ব্যবচ্ছেদ
আমার এ পোষ্টের মধ্যে দিয়ে এবি সম্বন্ধে আমার ষড়যন্ত্রমূলক মনোভাব, আমার মন্দ রাজনৈতিক স্বভাব, কূটকাচালি চরিত্র বিশ্লেষনের জন্য সবাইকে সাদর আহবান জানানো হলো। যারা আমাকে অনেক অপছন্দ করেন, আমার পোষ্ট এড়িয়ে যান তারাও দয়া করে তাদের মূল্যবান মতামত এখানে জানিয়ে যাবেন, এইটুকু প্রার্থনা।
“আমরা বন্ধু” ব্লগটি অনেক দিক থেকে অন্য ব্লগের জন্যে উদাহরন হতে পারে।
এটাকে প্রায় ক্যাচাল বিহীন ব্লগ বলা চলে।
বিভিন্ন নিকের আড়ালে ছদ্ম আক্রমন নেই এখানে।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কিংবা সস্তা চটুল বিষয় নিয়ে অকারণে বাহারী পোষ্টও নেই খুব একটা।
ব্লগের বেশিরভাগ মানুষের চিন্তা ভাবনার মধ্যে একটা নৈতিক মিল আছে।
মডারেটেড ব্লগ হওয়া সত্বেও এখানে মডারেটরের ক্ষমতা দেখানোর মহড়া নেই।
প্রত্যকের বাক স্বাধীনতা আছে। সবাই যার যার বক্তব্য প্রকাশ করেন এখানে সেটা যতোই মডারেটর এর বিপক্ষে যাক না কেন।
অকারণ খোচাঁখুচি, পোষ্ট পালটা পোষ্ট, বিদ্যা ফলানোর কচকচি ও এখানে কম।
এতো সুস্থ পরিবেশ, জনপ্রিয়,অভিজ্ঞ ও পরিনত ব্লগার থাকা সত্বেও এবি ব্লগ হিসেবে নিজেকে এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কেনো? প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজ অব্ধি এটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছে।
কি কারণে আরো চল্লিশটা ব্লগ বাদ দিয়ে এখানে লোকের লেখা উচিৎ, ব্লগারদেরকে সে ধারনা দিতে এবি মোটামুটি ব্যর্থ।
কোন ধরনের প্রকাশনা কিংবা স্টাবলিশমেন্টের দিকে যাওয়ার কোন আগ্রহই ব্লগ কর্তৃপক্ষ দেখাননি এই অব্ধি। তারা এখনো দুধ ভাত নীতিতে বিশ্বাসী। সবচেয়ে নিম্ন যে জিনিসটা থাকে প্রত্যেক লেখালেখি সংশ্লিষ্ট লোকদের, একুশের বইমেলা, তা নিয়েও ব্লগ কর্তৃপক্ষ একদম উদাসীন।
কর্তৃপক্ষ হয়তো ভাবেন, ব্লগ জমে গেলে উৎসাহ দেখাবেন। ব্লগাররা হয়তো ভাবেন, উৎসাহ পেলেই ভালো লেখা দিব, নইলে এখানে সময় নষ্ট করার কি দরকার।
টাকা পয়সার সমস্যা হয়তো একটা ব্যাপার। কিন্তু এটা মূখ্য ব্যাপার হয়তো না। যে পরিমান টাকা লোকে ঘুরাঘুরি করে, আড্ডা দিয়ে, রেষ্টুরেন্টে খেয়ে, পিকনিক করে খরচ করে আমার বিশ্বাস তার চেয়ে কম টাকায় অনেক ভালো কাজ হয় যদি আগ্রহ ও ইচ্ছা থাকে।
একটা সমাজ সচেতন লেখা, কিংবা ভালো গল্প, প্রবন্ধ থেকে হালকা আড্ডা পোষ্ট অনেক গুরুত্ব পায় যেটা অন্তত ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। এতে অবশ্যই যারা লেখালেখিকে ব্লগিং এর মূল সূত্র ভাবেন তারা অনুৎসাহিত হন, যার প্রভাব আজকাল ব্লগে প্রকটভাবে পড়েছে। ভালো লেখাকে উৎসাহ দান করা, লেখককে মোটিভেটেড করাও ব্লগারদেরই দায়িত্ব।
বেশিরভাগ রেজিষ্টার্ড ব্লগার ও ব্লগ কর্তৃপক্ষ যে পরিমান অফ লাইন এক্টিভিটিতে এক্টিভ, অন লাইনে তারা ততোটাই ইন এক্টিভ।
ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে যে আলোচনা হয়, সে আলোচনাগুলো অনায়াসে ব্লগেই হতে পারে। ধরা যাক, ফটোগ্রাফি গ্রুপটার কথাই। রোজ একটা ফটো আপ্লোড করা হয়, তার বিভিন্ন তাত্বিক, কারিগরী ও নান্দনিক দিকগুলো নিয়ে যে আলোচনাটা হয় সে আলোচনাটাই ব্লগে হলে ক্ষতি কি? আরো অনেক ফটোগ্রাফার তাদের সাজেশন দিতে পারেন, মন্তব্য দিতে পারেন, আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারেন। রোজ ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা খোলার পাশাপাশি হয়তো এবি’তে আজ নতুন কি ফটো এলো সে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। নতুন ফটোগ্রাফাররা যেমন এখান থেকে উপকৃত হবেন, পুরনো ফটোগ্রাফাররাও আনন্দ পাবেন। আমরা বলি নতুন ব্লগার বা লোকের কথা। তারাতো আকাশ থেকে নামবেন না, তাদেরকে আমাদের মধ্যে থেকেই তৈরী করতে হবে। যে ব্লগার নন, সেও ফটোগ্রাফীর টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়ে হয়তো পোষ্ট দিবেন।
অনেক ব্লগারই অন্যত্র প্রকাশিত তাদের কিছু পুরনো মূল্যবান লেখা একটু ঘষে মেজে আবার এবিতে দিতে পারেন, নতুন পাঠককূলের জন্যে।
সমালোচনাকে ইমপারসোনালভাবে নেয়ার একটা অনুশীলন এখানে হতে পারে। লেখা আর লেখককে মিলাতে আমি নারাজ। একটা লেখক অনেক মুড থেকেই একটা লেখা লিখেন। প্রত্যেকটা লেখা লেখকের চরিত্রকে ধারন করে, তাই কি?
যারা সামনাসামনি বসে আড্ডা দেন তারা সবাই আপন বন্ধু, সৎ মনে সমালোচনা করেন আর যারা অন লাইন থেকে নিজের মতামত লিখেন তারা পর বন্ধু, কূট চিন্তা থেকে মন্তব্য করেন এই চিন্তা ভাবনাটাও হাস্যকর লাগে। (একি প্রেম নাকি ভালোবাসা নাকি আমার মনের এক ভ্রান্ত ধারমা)
আলোচনা কিংবা সমালোচনা যেন আলোচনা বা সমালোচনাই থাকে সেদিকেও দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। ঝগড়া তৈরি করার অভিপ্রায়ে দুটো গ্রুপ তৈরি করে গরম তাওয়ায় পরোটা ভেজে খাওয়ার অভিরুচি অসুস্থতার লক্ষন।
পরিশেষে, এখানে বয়স্ক বিবাহিত বাচ্চাকাচ্চাওয়ালা ব্লগার বেশি। আমি অনুরোধ করবো, কিছু অবিবাহিত, চ্যাংড়া, আজাইরা পোলাপানরে এক্সেস দিতে। যারা সারাদিন কূট কূট পোষ্ট দিবে আর খুট খুট কমেন্ট দিয়ে ব্লগটাকে তাজা রাখবে। ব্লগের স্যাতস্যাতে ভাব কেটে যাবে অনায়সে।
তানবীরা
২৩/১১/২০১১
ভালো লাগল আপনার চিন্তা, উপলব্ধি, প্রস্তাবনা। ( চেষ্টা করতেছি সিরিয়াস হইতে )
পোষ্টের মতামতের সাথে অনেকাংশে একমত। 'আমরা বন্ধু' ব্লগকে প্রাণবন্ত দেখতে চাই, তার জন্য যা যা করা লাগে সবই করা হোক। ফেসবুকে অসংখ্য গ্রুপে এত বেশী কথাবার্তা হয়ে যায় যে এরপর আর কারো কোন কথা বলার থাকেনা, তাই ব্লগ ঝিমায়। সবার লেখার উদ্যোগ যেন ওয়াল লেখায়ই নিবেদিত হয়ে গেছে। ফেসবুক নিপাত যাক
এটাই হলো মোদ্দা কথা
ফটোগ্রাফী রিলেটেড প্রস্তাবনায় সমর্থন আছে।
কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। ধরেন আমি শুধু একটা ছবি দিয়ে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুনতে চাই। কিন্তু সেই ছবি দিতে গিয়ে যদি নির্দিষ্ট সংখ্যক শব্দের পেইন নিতে হয় সেইটা আমার জন্য একটু এনোয়িং লাগে। এই ঝামেলা আমার ক্ষেত্রে অনেক বারই হয়েছে (এমনকি কবিতা পোস্টের ক্ষেত্রেও)।
আপাততঃ এটুকুই বলে যাচ্ছি, পরে আবার আসব...
