এলোমেলো প্রেমের গল্প
তখন থেকে টেবিলের ওপর মোবাইলটা নেচে যাচ্ছে। হ্যা বেজে যাচ্ছে না নেচে যাচ্ছে। তিতলি বই খুলে বসে আছে বটে টেবিলে কিন্তু সেকি পড়ছে নাকি মোবাইলকে দেখছে বোঝা যাচ্ছে না। আনমনা প্রচন্ড শুধু সেইটুকুই বোঝা যাচ্ছে। তিতলি ভীষন রেগে আছে সায়ানের ওপর। সায়ান বিকেল থেকে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে ফোন করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে, কিন্তু তিতলি কিছুতেই ফোন ধরছে না। বাসায় যেনো কারো কানে না যায়, মোবাইলটাকে ভ্রাইব্রেশনে দিয়ে রেখেছে তিতলি। বিকেল থেকে কতো এসএমএস, কতো কাঁকুতি মিনতি সায়ানের, ফোনটা একবার তোল জান। না তিতলি তুলবেই না, গতো দুই দিন ধরে কি কম কষ্ট পেয়েছে সে যে এখুনি সায়ানের ফোন ধরতে হবে? সায়ানের সব সময় কাজের দোহাই, সে খুব ব্যস্ত। আর তিতলি? তিতলির কি সায়ানের ফোনের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। গতো দুদিন সারাক্ষণ মোবাইল চেক করেছে, নাই কোন ম্যাসেজ, নাই কোন মিসড কল। কাজ থাকলে কি তিতলিকে ভুলে যেতে হবে?
আজ তার সময় হয়েছে বলে কি আজই তিতলিকে ফোন তুলতে হবে। এ্যাহ কি আমার চাকুরীরে, ওনার ট্যুর পরেছে বসের সাথে। যেনো আর কেউ সরকারী চাকুরী করে না আর তাদের বসের সাথে ট্যুর পরে না। তাই বলে কি দু’মিনিটের জন্য কোন ফোন করা যায় না? অথচ সেদিন রাতে খালাতো বোনের বিয়েতে গেছে তিতলি। সারাক্ষণ ম্যাসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছে, কখন ফিরবে বাড়িতে, অন লাইনে আসবে না আজ সে? মায়ের চোখ বাঁচিয়ে লেডিস রুমে যেয়ে তিতলিকে রিপ্লাই করতে হলো, আজ দেরি হবে ফিরতে, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো সোনা। তখন কি আলহাদ সায়ানের, তুই আমার দুচোখে ওড়ে এসে না বসলে আমার ঘুম আসে না জান। তার দুদিন পরেই এমন আচরন!! সায়ানকে ভীষন একটা শাস্তি দিতে ইচছে করছে তিতলির, ভীষন। কিন্তু তিতলির পৃথিবীতে এমন কোন শাস্তিই নেই যা তিতলিকে না আঘাত করে সায়ানকে করে। এই যে ফোন তুলছে না সায়ানের, তিতলির কি কম কষ্ট হচ্ছে, কম কষ্ট? দুদিন পরেই টিউটোরিয়াল, পনের নাম্বার তাতে, সামনে থার্ড ইয়ার ফাইন্যাল। তাতে যোগ হবে এই নম্বর কিন্তু আজ তিনদিন হতে চললো সে পড়ায় মনই দিতে পারছে না।
ক্লাশে বসে থাকে ঠিকই, লেকচার ঢুকে না কিছুই তার কান দিয়ে। সবার চোখ বাঁচিয়ে মাঝে মাঝেই সেল চেক করে, ম্যাসেজ এসেছে কিনা। সায়ানের সাথে ঝগড়া হলে সে ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত পারে না। মা বারবার জিজ্ঞেস করলেন আজ, ঐটুকু খেয়ে ওঠে গেলি? সামনে পরীক্ষা তাই বাঁচোয়া, নইলে বাসার সবাই ভাবতো কি হয়েছে তিতলির? কিন্তু তাতে সায়ানের কি? তারতো তিতলির মতো মনের ছাপ মুখে পড়ে না। সে মহানন্দে অফিস করে যায়। ভীষন কষ্ট হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে এখন, তিতলী নিজেকে সামলানোর জন্য পিসিটা অন করলো। ভাবলো কিছুক্ষণ গেম খেললে হয়তো মনটা একটু হাল্কা হবে। তারপর ঠিক করে মন দিয়ে পড়তে বসবে। করবে না করবে না ভেবেও কখন যেনো মেসেঞ্জারে লগ ইন করে ফেললো। আর যায় কোথা, সায়ান ওকে ধরে ফেললো। এই এক সমস্যা তিতলির, সায়ান পাশে থাকলে তার মাথা আর হৃদয় আলাদা ভাবে কাজ করে না। সায়ান তার মাথার বারোটা বাজিয়ে ফেলে। মাথা অফ হয়ে শুধু মন কাজ করতে থাকে তার। যেভাবেই হোক, যতো কান্ডই ঘটুক সায়ান তাকে ঠিক বুঝিয়ে ফেলবে। সে কিছুতেই আর রাগ করে থাকতে পারবে না।
