিন দিন এই দোকানে নাকি সেরকম ক্রেতা সমাগম হয় ।
গত সপ্তাহে ঘটনা অন্যরকম। সবাই মুখ শুকনা করে ঘুরাঘুরি করছে। ওয়েদার চ্যানেলে ভীষন টর্নেডো ও শিলা বৃষ্টির এলার্ট দিয়েছে। ওয়েবসাইটে দেখলাম লেখা আছে জীবন বিপন্নকারী ঝড় হবে (life threatening storm)। সবাইকে রাত ১১ টার মধ্যে শেলটারে যাবার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে রেডিও থেকে ক্রমাগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪-৫ টা বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে ঝড়-শেলটার রয়েছে। এছাড়া সব গ্যারেজগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে, শিলাবৃষ্টি থেকে গাড়ি বাঁচানোর জন্য। আমেরিকানরা দ্রুত কাজ গুটিয়ে নিচ্ছে দেখালাম। বিকালের ক্লাসগুলো বাতিল হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বিকার একটু কম দেখলাম। আমার এক ভারতীয় বন্ধুকে দেখলাম ফুটবল হাতে নিয়ে লাইব্রেরীর সামনে মাঠের দিকে রওনা দিয়েছে। আমি রাস্তার ঐপার থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, আরে তুমি খেলতে যাচ্ছ ক্যান, এলার্ট শোনো নাই? সে হাত তুলে রাস্তা পার হল। তারপর বলে “এলার্টে এত ভয়ের কিছু নাই, গত বছরও এমন এলার্ট দিসলো। তারপর দেখি খালি ঝুমঝুম বৃষ্টি কিচ্ছুক্ষন। এরম বৃষ্টিতে আমাদের নায়িকারা সাদা জর্জেটের শাড়ি পড়ে ‘এই বৃষ্টি আমার যৌবনজ্বালা বাড়িয়ে দিল’ জাতীয় গানটান গায়। আর কিছু না।” আমি বিজ্ঞের মত মাথা নাড়ায়ে বললাম, ও তাইলে এই ঘটনা। “আরে হ্যাঁ, আর বৃষ্টিতে ফুটবল খেলায় অন্যরকম জোশ আসে, বুঝলা? তুমিও চলে আসো, একসাথে সবাই ফুটবল খেলা যাবে।” আমি বললাম, আমি ফুটবল খেলতে পারিনা। আজকে থাক। জর্জেটের শাড়িও আনি নাই যে গান-টান গাওয়া যাবে। নেক্সট টাইম!
সন্ধ্যায় গেলাম এক ছোট ভাইয়ের বাড়ীতে। ভাইটি বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে আমেরিকায় পড়তে এসেছে। ওরা বন্ধু-বান্ধব মিলে ৮-৯ জন একসাথে আমেরিকায় এসেছিল, থাকেও সব কাছাকাছি। ওদের বাসায় গেলে দেশের আড্ডার আমেজ পাওয়া যায়। তো আমি আর ভাই্টি কিছুক্ষন আড্ডা মারার পরে ঘুরতে বের হলাম। এদিক ওদিক করে রাত ২ টার দিকে আমি বললাম, চল লেকে যাই, ওখানে বসে বৃষ্টি দেখা যাবে। সে একপায়ে রাজি। তো লেকে গিয়ে আবার একদফা আড্ডা। এরমধ্যে ভয়ানক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে দুড়ুম-দাড়ুম বজ্র। এবার মনে হয় বাড়ি যাওয়া উচিত। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব দ্রুত ফোনে দেখে নিয়েছেন টর্নেডো ৪৫ মিনিট পরে শুরু হবে। যাবার পথ খুবই খারাপ। এমন জোরে বৃষ্টি হচ্ছে যে সামনে কিছুই প্রায় দেখা যায়না। যাইহোক, ওকে বাড়ীতে নামানোর সময় বলে, আপু এখন যেয়োনা। বৃষ্টি কমলে যাও। ওদের বাড়িতে যেয়ে দেখি আড্ডার কমতি নাই। আমিও ঝাঁকের কইয়ের মত দ্রুত মিশে গেলাম দলে। হটাত শুনি প্রচন্ড জোরে সাইরেন দেয়া শুরু হয়েছে। সাথে মাইকিং, ডেঞ্জারাস ঝড় আসিতেছে! তোমরা