সব ঠিক হয়ে যাক । সবাই আবার ফিরে আসুক । আমিও এসে গেছি
উত্তম গ্যসোলিন ....! সুন্দর ঝরঝরে প্রশংসা স্তুতি
ভাগ্যিস গ্যাসোলিন ছিল নইলে আমার দেখা পেতেন কি করে
******আপনার দেখা পেতাম কি করে***********************
হুমম
আমি কোন কালেই সিরিয়াস ছিলাম না ... এইটা পারিও না ... এর জন্য হয়তো মন্তব্য করা হয়না সব পোস্টে... আশা করছি আমার ব্লগানোর সুযোগ বন্ধ করবেন না ... অনুরোধ
কোন ধরনের প্রকাশনা কিংবা স্টাবলিশমেন্টের দিকে যাওয়ার কোন আগ্রহই ব্লগ কর্তৃপক্ষ দেখাননি এই অব্ধি। তারা এখনো দুধ ভাত নীতিতে বিশ্বাসী। সবচেয়ে নিম্ন যে জিনিসটা থাকে প্রত্যেক লেখালেখি সংশ্লিষ্ট লোকদের, একুশের বইমেলা, তা নিয়েও ব্লগ কর্তৃপক্ষ একদম উদাসীন।
কর্তৃপক্ষ হয়তো ভাবেন, ব্লগ জমে গেলে উৎসাহ দেখাবেন। ব্লগাররা হয়তো ভাবেন, উৎসাহ পেলেই ভালো লেখা দিব, নইলে এখানে সময় নষ্ট করার কি দরকার।
আপা সব কাজ কর্তৃপক্ষ ক্যান করবে? আমরা কেন এগিয়ে এসে শুরু করি না? দেখেন এক পিকনিক, সেটাও মেসবাহ ভাই ছাড়া হবে না ... অন্যরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করুক। মেসবাহ এক্সপার্ট মানুষ ঠিকাছে... কিন্তু আমরা সব কাজ তার উপর ছেড়ে দিয়ে বসে থাকতে চাইছি ক্যান? তার তো ব্যাক্তিগত জীবন আছে একটা... সব শেষ করে কতটা সময় তার হাতে থাকে আসলে? ... এটা যাস্ট এক্সাম্পল.. সব ঘটনাগুলো এমনি।
বেশিরভাগ রেজিষ্টার্ড ব্লগার ও ব্লগ কর্তৃপক্ষ যে পরিমান অফ লাইন এক্টিভিটিতে এক্টিভ, অন লাইনে তারা ততোটাই ইন এক্টিভ।
কঠিন সত্যি কথা
অনেক ব্লগারই অন্যত্র প্রকাশিত তাদের কিছু পুরনো মূল্যবান লেখা একটু ঘষে মেজে আবার এবিতে দিতে পারেন, নতুন পাঠককূলের জন্যে।
সকলের আলোচনা ও মতামতের মাধ্যমে সব কিছুই সম্ভব বলে আমার ব্যাক্তিগত আশা।
পরিশেষে, এখানে বয়স্ক বিবাহিত বাচ্চাকাচ্চাওয়ালা ব্লগার বেশি। আমি অনুরোধ করবো, কিছু অবিবাহিত, চ্যাংড়া, আজাইরা পোলাপানরে এক্সেস দিতে। যারা সারাদিন কূট কূট পোষ্ট দিবে আর খুট খুট কমেন্ট দিয়ে ব্লগটাকে তাজা রাখবে। ব্লগের স্যাতস্যাতে ভাব কেটে যাবে অনায়সে।
আর সকল বিষয়ে একমত
কর্তৃপক্ষ কিছু দায়িত্ব নিবেন, কিছু কর্তব্য পালন করবেন এই আশ্বাস দিয়েইতো কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ হয়েছেন নাকি?
তারা যদি এখন পরিশ্রান্ত হয়ে থেকে থাকেন তাহলে মালিকানা বদল করুক
নইলে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বলুক, আপনারা করেন আমরা সাথে আছি।
ফটোগ্রাফীর প্রস্তাবটা বেশি পছন্দ হয়েছে, সেই সাথে বৃত্ত'র মন্তব্যও, কারন কেউ ছবি দিলে সেইসাথে ৫০শব্দ বানাতে ইচ্ছুক হবেন না। কিন্তু ৫০শব্দের নীতিটা করা হয়েছে যে কারনে মানে "আইলাম, খাইলাম টাইপ ৫/৬টা শব্দ দিয়ে পোষ্ট দেয়া"কে নিরুত্তসাহিত করার জন্যে সেই পয়েন্টও ঠিক। তবে ফটো রিলেটেদ পোষ্টে এই শব্দের বিধি শিথিল করা যায়্ কি?
আর ফেসবুক নিপাত যাক বলছি না, আবার লীনা''পু যেমন বললেন যে বেশিরভাগ আলোচনাই অইখানেই হয়ে যায় তাই সবাই ব্লগে আসতে চাইছে না, কথাটা কিন্তু একদমই সত্যি। এটার সমাধান আমাদেরি করতে হবে।
আর, আমরা অনেকেই অফ্লাইনে থাকলেও অনলাইন হইনা, জানি না কেন এটা আমিও করি! আর চেনাজানা সবাই একবারের জন্যে হলেও ব্বল্গে চক্কর দিয়ে যাই কিন্তু কমেন্ট করি না, আগে তো পোষ্টখরা ছিলো কিন্তু কমেন্ট ছিলো প্রান, কিন্তু এখন তাও নাই.। খুবই দুঃক্ষজনক।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় কথাটা আমি মানি।
ফেসবুকে রোজ আমরা ৫০ শব্দের ওপরেই লিখি প্রত্যেকে। একটা ছবি দুম করে না দিয়ে, একটু বিবরন, ব্যাখা, মুড ইত্যাদি শুদ্ধ দিলে ক্ষতি কি? আমাদের মতো গাধা যারা লাল বালতিতে সাদা পানি না সাদা কাপে লাল পানি বুঝতে পারি না, তাদের জন্যেতো ছবির একটু বিবরনতো দরকার, তাই না?
একটা কবিতা ৫০ শব্দের নীচে হলে পাঁচটা কবিতা দিক একসাথে। ভাস্করদা দিতেন না? আমি মিস করি সেই কবিতাগুলোকে।
৫০ শব্দের নিয়ম তুলে দিলে, আইলাম-গেলাম-খাইলাম পোষ্ট দিয়ে ব্লগ ভর্তি হয়ে যাবে। আর মডুকে বসে বসে সেসব বিবেচনা করে প্রথম পাতা থেকে সরাতে হবে তাতে আরো অপ্রীতিকর অবস্থাকে দাওয়াত করা হবে। যার পোষ্ট সরবে সেই খড়্গ হস্ত হয়ে মডুর ওপর পড়বে, ব্যাখা চাইবে
নিজে একটা ব্লগের মডু ছিলাম একদা, মডু হওয়া কোন আনন্দের কাজ না। এটা কোন পেইড জব না, উপরন্তু থ্যাঙ্কলেস জব। নিজের ব্যাক্তিগত টাইমকে জনহিতকর কাজে রোজ দিতে কারোই এতো আনন্দ হওয়ার কথা না।
সহমত । এখানে (এবিতে) কোন ক্যাচাল নাই, মডারেশনের নামে বিরুদ্ধ মতকে দাবানোর কোন নজির ও সম্ভবত নাই । এ জন্যই এবি এত ভাল লাগে । বিডি ২৪ ' ও নিয়মিত পড়তাম, মন্তব্য ও লিখতাম মাঝে মধ্যে । কিন্তু খুব দেরী হয়নি এটা বুঝতে যে বিডি ২৪ গুষ্টি বিশেষের । এখানে ভিন্ন মতালম্বীদের স্থান খুবই খুবই সংকীর্ণ । একটা উদাহরণ দিচ্ছি । গত ২১-১১-১১ 'তে বিডি ২৪ 'এর মতামত বিভাগে জনাব মোনায়েম সরকারের লেখা "যুদ্ধাপরাধের বিচার ঃ গণজাগরণই হবে নিয়ামক শক্তি" ছাপা হয় । এটার উপর আমি মতামত দিই । বিডি ২৪ এর নিয়মানুসারে মন্তব্যের উপরে ' ইউর কমেন্ট ইজ ওয়েটিং ফর মডারেশন,' লিখে রাখা হয় । ১০/১৫ মিনিট ছিল । তারপর মুছে দে'য়া হয় । কেন মুছে দে'য়া হল তা মনতব্যকারীকে জানানোর সৌজন্যটুকু ও মডারেশন টিম বোধ করেননি । এবি'র বন্ধুদের দেখানোর জন্য আমার মন্তব্যটি এখানে দিচ্ছি ।
আপনার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ক’টি প্রশ্ন করছি । সরকার কি যুদ্ধাপরাদধের বিচার করছে ? নাকি মানবতা বিরোধী অপরাধের ? যদি যুদ্ধাপরাধের হয় তাহলে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকি অপরাধীকে বাদ দিয়ে তাদের বাংলাদেশী সহযোগীদের বিচার করেই কি আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে ? বাংলাদেশ সরকার ইতিপূর্বে এই জঘন্য অপরাধটির বিচারের কোন উদ্ব্যোগ নিয়েছিল কি ? না নিলে কেন নেয়নি ? বঙ্গবন্ধু সরকারের অনেক কার্যক্রমের খোলাসা কোন ব্যাখ্যা নাই । সে সময়ে বারবার ঘোষণা সত্বেও কেন বিচার প্রক্রিয়াটি শুরু করা যায়নি ? বঙ্গ বন্ধুর পর আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাছিনা দু’দুবার ক্ষমতায় এসেছেন । দু’বারই নির্বাচণী ইস্তিহারে উপরের দিকে ছিল যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটি । দু’বারই তার সরকার ছিল একক সংখ্যা গরিষ্ট । প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সমস্যা হবার কথা ছিলনা । প্রথম বার ইস্যুটির ধারে কাছেও যাননি তিনি । মানূষের বুঝতে কোন অসুবিধে হয়নি যে ওটা শুধু নির্বাচণী মুলো ছিল । প্রহসনের মুলোটি আজো তার নাকের ডগায় ঝুলানো আছে । আমরা বোকা জনগণ দেড় হাত জ্বিব বের করে তার পিছে ছুটে চলেছি । তিনি বেশীরভাগ ওয়াদা হয় ভুলে গেছেন অথবা পূরণ করার বান করছেন । তার আন্তরিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে । আমার প্রশ্ন প্রহসনের এই অমূল্য মুলোটি কি বরাবরের মতো আগামীর জন্য তুলে রেখে দে’য়া হবে ? নাকি বিহিত কিছু হবে ?
