ইউজার লগইন

প্যারানরমাল গল্পঃ আলোকিত দ্বার – (শেষ পর্ব)

লোকটা যেমন অদ্ভুত ভাবে এসেছিলো তেমন অদ্ভুত ভাবেই চলে গেল। হারুন প্রথমে একটু চিন্তিত বোধ করলেও কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যাপারটা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলেছে। তার মাথার উপর এখন অনেকগুলো গুরু দায়িত্ব। ট্রেনের খোলা জানালায় হারুন ভবিষ্যতের ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে। ট্রেনের জানালায় ওপাড়ে নিশুতি রাত, নক্ষত্রের আলোয় সমস্ত চরাচর আলো-আধাঁরি খেলায় মেতেছে, ঘুমিয়ে পড়েছে জনজীবন, প্রকৃতি কোন এক অচিনলোকের ধ্যানে মগ্ন। রাতের নিস্তব্ধতাকে ছিন্নভিন্ন করে একঘেয়ে যান্ত্রিক শব্দ তুলে ছুটে যাছে রাতের ট্রেনটা।

হারুনের হাতে চামড়ার ছোট্ট ব্যাগটাতে সাড়ে ছয়লাখ টাকা আছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শেষ সম্বলটা আজ সে বিক্রী করে এলো। ভিটেটা ছাড়া এখন আর কোন ফসলের জমি তার অবশিষ্ট নেই। নিছক বিপদে না পড়লে এই জমিটা সে কখোনোই বিক্রী করতনা। হারুনের বাবা মারা যাওয়ার পরই জমিটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভেঁজাল চলছিলো। তার বড় চাচা কোথেকে কিছু জাল দলিল জোগাড় করে গাঁইয়ে শালিশ দরবার করছে। ভিলেজ পলিটিক্সে হারুনের জমিটা প্রায় বেদখল হয়ে যাচ্ছিলো, শেষ পর্যন্ত কোন উপায়-অন্তর না দেখে গ্রামের প্রতাপশালী মোল্লা বাড়ীর বড়ছেলের প্রস্তাবে রাজী হয়ে আজ জমিটা তার নামে লিখে দিয়ে এসেছে। নগদ সাড়েছয় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরতে ফিরতে হারুন ভাবছে গঞ্জে একটা দোকান দিবে আর ছোট ভাইটাকে ঢাকার কোন ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়ে হোষ্টেলে রেখে পড়াবে।

