মেঘের দেশে'এর ব্লগ
শিরোনামহীন দিনলিপি ১
প্রায় আট বছর পর আবার শিরোনামহীন দিনলিপি লিখতে বসলাম। কেমন আছেন সবাই? এই আট বছরে কত কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, মানসিকতা, লেখার অভ্যাস কত কিছু। ব্যস্ত সময়ে করনা এসে অলস বানাই দিল। একটা সময় বাংলা লেখা কত সহজে লিখতে পারতাম আর আজকে এতটুকু লিখতেই খেই হারায় ফেললাম। ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার না করে বাংলা লিখাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে।
হয়ত এইটাই আবার শুরু .........
শিরোনামহীন ৮
অ-নে-ক দিন পর লগইন করলাম। পড়া হয় প্রতিনিয়তই কিন্তু বলা হয় না কিছুই। কাজকর্ম নাই হঠাৎ কইরাই সামারের মধ্যে শীতনিদ্রায় চইলা আইছি। কারন তেমন কিছু না শুধু অলিম্পিক ২০১২। ব্রিটিশরা পাগল হইয়া গেছে। জুতা থিকা শুরু কইরা মাথার ক্যাপ সবকিছুতেই অলিম্পিক।যারা আমার আগের শিরোনামহীন প্যাচাল পড়ছেন তারা জানেন কি পরিমান আজাইরা এই লেখা !
অলিম্পিকে সবকিছুতেই কপিরাইটের বাড়াবাড়ি রকমের ব্যবহার , এমনকি '' ২০১২ '' সংখ্যাটাও কপিরাইটের মধ্যা পড়ছে। ( আবার না আমারে কপিরাইটে ফালায় দেয় কে জানে ) তো আমার রেস্টুরেন্ট অলিম্পিক ভেন্যুতে পড়ছে তাই ম্যানেজার প্ল্যান করছে টিম জিবি এর টি-শার্ট পড়াইবো সব কামলাগো। কিন্তু আমি হইলাম পুরা '' মেড ইন বাংলাদেশ '' তাই যথারীতি বিরোধিতা করলাম আর কইছি সবাই যদি টিম জিবি পরে তো আমি পড়মু টিম বিডি এর টি-শার্ট। ( কিন্তু বিডি টিমের যে হাল ওনারাতো মাঝে মধ্যে ট্রায়ালেই ফলস টাইমিং করে
) পরে না আবার
( হয় । যাইহোক পড়মু যখন কইছি তখন পড়মুই।
প্রবাল দ্বীপ - ২ ( রহস্য গল্প )
প্রথম পর্ব
১
বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা টু লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে লন্ডন যাচ্ছে অভি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কালচারাল উপদেষ্টা হিসেবে নতুন জয়েন করেছে সে। অন্য কারো জন্য এই চাকরিটাই হতো সোনার হরিণ কিংবা লক্ষ টাকায় কেনা নিজস্ব সম্পত্তি।
প্রবাল দ্বীপ - ১ ( রহস্য গল্প )
১
বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা টু লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে লন্ডন যাচ্ছে অভি। বাংলাদেশ দূতাবাসের কালচারাল উপদেষ্টা হিসেবে নতুন জয়েন করেছে সে। অন্য কারো জন্য এই চাকরিটাই হতো সোনার হরিণ কিংবা লক্ষ টাকায় কেনা নিজস্ব সম্পত্তি।
শিরোনামহীন ৭
রাত গভীর , এলোমেলো মন , হেডফোনে গান বড়ই নস্টালজিক হই।
সারাদিনের উইকএন্ডের ভীড় পিছু ফেলে অলস সময় বিছানায়। কি করবো বুঝতে পারি না। কবি হলে নাহয় কবিতা লিখতাম।
কেউ জেগে নেই যে গল্প করবো আছে শুধু পাশের বাগানবাড়ীর শিয়ালগুলা ।
ঠান্ডা আবহাওয়া ঘুমানোর আদর্শ পরিবেশ কিন্তু ইচ্ছে করেই ঘুমকে পরাজিত করা। কেন????
