ইউজার লগইন

সুবর্ণা'এর ব্লগ

পরামর্শ প্রয়োজন-জরুরী

.
.
.
.
.
একটা ছোট্ট পাখি আমার টেবিলে ঘুমাচ্ছে। পাখিটা আমার অফিসের সিঁড়ি ঘরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় পানি দেয়ার পর মাঝে মাঝে চোখ মেলে তাকাচ্ছে। আবহাওয়া কতোটা খারাপ বুঝতে পারছি। অনেক বছর আগে এরকমই এক গরমে একটা অসুস্থ্য পাখিকে সুস্থ্য করে আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আশা করছি এই পাখিটাকেও সুস্থ্য করতে পারবো।

আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে জানান।

হঠাৎ বৃষ্টি

অনেক দিন থেকে ইচ্ছা ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবো। আমি ভুলেই গেছি কবে বৃষ্টিতে ভিজেছি। আগে সকাল সন্ধ্যা যখনই বৃষ্টি হতো নেমে পড়তাম উঠোনে কিম্বা দৌড়ে যেতাম ছাদে। মায়ের কাছে কতোই বকা খেতাম সেই জন্য।

যে কথা ছিল না জানা

আচছা বিয়ের সময় মেয়েরা এতো কান্নাকাটি করে কেন বলতে পারেন? ছোট বেলা থেকে পরিচিত কারো বিয়েতে গেলে, কান্নাকাটি দেখতাম আর তারপর থেকে এই প্রশ্নটা মাথার ভিতর ঘুরপাক খেত। আমার ধারনা ছিল মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া কান্নার কারণ হতে পারে কিম্বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার একটা অংশ হতে পারে। কান্না না করলে কেউ আবার যদি বলে "মেয়েটা শশুর বাড়ী গেলো, কাঁদলো না?"

ইচ্ছে ঘুড়ি

ভীষণ মাথা ধরেছে। ইচ্ছা করছে জোরে মোটর সাইকেল চালাই যেন মনে হয় আকাশে উড়ে যাচ্ছি, কোন এক নদীর তীরে গিয়ে বসি , ফশ করে একটা দেয়াশলাই জ্বালাই, সিগারেটের ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাই, মাথাটা হাল্কা করি।

একটি দুঃসংবাদ- ব্যাতিক্রম পোষা প্রানীর মৃত্যু

"মটর শুটির খোসাটা খুলতেই লাফ দিয়ে আমার আঙ্গুলে উঠে পড়লো । তারপর আমার আঙ্গুল নিয়ে ও খেলা শুরু করলো। খুবই কিউট, মা তুমি দেখলে তোমারও আদর করত ইচ্ছা করবে। ওর রংটা একদম সবুজ, তাই ওর নাম রেখেছি গ্রীন। যদি বুঝতে পারি ও একটা মেয়ে তাহলে পরে বদলে গ্রীনি রাখবো। জানো ওর বাবা মা সাথে নেই, ওর মনটা খুব খারাপ। আমি ওকে বলেছি আজ থেকে আমি তোমার বাবা, মা, বন্ধু সবকিছু। এখন থেকে আমি ওকে খাওয়াবো, গোসল করাবো..ওর সব খেয়

তোমাকে হারিয়ে খুঁজি বার বার

কখনো ব্যাস্ত রাস্তায় চলতে হঠাৎই মনে হয় এই রাস্তা ধরেই তো একদিন তোমার সাথে হেঁটেছিলাম, কখনো ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে গিয়ে কোন তারিখে নজর আটকে যায়, কতো গুলি বছর পেরিয়ে গেছে তোমাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি, কখনো কোন কথা মনে পড়ে যায়, নিজের মনেই হাসতে থাকি, কখনো খুব বেশী মন খারাপ হয়ে যায় যখন মনে হয় তুমি আমার পাশে নেই। জীবন থেকে এভাবে হারিয়ে যাবে কখনো যে ভাবিনি আগে, তাই ভুলে থাকার মতো মনটাও তৈরী

জীবনের গল্প, আছে বাকী অল্প

গোবিন্দের ঠাকুমার বয়স হয়েছে অনেক। এক নজর দেখলেই দারিদ্রক্লিষ্ট জীবনের বর্তমান হাল বুঝতে কারো কষ্ট হয় না। সিঁথির সিঁদুর মুছে গেছে কবে, নানা আচার অনুষ্ঠানের সাথে বিদায় নিয়েছে জীবনের সব রং। ছোট ছোট সাদা চুল, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আর বিবর্ণ সাদা কাপড়ে জড়ানো শরীরটা বয়ে চলেছে যেন হাজার বছর ধরে। ছোট্ট যে শিশুকে বুকে জড়িয়ে সব ভুলে থাকার চেস্টা করেছে এতো গুলি বছর, বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে তার "মা"য়ের প্রয়ো