যদি এখনো ঘরে থেকে থাক তাহলে খুবই দ্রুত নিরাপদ শেলটারে যাও! সাইরেন তো আর থামেই না। উপরের তলায় আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২-৩ জন বন্ধু থাকে। ওদের ফোন করলাম। তাপস বলে, আমি তো কুথাও যাইতে চাইসিলাম না। এখন এমন সাইরেন দেয়া শুরু করসে, না গেলে হেরা মাইন্ড করবো। একটু সামনের বাড়িতে আরো দুইজন জুনিয়র বুয়েটিয়ান আছে, ওদের ফোন দিয়ে বললাম। তাড়াতাড়ি রেডি থাক, নিতে আসতেসি, শেলটারে যাবো। গাড়িভর্তি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে রওনা দিলাম শেলটারের দিকে। এই ঝিম-ধরা ছোট্ট শহরের রাস্তায় প্রথম দেখালাম যানজট। সবাই প্রানভয়ে ছুটেছে শেলটারের দিকে।
দূর্যোগের চেহারা মনেহয় সবখানেই এক। শেলটারটি অগনিত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবার দিয়ে ঠাসা। বাচ্চারা ঘুমের ব্যাঘাতে কিছুক্ষন পর পরই কান্নাকাটি করছে, তাদের মা’রা তাদের ঠান্ডা করতে ঘুমাও বাবু ঘুমাও জাতীয় কথা বলছে, বাবারা উদ্বিগ্ন হয়ে ঘোরাঘুরি করছে। ছাত্রদের পোষাপ্রানীগুলো কিছুক্ষন পরপর ঘেউ-ঘেউ বা ম্যাও-মাও করে উঠছে। কেউ কেউ হাতের রেডিওতে আবহাওয়ার খবর শুনছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ছাত্ররা আড্ডা জমিয়েছে। কেউ কেউ দোতালায় দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, যদি টর্নেডো দেখা যায়! সে এক অদ্ভুত রাত। এমন ভয়ানক বৃষ্টি আমি জীবনেও দেখিনাই। মনে হচ্ছিলো আকাশে ভেঙ্গে পড়ে সবকিছু তছনছ করে দিবে ।
নাহ, আসলে এর থেকেও ভয়াবহ বৃষ্টি একবার দেখেছি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে।
তখন হয়তো ৯১-৯২ সাল হবে। আমরা সবাই আসাদ কাকার ঘরে বসে মুড়ি মাখানো খাচ্ছিলাম, পাড়াসম্পর্কীয় দাদী তার বিয়ের গল্প বলছিলেন। আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনছি। তাঁকে নাকি তাঁর স্বামী কি এক হাট থেকে কিনে এনেছিলেন, ২৫ টাকা দিয়ে। এদিকে তাই তার কোন আত্মীয় নাই, সবাই তাকে “তিরিপুরি” (ত্রিপুরার মানুষ) বলে তাচ্ছিল্য করে। হটাত শোঁ-শোঁ করে বাতাস দিতে শুরু করেছে। চাচী একজন কাজের মেয়ে বেগম’কে বাড়ির পিছন থেকে গরুটা নিয়ে আসতে বললেন। গল্প চলছে। দাদী এই পর্যায়ে একটা জ্ঞানের বানী দিলেন, “বিদেশে বিয়া সান্দাইস্না বুবু, বাপের বাড়ির কাছেই থাকিস। নাইলে কেউ ভালবাসপেনাকো।" এই পর্যায়ে শুরু হলো ভয়ানক ঝড়। কি বাতাস! আহারে! বাতাস-বাতাস! চাচী ছুটাছুটি করছেন বারান্দা থেকে কাপড় নিয়ে ঘরে আসছেন। চাচা ঘর থেকে চিৎকার দিচ্ছেন, শিউলির মা, তুমি ঘরেত আসোতো। হঠাত কি যে হলো! হুস করে শব্দ হয়ে বাড়ির টিনের চালটা উড়ে গেল। এবার ঘরের মধ্যেই শুরু হলো ঝমঝম শিলাবৃষ্টি। গাছের একটা ছোট ডালও উড়ে এসে পড়লো। দাদী আমাকে আর আমার বোনকে নিয়ে একটা কোনার মধ্যে জড়ায়ে ধরে আছেন, আর চিৎকার করছেন, “আল্লাহ! ছাওয়ালেরেক বাঁচাওরে আল্লাহ!” চাচী চিৎকার করে কাঁদছেন, “ কি হচ্চে? কি হচ্চে? এডা কি করলিরে আল্লা! আমার সব গেল!”
