জীবন যেখানে যেমন - ১
আফা মালা নিবেন মালা? একটা মালা লন না আফা মাত্র দুই টেকা, ট্র্যাফিক সিগন্যালে গাড়ী থামতেই কচি গলার কাতর অনুরোধ। প্রখর রৌদ্রের প্রচন্ড খরতাপ উপেক্ষা করে হাতে অর্ধনির্মিলিত ফুলের মালা নিয়ে গাড়ীগুলোর কাছে দৌড়ে আসে আমেনা। নোংরা, ছেড়া জামা গায়ে, পিচগলা এই খরতাপে খালি পায়ে প্রত্যেক সিগনালে গাড়ী থামা মাত্র ঝাপিয়ে পড়ে মালা নেয়ার আবেদন নিয়ে জীবন সংগ্রামের এই কঠিন যুদ্ধে। অপুষ্টির জন্য স্বাস্থ্য দেখে বয়সের সঠিক আন্দাজ না পাওয়া গেলেও আমেনার, অনুমান বয়স সাত/ আট হবে তার। শুকনো লিকলিকে হাতে মালা বাড়িয়ে দেয় গাড়ীর খোলা জানালা দিয়ে তার সাথে থাকে কাতর আকুতি। কেউ বা কখনও মালা নেয়, কখনও কখনও এমনিতেই কেউ দু-চার টাকা দেয় তাকে। সারাদিনে এভাবেই পঞ্চাশ-ষাট টাকা রোজগার হয় তার। কখনওবা একটু বেশী কম। এই তার জন্য অনেক, মাকে দিবে সে এ টাকা, মায়ের সাহায্য হবে। মা খাবারের ব্যবস্থা করবেন তাদের জন্য হয়তো এ টাকা দিয়ে, রোজকার বাজার খরচ তাদের এটাকা। কাকডাকা ভোর হতেই ফুলের দোকানের সামনে থেকে দোকানীদের ফেলে দেয়া পচা ফুল থেকে একটু ভালো ফুলগুলো কুড়ানো দিয়ে জীবন শুরু হয় তার, খুব ভোরে না গেলে আবার ফুল পাবে না, সহযোদ্ধারা নিয়ে যাবে ফুল। ফুল কুড়ানো শেষ হলে শুরু হয় দ্রুত মালা গাথা। তারপর মায়ের রেখে যাওয়া পান্তা কিংবা মুড়ি খেয়ে বেড়িয়ে পড়ে সারাদিনের জন্য। সিগনালে সিগনালে দৌড়াদৌড়ির এক ফাকেই আবার ঘরে ফিরে খেয়ে নেয় দুপুরের খাবার। তারপর আবার রাস্তায়। এই রাস্তার ছোটাছুটির মাঝেই অনেকের সাথে আমেনার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে, অন্য এক জীবন তৈরী হয়ে গেছে রাস্তায় তার। মালা বিক্রি নিয়ে এমনিতে তাদের মাঝে রেষারেষি থাকলেও সিগন্যাল শেষ হলেই আবার তারা বন্ধু। বন্ধুরা এক সাথে সুখ দুখের গল্প করে, ফাকে ফাকে রাস্তার পাশে খেলাও করে। কোথাও গরীব খাওয়ানো হবে সন্ধান পেলে সবাই সবাইকে খবর দেয় আর একসাথে সকলে খেতে যায়। বন্ধুদের কাছ থেকে সিনেমার গান শোনে আর শুনে শুনে শিখেও নেয় মাঝে মাঝে। রাস্তায় বন্ধুদের সাথে তাল দিয়ে দিয়ে সেই গান গেয়ে গেয়ে হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ে আমেনা, গান গাইতে তার বড় ভালো লাগে। ট্যাকা নাই, ট্যাকা থাকলে গানের বাদ্য কিনে অনেক গান গাইতো সে। গানের বাদ্য কিনতে কতো ট্যাকা লাগে তার আন্দাজও আমেনার নাই কিন্তু অনেক ট্যাকা লাগে সে ধারণা সে করতে পারে। কিন্তু মনের সাধ সে এই রাস্তায় গান গেয়ে কিংবা একা কোথাও ফাক পেলে গলা ছেড়ে গেয়ে মিটিয়ে নেয়, এই তার আনন্দ। মাঝে মাঝে এরই ফাকে দেখা যায় মা ডাকে তাকে তখন সে মায়ের কাজেও সাহায্য করে কিংবা ছোট বোনটাকে দেখে রাখে। সেই অনেক রাতে যখন গাড়ীর আনাগোনা কমে যায়, বেশীরভাগ লোকেরই যখন বাড়ী ফেরা শেষ তখন কর্মব্যস্ত দিন শেষে ছুটি আমেনারও, ফিরে যায় সারাদিনের পারিশ্রমিক নিয়ে সদর্পে মায়ের কাছে।