বালোখিল্য দিন রাত্তির

কয়দিন থেকে কম্পিউটারে "টম এনড জেরী" গেমস খেলছি। কাল সারাদিন লং ড্রাইভে ঢাকা শহরে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে বছরের প্রথম দিনটা কাটালাম। সন্ধ্যায় টগি'স ওয়ার্ল্ড এর রাইড চড়তে ভালই লাগছিল। আজ সারাদিন ঠাকুমা'র ঝুলি দেখতে দেখতে পার করছি। মাঝে মাঝে ব্লগের পাতায় চোখ বুলাতে গিয়ে চোখ রাঙ্গানি খাচ্ছি, " তোমাকে না বলেছি এসব আর পড়বে না..চলো ক্রিকেট খেলি, ক্রিকেট না খেলতে চাইলে ভলিবল খেলতে হবে"।

শুভ হোক নতুন বছর

নতুন বছরের শেষ আর শুরুর দিনের সময়টা অনেকে নানারকম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাস্ত। আমি ঠিক ততোটা আধুনিক হতে পারি নি বলেই হয়তো সারা জীবন এই দিনগুলিতে পরিবার আর বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় আর ভালোমন্দ কিছু খেয়ে সময়টা কাটিয়েছি। এবারও তার খুব একটা ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে বছরের শুরুর দিনটা ছুটির দিন বলে খুব ভালো লাগছে।

নিসঃঙ্গ প্রহর

সবুজ লনটার শেষ দিকে কামিনী গাছটা সাদা ফুলে ভরে আছে; জোস্নার আলোয় ফুলগুলি যেন অপার্থিব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে চারিদিকে। দূর থেকে সেই ফুলের সৌরভে মুগ্ধ এক যুবক আনমোনে গুন গুন করে গান গাইছে। নিকষ অন্ধকারে শুধু সিগারেটের লাল আভা মাঝে মাঝে জ্বলে উঠছে। কামিনী ফুলের সৌন্দর্যের সাথে আরো একটি বিষয় যুবককে আবিষ্ট করে  আছে। বাতাসের দোলায় সরে যাওয়া পর্দার ফাঁক দিয়ে ঘরটির মৃদু আলোয় কিছুই প্রায় দেখা যা

সেই যে আমার নানা রংয়ের দিনগুলি..(আপাততঃ শেষ পর্ব)

"তুমি মুনমুন না?"

"না আপু, আমি কুমকুম, মুনমুন আপু দেশের বাইরে"

"তুমি কি কাকলী ?"

"আপু আমি রিমি, কাকলী আপু শশুর বাড়ীতে, ও আজকে আসতে পারছে না, বাচ্চাটার শরীর ভালো না"

সেই যে আমার নানা রং এর দিনগুলি..২য় পর্ব

কয়েকদিন থেকে ভাবছিলাম যাদের সাথে পড়াশুনা করেছি তারা কি আমাকে চিনবে? কিম্বা যারা আমাকে মনে রেখেছে তাদের স্মৃতিতে আমার কোন বৈশিষ্ট্য রেখাপাত করে আছে। এমন কেউ কি আসবে যে কিনা আমাকে মনে করেই আসবে? আমি যাদের খোঁজ নেয়ার জন্য চেষ্টা করেছি, এতো গুলি বছরে কোনদিন হটাৎ দেখা হবে সেই প্রত্যাশা করেছি তারা কি আসবে?

সেই যে আমার নানা রংয়ের দিনগুলি..

কয়েক দিন থেকে একটা ঘটনা খুব মনে পড়ছে। এরকমই ঘন কুয়াশা ছিল তখন। সেসময় আমি কলেজে পড়ি, সম্ভবত ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাত্র। আমি খুব সকালে বের হয়েছি বাসা থেকে, বাস স্টপেজে যেতেই একটা বাস এসে থামলো, বাসের বেশীর ভাগ সীট ফাঁকা। ক্যন্টনমেন্টে এরকম দৃশ্য খুব কম দেখা যেত তখন, কারন একটা বাসের পর আরেকটা বাসের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতো, তাই ভীড়ও হতো অনেক বেশী। ফাঁকা বাসে রানীর হালে

বন্ধুত্বের জয় হোক

নতুন খাতায় লিখার সময় সুন্দর করে লিখতে ইচ্ছা করে। নতুন ব্লগে লেখার সময়ও একই অনুভুতি হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল খুব সুন্দর করে কিছু একটা লিখবো কিন্ত দুই দিন ধরে কি লিখবো তাই বুঝতে পারছি না। আগে সময় কাটানো ছিল খুব মুশকিল, এখন সময়ই আমাকে প্রতিনিয়ত কাটছে। অফিস থেকে ভাবি বাসায় গিয়ে লিখবো , বাসা থেকে মনে হয় অফিসে যদি সময় পাই কয়েক লাইন হলেও লিখবো। শেষ পর্যন্ত বসলাম যখন তখন কিছু একটা লিখেই ছাড়বো আজ