সুব্রত শুভ'এর ব্লগ
ষড়যন্ত্র ও ভুলের মাশুল-৩ নভেম্বর
১৯৭৩ সালে আলজিয়ানে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে দেখা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের। দুইজনের মধ্যে একান্তে কিছুক্ষণ কথাও হয়। বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ মুজিব বলেন- দেশ গড়ার কাছে দক্ষ লোক না পাওয়ার ফলে কিছু পদে এমন কিছু লোককে বসাতে হয়েছে যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। ক্যাস্ট্রো তখন সর্তক করে মুজিবকে বলেন- “এ কাজ কক্ষনো করবেন না। দক্ষতার চেয়ে এসময় অনেক বেশি প্রয়োজন দেশপ্রেমের। দক্ষতা না থাকলেও যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে তাদেরই দায়িত্ব দিয়ে দিন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে দক্ষতা তৈরি হতে সময় লাগে না। আমার কিউবার অভিজ্ঞতায় তাই দেখেছি।”
কোরবানী ইদ ও আমাদের সচেতনতা
‘কোরবানী’ কিংবা ‘বলি প্রথা’ পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতি হিসেবে এখনো টিকে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন উৎসবে এখনো বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে। তবে অনেক রাষ্ট্র কিংবা সমাজ ধর্মের নামে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলছে, অনেক জায়গায় এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছে। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায়;- নেপালে প্রতি পাঁচ বছর পর পর একটি পুরাতন মন্দিরে কয়েক হাজার পশুকে বলি দেওয়া হতো। এই বছর সেই নিয়মটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ভারতের অনেক মন্দিরে কালী পূজায় অতীত ঐতিহ্য হিসেবে বলি প্রথার প্রচলন থাকলেও বিভিন্ন মন্দিরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বলি প্রথা সম্পূর্ণ যে বিলুপ করতে পেরেছে তা কিন্তু নয়। ভারতের অনেক প্রদেশে দূর্গা পূজায় মহিষ বলি দেওয়ার নিয়ম এখনো আছে। সনাতনীরা গীতাকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে ধরে নেয়। সেই গীতাতে ভগবান বলছেন- "পত্র পুষ্প ফল মূল ভক্তিসহকারে নিবেদন করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।' সেই সূত্র ধরে অনেকেই বলে থাকেন
সরকারী কর্মকর্তা নাকি রাজনৈতিক নেতা? সাথে কিছু নয়ন চ্যার্টাজি
বর্তমান র্যার মহাপরিচালক বেনজীরআহমেদ সহ পুলিশ প্রধানের বক্তব্যগুলো সরকারী কর্মকর্তার বক্তব্য না হয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য হিসেবে জনগণের সামনে হাজির হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক সেনা কর্মকতারদের রাজনীতি করার ইতিহাস আছে। কিন্তু অবসর গ্রহণের আগে ওনাদের বক্তব্য এতো বেশি রাজনৈতিক বক্তব্য হয়ে উঠছে যে তাতে যে কোন সাধারণ মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারাতে বাধ্য। বিগত দিনে বিএনপির পেট্রোল বোমার আন্দোলনের সময় মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ থেকে আমরা রাজনৈতিক বক্তব্য শুনেছিলাম। বিএপির আন্দোলন কে আন্দোলন বলা যায় কিনা, এ বিষয়ে র্যাবের পোশাক পরে কী মন্তব্য করা যায়?