সখিনা, সখিনা বারান্দার গ্রীল ধরে আনমনে দাড়িয়ে থাকা সখিনার ভাবনার তার ছিড়ে যায় বিবিসাহেবের চিৎকারে। আজ কয়মাস হলো সখিনার খালা সখিনাকে এ বাড়ীতে এনে দিয়েছে এ বাড়ির ছোট বাচ্চাটাকে দেখাশোনা আর বাড়ির ছোটখাট ফাই ফরমাস খাটার জন্য। সাত / আট বছরের ছোট সখিনা এর আগেও এক বাসায় বাচ্চা রাখার কাজ করেছে। লিকলিকে রোগা পাতলা দেখতে হলে কি হবে? কাজে সে দারুন ভালো, বিবিসাহেবের ডাকের সাথে সাথে উড়ন্ত ঘূর্নি হয়ে সে উড়ে যায় তার কাছে, তাইতো বিবিসাহেবের ছোটমেয়ে খুব পছন্দ। বড়দেরতো নড়চড়তে সময় লাগে, ডাকের সাথে সাথে পাওয়া যায় না, বিবিসাহেবের সখেদ উক্তি। সখিনার কাজ করতে খারাপ লাগে না, বাচ্চার সাথে খেলা করার সময় বাচ্চার খেলনা দিয়ে সে নিজেও একটু খেলতে পারে, সাথে টিভিতে মজার মজার কার্টুন দেখে, পেট পুড়ে খাবার পায়, ভালো জামা-কাপড়, ফিতে-ক্লিপসহ নানা শৌখিন জিনিস পায় যা সে নিজের সংসারে কল্পনাও করতে পারে না। শুধু বাড়িতে রেখে আসা তার ছোট ভাইটার কথা যখন মনে পড়ে তখন বড্ড পেট পুড়তে থাকে। মা যখন বাড়ির বাইরে কাজে থাকত তখন সখিনার কাছেইতো থাকতো তার ছোট ভাইটা। মা না হয়েও মায়ের ভালোবাসায় আর যত্নে বড় করছিল ছোট ভাইকে সখিনা। কিন্তু মা বাবার দুজনের কাজের পরও পেট পুড়ে খেতে পারে না তাদের পুরো পরিবার, তাই সখিনার কাজে আসা। মাঝে মাঝে যখন সখিনার ফেলে আসা নীল আকাশ আর দিগন্ত জোড়া সবুজ মাঠের জন্য ভীষন মন কেমন করতে থাকে, এই বারান্দার গ্রীল ধরেই দাড়িয়ে আকাশ দেখে সে আর মনে মনে ফেলে আসা কাশবনে হারিয়ে যায়। কিন্তু সে ফুরসতও খুব কমই হয় সখিনার। খুব ভোরে উঠে ঘর ঝাট দেয়া দিয়ে দিন শুরু হয় সখিনার আর রাতে সবার খাওয়া শেষ হলে বাসন-কোসন মেজে ধুয়ে রেখে তবে ছুটি। সারাদিনে কতবার তাকে উপর নীচ দৌড়াদৌড়ি করে দোকানে যেতে হয়, ছাদে যেতে হয় কাপড় শুকোনোর জন্য তার কি কোন ইয়ত্তা আছে? দিনের শেষে পা যেনো আর চলে না সখিনার। তবুও এর মাঝেই আনন্দ খুজে নেয় সখিনার মন, ছাদে গেলে অন্য বাসার মেয়েদের সাথে দেখা হয়, গল্প হয়, মজার কথা নিয়ে হাসাহাসি হয়। বাসায় বাবুটাকে নিয়ে খেলে সে, গল্প শোনায় তাকে। ভাইয়ের কথা যখন অনেক বেশী মনে পড়ে তখন এই বাবুকেই অনেক বেশী আকড়ে ধড়ে অনেক আদর করে সখিনা। কিন্তু এ বাড়ির বড়বাবুটা যখন পুতুলের মতো কাপড় চোপড় পড়ে স্কুল যায় আসে, রঙ্গিন রঙ্গিন ছবি আকা বই নাড়ে চাড়ে, সুর করে রাইমস পড়ে তখন বুকের ভিতরটা তিরতির করতে থাকে সখিনার। কিন্তু সখিনাকে যে মাকে টাকা পাঠাতে হবে মাসের শেষে, পড়াশোনার বিলাসিতার কথা ভাবা কি তাকে সাজে? তাই যখন বড়বাবুর ঘর সে পরিস্কার করে, গোছায় তখন অনেক ভালোবাসা নিয়ে বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখে।