যে পালের গোদা (তার নাম লিখতে আমার ঘৃ্না হয়) র কথা বলেছেন ৭১ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়েছে কি ? নাকি তার কাছে দোয়া ভিক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (খালেদার প্রথম সরকারের আমলে) আওয়ামী লীগ তথা হাছিনার মনোনীত প্রার্থীকে ? শেখ হাছিনা নিজেও তার অপবিত্র হাত থেকে পবিত্র কোরান উপহার নিয়ে ধন্য হয়েছেন । এগুলো মনে হলে আমার বমি আসে । কিন্তু যাদের মুখে ওয়াক করার কথা আমার চেতনায়, তাদেরতো কাছে পিছে পাওয়ার সম্ভাবনা মোটেই নাই । তাই ওয়াক করাও হয়না ।
আর যদি আপনার উত্তর (আমার প্রথম প্রশ্নের শেষাংসের) হয়, সরকার যা করছে সেটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার, তাহলেতো অনেক কিছুই লিখতে হয় । স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকে এযাবতকাল মানবতা বিরোধী অনেক অনেক অপরাধ হয়েছে । বেশিরভাগই ক্ষমতার ছত্র ছায়ায় । বিচার হয়নি অথবা হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় মাফ গেছে অপরাধী । ক্ষমা পেয়ে আবারো খুনের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে । রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটি বারবার কলঙ্কিত হয়েছে । কারো কিছু যায় আসেনি ।
এইতো সেদিন নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান সাহেব নিহত হলেন । আসামী ধরা নিয়ে কানা মাছি ভোঁ ভোঁ হচ্ছে । আসামীদের আড়াল করতে জজ মিয়াদের ধরা হচ্ছে । বিচার আদৌ হবে কি ?
আমার ধারণা আমার মতো একজন অতি সাধারন পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য সময় ও ইচ্ছা আপনার নাও হতে পারে । তবু আশা করছি ।
(এবি'র বন্ধুদের মন্তব্য আশা করছি ।)
এটা কমেন্টে না দিয়ে পোস্ট দিলে আলোচনাটা ভালোই হত মনে হয়।
চেষ্টা করবো । এবি'র বন্ধুদের প্রেরণা কাম্য ।্র
http://www.somewhereinblog.net/blog/ghaghuBabublog/29489329
এই পোস্টে সচলের একটা লেখার লিংক আছে। সেটা পড়ে দেখলে অনেক প্রশ্নের জবাব পাবেন, তবে আপনার প্রশ্নের জবাব চান নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিশেষদলভুলক্ত হওয়াতে আপনার কষ্ট হচ্ছে সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। প্রশ্নগুলোর উত্তর ব্লগে হাজারবার দেওয়া হয়েছে। তবে আপী যদি পোস্ট দেন তাহলে আলোচনা করা যাবে।
@ নরাধম,
১) লিংকটি দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ! অনেক কিছু জানলাম । আবারো ধন্যবাদ ।
২) আমার কোন কষ্ট হচ্ছেনা, দূঃখ হচ্ছে নিজেদের অক্ষমতার জন্য । '৭১ এর পরতো ওদের বেঁচে থাকার কথা ছিলনা । সে সময় আমরা পারিনি ওদের নিচিহ্ন করে দিতে । এ ব্যর্থতার দায় আমাদের সবার, সকল মুক্তিযোদ্ধার ।
৩) ইতিমধ্যে পদ্মা-মেঘনা দিয়ে রেশনকত হলেও অনেক জল বয়ে গেছে । আমরা বিভাজিত হয়েছি । হয়েছি হীণবল । দূধ কলা দিয়ে পোষা আস্তিনের কাল সাপ ফণা তুলে ছোবলও মেরেছে । আমাদের ছোদ-বোধ হয়নি । নানা কারণ দেখিয়ে আমরা ওদের রক্ষা করিনি শুধু আরো নূতন নূতন কাল সাপ লালন করেছি । ওরা এখন সর্বত্র । কোন দলে নাই ? এখানেই হয়তো অনেকের সাথে আমার মতের অমিল । আওয়ামী লীগে গেলে রাজকার মুক্তিযোদ্ধা বনে যাবে, আর ভিন্ন দল করলে মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকার হয়ে যাবে এই ঢালাও মতবাদে আমি বিশ্বাসী না। বিশ্বাসী না খন্ডিত বিচারেও । বাস্তবতার কারণে যদি পাকিদের বিচার করা নাও সম্ভব হয়, তাহলেও আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দলে আশ্রয় নেয়া দালালদের বিচার হবেনা কেন ? রাজাকারের পোলা, ভাইয়েরা আওয়ামী মন্ত্রী সভায় স্থান পাবে কেন ? আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী গু আজমের দোয়া ভিক্ষা করবে কোন নৈতিকতায় ? হাছিনাই বা কেন খুনি কিসিঞ্জারের হাত থেকে পুরস্কার হাতাবে ? এরকম প্রশ্নের জন্য কেউ যদি আমাকে যুদ্ধাপরাধীও মনে আমার বলার কিছু নাই । শ্রদ্ধ্যেয় কাদের সিদ্দকি আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ কতৃক ইতিমধ্যে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে জন সভায় অভিযুক্ত হয়েছেন । আওয়ামী সাংসদ বলেছে বলে এই মত মেনে নিতে হবে ? আমি জানি এসব প্রশ্নের উত্তর খাই-নাখাই দলবাজদের কাছে নাই । তাই বিডি ২৪ আমার মন্তব্য মুছে দেয় ।
৪) আপনার দে'য়া লিংকটি পড়েছি । পক্ষে, বিপক্ষে অনেক মন্তব্য । তাও পড়েছি । আন্তর্জাতিক চাপ জনকের উপর যেমন ছিল, তেমন জিয়ার উপরও ছিল । এই তর্কাতর্কির শেষ বোধ হয় কোন দিন হবেনা ।
ধন্যবাদ আবারো । রাখছি ।
আমি যখন ‘আমরা বন্ধু’তে লেখালেখি শুরু করি, তখন যে পরিমাণে এবং যে মানের লেখা আসতো, এবং যে ধরনের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দেখা যেত, সাম্প্রতিক সময়ে সেটা অনেক কমে গেছে। কেন কমে গেছে সেটা অবশ্যই খুঁজে বের করা দরকার; কিন্তু এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিচের বক্তব্যটি হয়তো ব্লগ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য ব্লগাররা বিবেচনা করতে পারেন।
ব্লগে মানুষ কেন লিখেন? কী লিখেন?- এর প্রচুর উত্তর রয়েছে। কিন্তু মোটাদাগে যে ব্লগগুলো গুণগত মান ধরে রেখেছে কিংবা রাখতে চায়, সেখানে সিরিয়াস ধরনের লেখা বেশি, মন্তব্যগুলোও সেরকমই সিরিয়াস। অনেকক্ষেত্রেই গুণগত মানের দিক দিয়ে মূল লেখার চেয়েও মন্তব্যগুলো বেশি আকর্ষণীয় হয়। লেখক-পাঠকের মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে এই সিরিয়াসনেসের দিকটি থাকলে একজন পাঠক এবং লেখক সহজেই ব্লগটিকে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় হিসেবে ভাবতে পারে। কিন্তু সেটির বদলে যদি অ-সিরিয়াস লেখা বেশি থাকে, তাহলে সম্ভবত মানুষ আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আমি একসময় সামহোয়্যারে প্রচুর লিখতাম, কিন্তু এখন সেখানে আমার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অপরদিকে মুক্তাঙ্গন, সচলায়তন কিংবা মুক্তমনার প্রায় প্রতিটা লেখাই আমার পড়া। প্রথম ব্লগটির প্রতি আমি স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণ হারিয়েছি (কারণটা সবাই জানেন), কিন্তু অন্য ব্লগগুলো এখনো আমার আকর্ষণের কেন্দ্র হিসেবে রয়ে গেছে।
আমি মাঝে মাঝে বিভিন্ন ব্লগে শিক্ষাবিষয়ক লেখা পোস্ট করে থাকি। স্বাভাবিকভাবেই আশা করি এ সম্পর্কিত আলোচনা হবে, আমার জানার সীমাবদ্ধতা অন্য কেউ ধরিয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে বলতেই হয়, আমরা বন্ধু থেকে আমি ফিডব্যাক পাই তুলনামূলকভাবে কম। ফলে স্বভাবতই যেখানে বেশি ফিডব্যাক পাবো, সেখানেই আমি আমার লেখা পোস্ট করবো।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ব্লগকে প্রাণবন্ত করার দায়ভার কার? অবশ্যই পাঠক, লেখক ও ব্লগ কর্তৃপক্ষ- সবার। ‘আমরা বন্ধু’ ব্লগের একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে- মডারেটরের উপস্থিতি কম বা নেই বললেই চলে। অন্যভাবে বলা যায়, মডারেটরদের এখানে সম্ভবত প্রয়োজনই পড়ে না। মডারেটর যদি খড়গহস্ত থাকে, তাহলে সেটি পাঠকের ওপর পরোক্ষভাবে হলেও প্রভাববিস্তার করে। এই ইতিবাচক দিকটি হারিয়ে যায় যখন দেখি টেকনিক্যালি ‘আমরা বন্ধু’ অন্য ব্লগগুলোর চেয়ে অনেক পিছনে। এই ব্লগে এমন অনেক ফিচারই নেই যেগুলো একটি ব্লগে থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। হয়তো সাইট লোড হওয়ার দিক দিয়ে ‘আমরা বন্ধু’ অনেক এগিয়ে আছে, কিন্তু পাঠকরা কিন্তু একমাত্র সাইট কতো তাড়াতাড়ি লোড হলো সেটিকে বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরে না। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, কিন্তু ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেটিকে পাত্তা দেবার মতো যোগ্য মনে করেন নি।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্লগটিকে যথাযথ ফিচারসমৃদ্ধ করে গড়ে তুলুক, ব্লগের বর্তমান সদস্যরা লেখার মেরিট অনুযায়ী লেখাতে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য করুক- মাস তিনেক পর দেখুন ব্লগ প্রাণবন্ত হয় কিনা!
সহমত
আপনার পোস্টের পরে বোধহয় কিছু উন্নয়নমুলক কাজ হয়েছিলো সাথে পোস্টটা স্টিকিও হয়েছিলো।কিন্তু ঐ যে আগেই বলেছি উদাসীনতার কারনে সেটার একটা উত্তরও দেয়ার প্রয়োজনবোধ করে নাই কর্তৃপক্ষ।
কথা সত্য!!!
