শিরোনামহীন ২
দুই বছর ধইরা লন্ডনে থাকার পরও এখন নাকি আবার ইংরেজী জানি কিনা তার পরীক্ষা দেওন লাগবো
তাই দিয়া আসলাম আই ই এল টি এস পরীক্ষা
সকাল বেলার আরামের ঘুম হারাম কইরা গেলাম তবে গিয়া লাভ হয় নাই .................ঘুমাইতে ঘুমাইতে পরীক্ষা দেয়ার ফলসরূপ লিসেনিংয়ের প্রথম কয়টা প্রশ্ন উত্তর হাওয়া
লাভের মধ্যে লাভ হইলো স্পিকিং এ মহিলা এক্সামিনারের লগে ভালোই গেজাইলাম
ফাউয়ের উপর পিজা হাটের দাওয়াত দিয়া দিলাম
দেশের খবরাখবর জানি নিয়মিত পত্রিকা আর ব্লগ পড়ার কারনে আর বন্ধুদের যত হতাশা যানজট ( ওরা যদি লন্ডনের চিপা রাস্তার যানজট দেখত ) নিয়া নেটের স্পিড নাকি বাড়ছে তবে এইখানে ৭ mbps পাওয়ার পরও যখন কল সেন্টারে স্পিড নিয়া আজাইরা গেজাই তখন মনে হয় কূয়ার ব্যাঙ সমুদ্রে পড়লে নাকি কয় সাগরের পানি লোনা কেন
প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়া সাইফুরসের একটা এ্যাডের কথা মনে পইড়া গেছিলো '' ইংরেজিতে কাশি দিলেই নাকি চাকরিটা হইয়া যাইতো '' কাশি দিতে হয়নাই এমনিতেই চাকরি পাইছিলাম ।
শিক্ষাজীবনে মানে স্কুল আর কলেজ এ ইংরেজি যা জানতাম তার বাইরে কোথাও ইংরেজি তেমন শিখি নাই ( স্কুল , কলেজ এ কেমনে যে পাশ করছি
) মানে কোথাও ইংরেজিতে কাশি দেয়া শিখতে যাই নাই
এখন ভাবি আমাদের দেশে মানুষজন এইসব ইংরেজি শিক্ষা কেন্দ্র নামক কাশি সেন্টার গুলায় কি শিখে ( ! ) ( আমার ব্যক্তিগত মতামত ...কিছুই না )
এইদেশের ইংরেজী এখন অনেকটা জগাখিচুরীর মতো , এলাকাভিত্তিক স্ল্যাং মিশে একাকার ।
লন্ডনের একটা সুবিধা হলো টাটকা বাংলাদেশী জিনিসপত্র পাওয়া যায় কিন্তু সেইগুলা আমার জন্য না কারন থাকি বাংলা পাড়া থেকে দূরে ,ব্যস্ততার কারনে তেমন একটা যাওয়া পরে না তাই সম্বল হইলো সব ফ্রোজেন মাল । মাঝে মধ্যে বাসার নিচের গ্রীল শপে অর্ডার করি কিন্তু ওদের আধা সিদ্ধ মুরগীর গন্ধে হারাইয়া যায় মন ছায়ানীড়ের গ্রীলে , মালন্ঞের তান্দুরীতে , স্টার কাবাবে কিংবা মোস্তাকিমের চাপে যেমন ফ্রোজেন পুরি ভাজার সময় মনে পরে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়া মামার দোকানের পুরি খাওয়া
এ যেন শিরোনামহীনের ক্যাফেটেরিয়া ক্যাফেটেরিয়া
যাই হোক অনেক গেজাইলাম আবার হয়তো লিখব আমার অলস দিনলিপি ।
মেঘের দেশে ।
ফ্রেশ জিনিসের স্বাদও বেশী , দামও কম।
স্বাদের কথা ভুইলাই গেছিরে ভাই
একটা জিনিস ভাইবাই ভাল্লাগতাছে; যতোগুলা খাওয়ার দোকানের কথা কইলেন শেষে, সবগুলায় খাইছি
আর কইয়েন নারে ভাই জিহ্ববা নোনতা হইয়া যাইতাছে

ইংল্যাণ্ডে আছেন তাদের ব্যবসার স্টাইলডা তাইলে ঠিকই খেয়াল করছেন। হেগোরে কয় শপ কীপার নেশন। আসল ব্যবসায়তো জার্মানী টাইপের দেশের লগে কোন ঠাসা। এখন দুই দিন পর পর আইইএলটিএস পরীক্ষা, বাংলাদেশের মতো ইংরেজী ডিগ্রীর মোহে অন্ধ দেশ থাইক্যা ছাত্র আমদানী এই সব কইরা খাইতাছে আর কি ! গ্রাজানী ভালাই লাগছে।
তা ঠিক বলছেন ।
মাইর দিলেন

হু! বাঙ্গালীর কুনু শুকরিয়া নাই। ৭ mbps স্পীড পাইয়াও নাই
শুকরিয়া আছে তবে দেয়ার কথা ছিল ১৫ mbps এর তাই একটু হালকা গালি বর্ষন করা হয় মাঝে মাঝে

ওহ! তাইলে ঠিকাছে
সুখী ব্লগ, পড়তে ভালো লাগে
তাই নাকি আপু ?? শুনে ভালো লাগলো।
গ্যাজান ই ভাল লাগলো।
ম্যালাদিন মালঞ্চে যাওয়া হয় না
খিদা লাইগা গেল
নেন পিজা খান
ধুর ছবি এইডা কি আইলো

ভাইজান দেশে আইসা এবি'র গেট টু গেদার পার্টি দেন পিজা হাটে।
পিজা হাটের পিজা ভালো না .....................লোকাল শপের পিজা অনেক ভালো

যেই ছবি দিসেন এইটা ভালো হওয়ার কথাও না। আপ্নে এক কাজ কইরেন পিজা হাট, লোকাল দুইটাই খাওয়াইয়েন। আমরা খাইয়া বলবো কোনটা বেশী ভালো।
মন্তব্য করুন