সারাদিনের আদর্শ কামলা দেয়ার পর কলিগদের সাথে ঠান্ডা বিয়ারের গ্লাস আর হাতে আধপোড়া সিগারেট মনে হয় এইতো জীবন । ক্যামেরা হাতে যখন মানুষের হাসিমুখ গুলা বন্দী করি মনে হয় এইতো জীবন। বাসায় ফিরে নিত্য নতুন খাবার রান্না করে রুমমেটদের নিয়া আড্ডা দিয়া খাওয়া আহা এইতো জীবন। সপ্তাহ শেষে যখন ব্যাংক একাউন্ট মজুরী দিয়ে ভরে যায় তখনইতো জীবন।
শিরোনামহীন ৬
খুব অস্থির একটা সময় যাচ্ছে , ডিজুস অস্থির না সময়ের অস্থিরতা । রোবোটিক জীবনে মন বলে যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও কেমন জানি থমকে আছে। নিজের সম্পর্কে আমি একটা কথাই মনে করি '' উদ্দেশ্যহীন পথচলা , যেন পানিতে ভেসে থাকা খড়কুটো '' । এতো দিন মনে হয় পঁচা বুড়িগঙ্গায় নাক বন্ধ করে ভেসেছি আর ধীরে ধীরে পথ চলেছি আর এখন মনে হচ্ছে সমুদ্রে আছি তবে ভেসে নয় হাবুডুবু অবস্থায়।
অনেকদিন পর আসলাম এবিতে । ভালো আছেন সবাই???? উপরে লেখা প্যারাটা আসলেই এখনকার আমি। কোনো দিক পাচ্ছি না।
শীত চলে আসছে , সবুজের পাহাড় হয়ে যাচ্ছে অন্তঃসার শূণ্য।
পুরানো শখের নতুন একটা ক্যামেরা কিনলাম কিন্তু তারপর থেকেই লন্ডনের মন খারাপ হয়ে গেছে , সারাদিন শুধু কান্দে। যাও একটু হাসে তাও পাইনা কোনো জীবন্ত সঙ্গী।
কি লিখবো , লিখছি ?? কি জানি !!
একটা রিকশার বদলে একটা টয়োটা গাড়ী আর নিজের পয়সায় নিজের গ্যাস
১। আর কত বিশ্বব্যাংক , আই এম এফের পা চাটবো ????
ওরা বললো যানজটের কারন রিকশা সুতরাং রিকশা উঠাও । অথচ যানজটের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য শীর্ষ দশ শহরে ঢাকার নাম নাই । লন্ডনের যানজট ঢাকার চেয়েও জঘন্য কই তারপরও দেখি নাতো এইখানে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের মাতবরী????????
আমরা কি ভেবে দেখেছি একটা রিকশার জায়গায় কি সুন্দরভাবে একটা জাপানি টয়োটা জায়গা নিছে ঢাকার রাস্তায় ??? জাপান বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সবচেয়ে বড় টাকার যোগানদার আর জাইকার সুদের টাকা ছাড়াতো আমাদের বড় সব প্রজেক্ট হয় না । একটা টয়োটা আসলে কি যানজট কমে না জাপানের কিছু পয়সা রোজগার হয়??????