তিতলি কেঁদে কেটে তারপর এক সময় আবার সব ভুলে যাবে। হাঁদা সায়ানটা এসে লাইব্রেরীর সামনে দাঁড়ালে তিতলি ওর সাথে না যেয়ে কিছুতেই পারে না। কতো ভাবে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করে, কোন দিকে তাকাবেই না সোজা লাইব্রেরীতে ঢুকবে আর বেড়োবে কিন্তু লাইব্রেরীর কাছাকাছি আসতেই তার অবাধ্য চোখ দূর থেকে কাকে যেনো খুঁজতে থাকে। সায়ান পাশে এসে খুব নরম গলায় যখন ডাকবে “জান, কেমন আছিস” তখন তিতলি আর এড়াতে পারে না। সব ভুলে সায়ানের হাত ধরে সে ওড়তে থাকে। আর ভিতরে ভিতরে তিতলি জানে, সায়ানও জানে তার এই দুর্বলতার কথা। যখন অভিমানের তীব্রতা কমে যায় তিতলি অনেক সময় নিজেও খুঁজে পায় না কি নিয়ে সে এতো রেগে গেছিলো। হ্যা, তিতলি স্বীকার করে তার রাগের কারন গুলো হয়তো খুবই সামান্য কিন্তু এই পৃথিবীর সবার কাছ থেকে পাওয়া সব আঘাত সইতে পারলেও সায়ানের কাছ থেকে সামান্যের থেকে সামান্য অবহেলাটুকুও সে সইতে পারে না। এই পৃথিবীর কারো কাছে সে হয়তো কিছুই না কিন্তু কোথাও একজন আছে যার তিতলির গলা না শুনলে ভোর হয় না, তি্তলি ওড়ে এসে তার চোখে না বসলে সে ঘুমাতে পারে না, মন দিয়ে অফিস করতে পারে না। তিতলিকে ঘিরে কারো দিন ও রাত আবর্তিত হয়, এই অনুভূতিটা কি কম? শুধু এই অনুভূতিটাই তিতলিকে দিন রাত হাওয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে চলে।
মেসেঞ্জারে টুকটুক করে সায়ানের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে রাত তিনটা বেজে গেলো টেরই পেলো না তিতলি। সায়ান তাগাদা করলো ঘুমকাতুরে তিতলিকে শুয়ে পড়তে। সকালেই ক্লাশ আছে। ঠিক করে না ঘুমালে মন দিয়ে লেকচার শুনতে পারবে না। তিতলির পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই সজাগ দৃষ্টি তার। তার জন্যে যাতে তিতলির পড়া নষ্ট না হয় সেদিকে খুব খেয়াল রাখে সায়ান। কথা শেষ করে শুতে যাচ্ছে, মশারি গুঁজছে এমন সময় মোবাইলটা আবার নড়ে ওঠলো, সায়ান আবার। কৃত্রিম রাগ গলায় এনে তিতলি আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করলো, আবার কি? নরম গলায় হাসতে হাসতে সায়ান বললো, ম্যাসেঞ্জারে কথা বলে কি মন ভরে? আজ তিন দিন হলো তোর গলা শুনি না জান। তোর গলা না শুনতে পেলে আমার কি রকম অস্থির লাগতে থাকে জানিস না তুই? এখন আমার সুন্দর ঘুম হবে, মিষ্টি একটা স্বপ্ন দেখবো তোকে নিয়ে। তিতলির গলা আবার ভরে এলো অভিমান, গতো দুদিন কি সেটা তোর মনে ছিলো না? সায়ানের মতো অতো সুন্দর করে গুছিয়ে না বলতে পারলেও তিতলিরতো তাই হয়, সেটা কি সে বুঝতে পারে না? ভালোবাসা আর অভিমানের দোলাচলে এক মিষ্টি মিশ্র অনুভূতি নিয়ে ঘুমাতে গেলো তিতলি।
তানবীরা
০৫.০১.২০১১





আহা রে কবে যে এই রকম একটা তিতলী।
গল্প জোশ হয়ছে এইটা কি বলবো?থাক বললাম না।

থাক আমিও শুনলাম না

পাবো।
আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো, সবুরে তিতলি ফলবে
তানবীরার সব লেখাই দেখছি ভাল । এরপরে, সায়ানের মনের অবস্থা জানা যাবে আশা করি ।
বিউটি লাইস ইন দি আইস অফ দি বিহোল্ডার -------- নাজমুল ভাই
সায়ানের মনের অবস্থা মীর জানাতে পারবে আশাকরছি। আমি "ব্যাটাদের" মনের অবস্থা বুঝতে পারি না
বিউটি লাইস ইন দি আইস অফ দি বিহোল্ডারঃশুধু কি তাই ?
