সোহেল কাজী'এর ব্লগ
পর্দার অন্তরালে!
সাত-সকালে অস্থির ভাবে কেউ দরজায় কড়া নাড়ছে! বয়স হইছে কড়া নাড়লেই হুট করে দরজা খুলতে পারি না, নড়াচড়া করতে টাইম লাগে, কিন্তু কে বুঝে কার কথা! দেশ থেকে একদিকে যেমন আদব কায়দা উঠে যাচ্ছে অন্য দিকে উঠে যাচ্ছে মাইয়া মানুষের পর্দা! এই দেশের ববিষ্যত অন্ধকার! দরজা খুলতেই দেখি জমসু দাঁড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে বে-আদবের মতো হাসছে! জিজ্ঞাস করলাম কি ব্যাপার জমসু? এতো সকালে কি মনে কইরা? জমসু বলল, একটা খবর আছে, হাত মুখ ধুইয়া আসেন বৃত্তান্ত বলতেছি!
প্রাতকর্ম সেরে বাইরে এসে জমসুকে জিজ্ঞাসা করলাম বলো দেখি কি বৃত্তান্ত। জমসু বললো
- কয়দিন ধইরা একটা শিয়াল খুব ত্যাক্ত করতেছিল বলছিলাম না?
- হ! মুরগী খোলা রাখলে শিয়ালতো আনাগোনা করবোই!
- গত তিনিদিন আগেও মুরগীর খোয়াড় থেকে রাতে একটা মুরগী ধইরা নিয়া গেছে। সকালে উইঠ্যা দেখি রক্ত আর কিছু পাখনা ছাড়া মুরগীর আর কোন হদিস নাই!
রাজ সমন!
রাজ সমন এসেছে রক্তাক্ত অক্ষরে
গুলিবিদ্ধ দরজায় লেপ্টে দিয়ে গেছে রাজ আদেশ।
যেই গুলিটি পিতার বক্ষ ভেদ করে এই দরজা ছেদ করেছিল;
তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি!
এই দরজার ওপাড়ে আমার মাকে খুবলে খেয়েছিল ওরা;
বেয়োনেট ঢুকিয়ে দিয়েছিল আমার মায়ের যোনিতে;
পিতার হন্তারক গুলিটি খুঁজে পাইনি মায়ের ক্ষতবিক্ষত যোনিতে।
এই দরজার চৌকাঠে আমার বোনের স্তন কেটে ছুড়ে ফেলেছিল ওরা!
ধর্ষিত বোনের কাঁটা স্তনে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি পিতার হন্তারক গুলিটি;
তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি!
অবশেষে একদিন জানা গেল ধরা পড়েছে ৭১এর হায়েনা,
হায়েনার হাতে আমার বোনের স্তনের ঘ্রান, পকেটে পিতার হন্তারক গুলিটির খোলস,
হায়েনার বুকে লেগে আছে আমার মায়ের যঠরের রক্তের ছোপ।
প্রভাতের শিশির হেসে বলেছিল বিচার হবে বিচার,
দোয়েল শালিকেরা চিৎকার করে বলছিল ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি।
আমাদের ছাতা অনুভুতিতে আঘাত!
ছাতা আমাদের ঐতিহ্য। আবহমান কাল ধরেই আমরা দেখে আসছি একজন সৎ ব্যাক্তি তার ছাতাখানি বোগল দাবা করে দরিদ্র জীবনের বিভিন্ন চড়াই উতরাই পার হচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে উষ্ঠা লাত্থে খাচ্ছেন। বাংলা সিনেমার গরীব বাবা সবসময় বাড়ি থেকে বের হবার সময় ছাতা হাতে নিতে ভুলেননা। বাংলা সিনেমার সৎ কেরানীর চরিত্রটিকে যখন কোন প্রাইভেটকার বা ট্রাক এসে নির্দয় ভাবে চাপা দেয় তখন সবার আগে ছাতাটিকে দেখা যায় আকাশ পানে ছুড়ে দিতে।
আবার ছাতা হচ্ছে বাঙালীর সন্মানের একছত্র প্রতিক। বিভিন্ন জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে হাটা ছিল চরম বেয়াদবী ও অন্যায়। এই ক্ষেত্রে নায়কের বাবা যখন জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে বেখেয়ালে ছাতা মাথায় দিয়ে হেটে যান তখন তাকে পেয়াদা দিয়ে ধরে এনে চাবুকের আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। বেয়াদব কত্তোবড় সাহস, ছাতা মাথায় দিয়ে জমিদারের ইজ্জত মারিস।
সোনালী চুলের পুতুল
চলন্ত বাসের জানালার কাঁচের উপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। বৃষ্টির ছাটে জানালার এপাড়েও ঘোলাটে হয়ে আছে। তানিয়া বারবার হাত দিয়ে কাঁচ পরিষ্কার করে তাকিয়ে আছে চলন্ত দৃশ্যের দিকে। গ্রাম জলা গাছপালা পুকুর ঘরবাড়ি সব দ্রুত বেগে পেছনে পড়ে যাচ্ছে, সেই সাথে তানিয়া তার বাড়িকে ফেলে আসছে অনেক দূরে। আসার সময় ছোট ভাইবোন দুটি বারবার তাঁকে জড়িয়ে ধরছিল আর বাবা মা দুজনেই নিরবে কাঁদছিল।
শুরু হলো "আমার ফাউন্ডেশন"এর অগ্রযাত্রা। চলুন নতুন ইতিহাস গড়ি