আমার কাছে মনে হয় কর্তৃপক্ষের গাফলতিই এর জন্য সবচেয়ে দায়ী।এটির পিছনে যে পরিমান সময় দেয়া উচিত আমার মনে হয় সে পরিমান সময় কর্তৃপক্ষের নাই বা দিতে চান না।আর এই কারনে এটি এখনো ''গুটি কয়েকের আড্ডার জন্য ব্লগ'' বা ''পিঠ চুলকাচুলকি'' জায়গা হয়ে আছে।
ফটোগ্রাফি আইডিয়াটা ভালো লেগেছে এটা করা যেতে পারে
পুরাতন লেখা রিপোস্ট করা যাবেনা এই নীতিটা তুলে নেয়া উচিত বলে মনে করি।
অবিবাহিত,চ্যাংড়া,আজাইরা পোলাপাইন কেমনে বুঝবেন?
শেষমেশ আপনিও স্বীকার করলেন ব্লগ স্যাতস্যাতে হয়ে গেছে
"ব্যবচ্ছেদ" ভালোই হইতেছে। আলোচনা- সমালোচনা জমে উঠছে ব্লগ এর স্যাতস্যাতে ভাবটা এমনটা থাকলে অনেকটাই কেটে যাবে আশা করি।
অনেকদিন পর লগইন করলাম আপনার পোস্টটি দেখে। ভালো লেগেছে লেখাটা। পরিষ্কারভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু করেছেন, এ জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।
আপনার অনেকগুলো পর্যবেক্ষণই আমার নিজের সঙ্গে মিলে গেছে। লেখাটার শেষে এসে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার বরাবরই মনে হয়েছে, ব্লগ এতটাই গতিশীল মাধ্যম যে আমি এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অক্ষম। নিয়মিত লেখা, পাঠকদের মন্তব্যের উত্তর দেয়া, সহব্লগারদের লেখা পাঠ করা এবং মতামত প্রকাশ করা - কাজ তো কম নয়! অথচ জীবনের ব্যস্ততা, জীবন-যাপনের জটিলতা, দায়িত্ব ও দায় সবই তো বয়সের সঙ্গে বেড়েই চলে! কোনো একটা নির্দিষ্ট কাজ বা নেশায় নিরবিচ্ছিন্ন সময় দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, এত গতির কারণেই একজন ব্লগার দু-চার বছরের মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং 'বৃদ্ধ' ব্লগারে পরিণত হন। দশ বছরের কাজ দু-বছরে করলে যা হয় আর কি! এবির "জনপ্রিয়, অভিজ্ঞ ও পরিনত ব্লগার"দেরও এই পরিণতি হয়েছে বলে মনে করি। একেকজন 'ক্লান্ত প্রাণ এক।'
নিয়মিত ব্লগিংটা মূলত তরুণদেরই কাজ। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তারাই। এবি'র ঝিমিয়ে পড়া অবস্থার জন্য তরুণ/নবীন ব্লগারদের অনুপস্থিতিই প্রধান কারণ বলে মনে হয় আমার। কিন্তু, কেন তারা আসছে না এখানে? বা, এলেও কেন থাকছে না? পোস্ট দিচ্ছে না? কমেন্ট করছে না? এর কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, এবি'র নীতিমালার কিছু বিধিনেষেধ এবং কিছু টেকনিক্যাল ফিচারের অভাবকে দায়ী করা যায়। যেমন :
১. এবি-তে প্রকাশিত লেখা ২৪ ঘণ্টা পার হবার আগে অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। এবং অন্যত্র প্রকাশিত লেখা (অর্থাৎ 'পুরনো' লেখা) এবি-তে প্রকাশ করা যাবে না!
[এই দুটো ধারা কি নীতিগতভাবে পরস্পরবিরোধী নয়? লেখা অন্য কোথাও প্রকাশিত হলে ২৪ বছর পরও এই ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না, কারণ তা পুরনো। অথচ এই ব্লগে প্রকাশিত লেখা 'একইসঙ্গে' অন্য কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ, করলে ২৪ ঘণ্টা পর করতে হবে!! কেন? এই ব্লগে প্রকাশিত হলে কি লেখা পুরনো হয় না? সেই পুরনো লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করতে বাধা নেই কেন? ব্যাপারটি কি এরকম যে, আপনি আপনার পুরনো লেখা নিয়ে অন্য ব্লগে যান, এখানে আসবেন না!! এই ধরনের এলিটিস্ট মেন্টালিটি/ এ্যাটিচিউড তো ব্লগের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু প্রচুর সংখ্যক ব্লগার একইসঙ্গে একাধিক ব্লগের সদস্য, কেউ তো চাইতেই পারেন যে, তার লেখাটি সব ব্লগেই একসঙ্গে প্রকাশিত হোক। আগে এবি, তারপর অন্য সবাই - এরকম করে কেন ভাববেন তিনি?]
২. নূন্যতম শব্দসংখ্যার বাধ্যবাধকতা। ৫০ শব্দ লিখতেই হবে!
[কেন? একটি কবিতা কি ৫০ শব্দের কম হতে পারে না? পারবেই না? হারাম? কিংবা ফটোব্লগ? আপনি যেমনটি উদাহরণ দিয়েছেন? এই বাধ্যবাধকতা আসলে কতৃপক্ষের ভীতিকর অভিজ্ঞতার প্রতিক্রিয়া। যেহেতু এক লাইনের আলতু-ফালতু পোস্ট দিয়ে ব্লগের বারোটা বাজানোর ঘটনা তারা অনেকবার দেখেছেন, তাই সেটা এড়ানোর জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে ধারণা করি। কিন্তু এ-ও তো ভাবা উচিত ছিলো। দায়িত্ববান ব্লগাররা, নিজের নাম/নিকের প্রতি যাদের বিন্দুমাত্র মায়া আছে তারা এরকম কাজ এমনিতেই করেন না, করবেন না!]
৩. এখানে সার্চ করার করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। নিজেকেই খুঁজে পেতে কষ্ট হয়, প্রিয় কোনো ব্লগারের লেখা পড়তে এলে মনে হয় - মহাসমুদ্রে সুঁই খুঁজছি।
আরো কী কী যেন বলার ছিলো, ভুলে গেছি। বয়স হওয়ার লক্ষণ! পরে মনে পড়লে আবার বলে যাবো।
সমালোচনাটা কঠোর মনে হলে দুঃখিত। মন খুলে কথা বলতে বলেছেন বলে বললাম। কেউ কিছু মনে করলে তার দায়ভার আপনার।
একমত পোষণ করছি। অনেক লেখা আছে যা এবিতে লোকে পড়বেনা, পড়তে চায়না একটু খটমটো বা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিষয় থাকার কারনে, ব্লগারদের প্রকৃতি, বয়স এসব কারনেই। তাই এসব লেখা আমি আর এবিতে দিইনা, কারন দিলে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে অন্যব্লগে দেওয়ার জন্য, সেসব ব্লগে অথচ অনেক বেশি পার্টিসিপেশান হবে।
সবাই মন খুলে কথা বলুক, দায়ভার সব আমার
আমি যেহেতু এখানে আলোচনার থ্রেড ওপেন করেছি, ব্যাক্তিগতভাবে সবার কমেন্টের জবাব দেয়ার কিছু নেই আমার পক্ষ থেকে। এটা সবার ব্যাপার। চলুক ওপেন ডিসকাশন।
কামাল ভাই ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্যে।
গৌতম দা, কামাল ভাই, রাসেল যেটা বললেন, টেকনিক্যাল সাইডটা আরেকটু সুবিধাজনক করা উচিত। সার্চের কোন ব্যবস্থাই এখানে নেই। রিপোষ্ট নিয়ে আমার মতামতও তাই। লেখককে এতটা হাত পা বেধে দিলে সে-তো অস্বস্তি বোধ করবে। প্রচুর ব্লগার না হলে এটাতো একটা বদ্ধ ব্লগ হয়ে যাবে। তাতে নিঃশ্বাস আটকে যাবার কথা। তাইতো হচ্ছে। এত কম ব্লগার উপস্থিতি দেখতে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। অফলাইনে না থেকে বন্ধুরা দয়াকরে অনলাইন হয়েন। অনুরোধ রাখলাম।
বন্ধুরা তো অফলাইনেও থাকে না। যেমন ধরুন -
"এখন ৫ জন সদস্য ও ১৪ জন অতিথি অনলাইনে"
সদস্য তো সদস্য, অতিথি মাত্র ১৪ জন! এবির ব্লগাররা, যারা এই মুহূর্তে এফবি-তে আছেন, তারাও এবি'র পাতাটি তাদের পিসি-তে খুলে রাখেননি! সেটা রাখলে তো অন্তত 'অতিথি'র সংখ্যা অনেক বেশি হতো! আর রাখবেনই বা কেন? নতুন লেখা নেই, কমেন্ট নেই, যা ছিল সব পড়া হয়ে গেছে, শুধু শুধু পাতা খুলে বসে থাকার তো মানেও হয় না!
এ পোস্টের মতের সাথে শতভাগ সমর্থন রইলো।
আরো কিছু কথা বলা যাক।
একটা সমাজ সচেতন লেখা, কিংবা ভালো গল্প, প্রবন্ধ থেকে হালকা আড্ডা পোষ্ট অনেক গুরুত্ব পায় যেটা অন্তত ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। এতে অবশ্যই যারা লেখালেখিকে ব্লগিং এর মূল সূত্র ভাবেন তারা অনুৎসাহিত হন...