উদর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে
এক সাংবাদিকের মুখে শুখে শুনলাম ৭১ সালে নরওয়েতে অনেক পাকিস্তানী আশ্রয় পায়। সে সময় নরওয়েতে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া যাচ্ছিল। অন্যদিকে তাদের অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন ছিল। ৭১এর যুদ্ধ ও পাকিস্তান সেনা বাহিনীর অত্যাচার বর্ণনা করে নিজেদের পশ্চিম পাকিস্তানের আটঁকে পড়া বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের অনেকে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। নরওয়ের সরকারও তাদের নিয়ে আসে। এছাড়াও এই দেশটি মধ্যপ্রাশ্চ্য ও এশিয়া থেকে সাগরে ঝাপিয়ে পড়া মানুষগুলোকেও অতীতে আশ্রয় দিয়েছে। মজার বিষয় হল গত বছর নরওয়েতে ধর্ষকদের তালিকায় এই বান্দাদের অবস্থান সবচেয়ে উপরে।
বিষয়- ধর্মের ভিত্তিতে হল বরাদ্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলে (একাত্তর হল) সকল ধর্মের ছেলেরা সিট পাবে এমন একটি সংবাদ দেখি। এই প্রসঙ্গে অনেকে আনন্দিত সেই সাথে ধর্মের ভিত্তিতে হল প্রদান করা উচিত কী অনুচিত না নিয়ে অনেকে মতামত দিয়েছেন। অমুসলিম ছেলেদের জন্য জগন্নাথ হল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মের ভিত্তিতে হল আলাদা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি চোখে লাগে। তবে বাস্তবতার কারণে ধর্মের ভিত্তিতে হল বরাদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যাচ্ছে না! একাত্তর হলের বিষয়ে সবার সাথে আমিও আনন্দিত। তবে বাস্তবতার কারণে অমুসলিমদের জন্য আলাদা হল এখনো জরুরী। কেন জরুরী তা আলোচনা করা জরুরী।
মানব প্রগতির দায়
আমাদের সমাজ কেন দিনদিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে? এর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এসব বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে থাকেন। রাষ্ট্র একদিকে বিচার না করে ‘ক্রসফায়ার’ দিচ্ছে। অন্য দিকে পাবলিক দুই টাকার জন্য পিটিয়ে মেরে ফেলতে পিছ পা হচ্ছে না। সংখ্যালঘুর বাড়ি যেহেতু দখল করলে কেউ কিছু বলে না, সুতরাং যতোদিন সংখ্যালঘুর কাছে জমি থাকবে, ততদিন এগুলো চলতে থাকবে রাষ্ট্রের পরোক্ষ মদদে।
ফাও খাওয়া!
"ফাও খাওয়া" এই শব্দটির সাথে প্রথম পরিচয় হয় ভার্সিটিতে এসে। রাজনৈতিক দলের পাণ্ডারা ফাও খেয়ে থাকেন। সবাই ফাও খায় না তবে অসংখ্য পাতি নেতারা ফাও খেয়ে থাকে। নেতা হয়ে যাওয়ার পর নিজে ফাও না খেলেও নিজের গ্রুপ বা দলের নবাগত মাস্তানদের ফাও খাওয়ার সুযোগ করে দেন। দুই দিন আগে তিতুমীর কলেজের ছেলেরা ফাও খাবারের জের ধরে দোকান মালিকদের সাথে মারামারি করে অতঃপর তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩০টি গাড়ি ভাংচুর করে নিজেদের মাথা ঠাণ্ডা করে। শুধু তিতুমীর নয় রাজনৈতিক দলের নেতারা বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন কাজ করে থাকে। ঢাকা কলেজের সামনে, নীলক্ষেতের মারামারি বেশির ভাগ সময় এই ফাও খাওয়াকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই ছাত্র লীগ ফাও খাচ্ছে! বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্র দল ফাও খেয়েছিল। এটা আমাদের দেশে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের সমাজ