সুপ্রিয় সহব্লগারগন।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে "আমার ফাউন্ডেশন" চ্যারিটির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজন ব্লগারের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমার ফাউন্ডেশন তার সকল প্রকার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে এগিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
আমার ফাউন্ডেশন প্রথমেই "(সিসিফাস)"এর পোস্টে বর্ণিত জয়নাল ও লালবানু'র স্বপ্নের প্রজেক্ট দিয়ে তার প্রথম কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। সেই সাথে মুরুব্বির পোস্টে বর্ণিত দক্ষ কিন্তু দরিদ্র লোকদের বর্তমান অবস্থার উন্নতির সুজুগ সৃষ্টি করার প্রজেক্টটিও একই সময়ে চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে আমার ফাউন্ডেশন। প্রজেক্ট দুটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক ফলো করুনঃ
ব্লগার সিসিফাসের পোস্টঃ "জয়নাল ও লালবানু'র স্বপ্নযাত্রায় আমাদের নির্মম নির্লিপ্ততা"
পিনোমাইসিন-১
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁর যমুনা তীরের কাচারি বাড়ীর দোতলায় একটি আরাম কেদারায় অলস ভঙ্গিতে বসে আছেন। একটু নজর করে দেখলেই বুঝা যায় তিনি যমুনার জলের দিকে চেয়ে কোন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে আছেন। এমন গম্ভীর সময়ে আরাম কেদারার হাতলে রাখা তাঁর মোবাইলখানা বেরসিকের মত বারবার বেজে উঠছে আবার প্রায় সাথে-সাথেই নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। কবিগুরুর ভাবনায় ঘনঘন ছেদ পড়ায় কপালের রেখাগুলো বিরক্তির সাথে প্রকট হয়ে ফুটে উঠছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মোবাইলখানা হাতে নিয়ে দেখলেন লালন ফকিরের আটটা মিসকল। কবিগুরু কিঞ্চিত বিরক্ত হয়ে লালনকে কল ব্যাক করলেন।
ফোন রিসিভ করেই লালন সুধালেন "পেন্নাম হই ঠাকুর মশাই, শরীর স্বাস্থ্য ভালোতো?"
এহেন নির্দোষ প্রশ্নের উত্তরে কবিগুরু খেঁকিয়ে উঠে বললেন "সময় গময় নাই এইরূপ উথাল-পাথল মিসকল দেয়ার হেতু কি লালন?"
আমরা বন্ধু ব্লগের বন্ধুগো "সতর্ক" হওনের আহ্বান জানাই!!
ব্লগার রাসেলের গত ২৩শে জানুয়ারী রোজ শনিবারে লেখা "মেহেরজান বিতর্ক" শিরোনামের পোষ্টটা এইমাত্র পড়লাম। পোস্টে সুক্ষ ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিরোধী বেশ কিছু কথাবার্তা লেখা আছে!!! এবং একই সাথে ৭১-এ পাকি সামরিক বাহিনীর বর্বরতার কথাকে অস্বীকার করা হইছে!!! শুধু তাই না, ততকালীন বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ৭১ এ পাকি সামরিক বাহিনীর সহমর্মিতা ছিল এমন ধারণা দেয়া হইছে!!!! অথচ এই বিষয়গুলি সবার নজর এড়ায়া গেছে দেইখ্যা যারপরনাই টাসখিত হইলাম!!!
যাই হোক রাসেল-এর লেখা পোস্টের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই অসঙ্গতিগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম।
১) রাসেল তার উক্ত পোষ্টে লেখছেঃ
ঘুরন্তিস ব্লগ; সুন্দরবন
গোপন সূত্রে খবর পাইলাম এবির আকাশে বাতাসে পিকনিকের গন্ধ ভাইস্যা বেড়াইতেছে। তাই মনে হইল পাব্লিকেরে আরেকটু দিলজ্বলে করনের এইটাই উপযুক্ত সময়। সো যারা যারা জ্বলতে চান তারা নিজ দায়িত্বে জ্বলতে পারেন
সুন্দরবনের পুরো ট্যুরটাই ছিল একটা ডাবল ইঞ্জিন জাহাজ দিয়ে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রথম দিনই চরম অসুস্থ হয়ে পড়ি তাই আমার গন্ডিটাও সেই জাহাজের ডেকে-ই ছিল। বন্ধুরা যখন তুমুল বৃষ্টিতে বনে বাঁধন হারা হয়েছিল তখন আমি আমার কেবিনে বসে গায়ে মম্বল জড়িয়ে জানালা দিয়ে জলের সাথে পাতার কোলাহল শুনি। আর মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ছুঁয়ে দিচ্ছিলাম আনমনে....