একমত হলাম। শুধু আড্ডা পোস্টই নয়, যে কোনো পোস্টেই একবার অফটপিক কথাবার্তা শুরু হলে সেই থ্রেড এতটাই লম্বা হয় যে মূল টপিকটা যে কী ছিল সেটা ভুলেই যেতে হয়! আড্ডা তো হতেই পারে। সবাই সর্বক্ষণ গম্ভীর মুখে বসে বসে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করবে, সেটা তো হতে পারে না। তবে এটা সীমা ছাড়িয়ে গেলেই সমস্যা। অন্যদিকে, অধিকাংশ লেখাই পড়ে থাকে কমেন্টবিহীন। খা খা প্রান্তর যেন! ব্লগিং-এর মূল আনন্দটাই হচ্ছে তাৎক্ষণিক পাঠপ্রতিক্রয়া পাওয়া, যেটা প্রিন্ট মিডিয়ায় পাওয়াই যায়, বা পেলেও অনেক দেরিতে পাওয়া যায়। সেই ব্লগেই যদি কোনো লেখা কমেন্টহীন পড়ে থাকে তাহলে ব্লগিং করে লাভ কি? সামুতে অনেক ফালতু ব্লগার ছিল বটে, কিন্তু এমন অনেক ব্লগারও ছিলেন যারা যে কানো একটি লেখাকে আলোচনা-সমালোচনা-প্রশ্নোত্তর-তর্কবিতর্ক করে পরিপূর্ণ করে তুলতেন। আমার নিজের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। আমার চেয়ে বয়সে তরুণ ব্লগাররাও আমার চিন্তাকে উসকে দিয়েছেন কমেন্টের মাধ্যমে। ব্লগ নিয়ে একটি লেখায় আমি বলেছিলাম - 'ব্লগে প্রত্যেক পাঠকই লেখক, আবার প্রত্যেক লেখকই পাঠক। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য মিলিয়েই একটি লেখা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ব্লগে।' এবি-তে এই ব্যাপারটার অভাব রয়েছে। দায়সারা গোছের ফাঁকিবাজি কমেন্ট অথবা নো-কমেন্ট রীতিতে চলছে ব্লগ। কোনো ব্লগারের জন্যই ব্যাপারটা সুখকর নয়!
বেশিরভাগ রেজিষ্টার্ড ব্লগার ও ব্লগ কর্তৃপক্ষ যে পরিমান অফ লাইন এক্টিভিটিতে এক্টিভ, অন লাইনে তারা ততোটাই ইন এক্টিভ।
আবারও সহমত জানালাম। তবে এ বিষয়ে খোলামেলাভাবে কিছু বলা থেকে সঙ্গত কারণেই বিরত থাকছি। শুধু এটুকু বলি - ব্লগিং-এর মূল উদ্দেশ্য যদি হয় সৃজনশীলতার চর্চা করা তাহলে বাস্তব জীবনের অবারিত-বিরামহীন যোগাযোগ-ব্যস্ততা সেই চর্চাকে ব্যাহত করবেই। এটা শুধু ব্লগিং-ই নয়, সব ক্ষেত্রে সত্যি। জীবন-যাপন ও জীবন-ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদির বাইরে আপনি যদি সৃজনশীল কিছু করতে চান - লেখালেখি, সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি - তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনেককিছু ছাড়তে হবে, মগ্ন হতে হবে, নিঃসঙ্গ হতে হবে, নির্জনে থাকতে হবে, ভাবনায় একাগ্রচিত্ত হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই তো! ব্লগিং যদি তেমনই একটি কাজ হয়, তাহলে এর ব্যতিক্রম হবে কেন? আমি যেহেতু ব্লগিং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের এক চমৎকার মাধ্যম মনে করি, সেজন্যই কথা গুলো বললাম।
আমি ব্লগে নিয়মিত নই। এ কথাগুলো বলার অধিকার আমার আছে কী না, সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন। তাদের জন্য সহজ ভাষায় বলি - পৃথিবীর যে কোনো ব্যাপারে মতামত জানাবার অধিকার আমার আছে। আর এখানে অধিকারটা একটু বেশিই আছে। নিয়মিত না হলেও, আমি তো এই পরিবারেরই সদস্য।
অনেকটাই একমত। ব্লগারদের "সিয়িং টু মাচ অফ ঈচ আদার" হয়ে যাইতেছে, ব্লগটা আসলে ঠিক ব্লগ হয়ে উঠেনি, প্রথমদিকে যা ছিল তাও নাই এখন।
কিছু কিছু জিনিস আসলে মেরে-পিটে হয় না। আমার ব্যাক্তিগত ধারনা, লেখালেখি ভালবাসে, নিজে লিখতে কিংবা অন্যের লেখা পড়তে ভালবাসে এমন লোকের সংখ্যা এখন যেকোন কারণেই এবিতে কমে গেছে। লেখালেখি ভালবাসা লোকেরা নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকেই অন্যের লেখায় কমেন্ট দেন।
এর লেখায় কমেন্ট দিবো না, তার পোষ্টে বিশ খানা কমেন্ট দিব, এধরনের একটা দলাদলি মনোভাব আমি কেন যেনো অনুভব করেছি সম্প্রতি এখানে। যার ফলশ্রুতিতে যারা লিখতে পড়তে ভালবাসে তারা সম্প্রতি নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন। এ তালিকায় আছে, তানবীরা, ভাস্কর, শর্মি, মীর, নাম নাই, আনিকা। আরো অনেকেই হয়তো আছেন আমার এ মূহুর্তে এই নামগুলোই মনে পড়ল।
ভাস্করদা লগড ইন ছিলেন না, এবির উইন্ডো খুলে, এমন দৃশ্য আমার মনেই পড়ে না। কিন্তু এটা এবির এখন স্বাভাবিক ঘটনা, যা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্চ্য নেই, যেটা আমার কাছে অদ্ভূদ ঠেকে। একদিন আমিও যদি না আসি, তাহলে কি এভাবেই স্বাভাবিক নিয়মে খেলাঘর সাজবে, আমাকে কেউ খুঁজবে না? এ ভাবনা আমায় কষ্ট দেয়, দুঃখ দেয়।
মন্তব্যপ্রদানকারীদের মধ্যে, রাসেল আশরাফ, শওকত মাসুম, জয়িতা এদের অংশগ্রহনও আজকাল খুব কম। এসবই পীড়া দেয় আমায়। আমি যখন যেমন সুবিধাবাদি দলে ভাসতে পারি না। সর্ম্পক সে অন লাইন হোক আর অফ লাইন হোক আমার কাছে সর্ম্পকই। তাই এই পোষ্টের অবতারণা। বন্ধুত্বের মান অভিমান যাই থাকুক, শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্ব টিকে থাকুক। একটা সর্ম্পক গড়তে অনেক ইনভেষ্ট করতে হয়।
কামাল ভাইয়ের এই বক্তব্যের সাথে একমত।
আমি খুব একটা ভালো লিখি না কিন্তু লেখালেখিতে আনন্দ পাই। লেখালেখির অনেক খুঁটিনাটি আছে যা আমি শিখতে চাই। লেখা পোস্ট করার পর দেখা যায় সেই লেখা নিয়ে প্রাসঙ্গিক তেমন কমেন্ট পড়ে না।
তানবীরা আপুর এই পোস্ট নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইরকম আলোচনা-সমালোচনা আশা করেছিলাম অথচ কামাল ভাই ছাড়া কেউই সেইভাবে বললেন না। আমরা বন্ধুকে সমৃদ্ধ করার জন্য এর দরকার ছিল।
ইয়েস বস!
এবি-তে প্রকাশিত লেখা ২৪ ঘণ্টা পার হবার আগে অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। এবং অন্যত্র প্রকাশিত লেখা (অর্থাৎ 'পুরনো' লেখা) এবি-তে প্রকাশ করা যাবে না!
[এই দুটো ধারা কি নীতিগতভাবে পরস্পরবিরোধী নয়? লেখা অন্য কোথাও প্রকাশিত হলে ২৪ বছর পরও এই ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না, কারণ তা পুরনো। অথচ এই ব্লগে প্রকাশিত লেখা 'একইসঙ্গে' অন্য কোথাও প্রকাশ করা নিষেধ, করলে ২৪ ঘণ্টা পর করতে হবে!! কেন? এই ব্লগে প্রকাশিত হলে কি লেখা পুরনো হয় না? সেই পুরনো লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করতে বাধা নেই কেন? ব্যাপারটি কি এরকম যে, আপনি আপনার পুরনো লেখা নিয়ে অন্য ব্লগে যান, এখানে আসবেন না!! এই ধরনের এলিটিস্ট মেন্টালিটি/ এ্যাটিচিউড তো ব্লগের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু প্রচুর সংখ্যক ব্লগার একইসঙ্গে একাধিক ব্লগের সদস্য, কেউ তো চাইতেই পারেন যে, তার লেখাটি সব ব্লগেই একসঙ্গে প্রকাশিত হোক। আগে এবি, তারপর অন্য সবাই - এরকম করে কেন ভাববেন তিনি?]
ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল, আমার কথাগুলো আপনিই বলে দিয়েছে।
ধন্যবাদ তানবীরা, এমন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের অবতারণার জন্য।
আমিও এর সাথে একমত। একজন লেখক খেটেখুটে একটি লেখা লিখলো, তার তো ইচ্ছে হতে পারে সব অডিয়েন্সের কাছে যেন তার লেখাটি পাঠ্য হয়। এখন সে যদি কেবল এবিতেই নতুন লেখা পোষ্ট করে, দেখা গেল এখানে সে ভাল রেসপন্স পেল না। ২৪ ঘন্টা পর অন্য একটি ব্লগে এই একই লেখা পোষ্ট করে সে ভাল রেসপন্স পেতে পারে। সে কী এবির প্রতি তার উৎসাহ ধরে রাখতে পারবে? একজন গল্প লেখক কী ঘনঘন নতুন গল্প লিখতে পারে, বা লেখে? তার পুরনো একটি গল্প কী এবিতে পোষ্ট হতে পারে না?
আমি নিজেই রিপোষ্ট এর চরম বিপক্ষের মানুষ। অনেক ব্লগই আছে যারা রিপোষ্ট ছাড়াই বছরের পর বছর ব্লগ চালাচ্ছেন। এখানেও আদতে এটা খুবই সম্ভব। আমিও ব্লগ বুঝেই লেখা দেই।
কিন্তু যেহেতু বেশির ভাগ ব্লগার এর পক্ষে, এবং ব্লগের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কাটাতে এই ব্যাপারটি সাহায্যকারী হতে পারে বলে আমারো ধারনা, আমি বলবো সাময়িকভাবে এই নিয়মটি শিথীল হতে পারে। প্রচুর পোষ্ট হলে, সার্ভারে স্থান সংকুলান না হলে, রিপোষ্ট নিয়ম আবার হয়তো ভাবতে পারেন কর্তৃপক্ষ।
অবিবাহিত, চ্যাংড়া, আজাইড়া পোলাপাইন হাজির!