ভবিষতের ভাবনায় বিভোর হারুনের হঠাতই চিন্তায় ছেদ পড়ল কারণ ট্রেনটা থেমে আছে, কোথেকে যেনো আশ্চর্য্য একটা নিরবতা ভর করেছে ট্রেনটা জুড়ে। কম্পার্টমেন্টের বাকি যাত্রীরা সবাই ঘুমিয়ে আছে কিন্তু আশ্চর্য্য ব্যাপার কোন নিঃশ্বাসের শব্দও শোনা যাচ্ছে না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই হারুন আঁবছা আলোয় দেখতে পেলো ট্রেনটা একটা পুরোনো কবরস্থানের পাশে স্থির হয়ে আছে। অন্ধকার ভেদ করে কম্পার্ট্মেন্টের দরজার দিক থেকে একটা ছায়া মূর্তি হারুনের দিকে এগিয়ে আসছে। হঠাতই হারুনের ভেতরটা প্রচন্ড ভাবে কেঁপে উঠল। আরেকটু কাছে আসতেই লোকটাকে চিনতে পারল হারুন। আগের সেই অদ্ভুত লোকটাই। কিন্তু লোকটাকে কোন কারণে চিন্তিত মনে হচ্ছে, লোকটা চিন্তিত ভঙ্গীতে হারুনের সামনে এসে দাঁড়ালো। অদ্ভুত শীতল কন্ঠে লোকটা বলল, হারুন তোমার সামনে খুব বিপদ। বাঁচতে চাইলে তুমি এখনি আমার সাথে আসো, হাতে একদম সময় নেই।
হারুন ভয় পাওয়া কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? আর আপনি আমার নাম’ই বা জানেন কিভাবে?
লোকটা বিরক্তি আর উদ্রেক মাখা কন্ঠে বলল, আহ এসব কথা বলার মত বাজে সময় একদম হাতে নেই। আমি আর খুব বেশীক্ষন ধরে রাখতে পারবনা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তাড়াতাড়ি ট্রেন থেকে নামো।
কথাগুলো শুনে হারুন এবার পুরোপুরী ভড়কে গেছে। সেই সাথে দেখতে পাচ্ছে লোকটার চেহারায় একটা কষ্টের ছাপ ধীরে ষ্পষ্ট হয়ে উঠছে। কিন্তু এতোগুলো টাকা সাথে নিয়ে এমন নির্জন স্থানে কোন অচেনা লোকের কথায় ট্রেন থেকে নেমে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ না। হারুন লোকটাকে বলল, দেখুন ভাই আপনি যে’ই হোন আপনার কথায় আমি এখানে নামছিনা। দয়া করে আমাকে বিরক্ত করবেননা।
লোকটা মরিয়া হয়ে বলল, তোমার সামনে খুব বড় বিপদ ফাঁদ পেতে আছে। এখানে না নামলে তুমি মারা পড়বে।
হারুন মনে কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে দৃঢ় কন্ঠে বলল, বাজে কথা বলবেননা। আমরা একসাথেই ট্রেনে আছি, আপনি কিভাবে জানেন আমার সামনে বিপদ? আপনার মতলব একদম ভালো ঠেকছেনা। আরেকটা কথা বললে আমি ট্রেনের লোকের ঘুম ভাঙ্গাতে বাধ্য হবো।
লোকটা কয়েক মুহুর্ত কষ্ট আর হতাশা মাখা চেহারা নিয়ে হারুনের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়ালো। একসময় লোকটা হেলতে দুলেতে কম্পার্টমেন্টের দরজার দিকে অন্ধকারে হারিয়ে গেল। আর সাথে সাথেই ট্রেনটা তীর বেগে চলতে শুরু করেছে। হারুন আবারো ভড়কে গেলো, কারন থেমে থাকা ট্রেন গতি নিতে অনেকটা সময় নেয়, মুহুর্তেই এভাবে তীর বেগে ছুটে চলার কথা না।

স্তম্ভীত হারুন আধা ঘন্টার ভেতরই তার নিদৃষ্ট ষ্টেশনে পৌঁছে গেল। রাত আনুমানিক তিনটার মতো হবে। নির্জন স্টেশনটায় দুজন লোক ছাড়া আর কাউকেই দেখা যাচ্ছেনা, দুজনের চোখেই ঘুম আর চেহারায় বিরক্তি। তারা হয়তো রেলের কর্মচারী। রাতের ট্রেন থেকে হারুন ছাড়া দ্বিতীয় কোন যাত্রী এই স্টেশনে নামেনি। স্টেশন থেকে তার বাড়ীর দূরত্ব প্রায় মাইল তিনেকের হাটা পথে। এই পথটা তাকে একাই যেতে হবে কিন্তু পরিচিত পরিবেশে হারুনের এ নিয়ে কোনরকমের চিন্তা নেই।

হারুন স্টেশনটাকে পেছনে ফেলে মাঠো পথ ধরে বাড়ীর দিকে হাটা ধরল। মাঠো পথটাকে দুধারের রকমারি গাছের সারি আর ঝোপঝাড় আগলে রেখেছে। হারুন এতোক্ষন ট্রেনে থাকায় লক্ষ করেনি আকাশে কৃষ্ণপক্ষের আঁধাভাঙ্গা চাঁদ উঠেছে। গাছের পাতা ভেদ করে আঁধাভাঙ্গা চাঁদের ম্লান আলো মাটিতে নানান রকম নকশা তৈরী করছে। সেই নকশা মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হারুন। ঝিঁঝিঁ পোকার রিনরিনে ডাক রাতের প্রকৃতিকে মুখর করে রেখেছে। মাঝে মাঝেই অদুরে কোন গাছের ডাল থেকে ডেকে উঠছে অজানা কোন নিশাচর পাখি। গাঁয়ের পরিবেশ একদম তার আপন মেজাজে থিতু হয়ে আছে যেনো। শেষ রাতের ঝিরঝিরে নির্মল বাতাসে পথ চলতে চলতে হারুন ভুলে গেছে ট্রেনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত ঘটনাবলী।

