শিবলী মেহেদী'এর ব্লগ
টুন টুন টুইন-১
#১. ভেবেছিলাম কার নাম কোনটা তা ওদের বুঝতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু তা লাগেনি। ওরা কেমন করে যেন ঠিকি বুঝেছিলো কার নাম কি। ঠিক বুঝলাম না, ওরা কনফিউজ্ড হলোনা ক্যানো? যাই হোক, একজনের নাম জারা আর আরেকজন জুন্না। আমার জমজ মেয়ে। ওদেরকে সব সময় এক সাথে রেখেছি, ডেকেছি আর তাই আমার ধারনা হয়েছিলো টুইনরা হয়তো সহজে বুঝতে পারবে না কার নাম কোনটা।
আই ফট্ এগেইন্সড্ ফ্রিডম ফাইটারস্
বউ এর অনেক বলাবলিতে শেষে রাজী হলো লী। বউকে নিয়ে হালকা শপিংএ গেলো। হাজার হলেও লী নতুন চাকরি পেয়েছে! সেল্ফে সেল্ফে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ফোন আসে লীর ফোনে। প্রায় দেড় মাস আগে এক অফিসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলো লী। সেখান থেকেই ফোন আসে। ওরা ফোনেই লীকে জব অফার দিলো। আর এও বলে দিলো যে, লী যতো বেতন চেয়েছিলো তাতেই রাজী। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। লীতো মাত্র দুদিন হলো সাইন করেছে আরেক অফিসে। লী কেন জানি ফোনে বলতে পারলো না যে সে জয়েন করতে পারবে না। ফোনেই জানতে পারলো যে পারের দিন সরাসরি এম.ডি-র সাথে সাক্ষাত হবে। লী ভাবলো, এম.ডির সাথে সাক্ষাতেই জানিয়ে দেবে জয়েন না করতে পারার অপারগতার কথা।
পরের দিন:
- এই যে লী আসো, বসো।
- আস্সালামু আলাইকুম স্যার।
- ওয়ালাইকুম সালাম, বসো।
- স্যার কেমন আছেন?
শিশুরা মিথ্যা কথা বলে কেন?
"মিথ্যা বলা মহা পাপ" এই সত্যটা আমরা সবাই মানি। আমরা বড়রা কেন মিথ্যা বলছি সেটা আমরাই ভালো জানি। কিন্তু আমরা কি জানি আমাদের শিশু সন্তানরা কেন মিথ্যা কথা বলে? ওদেরতো মিথ্যা বলার দরকার নেই। আমরা বড়, আর তাই ছোটদের মিথ্যা কথা সহজে ধরে ফেলি। ধরে ফেলি বলে মনে করি আমরা না জানি কতো বড় মাইন্ড রিডার হয়ে গেছি। কিন্তু আসলে যে আমাদের জন্যই আমাদের শিশু সন্তানেরা মিথ্যা কথা বলে, সেটা কি আমরা জানি?
ছেলের গায়ে হলুদে গাইবার মতো একটা গান...
ছেলের গায়ে হলুদে গাইবার মতো একটা গান বানিয়েছি আমি। বন্ধুরা শুনবেন নাকি? গানটি এখানে আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা পঁচা ডিম, আলু ছুঁড়ার জন্য তৈরী। পালাই রে বাবা।
বন্ধুরা আর পঁচা ডিম মাইরেন না, আমার আরেকটা গান আছে, সেইটাও একটু শুইনেন এখান থেকে। আমি বরং অফ্ যাই পুরা শীতটা...
কথায় আছেনা, মক্কার মানুষ হজ্ব পায়না
আচ্ছা বন্ধুরা, আমার এই কথাগুলি কি আপনারা বিশ্বাস করবেন? আমি software quality assurance & testing department-এ কাজ করি। ডেস্কটপ ও ওয়েব এ্যাপ্লীকেশন টেষ্ট করা ও তার কোয়ালিটি নিশ্চিত করা আমার কাজ। আমি যদি বলি যদিও আমার অফিসে পিসি ও ইন্টারনেট আছে, আমার বাসায় কোন পিসি বা নেট কানেকশন নেই, তবে বিশ্বাস যোগ্য হবে? হবে না, তাই না? বা একটা হোটেলের একজন বাবুর্চী যদি বলে সে খাদ্যাভাবে কষ্ট পায় সেটাও হয়তো আমরা বিশ্বাস করবো না, তাই না?
প্রথম কারন: আমরা বন্ধুকে কেন ভালো লাগলো।
আজ আমি এই ব্লগে সদস্য হয়েছি। আর আমার প্রথম পোষ্টটিই ছিলো নিয়ম ভেংগে। মানে আমি এমন একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম যা আগে অন্য ব্লগে পোষ্ট হয়েছিলো। যথারিতি আমার সেই পোষ্টে মন্তব্য এসেছে। দুই ধরনের মন্তব্য ছিলো। এক ধরনের মন্তব্য পোষ্টটির বক্তব্যের ভিত্তিতে আর আরেক ধরনের মন্তব্য ছিলো (সম্ভবত এ্যডমিন থেকে) আমার নিয়ম ভাংগার কারনে। তো আমি আমরা বন্ধুর সকল নতুন বন্ধুদেরকে একটা বিষয় না জানিয়ে থাকেত পারছিনা না। আমার ঐ নিয়ম ভাংগা পোষ্টে আমি যে মন্তব্যটি শেষে করেছিলাম সেটা সবার সাথে একটু শেয়ার করতে চাইছি।
শিশুর সাথে কখনই এই কাজটি করবেন না...
যদি পড়বার মুড না থাকে তবে এই পোষ্টটির একটি পডকাষ্ট পাবেন এখানে অন্যথায় পড়া চালিয়ে যান।
আমার এই লেখা শিশুদের জন্য নয়, বড়দের জন্য। যারা শিশুদের সাথে ভুল করে নানা সময় অন্যায় করি। ক্ষতি করি আমাদের প্রিয় সন্তানদের, ভাগ্নে-ভাগ্নীদের, ভাতিজা-ভাতিজীদের...