আপনার কল্পনাশক্তি অসাধারন, তাই তো "ব্যাটাদের" মনের অবস্থা বুঝতে এবং লিখতে আপনার অন্তত অপারগতা থাকার কথা নয় ।
মিষ্টি প্রেমের গল্প দারুণ লাগলো।তাতাপু রকস্।
জয়ি মাঝে মাঝে কী বোর্ডের ধূলা ঝারপোছ কইরো, প্লীইইইজ লাগে। >)
থ্যাঙ্কু
প্রেমের গল্প এলোমেলো না খুব গোছানো আর মিষ্টি
থ্যাঙ্কু :
:
:
প্রেমের গল্প পড়ে প্রেমের ছড়া মাথায় আসল।
গোলাপ ফুল ময়না পাখি
ভালোবাসি তোমার আঁখি।
খুক খুক।ধূর , কি শীত আসলো, খালি খুক খুক কাশি।
কার আঁখি বলো বন্ধু, ভালোবাসো
লুল জিহবা বের করে কেন হাসো
বন্ধু ভালোবাসে গোলাপ ফুল
কেন তারে বলো গো সখি লুল?
বন্ধু লুল তার আরো বন্ধুরাও লুল
নিজ চোখে দেখিয়াছি, তা কি সখী ভুল
এনে দেব তোমায় আমি
এক আকাশ নীল
বিনিময়ে চাই ছুতে
ঐ কপোলের তিল
আঁখি থেকে ভালোবাসা কপোলের তিলে
গোপন ইচ্ছা আর কি আছে দিলে?
কারে বন্ধু ঠারে-ঠুরে ইশারায় ডাকো?
তিল ধারী কোন নারী আমি চিনি নাকো।
সে কি তুমি নও, সে কি তুমি নও?
সে আমি নই, ওগো আমি নই
সে তুমি? সে তো তুমি।
কার কপোলে তবে আছে তিল
আমার সাথে নেইকো তার মিল।
সে কি তবে পরদেশী
বন্ধুর মনে দোলা দেয় ক্ষনিক আসি।
খক খক খক খক .।

জয়ি,
কে সে বন্ধু পরবাসী
বন্ধুর গলায় দেয় ফাসি?
কার গালে আছে তিল
তারে দিবো পাঁচশো কিল
ছড়া রকস, মেজর
আহা কি মিষ্টি প্রেম! ভালো লাগলো তিতলি আপা থুড়ি তাতা
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু
পুরাই লুতুপুতু প্রেমের গপ্পো!
ভালু পাইছি!
হাহাহাহাহা, ধন্যবাদ বাপ্পী
তাতা থুক্কু তিতলির প্রেমের গল্প লাইকাইলাম
১৮+ কিছু্ই তো পাইলাম না
এইরাম কাহিনি পড়লে পুরান একটা আফসুস মাঘের শীতের মতো জাঁকায়া ধরে :"(
তোমার কমেন্ট পড়ে নিজেরে সম্মানিত মনে হচ্ছে সই। ক্যাটরিনা কাইফ লাগতেছে নিজেকে। এতো গল্পের নায়িকা আমি
এ ধরনের একটা লুতুপুতু প্রেমের গল্প কি ছোটদের পড়া উচিত তুমিই বলো, তাই ১৮+। খালি দুষ্ট চিন্তা মনে
ক্যাটকাইফটা কেডা রে?
