টুন টুন টুইন-১
#১. ভেবেছিলাম কার নাম কোনটা তা ওদের বুঝতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু তা লাগেনি। ওরা কেমন করে যেন ঠিকি বুঝেছিলো কার নাম কি। ঠিক বুঝলাম না, ওরা কনফিউজ্ড হলোনা ক্যানো? যাই হোক, একজনের নাম জারা আর আরেকজন জুন্না। আমার জমজ মেয়ে। ওদেরকে সব সময় এক সাথে রেখেছি, ডেকেছি আর তাই আমার ধারনা হয়েছিলো টুইনরা হয়তো সহজে বুঝতে পারবে না কার নাম কোনটা।
#২. অল্প ওজন নিয়ে জন্মেছিলো ওরা আর তাই অসুখ বিসুখ লেগেই ছিলো লাগাতার। ঔষধ আর ঔষধ। এক বাচ্চাকে ঔষধ খাইয়ে দিয়েছি। চুক্চুক্ করে মজা করে ঔষধ খেয়ে নিলো। আরেকটা বাচ্চা ঘুমে। ভেবেছিলাম ঘুম থেকে উঠলেই ঔষধ খাওয়াবো। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর ঘুম থেকে উঠার পর খাওয়াচ্ছিলাম। কিন্তু এমন চুক্চুক্ করে মজা করে ঔষধ খাচ্ছে কেনো? চুক্চুক্ করে মজা করে তো ঔষধ খায় জারা। কিন্তু জুন্না কখনই ঔষধ খেতে চায়না। হায় হায়, আবারো জারাকেই ঔষধ খাইয়ে দিয়েছি।
#৩. বাজারে বাচ্চাদের সব জিনিষ দুটো করে পাওয়া যায়না। একই ডিজাইন আছে, একই রঙ আছে, সব এক, শুধু সাইজটা এক নয়। এক সাইজের জামা কেউ দিতেই পারেনা সহজে। অধিকাংশ সময় দুই সাইজের জামা কিনতে হয় বাচ্চা দুটির জন্য। জামা না হয় একটু বড় হলে সমস্যা নেই কিন্তু জুতা? সেটাতো সাইজ মতোই হতে হবে। "একটা বক্সে ৬ সাইজের জুতা থাকে বাচ্চাদের জন্য। আর তাই একই জুতা দুই সাইজে হবে না ভাই।" - বলে দোকানদার। দামদর ঠিক করে শেষে দোকানদারকেই অনুরোধ করি আরেক দোকান থেকে একই সাইজ এনে দিতে। অধিকাংশ বিক্রেতাই সহযোগীতা করেছেন এই বিষয়ে। কিন্তু ঈদের বাজারে এই বাড়তি সাহায্য কার কারার সময় আছে বলুন। আর তাই, বাধ্য হয়েই দুই সাইজের জুতা নিতে হয়েছে। তবে বাটা-ফাটা বা এপেক্সে এক সাইজ পাওয়া যায় কিন্তু ওগুলি খুব একটা পছন্দ হয়না সব সময়।
#৪. "ভাই ওরা কি টুইন?" "ওরা টুইন, তাই না?" বিগত ৬ বছর মার্কেটে, পার্কে, রাস্তায় এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসছি সব সময়। রেকর্ড হয়েছে এমন একটা ঘটনা বলি। যদিও নাম নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আছে তবুও চন্দ্রিমা নামটাই আমার প্রিয়। তো, চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম বউ বাচ্চা নিয়ে। আমাদের বাচ্চাদুটিতে আমাদের কাছেই পেলাম না। গেট থেকে শুরু করে পার্ক থেকে বের হওয়া পর্যন্ত একাধিক কাপলের কাছে বাচ্চা দিতে হয়েছে শুধু তারা ছবি তুলবে বলে। "এক্সকিউজ মি, ভাইয়া ওদের সাথে একটু ছবি তুলবো।" "ঠিক আছে তুলুন" বলা ছাড়া আর কিছুই বলার থাকেনা। একটা পরিবারতো এমন ভাবে একের পর এক ছবি তুলতে লাগলো যে যেন বাচ্চা দুটি ওদেরি। অনেক সময় মনে হতো বাচ্চা দুটি নিজেদেরকে চিড়িয়াখানার প্রানী মনে করছেনাতো? আবার ভাবতাম, হয়তো সব টুইনরাই এই ধরনের সিচুয়েশনে পরে, তাই আমার মেয়ে দুটিও পরুক।
পিচ্চি দুইটাকে অফলাইনে একবার, অনলাইনে একবার লাইক দিলাম। মেহেদী ভাই, আপনি মামুন হকএর ব্লগে একটু ঘুরে আসতে পারেন। আমরা টুইন বেবীদের পোস্টে বেশি বেশি ছবি চাই।
এত কিপটামি করলে হবে?
আরও ছবি দেন।
কী দারুণ!
আরো ছবি দিন।
আপনার দুই কন্যাকে অনেক আদর
মামণিদের অনেক অনেক আদর। ওদের ছবি দেখতে চাই, ওদের কথা পড়তে চাই আরো বেশি।
আপনার বাচ্চাদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা!
পোষ্টে লাইক, আর ছবি কুইক
খুবই সুইট বাচ্চা দুটো। সুন্দর, অনেক বড় হোক
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। মজারু দুটি ছবি দিলাম
আপনার মেয়েদের জন্য অনেক আদর, দোয়া।
ডাইনের বাবুটারে চালাক মনে হয় বেশি!
কোন ছবির ডাইনের জন, জুলিয়ান ভাই?
হা হা, বেশ সুন্দর লাগল আপনার মেয়েদের। এক ছেলের বাপ আমি, অনেকে বলে আর একজন নিয়ে নিচ্ছেন না কেন। তখন মনে হয় টুয়িন বেবী হয়ে গেলে বেঁচে যেতাম। এক্টার বাপের জ্বালা সইতে জান শেষ, আপনারা দুইজনের একসাথে সইছেন!
আপনাদের জন্য শুভ কামনা।
ওদের চুল কাটা হয়েছিল কেন? আমার বাড়ীওয়ালারো দুই যজম মেয়ে। দুইজন এখন বারিষ্টারী পড়ছে। এখন আর ওদের এক রকম মনে হয় না। একজন ভীষন মোটা, অন্যটা শুকনা।
মন্তব্য করুন