১০ মিনিট তান্ডবের পরে একটু শান্ত হলো বুঝি সবকিছু।
সবকিছু থামার পরে পাড়ার লোকজন এসেছে আসাদ চাচাকে সাহায্য করতে। বাড়ির সবাই ক্লান্ত, সবার মন ভয়ানক খারাপ। তাদের এই ঘরের চাতালে ছিলো এই মৌসুমের আবাদের ধান। সব গেছে। মাটির ঘরের মধ্যে থিকথিকা কাদা-- বিছানা, বালিশ, কাঁথা, টেবিল-চেয়ার, দুইটা লোহার ট্রাঙ্ক, সবই ভিজে একাকার। চাচী এখনো কাঁদছেন। কেউ একজন গল্প শুরু করলো, “আমি দেওয়াক দেখিসি, বুবু! প্রথমে আকাশেত একটা ছট্ট ঢেঁকির লাকান কিবা চলে গেল, একটুপরে আল একটা কালো বড় ঢেঁকি। তখনই এগলান হইসে, বাড়ির চাল লিয়ে গেসে, আর গাছের ডাল পড়ে বেগম মরিসে।" এবার চাচী চুপ করে গেলেন। “বেগম মর্যা গেসে?”। “হয় বুবু, আমের গাছের ডালের তলে পরিসিল।" চাচীর গরু গোয়ালে রেখে বাড়ি ফেরার সময় ঝড়ের মধ্যে দিকশূন্য হয়ে পড়েছিলো বেগমবু, মারা যান উৎপাটিত হিমসাগর আম গাছের বড় ডালের নিচে পড়ে।
দূর্যোগের চেহারাগুলো আসলে অনেক আলাদা।
যাইহোক। আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে মনেহয়। বুয়েটিয়ানদের বাড়িতে রেখে ঘরে ফিরতে হবে। পাশের কোরিয়ান দম্পতিকে দেখলাম বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে রেডী হচ্ছে, ঘরে ফিরবে। তারা রেডিওতে শুনেছেন, সংকট কেটে গেছে। আর ভয় নাই। আমরাও ফিরে আসার প্রস্তুতি নিলাম।
আমি বহুদিন পর্যন্ত ভেবেছিলাম, পাড়ার ঐ মহিলার "দেওয়া" আর "ঢেঁকি"র তুলনাটা একেবারে মনগড়া। এই ধারনাও পরিবর্তন হয়েছে। ওকলাহোমাতে কিছু কিছু মানুষ একটা বিপদজনক খেলা খেলে। তার নাম হলো ঝড়-তাড়া (Storm Chasing)। এরা গাড়ি নিয়ে টর্নেডোর পিছু নেয়। কেউ কেউ ছবি তুলে। ছবিগুলো দেখে বুঝেছি পাড়ার ঐ মহিলার দেওয়াকে ঢেঁকির সাথে তুলনা করার যথেষ্ট কারন আছে। লেখায় ইন্টারনেট থেকে পাওয়া কিছু ছবি দিলাম।
টুইস্টার এর কথা মনে পড়ে গেল...
~
সিনেমাটার নাম শুনসি, দেখা হয় নাই।
বহুত দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। যথারীতি চ্রম হইসে। একটা লাইন বেস্ট-
ছবি দেইখা আমারও টুইস্টার মুভির কথা মনে পড়সে।
ধন্যবাদ মীর!