সমাজ বলতে আলাদা কোন বস্তু নয় বরং একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মানুষের জীবনধারা, আচারণ-আচরণ ও জীবন ধারার একটা ছককেই বুঝি মশাই। আমি যে সমাজে বড় হয়েছি সেটি খুব উন্নত নৈতিক সমাজ না হলেও যে বর্বর তা বলা যাবে না। ছোট বেলায় যখন স্কুলে যাই তখন মালাউন, মুসলিম এই শব্দগুলোর সাথে পরিচিত হই। ছোট বেলায় বুঝতে পারি; মালাউন একটি নেতিবাচক শব্দ। পিতার কাছে জিজ্ঞেস করলাম মালাউন অর্থ কী? পিতা বলল-যারা বলে তারা না বুঝে বলে এর অর্থ জানার দরকার নেই। কেউ এই নামে ডাকলে উত্তর দেবারও প্রয়োজন নেই। আমার এখনো মনে আছে আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বাবা মুসলিম কী? বাবা বলেছিল এটা একটা নাম। আমরা সবাই মানুষ এটাই আমাদের পরিচয়। কর্মই ধর্ম এটাই হল আমার বাবার দর্শন। তাই হয়তো কখনো ধর্ম বা হিন্দু-মুসলিম নিয়ে মাথা ঘামানোর ব্যগ্রতা জাগেনি মনে। তাই মানুষের সাথে মেশার ক্ষেত্রে ধর্মীয় চিন্তা ও আঞ্চলিকতপ্রীতি ছিল বিচারহীন ভাবে।
"শহিদ" শব্দটি শহিদ হচ্ছে আজকাল
প্রথমেই বলে নিই শহিদের ধারনাটি ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্ম থেকে এসেছে। মার্টায়ার কথাটার অর্থ ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের গোড়ার দিকে ছিল সাক্ষী। নিজের ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করার বদলে যে নিজের মৃত্যু অথবা হত্যা প্রত্যক্ষ করে অর্থাৎ তার সাক্ষী হয়, সে হলো মার্টায়ার। ইসলামে শহিদ কথাটা এসেছে এই ধারণা থেকেই। এবং প্রথমে এর অর্থ ছিলো সাক্ষী। নিজের বিশ্বাসের জন্যে যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে মেনে নেয়। অপর পক্ষে, হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার আদেশে ধর্মযুদ্ধে যে নিহত হয়, সে-ই হল শহিদ। বৌদ্ধধর্মে বোধিসত্ত্ব কথাটার সঙ্গেও শহিদের ধারণা খানিকটা যোগ হয়েছে। তবে হিন্দু ধর্মে শহিদের ধারণা নেই। বাঙলা ভাষাতেও নেই
কিছু কথা
অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার এক মাস চারদিন পর খুন হয় ওয়াশিকুর বাবুর। অভিজিৎ দা’র ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। অভিজিৎ দা’র সাথে বই মেলায় দেখা হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। এই ফেব্রুয়ারি মাসেই হেফাজত ইসলামের দাবীর মুখে রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। অলি দোস্তির বই ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটির অনুবাদ প্রকাশ করার কারণে বইটি বাতিল করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এবং রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ করা দেওয়া হয় এবং নিষিদ্ধ করার হয় আগামী বছরের জন্যে। দুঃখের বিষয় আমাদের সচেতন লেখক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিবাদ আসেনি। অভিজিৎ দা খুন হয়ে যাওয়ার পর অনলাইনে অনেকেই খুব অসহিঞ্চু ও বালখিল্য আচরণ শুরু করে দেন। অদ্ভুত বিষয় হল যারা অনলাইনে অনেক পুরাতন তাদের মধ্যে একই জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমার কথা শুনে হয়তো অনেকে গোস্বা করে ভাবছেন ব্যাটায় পিট বাঁচানোর জন্য সুশীলদের ভাব ধরছে। আমি তাদেরকে বিনয়ের সাথে বলতে চাই মশাই আগে আম
বিশ্বাসের আসামীরা
২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে ডিবির রিমান্ড শেষে আদালত আমাদের চারজন’কে (রাসেল পারভেজ, আসিফ মহিউদ্দিন, মশিউর রহমান বিপ্লব) পাঠিয়ে দিল কারাগারে। কারাগারে আমাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার সাথে অপেক্ষা করেছিল কারাগারে আটক বন্দিদের কর্তৃক মৃত্যুর হুমকি। আমাদের দেখা মাত্র কয়েদিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ল। এতো বিশ্রি ভাষায় গালাগালি আমি কখনো কারো মুখে শুনিনি।
