ইউজার লগইন

একজন শেলীর গল্প

প্রতিদিনের মত নয় আজকের দিনটা । সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। বর্ষার মাঝামাঝি সময়। গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হছে । সেই সকাল থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ে ঝিম ধরে গেছে । শুভ আসবে বলেছিল সকাল আটটায় , এখন বেলা একটা বেজে গেছে । কখন আসবে তার কোন পাত্তা নাই।
সিদ্ধান্ত টা কি তাহলে ভুল ছিল। হবে হয়ত , জীবনের সব সিদ্ধান্ত কি নির্ভুল হয়? মনের মাঝে কেমন যেন লাগছে , কিন্তু সমস্যা টা বুঝা যাছে না । শ্রাবনের এই দিনে ও কেমন আসস্তি লাগছে। মনে হছে কি যেন ভুল করে ফেলেছি।
আজ কোন মুখ নিয়ে বাড়ী ফিরবে ভাবতেই শরীর শিউরে উঠছে বার বার । শুভ যদি আজ না আসে তাহলে যে কি হবে । না তা আর ভাবতে ইচ্ছে হয় না । শুভ তো এমন ছেলে নয় , যে কথা দিয়ে কথা রাখবে না । শুভর মোবাইলে এই নিয়ে হাজার বার হল কল করেছে । কি কারনে যেন বার বার বন্ধ বলছে ।

আজ তাদের বিয়ের কথা ছিল । যা আজ থেকে পাঁচ দিন আগে ঠিক করা ছিল । শুভ সকাল আটটার দিকে ওকে কাজী অপিসে থাকতে বলেছিল । সাধারন সাজে আসতে বলেছিল । তাইতো কোন ধরনের প্রসাধন না করে প্রতিদিনের মত ঘর থেকে বেরিয়েছিল । সে কারনে কেউ কিছু বুঝতে ও পারেনি । বুঝার কথা নয় । সেতো প্রতিদিনের মত স্বাভাবিক ভাবে ঘর থেকে বের হয়েছিল । কিন্তু এখন পর্যন্ত শুভ আসেনি ।
শুভর সাথে শেলীর পরিচয় গত দুই বছরের। প্রতিটা দিন তিলে তিলে করে তাদের সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে । শুভর কোন কিছুতে যেমন ছলনা ছিল না , তার ও কোন কিছুতে বেশী বাড়াবাড়ী ছিল না তাইত সম্পর্কটা আলাপচারিতা থেকে প্রেম এবং ? নাহ আর ভাবতে পারছে না শেলী। তাহলে কি শুভ তার সাথে প্রতারনা করেছে। এখন এই কাজী অপিসের সামনে দাঁড়িয়ে ভাল মন্ধ কোনটাই ভেবে পাচ্ছে না শেলী।
গতমাসের ২৭ তারিখে শুভদের গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল ওর চারজন। শেলী আর শুভ । শেলীর বান্ধবী শিরিন আর শুভর বন্ধু কাশেম ও ছিল তাদের সাথে। সকাল পৌনে দশটার দিকে শুভদের বাড়ীতে পৌঁছেছিলো তাদের ছোট চারজনের দলটা ।আষাঢ় মাস গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে । শুভদের বাড়ীটা গ্রামের একেবারে নির্জন কোনে । বাড়ীতে ঢুকে সবাই রেস্ট করে পুরু গ্রাম ঘুরে দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। শিরিন আর কাশেম বলল আজ যাওয়ার দরকার নাই। তার নিজের ও অবশ্য বাড়িতে বলা ছিল আজ শিরিন দের বাড়িতে থাকবে। সেই থাকাটাই আজ কাল হয়ে দাঁড়ালো। কাশেম শিরিন কে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে চলে গেল । শেলীর প্রচণ্ড মাথাব্যথা করছিল তা দেখে শুভ ও যায়নি।
শুভ বলল – এই শেলী এখন কেমন বোধ করছ
শেলী বলল – ভাল এখন মোটামুটি ভাল বোধ করছি।
তারপর নানা কথায় কথায় জঘন্য কাজটা হয়ে গেল হুট করে । দুজনের আজান্তে ।
এরপর শেলী মুখ ঢেকে অনেক কেঁদেছিল । কিন্তু যা হবার তা তো হয়ে গেছে । তার নিজেরি বেশী দোষ সে কেন বাধা দিল না । এদিকে শুভ বেচারাও নার্ভাস হয়ে পড়ল , আসলে কাজটা করা ঠিক হয়নি দুজনেরই ।
সেদিন শুভ কথা দিয়েছিল শীঘ্রই তারা বিয়ে করবে । এরপর ১৫দিনের মাথাতে শেলী প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ল। শুভ এরপর থেকে প্রতিনিয়ত শেলীর খোঁজ নিয়েছে । বাকী দিনগুলো দুজনে মিলে সিধান্ত নিল আজকের দিনটার । ২.৩০ মিনিট হয়ে গেল এখন শুভ আসছে না কেন ।