সিনেমাটার নাম শুনসি, দেখা হয় নাই।
'৫৯ এর কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে । বয়স তখন ৭ এর মতো । ১৩ই কার্তিক । সকাল থেকে রেডিওতে ঝড়ের সংকেত প্রচারিত হচ্ছিল । হালকা বাতাসের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । কিন্তু বিকেলের দিকে প্রকৃ্তি হঠাৎ রুদ্র হয়ে উঠল ।ঝড়ের তান্ডব প্রচন্ড বেড়ে গেল । পুরো আকাশ হইয়ে গেল লালচে । জানালার ফাঁক গলে আমার দৃষ্টি বাইরে । বড় বড় গাছ গুলো দৈত্যকুল যেন ডালপালা সহ উপড়ে ফেলে ছুঁড়ে দিচ্ছে এদিক ওদিক । মুহুর্মুহু ব্জ্রপাতের বিকট আওয়াজের ফাঁকে আহত মানুষের আর্তনাদ, ছোটদের চিৎকার-কান্না বা বড়দের ক্ষীণ কন্ঠের আল্লাহু আকবর কানে আসছে । সে কচি বয়সে মনে হচ্ছিল আজ বুঝি কেয়ামত । পুরো রাত চলল এভাবে । সকালে প্রকৃ্তি একটু শান্ত হল ।
সে ঝড়ে প্রায় ৯০% কাঁচা ঘরের চালা উড়ে গেছিল, ১০০% গাছ পালা ধ্বংস হয়েছিল । ছোট দু' একটি গাছ যা ও খাড়া ছিল, ও গুলোর ডাল পালা কিছুই ছিলনা । চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য সেদিন ছিল সত্যিকার কেয়ামত । গর্কির [বানের] তোড়ে ভেসে গিয়েছিল হাজার মানুষ আর গবাদি পশু । সে একই মাপের ঝড় হয়েছিল '৯১তে । সে সময় ও দেশে ছিলাম ।
আপনার বর্ণনা খুবই সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ কাদের ভাই।
লেখা ভালু হইছে। তয় টর্নেডো থেইকা দুরে থাকাই ভালু।
হু, দূরে থাকতেই চাই।
অনেকদিন পর ওড টু মাই ফ্যামিলি নিয়ে শর্মি এলো। লেখা বরাবরের মতো সাবলীল।
হ্যালো লীনাপা! কি খবর?
আমার খবর ভালো, তোমার দেখা নাই, লেখা নাই, এইটা মিস করি
সেমেস্টার শেষ হচ্ছে, লীনাপা, তাই একটু বিশেষ দৌড়ের উপরে আছি।
এরপর থেকে দেখা পাবেন। প্রমিজ! সত্যি! বিদ্যা!
প্রমিজ, সত্যি, বিদ্যা

বিদ্যা কসম কাটার বিষয়টা অনেকদিন পর পাইলাম, ছোটবেলায় আমরা বলতাম, বিশ্বাস কর, বিদ্যা
হু, মনে করায়ে দিলাম।
আসলেই টুইস্টার মুভিটার কথা মনে পইড়া গেছে লেখাটা পইড়া
সিনেমাটার নাম শুনসি, দেখা হয় নাই।
টাইম পাইলে দেইখা ফেইলেন। খারাপ লাগবোনা আশাকরি
আপনার লেখা বরাবরই জোশ লাগে। এতদিন বিরতি কেন?
বিদেশ যাইতে মুঞ্চায়।
ধন্যবাদ জয়িতা। বিভিন্ন কাজের ঝামেলায় আছি। আর আমি একটু স্লো, তাই চাইলেও দ্রুত লেখা নামাইতে পারিনা। একটা কথা বলেন, এই লেখা পইরা বিদেশ যাইতে মঞ্চাইলো ক্যান? এইটা তো দূর্যোগের আলাপ....
টর্নেডো এলার্ট। আমাদের দেশে পুর্বাভাশ পৌছাবার আগেই সব শেষ। ভাল লাগলো লেখা। ভাল থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
ধন্যবাদ, ঠিকই বলেছেন।
আমার ধারণা, বিদেশিরা একটু বেশি ডরপুক!
ছবিগুলো দারুণ!