পশুর সম্মানহানি
মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব। তবে ডারউইন-এর বিবর্তনবাদ আসার ফলে মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়। যাই হোক মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নাকি অশ্রেষ্ঠ সেই বির্তকে না যাই। আজকে আমাদের বিষয় পশুর সম্মান অসম্মান নিয়ে। পৃথিবীর সকল কিছুর ধর্ম আছে। মানুষের যেমন আছে তেমনি পশুও আছে, আছে জড় বস্তুরও। তবে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কিনা নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে তার নিয়ম-নীতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আনে। যেমন- মিথ্যা বলা মহাপাপ কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তি বা মৃত্যুর পথ যাত্রী ব্যক্তির কাছে সবসময় সত্য বলতে নেই। সেই যাই হোক, কীভাবে সত্যবাদী যুধিষ্ঠি হবো তা নিয়েও আজকের বিষয় নয়। আজকের বিষয় পশুর সম্মান অসম্মান নিয়ে। আমরা প্রতিনিয়ত এক জন আরেকজনকে নিচে নামাতে গিয়ে অহেতুক পশুদের টেনে আনি। সাথে তাদের সন্তানদেরও নিয়ে আসি! আজকের বিষয় গালি বিশেষ করে সেই গালি যেগুলোতে পশুরা যুক্ত থাকে!
একান্ত ভাবনা।
ড্যান ব্রাউন আমার প্রিয় একজন উপন্যাসিক। তার সকল বই পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। তার যে বইটি প্রথম পড়ি তাহলো-দ্য দা ভিঞ্চি কোড। খ্রিস্টানিটি থেকে শুরু করে ধর্মীয় অনেক বিতর্কিত বিষয়ের আলোকে উপন্যাসটি লেখা হয়। মজার বিষয় হল তার উপন্যাসের যে কোন কিছু আপনি ইন্টারনেট খুঁজলে তার লিংক পাবেন। যেমন তার একটা উপন্যাসে লেখা আছে ল্যাটিন ভাষার বাইবেল থেকে ইংরেজি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করার সময় অনুবাদকের একটু ভুলে অনুবাদ দাঁড়ায়-মোজেসের মাথায় শিং। মাইকেল অ্যাঞ্জেলো’র একটি ছবি আছে যেখানে দেখা যায় মোজেসের মাথায় শিং।
অমুসলিমরা কোথায় যাব?
এই দেশ স্বাধীন করতে কে কী করেছে তা সবারই জানা। একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার জন্য সবাই মুক্তি সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাঙালি কী আর অবাঙালি কী। সবাই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সেই ইতিহাসে না যাই। কারণ সেসব ইতিহাস সবার জানা আর না জানা থাকলেও কোন ক্ষতি নেই। কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় আছে অমুসলিমরা। সুতরাং তাদের অতীতের ইতিহাস জেনে কী লাভ। সময় নিয়ে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক ঘোরা যাবে কিন্তু বর্তমানে বাস্তবতায় ফিরে আসা সবচেয়ে জরুরী।
মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের ভূমিকা
একাত্তর বা মুক্তি সংগ্রামে বাঙালিদের অংশ গ্রহণের পাশা-পাশি এদেশের আদিবাসীরাও অংশগ্রহণ করে। এদেশে পঁয়তাল্লিশটি আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। অত্যাচার-নির্যাতনের দিক থেকেও আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা কোন অংশে কম ছিল না। কিন্তু রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে আদিবাসীদের অবদান সবসময় অবহেলিত। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে আদিবাসী নারী-পুরুষ প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেয়। কিন্তু পরিতাপের বিয়ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আদিবাসীদের অবদান সে রূপভাবে স্থান পায় নি। এতো বছরেও সম্মান মেলে নি সেই সব লড়াকু সৈনিকদের।