অবশ্যই পড়া উচিত, পুলাপানের যথাযথ শিক্ষার দরকার আছে না? ক্লাস সেভেন থেইকাই নাকি কি এডুকেশন ঢুকাইবো কারিকুলামে
১৮+ দিয়া কতোজনরে ঠকাইলা হিসাব নাই, খালি আমিই কইলাম
আসতাগফিরুল্লাহ, পুলাপানরে আর পুলাপান থাকতে দিলো না মরার কোকিলারা
যদি কখনো চলে যাই দুরে
কোন এক অচিনপুরে
হৃদয়ে লিখে রেখ নাম
এক দিন আমিও ছিলাম//
কাকে বলছেন ভাইয়া
লুগ্জন দেখি সমানে গল্প, কবিতা, রম্য সব লিখে। আমি শ্লার কিছুই লিখতারিনা।
তুমি লিখো ঠিকই কিন্তু আমাদেরকে পড়তে দিতে চাও না, এই যা
এই অদ্ভুত ধরনের অনুভুতি হয়তো সবার জীবনেই হয়েছে/থাকে/আছে। কিন্তু নাটক সিনেমায় একদম ফুটিয়ে তুলতে পারেনা।
আপনি ব্যাচেলর দেখেন নাই ?
সবটুকু পড়ে মনে একটাই প্রশ্ন আইলো, তিতলী এখন কার ঘরে?
তয় এই পোষ্টে কাব্য প্রতিভার একটা জোশ পরীক্ষা হয়ে গেল। খালি রেজাল্টটা মনে মনে রাখলাম

রেজাল্ট পাবলিশ করেন নীড়দা।
নীড়দা, কি বাংলা সিনেমা বানাচ্ছেন "তিতলি এখন কার ঘরে?" তারচেয়ে নাম দেন "তিতলি এখন বাসর ঘরে"। সুপার ডুপার হিট
হেভভী রোমান্টিক গল্প আপু ।
"দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি" । গানটা মনে হয় এদের জন্যেই লিখছিলেন কবি ।
মনে হয় লিজা এসব পাব্লিকের জন্যই গান - কবিতা তৈরী হয়
তখন মোবাইল ছিল না। টিএন্ডটি ভরসা। রাত ১২টার পর ফোনে কানে নিয়া ৫ মিনিট নিজে বলছি, ৫ মিনিট শুনছি, তারপর.........চোখ খুইলা দেখি সকাল
সারা রাইত মাইনসে কেমনে কথা কয়? 
আপনি যেমনে কইতেন! এমনেই কয়। চোখ খুলে দেখে সকাল।
আফসুস এরম চোখ খুলে সকাল দেখা হইলো না।
আরে আমি তো ৫ মিনিট পর ঘুমাইয়া গেছিলাম
মাসুম ভাই কল কি লোকাল না এনডাব্লিঊডি ছিলো??
কলতো অনেকগুলা ছিল। কোনটা বলবো?
যেই কল শেষমেষ ইন্দুর মারার কল হিসাবে গলাতে ঝুললো সেটা কন??

ছিঃ রাসেল তুমি মাসুম ভাইরে ইন্দুর কইতে পারলা? ছিঃ ছিঃ
চরি তাতাপু।

রুমান্টিক হইছে ।
ধন্যবাদ জী :
রোমান্সে চুপচুপা! ভালোই হইছে দুইটারে ঘুমাইতে পাঠাইছেন। স্বপ্ন ভাল হবে
কমেন্ট অফ দ্যা ডে
কিশুর কিশুরীর প্রেম অ্যাডাল্টগো জীবনে?