খুব সকালে খাবারের পুটলি বেধে নিয়ে মায়ের সাথে কাজে রওয়ানা হয় ছোট রহিমা। মা যোগালী দেয়, ইট টানে, পাথর ভাঙ্গে। মায়ের সাথে রহিমাও তাই করে তবে রহিমা ছোট বলে একসাথে অনেক ইট টানতে বা পাথর ভাংতে পারে না তাই রহিমার বেতন কম। কিন্তু রহিমাকে কাজ করতে হয় খুব মনোযোগ দিয়ে আর দ্রুত নইলে সর্দার (যে সামনে দাড়িয়ে কাজের তদারকী করে) খুব বাজে গালাগাল দেয় মাঝে মাঝে চড় - চাপড়ও দেয়। আট / নয় বছরের রোগা রহিমার কাজ করতে করতে দিনের শেষের দিকে হাত-পা ব্যাথা করতে থাকে, মাঝে মাঝে শরীর আর চলতে চায় না, কাতরাতে থাকে সে। রাতে শোয়ার পর অনেক সময় রহিমার মা রহিমার হাতে পায়ে তেল গরম করে মালিশ করে দেয়, রহিমার তখন খুব আরাম লাগতে থাকে। পয়সা বেশী পায় বলে যোগালী কাজ করে রহিমা আর তার মা কিন্তু এ কাজে এতো খাটুনী যে মাঝে মাঝে গায়ের ব্যথায় অসহ্য কোকাতে হয় তাদের মা বেটিকে। আধ ঘন্টা খাবারের ছুটি ছাড়াতো সারাদিনে কোন ছুটি নেই। দিন যেনো ফুরাতে চায় না রহিমার। সন্ধ্যে নামতে কেনো এতো দেরী হয় বুঝতে পারে না রহিমা, দুপুরের পর থেকেই সে আল্লাহর কাছে বলতে থাকে দ্রুত সন্ধ্যে করে দেয়ার জন্য যাতে বাড়ি ফিরতে পারে। রহিমা যখন মায়ের সাথে সকালে কাজে বের হয় তখন ওর বয়সী অনেক বাচ্চারাই তাদের বাবা মায়ের হাত ধরে নানারকম বায়না করতে করতে নাচতে নাচতে প্রজাপতির মতো স্কুলে যায় আর সেদিক তৃষিত নয়নে তাকিয়ে থাকে রহিমা। কিন্তু মায়ের তাড়া খেয়ে আবার দ্রুত পথ চলতে হয় রহিমার, সময়মতো কাজে না পৌছালে সর্দারের হাতে নাকাল হওয়াতো আছেই সাথে আবার পয়সা কাটা। শরীরটাকে দ্রুত তাড়িয়ে নিয়ে গেলেও মন তার উড়ে যায় সেসব প্রজাপতি বাচ্চাদের সাথে অন্যকোন ভুবনে, যে ভুবনে তার প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কল্পনা করতে চায় রহিমা কেমন হতো সে জীবন তার বই-খাতা হাতে নিয়ে? হয়তো একদিন সেও মাষ্টারনী হতে পারতো। রাস্তার শব্দ আর কাজের তাড়া তাকে সে কল্পনার পাখা অনেক দূর পর্যন্ত অবশ্য মেলতে দেয়া না, দ্রুতই ফিরিয়ে নিয়ে আসে তার নিজের জগতে। তবে কাজের জায়গায় ওর মতো আরো যে পিচ্চী যোগালী আছে তাদের সাথে দারুন ভাব আছে রহিমার। মাঝে মাঝেতো শুক্রবারে ওদের সাথে যেয়ে রহিমা বাংলা সিনেমাও দেখে আসে। তারপর সারা সপ্তাহ ধরে সব পিচ্চী যোগালীরা সেই সিনেমার নায়ক নায়িকা আর সিনেমার গান নিয়ে মজা করে হাসতে হাসতে এর তার গায়ে লুটিয়ে পড়ে, অবশ্যই সর্দার যেনো দেখতে না পায় সেভাবে। সারাদিনের কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরে তারপর আবার সদাই এনে রান্না বসানো। এর ফাকেই গোসল আর অন্যান্য কাজ সেরে নেয়। মাকে রান্নায় সাহায্যও করে, খাওয়া দাওয়ার পাট চুকলে সব মায়ের সাথে গুছিয়ে সেই রাতে ছুটি হয় রহিমার।