শিরোনামহীন ৫
অনেক দিন পর একটা ডে অফ পাইছিলাম আজকে কিন্তু সকাল বেলায় দৌড়াইতে হইছে ক্লাসে তারউপর সকালবেলার পিক আউয়ারে ট্রেনের সিগন্যাল ফেইল হইয়া লাইনের উপর ঝুইলা ছিলাম ( বান্দরের মতো না
) । দেশে থাকতে দূপুর বেলায় গরমগরম পরোটা পাইতাম নাস্তা হিসেবে আর লন্ডন আসার পর সকালের নাস্তা কি ভুইলা গেছি
সকালে এখন আমার সংগি একটা স্নিকার বার আর রেডবুল নামক পানীয় যেইডা ঘুম থেকে আমার বিচ্ছেদ ঘটায়
তারপর ক্লাসের বিরতিতে ডাবল এসপ্রেসো ( তিতা )।
হারিয়ে ফেলা
ব্যস্ত শহরে ঠাস বুনটের ভীড়ে , আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে ফিরে..............মোবাইলের রিং টোনে ঘুম ভেঙে যায় রিফাতের । ম্যানেজারের কল, বিরক্ত হয়ে কেটে দেয়। সময় দেখে দূপুর ২টা , মাথাটা ভারী লাগে হ্যাংওভারের ধকল এখনো আছে। কাল রাতে ওর প্রিয় হুইস্কি জ্যাক ডেনিয়েলের বোতল প্রায় শেষ করেছে । জ্যাক ডেনিয়েলের সংক্ষিপ্ত নাম ' জে ডি ' মনে পরতেইচোখ ভিজে উঠে। জে ডি ওর অনেক প্রিয় একজন মানুষের নাম.......ছিল। জেনিফার দিপ্তি সংক্ষেপে জে ডি।
বিছানায় শুয়ে শুয়েই সিগারেট ধরায় আর ভাবে , ভালোই চলছিল সব । একই শহরে থাকতো ওরা । পরিচয় ফেসবুকে , তারপর কথা বলা , ডিনার করা , ঘুরে বেড়ানো , সিনেমা দেখা .,,,,,,অবশেষে ভালো লাগা।
শিরোনামহীন ৪
আমার কাজিনের কিচেন সরি চিকেন পক্স উঠছে তো আমার আরেক ফ্ল্যাটমেট বাসা ছেড়ে এক সপ্তাহের জন্য ভাগছে কারন তার নাকি আগে কখনোই পক্স হয় নাই তাই সে বুই পাইছে
লন্ডনের চেলসিতে প্রিন্স হ্যারির নেংটা কালের বন্ধুর নাইট ক্লাবের উপর বিধিনিষেধ জারি করছে লোকাল কাউন্সিল , স্থানীয় জনগনের অভিযোগের কারনে। আমাদের দেশের গনতান্ত্রিক যুবরাজগনের ( ! ) বন্ধুদের ক্লাব নিয়া এইসব করলে সবার গন্তব্য হবে বান্দরবান
মেয়েদের মন নাকি স্বয়ং সৃস্টিকর্তাও বুঝতে পারে না আর আমার মনে হয় লন্ডনের আবহাওয়া বোঝার সাধ্যও কারো নাই। দুপূরে কড়া রোদ বের হইছি জ্যাকেট ছাড়া তাও ঘামছি আর রাতে ফিরছি কাপতে কাপতে
লন্ডন আসার আগে কত কি নিয়া আসছি হুদাই ..কলম টলম কতকিছু আর এখন দেখি পাউন্ড শপে
শিরোনামহীন ৩
চলছে গাড়ী যাত্রাবাড়ী ..............................আর চলছে প্যাচাল দিন রাত্রি।
জলজ্যান্ত একটা দূর্ঘটনা দেইখা ফেললাম। ব্যলকনিতে বইসা ছিলাম ( হাওয়া খাওয়ার জন্য না
বিড়ি খাওয়ার জন্য ) হঠাৎ দেখি পো পো সাইরেন তুইলা ঠোলার গাড়ী চেজ করতেছিল আরেকটা গাড়ীরে ..।ঐ গাড়ী আবার আমার বাসার সামনের রাস্তা পার হইতে গিয়া আরেকটারে লাগায়া দিছে .....ফলাফল আমার কাজে দেরী ..........কারন রাস্তা বন্ধ কইরা গাড়ীর ছাদ কাটতেছিল ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা।
আগে শুনতাম ব্রিটিশরা নাকি দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে ভদ্র জাতি তবে এখন মনে হয় কথাটারে একটু এডিট মারতে হইবো '' ব্রিটিশরা দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে ভদ্র জাতি ছিল তবে তারা তাদের অতীত ভুলে গেছে ''
শিরোনামহীন ২
দুই বছর ধইরা লন্ডনে থাকার পরও এখন নাকি আবার ইংরেজী জানি কিনা তার পরীক্ষা দেওন লাগবো