তানবীরা আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্ববহ অথচ সচরাচর এড়িযা যাওয়া বিষয়ের গঠনমূলক অবতারনা করার জন্য । সত্যিই তাই , ব্রগের ব্যাপক সংস্কার দরকার । আর সর্বোপরি সকলের ব্যাপক আনাগোনায় আরো ক্রিয়াশীল হওয়া দরকার ।
আলোচনার পর কি?
আমরা যারা লিখতে এবং পড়তে ভালোবাসি, তাদেরকে একটা নিরিবিলি লেখাপড়ার প্ল্যাটফর্ম দেন। শুধু এটুকুই চাওয়া। এবিকে ভালবাসি, পরিবেশ, ভদ্রতা, বন্ধুত্বের জন্যই।
চলেন সবাই আবার এক্টিভ হই। বেড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধি। টার্গেট বইমেলা ২০১২। সামনের একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে আমি এবির ব্যানারে গল্পসংকলনের উদ্যোগ নিতে চাই। যারা যারা আমার সাথে আছেন, তাদের নাম লিখে যাবেন সাথে আছি বলে। আপনাদের সমর্থন পেলে কর্তৃপক্ষ আর পিছাতে পারবে না
হ্যাপি ব্লগিং
আগে আলু সেদ্ধ খাওয়ার ব্যাপারটা ফয়সালা করেন তারপর ভেবে দেখবো।
===============
সাথে আছি বলে গেলাম
খালি ব্যাক্তিগত স্বার্থ দেখলে চলপে? জাতীয় স্বার্থ দেখো। দেশ ও দশের কথা ভাবো
সাথে আছি
হ্যাপি ব্লগিং। ব্লগ জমে উঠুক। ধুড়ধাড় দিনমান-রাতজেগে ব্লগিং করতে চাই। পাড় ব্লগারের মত কেবল ব্লগিংই করতে চাই
সাথে আছি
ভাল প্রস্তাব। সাথে আছি।
দ্রুত শুরু করেন... সময় নাই হাতে...
গতবছর জেবীন এবির এক বছরের পোস্ট থেকে বেছে বেছে সেরা পোস্ট একত্র করেছিল... চাইলে জেবীনের সহায়তাও নিতে পারেন।
শুরু করেন... কি করতে হবে জানাইয়েন...
এজন্য কোন সাহায্যে আসতে পারলে খুশী হবো। জেবীন সম্ভবত সব গল্প পড়েওছিল। শুধু গল্প নয়- পাঁচমিশালী কিছু করা যেতে পারে। জেবীনকে উপদেষ্টা করে একটা বাছাই কমিটি করতে পারেন। প্রুফ দেখার জন্য একটা কমিটি; আর ছাপার কাজ সহ পুরো প্রকাশনার জন্য আরেকটা কমিটি করে একটা দারুণ কিছু এই বইমেলায় হতে পারে। লেখা তো রয়েছেই- বাকী কাজের জন্য ডিসেম্বর মাস পুরোটাকে টার্গেট করে আগান।
আপু,আমি বাচ্চা ছেলে,বিবাহিত না। তবে বিবাহিত হইতে চাই, যদিও এখনো পড়াশোনা শেষ হয় নাই।
আমি পোস্ট দেই না, মূল কারণ ২৪ ঘন্টার বাধ্যবাধকতা আর আমি পড়ার সময় পাই না( পড়াশোনার কারণে এবং অন্য ব্লগে এর আগে থেকেই নিয়মিত থাকার কারণে)।
মার্চ মাস থেকে পুরোপুরি যোগ দেওয়ার আশা রাখি।
লগইন করা হয়না ........... লিখতে পারিনা এজন্য ........
আর না লেইখা ব্লগার পরিচয় দেওয়াটা ঠিকনা
১. রিপোস্টের ব্যাপারে আপত্তি জানালাম।
২. ব্লগ কর্তৃপক্ষের কিছু বলার সময় এসেছে।
হাজির।
রিপোস্ট চাই না।
গৌতমদা/তানবীরা আপা...
একটা কনক্লুশন টানেন এইবার...
১. আলোচনায় কি পেলাম
২. সামনে কি পেতে হবে
৩. এখনি কি কি করা যায়...
কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের প্রয়োজন নাই... এইটা ব্লগারদের বিষয়... ব্লগাররা তাদের মতামত জানিয়ে দেক...
কেন নাই?বুঝলাম না!!
মতামত জানিয়ে দিলো তারপর যে সুপারিশ বা দাবী দাওয়া আসলো সেইগুলোতো বাস্তবায়ন করা লাগবে সেটা কে করবে? কর্তৃপক্ষ না করলে বা তার তত্ত্বাবধানে না হলে কীভাবে হবে?সেটাওতো প্রকাশ করতে হবে।
পোষ্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। কারো কোন দাবী ছাড়া এবিতেই পোষ্ট স্টিকি হয়। এবি আসলেই অনন্য। আসুন এই ব্লগটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।
পোস্ট স্টিকি হলে যে বক্সটা আসে এটা আমার কাছে ভালো লাগে না।মনে হয় ছাঁই দিয়ে মাখিয়ে দিসে পোস্টটাকে।অন্য রং ব্যবহার করলে ভালো হয়।
একটা নাটক দেখেছিলাম একদিন। সংসদ ভবন, ফুট ওভার ব্রিজ ইত্যাদি দেখিয়ে মশাররফ করিমকে জিগ্গেস করা হচ্ছে “ এগুলো কে তৈরী করেছে ? “। ওতো সিরিয়াস। উত্তর “ কতৃপক্ষ”।হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরার মতো অবষ্থা।......... মজার নাটক।
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাচ্ছে।
ঈদের সময় মাঝে মাঝে সেনা সদস্যদের সহায়তা নিয়ে ঢাকার ট্রাফিক কন্ট্রোল করা হতো... তেমনি একদিন...
ফার্মগেট মোড়ে একজন সেনা সদস্য দাড়িয়ে আছে...
রেজাল্ট: পুরা রাস্তা ফকফকা... কেউ উল্টাপাল্টা গাড়ি রেখে যানযট তৈরী করছে না...
মজার একটা গল্প বললাম
দারূণ মজার গল্প
এই বিষয়ক আলু ছানাই তো নাই!!
প্রথমে সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা । বেশ কয়দিন অসুস্থ থাকায় এখানে আসা হয়নি তাই অনেক লেখা মিস করলাম । আজ আপনার লেখাটা পড়লাম । ঠিক লিখেছেন হ্যাঁ এখানে এমন কোন উদ্দ্যেগ নেই কেন ? আজকাল প্রচারের যোগ প্রাচার করলেই তবেই না প্রসার হয় । । বেশী লিখতে পারছি না সুস্থ হলে নিয়মিত আসব ।
অতিথি জালাল ভাই হিসাবে অনেক কথা বলতে চাই।
বলা যাবে কি!
জালাল ভাই অতিথি ক্যান? বন্ধু হিসেবেই বলেন
বস... আলোচনার জন্যইতো পোস্ট... কথা না বললে আলোচনা চলবে কিভাবে?
জালাল ভাই অতিথি থাকবো না ক্যান?
সব বুঝেন কিন্তু কিছু করেন না! বন্ধু ভাবি ক্যামনে?
রিপোস্টের ব্যপারে একমত নই।
প্রকাশনীর ব্যপারে ই-বুক করা যেতে পারে নিয়মিত। পরে সেটা বই আকারে করলেও ভালো হয়।
ব্লগে প্রাণ ফিরে আসুক।
মূল্যবান মতামত এবং পোষ্ট এর জন্য তাতাপুকে থ্যাংকস্।
অসামান্য আপনার চিন্তা ভাবনা। নতুন করে কিছু আর বলাটাই বোকামী হবে। তবে একটা বিষয় মাথায় ঘোরে। আমার ধারনা, আমাদের বর্তমান সামাজিক অস্থিরতাই বলেন আর বেঁচে থাকার জন্য প্রতিপক্ষ সময়ই বলেন, এর কারনে আমরা মানুষগুলোও ইদানিং কেমন জানি বেশি বেশি অস্থির হয়ে যাচ্ছি। কমে যাচ্ছে স্বতস্ফুর্ততা। যার প্রভাব শুধু ব্লগেই না সবখানেই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে আমি সবসময়ই পজেটিভ ধ্যান ধারনা পোষন করি। বিশ্বাস করি, এই খারাপ সময়টা কেটে গেলে আবার হয়তো সব ঠিক হবে। কিন্তু তাই বলে সব কিছু বন্ধ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকার পক্ষেও নই একেবারেই। যদিও আমি আমাকে একজন সিজনাল ব্লগার হিসেবেই মানি, তারপরও বলি, কোন এক অজানা টানে হঠাৎ হঠাৎ হলেও শুধু এই একটি মাত্র ব্লগেই মাঝে মধ্যে ঢুঁ মেরে যাই। সেই ব্লগটির দুঃসময় দেখতে আসলেই ভাল লাগে না। আবার দুঃসময় বলিও বা কিভাবে, পুরোনো ব্লগারদের উপস্থিতি কম দেখলেও প্রতিদিনই অনেক নতুন (এই ব্লগে) ব্লগারদের লেখা দেখি এই ব্লগে। সেটা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। একটা বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আসলে শুধু কর্তৃপক্ষের উদ্যোগই কি যথেষ্ঠ নাকি শুধু ব্লগারদের উদ্যোগে সচল হতে পারে সব কিছু। আমার মনে হয় দুই দিকেরই স্বতস্ফুর্ততা প্রয়োজন আছে। আপনার কমেন্টের সাথে একমত যে জোর করে তা আনার কোন উপায় নাই। আমি বরং মনে করি কারও উপরেই কোন গুরুদ্বায়ীত্বের ভার না থেকে প্রত্যেকের উপরই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বায়ীত্বর ভার দেয়ার চিন্তা ভাবনা করার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য কর্তৃপক্ষকে একটু এগিয়ে থাকতেই হবে কারন তারা হচ্ছে বড় ভাইয়ের মত। যাই হোক সব অস্থিরতা কাটুক অতি তাড়াতাড়ি। ব্লগের স্যাঁতসেতে ভাব কাটুক অতি তাড়াতাড়ি। এই আশাটুকু রইলো।
আমি েতা চ্যাংড়া কিন্তু অবিবাহিত না- চলবে??!!..