ক্রিং ক্রিং শব্দে মুঠোফোনটা বেজে উঠল । অজানা আশংকা নিয়ে ফোনটা রিসিভ করল শেলী।
হ্যালো কে বলছেন প্লিজ।
আপনার নাম কি শেলী – অন্য প্রান্ত থেকে খসখসে গলায় কেউ বলল
হ্যাঁ আমি শেলী । আপনি কে বলছেন।
শুভ নামের কাউকে কি আপনি চিনেন।
চিনলে ও আপনাকে বলব কেন? অনেকটা বিরক্তি ভরা গলায় বলল শেলী।
আপনি ভুল করছেন মাডাম। আপনার সাথে আলাপচারিতার জন্য আমি ফোন করিনি ।আজ সকাল ৮.৩০ মিনিটের দিকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করা একজন রোগী আসে যার কাছে আপনার মোবাইল নামবারটা ছিল। লোকটার নাম শুভ । আমরা তার পরিচয় পত্র দখে নিশ্চিত হয়ছি। এছাড়া সকাল থেকে আপনার নাম্বার থেকে অনেক গুলো মিস কল নোটিফিকেশন এসেছে। রুগী নিয়ে বিজি থাকাতে আপনার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চলে আসুন ।একটানা কথাগুলো বলে লোকটা থামল ।
শেলী লোকটার কথা শুনে একবারে কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে পড়ল। হাত থেকে মোবাইল ফসকে পড়ে যাচ্ছিল । নিজেকে কোনমতে সামলে নিল । কি করবে এখন কিছুই ভাবতে পারছে না । রোবটের মত মিনিট দুই ঠায় দাঁড়িয়ে রইল কাজী অপিসের পাশের খামটা ধরে। ধাতস্থ হতে আর একটু সময় নিল । তারপর কোনদিকে না তাকিয়ে সামনের রিকশায় উঠে বলল মেডিকেল কলেজ ।
হাজার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । কি যে হবে তার । শূভ কি বেঁচে আছে । মনে মনে আল্লাহ কে স্মরণ করতে লাগলো শেলী। জীবনে কখনও এতবড় বিপদের সম্মুখীন সে হয়নি । হাসপাতালে গিয়ে শুনল শুভ স্পট ডেথ হয়েছে । তার বাড়ীর লোকজন মিনিট ২০ আগে তাকে নিয়ে গেছে ।রিসেপ্সনের সীটে বসে বসে শেলী শুভর জন্য ঘুমড়ে ঘুমড়ে কাঁদছে । তবে এখানে তার কান্না শুনার মত কেউ নাই। হাসপাতালে বেশীরভাগ মানুষই কাঁদে । ঘণ্টা খানেক বসে থেকে বাড়ীর দিকে রওনা দিল ।
এলোমেলো চেহারা নিয়ে যখন বাড়ী ফিরল তখন কেউ জানতে ও পারলো না কি সর্বনাশ তার হয়েছে ।পরদিন সারা রাত সারা দিন নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করে মনে মনে সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল । না শুভর শেষ চিহ্নটা নিজের মাঝে পুষে রাখবে । এতে তার যত বিপত্তি ই হোক কেন ।
দুইদিন কারো সাথে একটি কথা ও বলেনি । নিজের এই সমস্যার কথা কাউকে বলবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। শেলীর মা হটাত করে মেয়ের এই অস্বাভাবিক আচরণের কারন খুজে ফেলেন না ।এই পর্যন্ত মেয়ের রুমে বারকয়েক হানা দিয়ে ও লাভ হল না কিছু। শেষে ভাবলেন সাধারন কোন সমস্যা হয়ত ঠিক হয়ে যাবে।
দুপুরের পর থেকে শেলীর আচরন আগের মত হয়ে গেল।কেউ কিছু বুঝতে পারলো না ।সবার সাথে স্বাভাবিক আচরন করল সারাটা বিকেল । শেলীর মা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল । ছোট ভাই সুমনের সাথে বিকেল বেলা খুব দুষ্টামি করে কাটাল । নীরবে নীরবে চোখের পানি ও ফেলল সবার আড়ালে গিয়ে। সন্ধায় মায়ের সাথে রান্নাঘরে ও অনেকটা সময় কাটাল ।নানা বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে ও খুনসুটি করল।আজ আরো একবার অনুভব করার চেষ্টা করল মায়ের হৃদয়টা কেমন হয় । কেমন যেন ঝাপসা ঝাপসা ঠেকল তার কাছে । খাবার টেবিলে ও নানা কথায় খাবার শেষ করে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিল । রাত যখন ১১টা বাজল তখন নিজের সুটকেস নিয়ে আজানা উদ্দেশ্য ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ল । এছাড়া শেলীর আর কোন পথ খোলা ছিল না । সে চায়নি তার পরিবারের সবাই জানুক সে গর্ভবতী । তাহলে সমাজে তারা মুখ দেখাবার যোগ্য থাকবে না । আর সে ও চায় না শুভর শেষ চিহ্নটা মুছে যাক চিরতরে । তাইত জীবনের এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হচ্ছে । শেলী আদৌ জানে না কি আছে তার কপালে । সামনে তার এখন দুইটা পথই খোলা আছে । এক মূত্য অন্যথায় এমন কোথায়ও চলে যাওয়া যেখানে কেউ তাকে চিনে না জানে না।
স্টেশনের অনতি দুরের ঝুপড়ি ঘরটার পাশে এসে যখন দাঁড়াল তখন স্টেশনের ঘড়িতে ১২ টা বাজার শব্দ হল। হয়ত চিরদিনের জন্য এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে । এমন সময় চট্রগ্রাম গামী রাতের ট্রেনটা এসে পৌঁছল । আর ভাবাভাবির কিছু নাই যে বিষ সে নিজে পান করেছে তার শাস্তি নিজেকেই পেতে হবে ।
বিনা টিকেটে নিরদ্বিধায় ট্রেনে উঠে পড়ল ।ট্রেন ছুটে চলছে শেলীর মনে হাজার চিন্তা ভর করছে।সবার আগে একটা আশ্রয় তারপর অন্য কিছু ।