প্রায় মাইল খানেক আনমনা পথ চলার পর হারুন দেখতে পেলো রাস্তার পাশের একটা ঝোপ খসখসে শব্দ তুলে নড়াচড়া করছে। এই দিকটা একদমই নির্জন, আশেপাশে কোন বাড়িঘর নেই। ঝোপ নড়া দেখে হারুন হাটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। সে দেখতে পেলো তার প্র্যায় বিশ পঁচিশ গজ দূরে রাস্তার দুই দিক থেকে দুটা ছায়ামূর্তি রাস্তায় উঠে আসছে। আচমকা হারুনের ভেতর একটা অশুভ ভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। সে উল্টোপথ ধরে ষ্টেশনের দিকে দৌড় দেয়ার চিন্তা করে ঘুরে দাড়াতেই দেখল সেদিকেও রাস্তার ঢাল থেকে কয়েকটা ছায়া মূর্তি উঠে আসছে, সবার মুখেই গামছা পেঁচানো আর হাতে একটা করে রামদা। আতর্কিত ঘটনায় হারুনের সমস্ত সত্বা একটা অশুভ ভয়ে জমে গেল, সে একচুলও নড়তে পারছে না। এদিকে লোকগুলো ধীরে ধীরে তার কাছাকাছি চলে আসছে। হারুনের হঠাতই ট্রেনের সেই অদ্ভুত লোকটার কথা মনে পড়ে গেলো। এবং আশ্চর্য ভাবেই এখন সে সেই অদ্ভুত লোকটাকে চিনতে পারছে। এতো কাছের একজন লোককে কি করে ট্রেনে সে চিনতে পারেনি সেটা ভেবে এখন কিছুটা খেদ হচ্ছে।

হারুনকে ঘিরে ধরা লোকগুলো ধাঁরালো অস্ত্র হাতে দ্রুত দূরত্ব কমিয়ে কাছে চলে আসছে। হারুন বুঝতে পারছে তার অন্তিম সময় ঘনিয়ে এসেছে। জীবনে অন্তিম প্রান্তে দাঁড়িয়ে হারুনের হঠাতই কেন জানি ভয়টা একদমই কেটে গেল। একটা জটিল সমীকরণের সমাধান খুবই স্পষ্ট হয়ে তার কাছে ধরা দিচ্ছে। তার মনে হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যেই সে একটা আলোকিত জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ছায়ামূর্তিগুলোর মধ্যে এক জন লোক হারুনের সামনে এসে দাঁড়ালো। লোকটা তার হাতের রামদাটা উঁচু করে উপরের দিকে তুলেছে কিন্তু হারুনের একদম ভয় করছেনা। সে কৌতুহলী দৃষ্টিতে মুখে গামছা পেঁচালো লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। রামদাটা হারুনের ঘাড় বরাবর নেমে আসছে। আধোভাঙ্গা চাঁদের আলো পড়ে ধাঁরালো রামদাটা চিক চিক করে উঠলো, কিন্তু হারুনের একদম ভয় করছেনা, তার ঠোঁটের কোনায় ঝুলছে রহস্যময় হাসি।

(যথারীতি সিরিজভঙ্গ দেয়ায় আবারো ক্ষম ক্ষম)

পোস্টটি ৮ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

পদ্মলোচন's picture


আপনেরে পিডানি দরকার মিয়া এইরাম ফাকিবাজী মাইনষে করে?

সোহেল কাজী's picture


হিহিহি পরথম পর্বেই কইছিলাম এইটা একটা মাথার জাম ছুটাইন্যা সিরিজ Cool
তয় আইজকাইল লোড এতো বেশী যে কুন্সুম জানি দাউন হইয়া যাই তাই ঘটনা ঘটায়া দিলাম। Undecided

আপন_আধার's picture


এইডা এক্টা কাম করলেন ভাই ? এহেনে শেষ পর্ব মানিনা হ......

সাঈদ's picture


শুধু মাইনাস দিলে কম হইবো, আসলেই পিডানী দরকার , শেষ পর্ব করার লাইগ্যা।

সোহেল কাজী's picture


হেহেহে আসলে ইদানিং চাপ এট্টু বেশী যাইতেছে ভ্রাত, তাই Wink
অটঃ আপ্নের লেখা কুই ?

নীড় সন্ধানী's picture


গা শির শির করে উঠলো। শেষ পর্বটাই আগে পড়লাম। সমাপ্তিটার মধ্যে একটা অনিবার্য অসহায়ত্ব... দারুন!!