সেই ভোর না হতেই নাকে মুখে রাতের বাসী দুটো গুজেই দুপুরের খাবারের বাক্স হাতে নিয়ে ছুটতে হয় শিল্পীর। সকাল আটটা থেকে ডিŒটি শুরু হয় শিল্পীর বিকাল পাচটা পর্যন্ত কিন্তু বেশীর ভাগ দিনই ওভারটাইম করতে হয় বলে রাত আটটার আগে ছুটি পায় না। ওভারটাইম না করলে সুপারভাইজার রাগ করে, কাজ থেকে বের করে দেয়ার, বেতন কাটার হুমকি দেয় সারাক্ষন। এ লাইনে এখন এতো মেয়েদের ভীড় যে সুপারভাইজারকে চটাতে সাহস হয় না শিল্পীর। প্রতিদিনই প্রায় নতুন নতুন মুখ দেখা যায় ফ্যাক্টরীর গেটের কাছে, কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে চলে এসেছে। চাকরী চলে গেলে খাবে কি, সংসার চলবে কেমন করে তাদের? গার্মেন্টসে হাতের কাজ করে এখন শিল্পী, বড় হলে মেশিনে কাজ পাবে বলেছে সুপারভাইজার। এখন পিস হিসেবে টাকা দেয়, সারাদিন যে কটা কাপড় সেলাই করতে পারে তার উপরই তার বেতন নির্ভর করে। রোগা অপুষ্ট হাত নিয়ে তাই শিল্পী চেষ্টা করে যত দ্রুত সম্ভব যত বেশী কটা কাপড়ে বোতাম লাগাতে পারে। সাত / আট বছরের রোগাভোগা শিল্পীর সারাক্ষন কাপড় আর সুচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় বলে সন্ধ্যা না নামতেই ঘাড় আর দুচোখ ব্যাথায় টনটন করতে থাকে আর চোখ জূড়ে রাজ্যের ঘুম আস্তে চায়। কিন্তু ঘুম আসতে চাইলেইতো সুযোগ নেই, সারাদিন গার্মেন্টসের কাজ শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে বাজার নিয়ে যেয়ে বড় বোনের সাথে রান্না বসায় শিল্পী, তারপর খেয়ে দেয়ে শুতে শুতে কখনও রাত এগারোটা আবার কখনও বারোটা। শিল্পীর বড়বোন মেশিনে কাজ করে, অনেক টাকা বেতন পায় তা দিয়ে তাদের ঘর ভাড়াটা হয়ে যায়। ফ্যাক্টরীতে কাজের ফাকে ফাকে শিল্পী অফিসে বসা আপা ম্যাডামদের মাঝে সাঝে যখন দেখে তখন ওর চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে প্রশ্ন জাগে কি করে তারা এতো সুন্দর করে শাড়ী পড়ে, বসে, কথা বলে, চা খায়? শিল্পী জানে তারা অনেক পড়াশোনা করেছে, সাথে সাথে তার ছোট্ট মনে প্রশ্ন জাগে আহা আমি কি পারতাম না অনেক পড়তে? স্কুলে যেতেতো আমারও ইচ্ছা করে, আমারও ইচ্ছা করে এমন সুন্দর অফিস রুমে বসে কাজ করতে, আমারো ইচ্ছে করে- - - - এমনি আরো অনেক না বলা ইচ্ছেই শিল্পীর বুকের ভিতরে রিনরিন করে। কিন্তু শিল্পীর বাস্তব চেতনা জানে তাকে কাজ করে যেতে হবে তাদের পুরো পরিবারকে খেয়ে বেচে থাকতে হবে, এটাই শিল্পীর জীবনের চরম সত্য এখন। তবে এর ফাকেই মাঝে মাঝে শিল্পী একটু নিজেদের বস্তির মধ্যে পাড়া বেরিয়ে নেয়, সাথীদের সাথে গল্প গুজব করে, খেলার সময়তো আর হয় না তার, সারাটা দিনতো তার ফ্যাক্টরীতেই কেটে যায়। তবে গার্মেন্টসেও বন্ধু আছে শিল্পীর অনেক। অনেক সময় বেখেয়ালে হাতে সুই ফুটে গেলে কিংবা হাত কেটে গেলে তারা সুপারভাইজারের চোখ বাচিয়ে তাকে ডেটল লাগিয়ে দেয়, শরীর খারাপ লাগলে একটু বিশ্রাম নেয়ার ফাক করে দেয়। সারাদিনের একটানা কাজের ফাকে ফাকে তারাও গল্প করে, হাসে, মজা করে। মাঝে মাঝে শিল্পী ওদের সাথে শুক্রবারে বেরিয়ে সিনেমা দেখে আসে, শখের কেনাকাটা করে, আইসক্রীম খায়।
তানবীরা
১২.০৫.০৬
এই লেখাটি ২০০৬ সালের, কোথাও কখনো প্রকাশ হয়নি। আজ সন্ধ্যায় জিটকে ছোটবোন বললো কাল ইউনিভার্সেল চিলড্রেন্স ডে উপলক্ষ্যে সে গুলশান এক নম্বর সিগন্যালে ফুল বিক্রি করতে যাবে। এক হাজার বাচ্চাকে গুলশান ওয়ান্ডার ল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। একদিনের জন্যে হলেও বাচ্চারা আনন্দ পাক, সবার জন্য শুভকামনা রইলো। অনেক খোঁজাখুজি করে হারিয়ে যাওয়া ভাবনাটা সবার সাথে ভাগ করলাম।