সে দিন শেষ বিকেলে বৃষ্টি বিধৌত বনে রঙধনু হেসেছিল
সুন্দরবনকে আঁকড়ে থাকা অসংখ্য নদীতে ওরা জীবিকা খোঁজে
আমরা ডিঙ্গি নৌকায় করে একটা শাখা নদী দিয়ে বনের ভেতর দিকে চলে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝেই কিছু চিত্রা হরিণ বিরক্ত হয়ে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। হঠাতই দেখি আমাদের ডিঙ্গির উপরে ঝুলে পড়া একটা কেওড়া গাছে মস্ত বড় এক অজগর সাপ আমাদের ঠিক মাথার উপর ঝুলছে। অজগরটা অন্য একটা নাম না জানা সাপ গিলছিল। আমি অজগরটা সবাইকে দেখাতেই সহযাত্রি কয়েকটা মেয়ে চিতকার করে নৌকো থেকে প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম করেছিল
এইসব নাম না জানা নদী বেয়ে আমরা চলে গিয়েছি সাগরের টানে
নদী-১
নদী-২
বন যতই গভীর হচ্ছিল তীরের দিকে ততই গোলপাতার জঙ্গলের দেখা মিলছিল।
গোলপাতা মাঝেই মাঝেই নড়ে উঠছিল আর আমরা এক্সাইটেড হচ্ছিলাম ব্যাঘ্র মামা দেখার আশায় (যদিও ব্যাগ্রমামা দেখেছিলাম আয়েসি ভঙ্গীতে নদী পাড় হচ্ছে কিন্তু হাতের কাছে কোন ক্যামেরা ছিল না )
বনলতা সেনের সাথে কিছুক্ষণ!!
আৎকা কি যে হইলো বুঝলাম্না! ঘরের ভিত্রের থেনে দৌড়ায়া বাইর হইয়া যাইতে মুঞ্চাইতাছিল। ছটফট করতে করতেই বাইর হলাম। উদ্দ্যেশ্য নিরুদ্দেশ হন্টন।
ধন্য হে মোস্তফা জব্বার ধন্য তোমার ফাঁদ
পেটেন্ট, কিবোর্ড লেআউট, কপিরাইট নিয়ে আমরা যারা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি, কিংবা কিবোর্ডে ঝড় তুলেছি এবার মনে হয় তাদের বাস্তবের দিকে ফেরা উচিত। মোস্তফা জব্বার যে ফাঁদ পেতে বসে আছেন সেই ফাঁদকে অনুধাবন করে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। আমাদের অনুধাবন করা উচিত যে, ৫ কোটি টাকার বেদনা থেকে মোস্তফা জব্বার হাদুম পাদুম করছেন না, বড়ং ভবিষ্যতে এর কয়েক গুন টাকা হাতানোই তার উদ্দেশ্য।
অবশেষে ফটোসেসনে রাজী হলেন মিস ববিতা – (মাসুম ভাই নিখোঁজ)
ভাবিতেছি মাসুম ভাইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সেদিন উনি ববিতা নানুর ফটোসেসনের অর্ধেক ফটু দিছেন, বড়ই আফসোসের ব্যাপার বাকি ফটুগুলান মাসুম ভাই কুক্ষিগত করছেন, এই জন্য ঝাতি আজ মাসুম ভাইকে ধিক্কার জানায়। এই খবর পাওয়ার পর মাসুম ভাইকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জীবনের পেত্তুম কার্ঠুন বানাইলাম জব্র কাগুর লাগি
জব্বার কাগু ফরমাইছেন উনি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অভ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন, তাই বিপ্লবী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হইয়া জীবনের পেত্তুম বানানো কার্টুনটা উনার বিপ্লিবী পথে বিছায়া দিলাম।
কাব্যগ্রন্থঃ রূপসী বাংলা -– জীবনানন্দ দাশ (ই-বুক)
বছর বারো আগের কথা; স্কুলে পড়ি, ক্লাশ এইটে।। নতুন বই হাতে পেয়ে কবিতা পড়া শুরু করেছি, একটা কবিতায় এসে আটকে গেলাম, চৌদ্দ লাইনের কবিতা; কবিতার নামটা অদ্ভুত, কবির নামও শুনিনি আগে কখনো।
যত্তোসব নাই কাহীনি
সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা, মাত্র মাগরিবের আযান দিচ্ছে। টিকাটুলির মোড়ের আমগাছ তলায় দাড়িয়ে আছি করতোয়া সিটিং সার্ভিসে (একচুলি জটিং সার্ভিস) চড়ে চাষাড়া যাবো। কিছুক্ষণ পর কাঙ্খিত বাস এলে ভিড়ের মধ্যে ঠেলেঠুলে পিছনের গেইট দিয়ে বাসে উঠলাম।
সব ফুল বিকি হয়ে গেছে।
মধ্যরাত থেকেই নগরে সারা পড়ে গেছে। ভীড় জমেছে মিনারের চার পাশে। ওরা আজ মিনারকে সাজিয়েছে নতুন রঙে। ফুলের দোকানগুলোতে ফুলের ছিটেফোঁটাও নেই। সব ফুল বিকি হয়ে গেছে। বাগানে ফুল নেই, সব ফুল বিকি হয়ে গেছে।