যাক তাও একজন পাওয়া গেল
আছো ক্যামন?
জি আমি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের এরপরের আড্ডায় আওয়াজ দিয়েন..
ঠিক হ্যায়
তানবীরা তোমার সাথে একমত ।
যে কোন কিছুর মূল্যে ব্লগের গতি ফিরয়ে আনা উচিত। আমাদেরই সেটা বের করে সমাধান করতে হবে।
তোমার পোস্টমার্টেম এ কোন ভুল নাই। সিরিয়াস কিছু লিখতে চাচ্ছিলাম কিন্তু পারলাম না মনে হচ্ছে আড্ডাদেই।
আমি ব্যক্তিগত কারণে ব্লগ থেকে অনেক দূরে ছিলাম তবে ব্লগিং শুরু করলে আমরা বন্ধুতেই লিখবো ।
আমার কিছু প্রস্তাব/মতামত ছিলো ব্লগের বিষয়েঃ
১ ব্লগের আউটলুক আরেকটু ঝকঝকে করা কি সম্ভব ? লিঙ্কের লেখার ফন্ট কালার সবুজ না হয়ে উজ্জ্বল কোন কালার করলে আরো আকর্ষনীয় হত।
২ ব্লগে লেখা/ব্লগার সার্চ অপশন টা নাই। এটা যোগ করা জরুরী।
ব্লগে সাধারনত রাজনীতি, নাস্তিক/আস্তিক ক্যাচাল লাগলে ব্লগ জমে - আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তো সেরকম ক্যাচাল কি শুরু করবো ?
নিজ নিকে সুফি ভাষন দিবেন আর অন্য নিকে রিভার্স খেলতে পারেন।
ছাগু, ছাগু নিক নিয়ে রিভার্স খেলা .. ট্রাই করতে পারেন। অনেক ব্লগই এইটা করতেছে। ক্যাচাল প্রিয়তার কারনে আমরা আবার সেই সবে মজাও পাই
নিজের লগে না মিললে যে কাউরেই ছাগু ট্যাগ করতে পারেন
এইটা পুরান আইডিয়া । নতুন কিছু ভাবতে হবে ।
আমি ক্যাচাল চাই। এনি কাইন্ড অফ ক্যাচাল। হাসিনা - খালেদা অনেক হইছে এবার জয় - তারেক কিংবা তাদের পুলাপাইন জাইমা - ????
উদরাজী ও মারজুক দুইজনকেই মিস্করি। তাদের সসম্মানে ফিরিয়ে আনা হোক।
একমতের উপ্রে সহমত
হে মহান!!!!!!!!!!!
আপনি এই স্যাঁতসেঁতে ব্লগে প্রাণ ফিরিয়ে আনার মহান কান্ডারী !!!!
আপনি আরেকটি পোস্ট দিয়ে মারজুক আর উদরাজী কাকাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন!!
সিদ্দিকা কবীরের ভাত মেরে ওনাকে রুটি খাওয়াচ্ছে আমাদের উদরাজি ভাই। অন্য একটি ব্লগে প্রতি শুক্রবার ওনি রান্না শেখান। আমরা সে সব স্বাদ থেকে আজ বঞ্চিত
কিছু কড়ড়া কথা কৈতে আসছিলাম, দেখলাম রাসেল আর তানবীরাপু বৈলা দিছেন (পিঠচুল্কাচুল্কি আর গোষ্ঠীবব্ধতা)। যদিও এই কারনে ব্লগ ছাড়ি নাই। আমার ক্যাচাল ভালো লাগে, আর ক্যাচালের হবে বলে পাবলিক এখানে জুত মত ব্লগায় না, ক্যাচালপ্রন পোষ্ট থেকে ১০০ হাত দুরে থাকে, সো আমি মজা পাচ্ছিলাম না।
তবে সত্যি কথা হৈলো ক্যাচাল ছাড়া ব্লগ জমে না, গালি না দিয়ে ও পারসোনাল এটাক না করে ক্যাচালের চেষ্টা করা হোক। আমার ধারনা ব্লগ জমবে।
আরও যা যা দাবী আছেঃ
১। রিপোষ্টের অধিকার চাই।
২। ৫০ শব্দের কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
পারলে আহমেদ মারজুককে ফিরিয়া আনা হোক, হাজারহোক সেই প্রথম "স্যাতস্যাতে মুক্ত ব্লগের" প্রবক্তা। ঐরকম চরিত্র থাকলে ব্লগ জমতে বাধ্য।
আমি উদরাজী ভাইরে মিস্করি
আমিও মিস করি। গুলনাহার-সাহাবুদ্দিন নামা আহারে কী রোমহর্ষক পোষ্টটাই না ছিল
উদরাজী ভাইরে ফিরিয়ে আনা হোক। মোষ্ট আনপ্রেডিক্টেবল ব্লগারকে খুবই মিস করি।
আহ হা রে! বেচারা! মরেও বেচারা শান্তি পাবে।
আজ "আমরা বন্ধু" তে আমি এক্সেস পেলাম। আমার প্রথম কমেন্ট এই চমৎকার পোস্টে দিতে পেরে ভালো লাগছে। "আমরা বন্ধু" সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা পাওয়া গেল। বুঝতে পারলাম, এই ব্লগের ব্লগাররা ব্লগটাকে বেশ ভালোবাসেন। সবার সাড়া দেখে, মন্তব্যগুলো পড়ে তাদের অবস্থান এবং চাহিদা সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া গেল।
আমার ব্যক্তিগত চেষ্টা থাকবে আপনাদের সবার সাথে মিলে মিশে থাকার। সদ্যবয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত বালকের মত "দিশাহীন" অবস্থায় থাকা ব্লগটিকে আমরা সবাই মিলে সাপোর্ট দিয়ে গেলে "এবি" সময়মত আপন যোগ্যতায় দম্ভভরে দাঁড়াতে পারবেই।
আর, "অবিবাহিত, চ্যাংড়া, আজাইরা পোলাপান"দের দল ভারি করলাম। তানবীরা আপু, একটা থ্যাঙ্কস দ্যান।
থ্যাঙ্কস থ্যাঙ্কস থ্যাঙ্কস
বাহ ব্লগে তো পুরা পার্টি টাইম চলতেছে
আহা এমন করে বললে কেউ না এসে পারে!
পার্টি চলুক।
তানবীরা আপুর বক্তব্যকে সমর্থন করছি ।
যদিও আমি পাঠক মাত্র ।
আগে একবার পড়ে গিয়েছিলাম, মন্তব্য করিনি। পাঠক হিসাবে বলতে চাই-
১। সরাসরি রিপোস্টে আপত্তি জানালাম। মৌলিক লেখা পড়তে আগ্রহী। তবে পুনঃসম্পাদিত লেখা দেয়া যেতে পারে।
২। রিভার্স নিকে ব্লগিং এইখানে চালু করা উচিত হবে না। সত্য কথাটা জানার পর পাঠক হিসাবে প্রতারিত মনে হয় নিজেকে। একইভাবে মাল্টি নিকে ব্লগিং কেন যেন মেনে নিতে পারিনা।
৩। একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত পরমতসহিষ্ণুতা প্রয়োজন। কাউকে ভাল নাও লাগতে পারে, কিন্তু সেটা সব মন্তব্যে/আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে পড়লে একঘেয়ে লাগে।
৪। ব্লগ জমে ব্লগারের লেখার কারনে, ক্যাচাল বাঁধিয়ে ব্লগ জমানোর কী দরকার? ব্লগে গুণগত মান একটা বড় ফ্যাক্টর। এবিতে যখন প্রথম আসি, গুণগত মানে এটাকে প্রথম দু'তিনটা ব্লগের একটা বলে মনে হয়েছিল, আর এখন....... । উত্তরণের পথ মনে হয় একটাই - কোয়ালিটি লেখা দেয়া। সচলায়তন বড় উদাহরণ, সবসময় কোয়ালিটি মেইনটেইন করেছে, তাই কোয়ালিটি ব্লগার/পাঠক পাচ্ছে।
৩। মন্তব্য করাটাও ব্লগিং এর একটা অংশ। সামুতে রাশেদ নামে একজন ব্লগার ছিলেন, যিনি বিখ্যাত ছিলেন তার মন্তব্যের জন্য। সামুর পুরনো যত পোস্ট পড়েছি, তার প্রায় সবগুলোতেই তার মন্তব্য পেয়েছি। পছন্দের লোকের পোস্টে মন্তব্যের বন্যা, কিন্তু অপছন্দের লোকের ভাল পোস্টে মন্তব্য করবো না - এমন অবস্থা হলে অপছন্দের লোকটা এখানে আর পোস্ট দিতে ইচ্ছুক হবে না। নতুন নতুন পোস্টের চেয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ/ভাবনাউদ্রেককারী মন্তব্যের প্রয়োজনীয়তা বেশি।
৪। একদম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছাড়া সদস্যদের পোস্ট দিতে বারংবার অনুরোধ করাটা কেমন যেন লাগে। ব্লগে মানুষ লিখে নিজের উদ্দীপনা থেকে, কিন্তু সেটাকে তাগাদা দিয়ে আদায় করাটা একটু অন্যরকম।
৫। একজন নতুন ব্লগার আরেকজন নতুন ব্লগার তৈরি করে। সচলায়তনে এরকমভাবে বেশ ক'জন ব্লগার তৈরি হতে দেখেছি। এবিতে এমন আছেন কি? তাই শুধু নিজেই লিখবেন না, নিজের পরিচিত জনকে উৎসাহিত করুন লিখতে।
৬। প্রত্যেক ব্লগে এক বা একাধিক ড্রাইভিং ফোর্স থাকে। নুশেরা আপুর অনুপস্থিতি বা মাসুম ভাইয়ের ব্যস্ত হয়ে পড়াটা এবির স্যাঁতসেঁতে ভাবের একটা কারন হতে পারে।
৭। নুশেরা তাজরীনকে অনেক মিস করি, তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। ভাস্করদা, রাসেল পারভেজ, বাফড়া, বিষাক্ত মানুষ, মেসবাহ ভাই এদের লেখা পড়তে চাই।