আর বইলেন না ভাই। এরা এত ডরপুক, আমার হাসি পায়। তবে একটা জিনিষ ভাল, এতে অযথা দূর্ঘটনা এড়ানো যায় অনেক, মৃত্যুতো বটেই। আমাদের দেশে লোক বেঘরে মরে।
হ।
তোমার লেখা পড়ে টর্নেডো খাইতে ইচছে করছে
দুই রাত জাইগা লেখার পরে আপনার মনে হইলো টর্নেডো একটা খাওয়ার জিনিষ? আর লিখমুইনা, বাল! এ জেবন ও রাখমুনা।
(
বি,দ্র,-- আমার লেখক সত্তার মিরিত্যুর জন্য তাতাপু দায়ী।
লেখা আর বরননা এতো রুমানটিক লাগলো যে মনে হলো একবার খেতে পারলে হতো

হাহাহাহাহাহাহা।
আপনার লেখাগুলো প্রাঞ্জল আর মনোমুগ্ধকর। যদিও ঝড়ের বর্ণনা দিয়েছেন, তবু পড়তে ভালো লেগেছে!
অবশ্য বাংলাদেশের ঝড়, আর বেগমের অকাল মৃত্যুটা মন খারাপ করিযে দিলো!
আচ্ছা, ওই "দেওয়া" আর "ঢেঁকি"র ব্যাপারটা কি?
ধন্যবাদ, কামাল ভাই।
রাজশাহী জেলার কিছু মানুষ মেঘ বা ঝড়কে বলে "দেওয়া"। যদ্দুর মনে হয় প্রমিত বাংলায়ও "দেয়া" শব্দটি আছে, সেটারই অপভ্রুংশ হবে। লেখায় গ্রামের মহিলাটি বলছিলেন যে ঐদিনের দেওয়া দেখতে ঢেঁকির মত।
ভয়ংকর সুন্দর।
এরাম একটা ছবি তুলতে পারলে জীবন সার্থক!
জীবন যদি বাঁচে তাইলেই না সার্থক!! অনেকে এই ঝড়-তাড়া করতে গিয়ে মারা পরেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হ..
আপনে আজকাল এত কম লেখেন কেন?!
আপনের 'ক্যাফেকথন' আর এক হুজুর বিষয়ক লেখাটা অনেক ভাল লাগছিল।
আপনাকে নিয়মিত লিখতে দেখলে অনেক ভাল লাগবে। ভাল থাকুন, আপু।
অনেকগুলো লেখার আইডিয়া নিয়ে ঘুরাঘুরি করছি। সময় হয়ে উঠেনা সেমেস্টারের ঝামেলায়। আশা করছি নিয়মিত হব কিছুদিনের মধ্যে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, উৎসাহিত হলাম।
সেটাই!
খালি পড়াশুনা লইয়া পইড়া থাকলে ক্যাম্নে কি?!
কি আছে জীবনে?!
গরীবের আর জেপন!
ও আপু, ব্লগে আইসা চুপচাপ বইসা আছেন কেন?!
কি করেন? কেমন দিন গেল আজ? নতুন লেখা কবে পাব?
আইডিয়া জাগ দিতেসি। পরিপক্ক হইলে লেখা আসবে।
তোমার খবর কি, ভাইজান?
আমার অবস্থা সুবিধার না!
রাতগুলা মোটামুটি কেটে যায়,
গান শুনে আর নেটে ঘুরে।
কিন্তু দিনগুলি দিনে দিনে আমাকে আরও বেশি বিষণ্ণ করে তুলতেছে।
বাসায় আম্মু ও নানু বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, এজন্যও একটু চিন্তিত ও মন খারাপ বলা যায়।
আশাকরি উনারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
লেখা ভাল হইছে ।
ধন্যবাদ বিমা। কেমন আছেন?
সুখেই আছি। দেশে আসতাছেন কবে?
এখনো জানিনা। আসলে জানাবো।
লেখাটা গরম গরম পড়ছিলাম।কিন্তু কোন এক কারনে কমেন্ট দেয়া হয় নাই। এখন সেটা জানায় গেলাম।
ধন্যবাদ। কেমন আছেন?
(গরম গরম কমেন্ট না দেওয়ার জন্য আপ্নানাক মাইনাস ফাইপ!)
ভাল লাগলো....
ধন্যবাদ নীড়।
মন্তব্য করুন