সোহেল কাজী's picture


হাঃহাঃহাঃ ধনিয়া নীড়'দা। Laughing

অতিথি পাখি's picture


আপনার একেকটা পোষ্ট পড়ার সময় আমি ক্যানো জানি একেকটা পরিবেশের সাথে হারিয়ে যাই । মনে হয় সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি ।

এখানেই হয়তো লেখকের স্বার্থকতা !! জানিনা !!

দুই পর্বের সিরিজ ভালো লেগেছে !!

সোহেল কাজী's picture


ভাল্লাগিছে জানিয়া মুগাম্বো খুশ হোয়া Cool
ক্রিস্মাস+নিউইয়ারের পেলান কি?  বাকি পাব্লিক কুই?

১০

অতিথি পাখি's picture


আইতাছে সবাই ।। ক্রিসমাসে কাজের চাপ বেশি সবার ...
আমি তো ফাকি মাইরা ঘুম না দিয়া আহি !

পেলান তেমন কিছু না ।। আড্ডা দিমু সব কয়ডায় । আর কিছু রান্না বান্না ।। এই তো ।।

১১

সোহেল কাজী's picture


মুগাম্বো ইন্তেজার করতা হ্যায় Undecided

১২

বিহঙ্গ's picture


মারাত্নক ভৌতিক অইছে..................সুপারন্যাচার‌াল বিষয়গুলো এতো সুন্দর করে ন্যাচারাল করেন কেম্নে ভাই...................

১৩

সোহেল কাজী's picture


হাঃহাঃহাঃ  ভুত ইস দ্যা সিক্রেট অফ মাই এনার্জী Cool

১৪

মাসরুর's picture


আওয়ার এনার্জী! ;-)

১৫

আত্তদ্বিপ's picture


লৌকিক-পরলৌকিক-লৌকিক-পরলৌকিক জটিল লাগলো কম্বিনেশনটা। তবে আরো টানতে পারতেন স্পষ্ট বোঝা যায়, তা না করে শেষ করায় কইস্যা মাইনাচ।
ও হো মাইনাচের ব্যাবস্থা নাই, ব্লগ কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি মূরব্বির ব্লগে অন্তঃত মাইনাসের ব্যবস্থা করার।

১৬

সোহেল কাজী's picture


@আত্তদ্বিপ, হাঃহাঃহাঃ দারুন কহিছেন, আম্মো মাইনাসের সিস্টেমের ঝোর ধাবী ঝানাইলাম Cool
হুম! পারতাম কিন্তু টানতে ইচ্ছে করতেছিলোনা। Undecided

১৭

হাসান রায়হান's picture


ভালো লেগেছে। ভালো কি ফ্যান্টাস্টিক হয়েছে। তবে একটা জিনিস নিয়া কনফিউজড(খুঁত ধরার বাজে অভ্যাস ছাড়তে পারছিনা)। গ্রামের  লোকের কাছে জমিবিক্রি করে টাকা নিয়ে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কেন। সিরিজটা আরেকটু বর হলে হয়ত বোঝা যেত। টাড়াতাড়ি শেষ করতে গিয়ে মনে হয় বর্ণনা করা হয় নাই।

১৮

সোহেল কাজী's picture


বস, মোল্লার পোলায় থাকে ঢাকায়, শেষ ঘটনা তারই সাজানো, তাই সন্ধ্যায় টেকা দিছে। অনেক কিছুই ফাঁক গলাইয়া পইড়া গেছে Cry

১৯

নুশেরা's picture


এতো চমৎকার একটা গল্প ... কয়েক পর্ব ধরে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার ইচ্ছে ছিলো। এভাবে বঞ্চিত করলেন!  Frown

তাড়াহুড়োর দায়ে অভিযুক্ত করলাম (রাম-দা'র ইমো দরকার)

২০

সোহেল কাজী's picture


অভিযোগ মানিয়া লইলাম Frown
আসলে মন মিজাজ বিলা ছিলো তাই অনেকটা দায়মোচন লেখা বলতে পারেন।
ছরিত আছি Frown হয়তো অন্যকোন দিন অন্যকোন সময়

২১

মাসরুর's picture


ট্রেনের সেই লোকটা কে? Undecided

২২

সোহেল কাজী's picture


কবিও কনফিউজড। তয় এতটুকো বুঝতে পারছে যে খুব কাছের কেউ যিনি জিবিত নেই।Undecided

২৩

তানবীরা's picture


সুপার্ব। কিন্তু আমারো কিছু কিছু প্রশ্ন র‌য়েই গেলো। ট্রেনের সে লোকটা তাহলে কে? আর ও তখন কাকে আটকে রেখেছিল? কারণ তখনতো কেউ আঘাত করছিলো না। আর সামনে পিছনে লোকতো কি হয়েছে, হারুন কেনো জমির মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করবে না?