এবি সবসময়ই ছোট ব্লগ থাকবে মনে হয়, কিন্তু বন্ধুসুলভ পরিবেশটা যেন নষ্ট না হয়, অর্থহীন পোস্টে যেন ভরে না যায় প্রথম পাতা - শুভাকাঙ্খী হিসাবে এই কামনা সবসময়ের।
- আমি গ্যালারীতে আছি।
বাপ্রে আজকে অনেকদিন পর এবিতে লগইন করতে পারলাম!!! আপনার পোষ্টের টানেই পারলাম বোধহয়।
আসলে নেটকাল খারাপ যাচ্ছে আমার। অফিসের 'আগুনবেড়া' কাটিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব, আমু, এবিসহ আরো কয়েকটা সাইটে ঢোকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
মাঝে মাঝে ফাকতালে ঢুকে পড়ি চোরাইপথে। আজকেও চেষ্টায় সফল হলাম।
এই লেখাটা একটানে পড়লাম। মনে হয় দারুণসে দারুণ একটা আলোচনা পড়লাম অনেকদিন পর। অনেকগুলো পুরোনো মুখ একসাথে দেখলাম আবারো। সব মিলিয়ে এই পোষ্টের কৃতিত্ব অনেক। এবি ব্লগের ঢিমে তালে চলার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরাট একটা অংশই হাজির। আমি নিজেও তাদের একজন
ব্লগ হলো একটা মেলার মতো। মেলা তখনই জমজমাট থাকে যখন কেনাবেচা দুটোই সমানতালে চলে। ব্লগের আনন্দমেলাও তাই। এই ব্লগের ইন্টারফেস আমার পছন্দের। সবগুলো ব্লগের মধ্যে সচলায়তন আর এবির সাদামাটা চেহারাই ব্যতিক্রম। এই্ ব্লগের মানুষগুলো রসিক। গোমড়ামুখো আলোচনা এখানে তেমন হয় না। আড্ডাই সবচেয়ে বেশী হয়। তিনজনে আড্ডা দিয়ে একটা পোষ্ট শতাধিক কমেন্ট সমৃদ্ধ করেছে তেমনও নজীর আছে। মূল টপিক থেকে একশো মাইল দূরে সরে গিয়েও আড্ডাবাজি হয়েছে তেমন নজীরও আছে। তবু এই ব্লগ ঠিক জমেনা বলে অভিযোগ আছে।
কারণটা কি? এখানে গড়ে পাচজনের বেশী সদস্য কখনো লগইন থাকে না। সবাইকি ব্যস্ত? ফেসবুকে সময় দিতে পারলে এখানে দিতে পারে না কেন? আমার মতো 'আগুনবেড়া'র সমস্যা আছে সবার?
পাড়ায় আমাদের বন্ধুবান্ধবের একটা দল ছিল নিয়মিত আড্ডার। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ জন আড্ডায় থাকতোই। কিন্তু একটা একটা করে বিয়া করতে শুরু করলো মেম্বরগন, আড্ডার সাইজ ছোট হতে শুরু করলো। দৈনিকের জায়গায় সপ্তাহিক হাজিরা শুরু হলো। তারপর বাচ্চা হলো, মাসিক হাজিরাও দেখা যায় না। এখন দশ বছর পর দেখা যায় আড্ডা দেবার মতো একজনও অবশিষ্ট নাই।
এখানেও কি তাই হলো? নাকি সবাই চায়, সে গেলে আমিও যাবো, ও নাই তো আমি নাই। জাতির বিবেক কি বলে?
সোশ্যাল ব্লগিং কালচার বাংলাদেশ অনলাইন সংস্কৃতির সবচেয়ে পরিচায়ক হয়ে উঠেছে , সে ব্যাপারে এখন আর কোন সন্দেহই নেই। পৃথিবীর আর কোন দেশে সোশ্যাল ব্লগিং এতটা জনপ্রিয় কিনা (এমনকি আদৌ আছে কিনা) সেটা আমার জানা নেই ।
ব্লগগুলি আমাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে এখন অনেকাংশেই ধারণ করে। একটা ব্লগের জন্মের পর থেকেই সেটার বিবর্তনের ধারাটাও এখন মোটামুটি স্ট্যাবল একটা প্যাটার্নে ফেলা যায় ।
দেখা যাক জনপ্রিয় ব্লগগুলিতে কি চলছে (নিজের ব্লগের বিবর্তনের রাশ টানতে এগুলোর প্যাটার্নের দিকে চোখ রাখাও জরুরী)। একটি ব্লগ নিয়ন্ত্রণের অভাবে কাঁচাবাজার, যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। অন্য একটি ব্লগ সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রবল স্বৈরাচারী, যেখানে পিঠচুলকাচুলকি ছাড়া অন্য যে কোন মতামতকে গলাটিপে বস্তায় ভরে হত্যা করা হয়। আরও দু'তিনটি ব্লগ আছে , যেগুলোকে ব্লগ না বলে মাঝে মাঝে রাজনৈতিক দলের অনলাইন অঙ্গসংগঠন বললেই বেশি মানানসই হয়।
ব্যাক্তিগত ধারণা থেকে বলি , এসবের বিপরীতে দু'টি ব্লগকে (নামোল্লেখ করেই বলি) দেখেছি , এখন পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন ছিমছাম পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে , এর একটি হল আমরাবন্ধু , অন্যটি চতুর্মাত্রিক । কিন্তু এর মাঝে চতুর্মাত্রিক দিনদিন কলেবরে বৃদ্ধি পাচ্ছে আর আমরাবন্ধু সংকুচিত থেকে আরও বেশি সংকুচিত হচ্ছে । কয়েকটা কারণ উল্লেখ না পারছি না:
১। ব্লগগুলো ইদানিং সিটিজেন জার্নালিজমের কনসেপ্টটা ভালভাবে আয়ত্ত্ব করছে যেখানে , আমরা বন্ধুতে সেটার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। ব্লগ মানে যতটা না গল্প কবিতা , তার চেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ চলমান অবস্থার উপর আলোকপাত। একটা লেখা গল্প-কবিতা হলে সেটা মৌলিক কিনা তর্ক হতে পারে , কিন্তু সমসাময়িক কোন ঘটনা নিয়ে যখন লিখব , সেটা কি করে মৌলিক/যৌগিক প্যাটার্নে ফেলা যায় ? এসব লেখায় সবাই আলোচনা চায় , আমরা বন্ধুতে আলোচনা করার মত যথেষ্ট মানুষই নেই বলে এখানে কেউ সেসব প্রকাশ করেন না(প্রকাশ করার দু'দিন পর আলোচনার বিষয়বস্তু গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে , তখন সেটাকে অন্য কোথাও প্রকাশ করাও অর্থহীন হয়ে পড়ে) । কাজেই আমার মনে হয় মৌলিক লেখা/রিপোস্টের এই বিধানটি নিঃশর্তভাবে রহিত করা উচিত।
২। ব্লগের ইন্টারঅ্যাকশনের প্যাটার্নটা অনেক সময় ইচ্ছে করেই বদলে দেয়া উচিত । সবচেয়ে বড় ব্লগে যখন নিয়মিত যেতাম , সেসময় সেখানে অনেক গ্রুপ ছিল (বেশিরভাগই বন্ধুত্বের সূত্রে , কোনকোনটি রাজনৈতিক সূত্রে) । স্বাভাবিক ভাবেই এক গ্রুপের লোক অন্য গ্রুপে অস্বস্তি বোধ করে। নতুন কোন সদস্য যখন আসে , তার ভেতর অস্বস্তিটা আরও বেশি হয় । কাজেই অভিনয় করে হলেও নিজেদের সম্পর্কটা খানিক ফর্মাল করে দেখানো যেতে পারে ।একটা ব্লগের জন্ম দেয়া বেশ কিছু সদস্যকে জানি যারা ব্যক্তিগত জীবনে একই পরিবারের , কিংবা বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ । কিন্তু ব্লগে তাদের ইন্টারেকশন দেখলে চট করে কিছু ধরে ফেলা কঠিন । নতুন সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই তখন নিজেদেরকে ব্লগের অংশ হিসেবে দ্রুত ভাবতে পারে । নতুনদের এই ইম্প্লিসিট আতঙ্ক দূর করার এই ব্যাপারটাও
সিরিয়াসলি ভেবে দেখার অনুরোধ থাকল
ধন্যবাদ তানবীরা এবং আলোচনায় অংশ নেয়া সকল ব্লগারদের। কর্তৃপক্ষ সবসময় ব্লগারদের মতামতকে এবি'র সমৃদ্ধির পথে পাথেয় হবে বলে মনে করে।
যারা আলোচনায় অংশ নিয়ে আমরা বন্ধুর সফলতার বিষয়ে নিজস্ব ভাবনা তুলে ধরেছেন আপনাদের কাছে আমরা বন্ধু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে। ভালবাসা বহমান থাকুক প্রতিটা মুহূর্তে।
হ্যাপী ব্লগিং
এখনও তো এই ঝামেলা আছে বলেই মনে হচ্ছে!
" লেখা আর লেখককে মিলাতে আমি নারাজ। একটা লেখক অনেক মুড থেকেই একটা লেখা লিখেন। প্রত্যেকটা লেখা লেখকের চরিত্রকে ধারন করে, তাই কি?
যারা সামনাসামনি বসে আড্ডা দেন তারা সবাই আপন বন্ধু, সৎ মনে সমালোচনা করেন আর যারা অন লাইন থেকে নিজের মতামত লিখেন তারা পর বন্ধু, কূট চিন্তা থেকে মন্তব্য করেন এই চিন্তা ভাবনাটাও হাস্যকর লাগে।" - একমত।
মন্তব্য করুন