ছয়মাস পর ।
শেলী একটা গ্রামের স্কুলে মাস্টারি করছে। চট্রগ্রাম শহর থেকে পাঁচ কি,মি দূরে। পেটের ভেতর নবাগতের লাফালাফি দিন দিন বেড়ে চলছে । এতদিন কেউ জিজ্ঞেস করেনি কিন্তু ব্যাপারটা জানাজানি এবার হবে। ছয়মাস আগে এ বাড়ীর যে মেয়েটা আর তার বৃদ্ধ বাপ তাকে আশ্রয় দিয়েছিল আজ তাদেরকে ব্যাপারটা বলা দরকার। এতদিন আশ্রয়টা হাতছাড়া হবার ভয়ে কাউকে বলে নি ব্যাপারটা। কিন্তু কিভাবে বলবে তা ভেবে পাচ্ছে না। রুনু নামের মেয়েটাকে ডেকে বাগান বাড়ীর দিকে নিয়ে গেল শেলী।
ঘটনাটা শুনে রুনু অবাক চোখে শেলীর দিকে তাকিয়ে রইল । এতদিন বললে না কেন?
তোমার এ কথা এখন কেউ বিশ্বাস করবে কিনা আমি জানি না।
খারাপ খবর বাতাসের বেগে ছুটে চলে। পুরু গ্রামে ছিঃছিঃ রব পড়ে গেল । এই কয়েকদিনে যারা শেলীকে ভাল মেয়ে ভাবত তারা অ ঘৃণা করতে লাগল । পাড়ার মৌলভীরা সালিশের ব্যাবস্থা করে ফেলল সেদিন রাতে।
শেলীর মুখ থেকে সব শুনে মৌলভীরা ফতোয়া দিল এটা জারজ সন্তান । বিচারে ঠিক করা হল শেলীকে একশ দোররা মারা হবে এবং মাথার চুল কামিয়ে পুরু গ্রাম ঘুরিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে । তবে সবার আগে বাচ্চাটা নষ্ট করতে হবে।
শেলী বাচ্চা নষ্ট করবে না । বাচ্চা নষ্ট করলে তো বাড়িতেই থাকত । যে বাচ্চাকে এত ত্যাগ স্বীকার করে পেটের ভেতর সাতমাস লালন করছে তাকে তো একবিচারের রায়ে ধ্বংস করে দেওয়া জায়না । তাহলে যে তার মাতূত্তের প্রতি অবিচার করা হবে। সন্তান কে পেটে লালন করা যে কত কষ্টের তা একমাত্র মা ছাড়া কেউ বুঝবে না । নিজের মূত্য মেনে নিতে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু অনাগত সন্তানের মূত্য সে মেনে নেবে না এ জীবন থাকতে।
সেই রাতে গ্রামের ফতোয়াবাজরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রইল। ভরা মজলিশে শেলীকে আনা হল ।তার বাড়ি ঘর কোথায় বার বার জিজ্ঞেস করা হল। কিন্তু শেলী নিরুত্তর দাড়িয়ে রইল ।দুজন মোল্লাগোছের লোক শেলীর চুলের মুঠি ধরে সবার সামনে নিয়ে এল।একজন মোটাসোটা বেত নিয়ে এগিয়ে এলো । ভবিষ্যত পরিনতীর কথা ভেবে চোখ বন্ধ করল।
পুনশচঃ শেলী এতকিছুর পর ও মারাযায়নি। ব্রাক এর একদল কর্মী পরদিন শেলীক মুমর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। শেলী কি মা হবে নাকি হবে না সেটা তারযাবতীয় পরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড বলতে পারবে । শেলী কি মা হবার জন্য আর শুভর ভালবাসাকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল নাকি ...............।।
বিঃদ্রঃ এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক। যদি কার সাথে মিলে যায় এটা অনভিপ্রেত কাকতলীয় মাত্র।