প্রেমে পড়লে সকলেই এক বয়েসী হয়ে যায় দাদা
এটা মোটেও বানানো গল্প না , ঘরের কথা পরে জানল ক্যামনে টাইপের উইকিলিকস (সবাই মনে মনে তাই ভাবছে , ছেলেরা সায়ান হয়ে , মেয়েরা তিতলী)
দ্যা ট্রুথ
সব কথার শেষ কথা হলো এইটা ---
শেষ বলতে আসলে কিছু নেই
লেখাটা বেশ মিষ্টি মিষ্টি। মজা পেলাম এই কারনে যে বাংলায় অধিকাংশ প্রেমের গল্পের লেখক পুরুষ। কাজেই নারী চরিত্রগুলোর চিত্রায়ণ হয়ে উঠে অভিজ্ঞতা নির্ভর। আমার বান্ধবীরা প্রায়ই অভিযোগ করত যে গল্প- উপন্যাসে তরুণী মেয়েদের উপস্থাপন ক্লিশে এবং সরলরৈখিক। কয়টা প্রেমের গল্প লেখা হয় যেখানে মেয়ে প্রকৌশলী? অথবা ডাক্তার/ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার / পরিসংখ্যানবিদ? খুব কম।
অনুভূতির ব্যাপারেও তাই। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে পনেরো-ষোল বছরের মেয়ে কী গান শুনে। তারা কি একাত্তরের দিনগুলি পড়ে কাঁদে? কিয়োরাস্তামির সিনেমা দেখে প্রতিজ্ঞা করে যে এমন একটা সিনেমা বানাবে যা তোলপাড় করে দিবে কান-ভেনিসের লাল গালিচা? তারা কি নীলক্ষেতে উবু হয়ে বই বাছতে ভালবাসে?
আমাদের পরিবারে বোন বলতে গেলে নেই। দুই একজন কাজিন তাও বাচ্চা একেবারে।তবে আমার ছোটবেলার প্রতিবেশী মেয়েটা ছিল বিরাট মাস্তান। ব্যাটিং-বোলিং পুরাই সাকিবের মত! আউট হইলেই ধুম-ধাম মাইর দিত আম্পায়ারকে। পাড়ার সবাই তটস্থ। তারপর একদিন সপরিবারে সৌদি আরবে হিজরত করল। প্রায় একযুগ পরে দেখলাম নেকাবে হিজাবে ভরা অচেনা মুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ঢুকি তখন ক্লাসে দেখতাম বিপরীত লিঙ্গে ব্যাপক টেনশানের সুতা। তারপর সময়ের সাথে আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু সারা জীবন ছেলেদের স্কুলে পড়ে আসা অনেকেই মেয়েদের সাথে খুব অদ্ভুত আচরন করত। অনেক মেয়েদের ছিল অকারণ সংকোচ।তখন হাসতাম। এখন খারাপ লাগে।
বিশাল মন্তব্য ফেঁদে বসলাম।
আরো আসুক এমন লেখা। শুভেচ্ছা।
আপনার মন্তব্যটা কিন্তু খুবই ভাব্বার বিষয়। যেকোন কারনেই মেয়েদেরকে লাজুক লাজুক মিষ্টি মিষ্টি ভাবের বাইরে দেখতে আমাদের দেশের ছেলেরা হয়তো সেভাবে পছন্দ করেন না। যদিও আজকাল এধারনাটা দ্রুত বদলাচ্ছে, এটাই আশার কথা।
কোলকাতার গল্পে উপন্যাসে আপনি কিছু পাবেন কিন্তু বাংলাদেশের গল্প সেটা খুবই কম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ক'দিন বাদে ব্লগে এলাম বলেই, তাতা২ < মীর < তাতা১ সিরিয়ালে গল্পটা পড়লাম... :)
পর পর সামঞ্জস্যতা পুরা অক্ষুণ আছে বলেই দারুন লেগেছে পড়তে, আবার প্রতিটা আলাদাই একেকটা গল্প হতে পারে যেমন তাদের আলাদা নাম, আর শেষ অংশটুকু যেভাবে এসেছে গল্পে। ভালো লাগছে...
আল্লাদি লুতুপুতু টাইপ হইলেও দারুন করে একটা গল্প শুরু করার জন্যে :star: :star: :bigsmile:
পড়ার জন্য তোমাকে
গল্প কিছু ভেবে শুরু করি নাই। কি একটা সিনেমা দেখতে যেয়ে আমার ওপর এই গল্পটা ভর করলো, খুব লিখতে ইচ্ছে করলো। প্রথমে দিবো কি না ভাবছিলাম। এবি দেখেই দিলাম, নিজের বাড়ির মতো কমফোর্ট এখানে। এতো হিট হবে কল্পনায় ছিলো না @ লল
আমি আবার ভেবে চিনতে কাজ করতে পারি না। নিজের মনের ওপর কোন কন্ট্রোল নেই, যা ভর করে তাই লিখি
এবি দেখেই দিলাম, নিজের বাড়ির মতো কমফোর্ট এখানে। কথাটা এত ভাল লাগল যে জেবীন আর তানবীরার আলাপে নাক না গলিয়ে পারলাম না ।
মন্তব্য করুন