তাই দিয়া আসলাম আই ই এল টি এস পরীক্ষা
সকাল বেলার আরামের ঘুম হারাম কইরা গেলাম তবে গিয়া লাভ হয় নাই .................ঘুমাইতে ঘুমাইতে পরীক্ষা দেয়ার ফলসরূপ লিসেনিংয়ের প্রথম কয়টা প্রশ্ন উত্তর হাওয়া
লাভের মধ্যে লাভ হইলো স্পিকিং এ মহিলা এক্সামিনারের লগে ভালোই গেজাইলাম
ফাউয়ের উপর পিজা হাটের দাওয়াত দিয়া দিলাম
দেশের খবরাখবর জানি নিয়মিত পত্রিকা আর ব্লগ পড়ার কারনে আর বন্ধুদের যত হতাশা যানজট ( ওরা যদি লন্ডনের চিপা রাস্তার যানজট দেখত ) নিয়া নেটের স্পিড নাকি বাড়ছে তবে এইখানে ৭ mbps পাওয়ার পরও যখন কল সেন্টারে স্পিড নিয়া আজাইরা গেজাই তখন মনে হয় কূয়ার ব্যাঙ সমুদ্রে পড়লে নাকি কয় সাগরের পানি লোনা কেন
শিরোনামহীন
সারাদিন বিছানায় , মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা , ভদ্র ভাষায় মাইগ্রেন পেইন। দামী ডাক্তারের দেয়া ফ্রি প্রেশক্রিপসনের আনন্দ মুহূর্তে উরে গেছে দামী ঔষুধের কারনে । আগে ঔষুধ কাজ করতো এখন তাও করে না মনে হয় হার মেনে গেছে। ক্লাশ , এসাইনমেন্ট , কাজ আরো অনেক ঝামেলার ভীড়ে মাথা ব্যাথা অনেকদিন আসার সুযোগ পায় নাই তবে আজকে তার শক্তির কাছে হেরে গেছি।
সারাদিন বিছানায় শুয়ে রেস্ট নিতে ভালোই লাগে তবে যখন ২০ ঘন্টা কাজের পারমিট থেকে ৭ ঘন্টা চলে যায় আজকের সিক কলে সাথে ডেলিভারী শপের বিরিয়ানী বিল যায় ১০ পাউন্ড তখন মাথার সাথে সাথে ওয়ালেটেও কিন্চিৎ প্রেশার পড়ে।
আধো ঘুম আধো জাগ্রত , ল্যাপটপে চলা গান সাথে ছোট ব্যালকনিতে বসে সিগারেট কেমন জানি নষ্টালজিক ব্যাপার স্যাপার , ভালোই একদিনের জন্য ভাবের জগতে হারায় যাওয়া খারাপ না।
একটা যৌতুক নেন সরি কৌতুক শোনেন
একবার এক পত্রিকায় শিরোনাম হইলো '' পুলিশের গু খেয়ে বক নিহত ''
পরদিন এইটা নিয়া ব্যপক আলোচনা সারাদেশে .........কেমনে কি হইলো ??? পুলিশের ক্রসফায়ারে পোলাপান মারা যাইতাসে কিন্ত গু খাইয়া বক কেমনে মরে ??????? আজিব !!!!!!!
পরদিন সেই পত্রিকা আবার হিট.......
''গতকালের শিরোনামটি
আসলে হবে ''পুলিশের গুলি খেয়ে যুবক নিহত ''
আমাদের এই অনাকাংখিত '''''''পাছার ''''''' ভুলের কারনে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি ।
যারা এখনো বুজবার লাগেন নাই তাগো লাইগা ..ঐটা হইবো ''''ছাপার '''' ভুল......বুজ্জইন।
আমার বাংলা ভাষা আমি তোমায় ভালোবাসি
আগেই বলি , আমি আমার মনের কথা লিখতাছি , কারো ভালো নাও লাগতে পারে তাহলে আমার কিছু করার নাই ..।
প্রথম যখন মোবাইল কিনি তখন এসএমএস আসলেই আগ্রহ নিয়া খুলতাম ।কিন্তু মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হইয়া যাইতো হিন্দিতে কেউ মেসেজ দিলে ...সরাসরি ডিলিট মারতাম । সেই ভুত আজো ছাড়ে নাই ।
আজকাল কার পোলাপাইন এর এই একটা বেকুবিপানা বুঝি না
যে কথা নিজের ভাষায় অনেক সুন্দর করে বলা যায় সেইটার জন্য কেন অন্য ভাষা ধার করা ????????????? যেখানে ইন্ডিয়ার মানুষ আজকাল হিংলিশ ব্যবহার করে হিন্দিকে বিলুপ্ত করতাসে সেইখানে আমরা কেন হিন্দি ভাষাকে টিকাইয়া রাখার দায়িত্ব নিচ্ছি ????????????????????????????