তানবীরার ব্লগ মানেই ভাল একটা কিছু । কয়েকদিন পরে 'আমার বন্ধু' খুলেই এটা পেলাম, পড়লাম । ভাল লাগলো ! অতি পরিচিত মুখ সব ক'টি । আমাদের প্রয়োজনীয় আর দশটি সামগ্রীর মত নিত্য প্রয়োজনীয় ! আমরা সেভাবেই এদের দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি । এবং এদের অবস্থার পরিবর্তন হলে আমরা অগাধ জলে পড়ব । তাই এদের জন্য মায়াকান্না ছাড়া আমরা আর কিছুই করবোনা ।
আপনার মন্তব্যে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
তানবীরা'পু, দারুণ হয়েছে। হ্যাটস্ অফ।
স্বপ্নহীন প্রজন্ম
জন্মের ওপরতো কারো হাত নেই। যদি অন্য কোথাও জন্মাতাম তাহলে কি হতো ভেবেছো তানিম?
সেটাই তো সমস্যা। একেবারে ধূলায় মিশে যাচ্ছে কতো সম্ভাবনা... কমসেকম সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের দায় সরকারের নেয়া উচিত
সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আনন্দ খুঁজে পাক, সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
তাই
এইসব শিশুদের জন্য ভালোবাসা।
লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তানবীরা আপুকে ধন্যবাদ।
লেখাটি পড়ার জন্য তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটি সকালেই পড়েছি, এখন ভাল লেগেছে সেটা বলে গেলাম। এসব শিশুদের নিয়ে আমার কাহনীতে অনেক উপাদান থাকবে!
আপনার লেখা পড়ার আশায় রইলাম
হুমম তাই
আচ্ছা এই ফুল বিক্রির টাকা গুলো দিয়ে কি কাজ করা হবে? যাস্ট জানার আগ্রহ
ওই দিন আমার প্রায় সকল বন্ধুই ধরা খাইছে। ... ধরা খাইছে এই সেন্সে যে, একটা ফুলের জন্য কয়েকজন ৫০০ টাকাও দিয়েছে
তবে উদ্যোগটা খুবি চমৎকার।
ইউসিডি থেকে ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার নয়শ তের টাকা ২৫ পয়সা আয় হয়েছে সেদিন। ১০০০ হাজার বাচ্চাকে সেদিন ওয়ান্ডার ল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ১০০ টাকা করে দিয়ে প্রত্যেক বাচ্চাকে আর বাকি টাকায় বনানী আর টঙ্গী দুটো স্কুলে হচ্ছে।
এই সব উদ্যোগ ভালো।তবে সমাজকে যতদিন না বদলানো যাবে ততদিন এই সবের কিছুই তাদের কাজে আসবে না!
খুবই ঠিক কথা বলেছেন শান্ত।
এসব উদ্যোগ দেখে মাঝে মধ্যে মনে হয় বাণিজ্যের আরেকটি পথ বেছে নেওয়া হল। তারপরও মনে হয় তাও তো ওরা কিছু পাচ্ছে। তানা হলে তো কিছূই পায় না।
আপনি অর্থনীতির মানুষ ভালোই বুঝবেন, এট দ্যা এন্ড অফ দ্যা ডে, ইটস অল বিজনেস। যারা ফুল বিক্রি করতে গেছে তারা সবাই ৫০০ টাকা দিয়ে নিজের নাম রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছে । সুতরাং জাগোর কোন খরচ নাই
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
লেখাটার জন্য থ্যাঙ্কু।
"জাগো" র কাজ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আমিও লিখবো ভেবেছি।
মন্তব্য করুন