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

টুটুল's picture


Sad

লেখা ভাল হইছে...

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture


সময়ের অভাবে বেশ কয়েকদিন অনিয়মিত । আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া

মীর's picture


লেখা বেশ ভালো হয়েছে।

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture


THNX

জেবীন's picture


গল্পটা ভালো লাগছে!

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture


জেনে খুশী হলাম

তানবীরা's picture


টিপ সই

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture


অনেক ধন্যবাদ আপু

প্রিয়'s picture


লেখা বেশ ভালো হয়েছে।

১০

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture


খুশী হলাম ।
THNX

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল's picture

নিজের সম্পর্কে

দেশের বাইরে আজ এই শহর থেকে কাল অন্য শহরে যাযাবরের মত ছুটে চলছি বিরামহীন। । জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ই ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত লাকসাম থানার কান্দিরপাড় গ্রামে। । বাবা বেঁচে নেই। তাই জীবিকা এবং কর্মসংস্থানে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমাই ২০০৩ সালে । সেই থেকে এখন ছুটে চলছি । । মাঝে মাঝে কিছু লিখি । কি লিখি তা নিজে ও জানি না ।। কেউ বলে ভাল লিখি, কেউ বলে কিছুই হয়না । আসলে কি হয় আমি নিজে ও জানিনা । তাই ছুটছি এখন সাহিত্যের রস আস্বাদনে ।