আমাকে নোয়াখালীর হুজুর মনে হলে আমি দুঃখিত ঃ)

২৪

সোহেল কাজী's picture


ট্রেনের সে লোকটা তাহলে কে?

কবিও কনফিউজড। তয় এতটুকো বুঝতে পারছে যে খুব কাছের কেউ যিনি জিবিত নেই।

আর ও তখন কাকে আটকে রেখেছিল? কারণ তখনতো কেউ আঘাত করছিলো না।

সময়কে Undecided

আর সামনে পিছনে লোকতো কি হয়েছে, হারুন কেনো জমির মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করবে না?

বুঝছি কেলাস ফাঁকি দেছেন, গল্পে লেখা ছিলো  "আতর্কিত ঘটনায় হারুনের সমস্ত সত্বা একটা অশুভ ভয়ে জমে গেল, সে একচুলও নড়তে পারছে না।"

হাঃহাঃহাঃ আপনিযে নোয়াখালীর লুকনা সেইটা বুঝিয়া পাইলাম Cool

আপনেক অশেষ ধনিয়া।Laughing

২৫

তানবীরা's picture


বুঝছি কেলাস ফাঁকি দেছেন, গল্পে লেখা ছিলো "আতর্কিত ঘটনায় হারুনের সমস্ত সত্বা একটা অশুভ ভয়ে জমে গেল, সে একচুলও নড়তে পারছে না।"

আফনে কইলেই হইলো মিঞাভাই? এই সময় সবাই লুঙ্গী খুইলা হাতে নিয়া খিচ্চা দৌড় পাড়ে। এই খানটা ফাঁকিবাজি হইছে। আফনে আসলে হ্যারে খুন করতেই ব্যস্ত আছিলেন .........

 

২৬

আপন_আধার's picture


"এই সময় সবাই লুঙ্গী খুইলা হাতে নিয়া খিচ্চা দৌড় পাড়ে। "

(হাসতে হাসতে গড়াগড়ির ইমো Laughing)

 

২৭

জ্যোতি's picture


এত তাড়াতাড়ি সুন্দর লেখাটা শেষ করে দিলেন!

২৮

সোহেল কাজী's picture


ভাল্লাগেনা কিচ্ছু Undecided

২৯

টুটুল's picture


নতুন করে লেখা আসুক :)

৩০

সোহেল কাজী's picture


হেহেহেCool

৩১

জেবীন's picture


বণনা আগেরটার চেয়ে এটা দারুনের উপরে দারুন!.. Laughing

ভাবছিলাম ভালো লাগার তুবরি ছোটাবো.. কিন্তু শেষে এসে যেই কান্ড করলেন!!.. এবারতো ঝুপ না ধুরধাড় করে শেষ করলেন

৩২

সোহেল কাজী's picture


ভাল্লাগতছিলোনা আসলে। Frown

৩৩

রায়েহাত শুভ's picture


এখানে শেষ হয়ে গেলো এটা মানি না...Yell

৩৪

সোহেল কাজী's picture


Tongue out

৩৫

মলিকিউল's picture


ফাকিবাজ!

 

৩৬

সোহেল কাজী's picture


Tongue out

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

সোহেল কাজী's picture

নিজের সম্পর্কে

আমার অন্তরের অলিতে গলিতে জট লেগে আছে থোকায় থোকায় অন্ধকার। দৈনন্দিন হাজারো চাহিদায় পুড়ছে শরীরের প্রতিটি কোষ। অপারগতার আক্রোশে টগবগ করে ফুটে রক্তের প্রতিটি কণিকা। হৃদয়ে বাস করা জন্তু-টা প্রতিনিয়ত-ই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে ব্যাস্ত।

প্রতিদিনের যুদ্ধটা তাই নিজের সাথেই। সেকারণে-ই হয়তো প্রেমে পড়ে যাই দ্বিতীয় সত্ত্বার, নিজের এবং অন্যের।