জীবন ও জন্ম
শ্রাবণ, একটা আধপাগল ছেলে। কখন কি করে তার কোনো ঠিক নাই। ইচ্ছে হলে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গভীর রাতে চলেযায় রেস্টুরেন্টে খেতে। ইচ্ছে হলে ঝুম বৃষ্টিতে সুটেড বুটেড অবস্থায় ভিজতে নেমে যায়। ইচ্ছে হলে হাটে, শুধুই হাটে।
তার বন্ধুদের মতো, তারও একজন প্রেমিকা ছিলো, শ্রেয়া। তাদের প্রেম ছিলো সবার কাছে উদাহারন। সবাই হিংসা করতো তাদের ভালোবাসার সুখ দেখে।
একদিন শ্রাবণের কাঁধে মাথা রেখে শ্রেয়া বলেছিলো। বিশ্বাস করো শ্রাবণ, এই পৃথিবীতে আমার জন্ম শুধুই তোমার জন্য। হয়তো তোমার হবো বলেই আমার এ ধরনীতে আসা।
আজ শ্রেয়া, শ্রাবণের থেকে অনেক দূরে। শ্রাবণ যখন ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাস্তবতার সাথে ঠোকর খাচ্ছে, তখন শ্রেয়া নাটোরে তার সুখের সংসারে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সে আর শ্রাবণের প্রেমিকা নয়, অন্যকারো ঘরণী। সোজাকথায় পরস্ত্রী।
ইদানিং শ্রেয়া গল্পে গল্পে তার বান্ধবীদের বলে, জানিস আমার কেনো যেনো মনেহয় তোদের ভাইয়ার জন্যই আমার এই জন্ম!!!! ও আমাকে এত্তো ভালোবাসে। ওর ভালোবাসায় আজ আমি সম্পূর্ণ। আমার জীবনটা আজ সার্থক।
এসব শুনে শ্রাবণের খুব সাধ জাগে, ইশ যদি একটি বার জিজ্ঞাসা করতে পারতাম।
একজীবনে কতবার জন্মানো যায়?
যদি জন্ম একবারই হয় তবে সেটা কজনের জন্য?
নাকি এটাও পরিবর্তনশীল?
জীবনের এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে কখন যে রোদ এসে চোখে লাগে, সেটা শ্রাবণের বোধগম্য হয় না। আড়মোড়া ভেংগে সে ফ্রেস হতে যায়। রেডি হতে হবে, একটু পরে অফিস আছে।।।
প্রাণী কূলের মমধ্যে শুধু পাখির জোড়া থাকে। পাখির সংগী/ সঙিনী মারা গেলে তারা জীবনটা একলাই পার করে দেয় দ্বিতীয় কাউকে খুজে না বা গ্রহন করে না। মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণী খালি সাথী বদলায়।
তাহলে এত্তো ভাবের সাথে, তোমার জন্য পৃথিবীতে আসছি বলার কি দরকার??? না বললেই তো পারে
এক্ষেত্রে শ্রাবণের দর্শনশাস্ত্র নিয়ে ভাবনা-চিন্তায় সময় নষ্ট না করাই ভালো হবে।
হ, আমিও সেই বুদ্ধিই দিসি
মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়,
বেঁচে থাকলে বদলায়।
লেখাটা ছোট হলেও মনে মনে অনেক বড়!
দুঃখের কথা বেশি লেখা যায় না
এক্ষেত্রে শ্রাবণের দর্শনশাস্ত্র নিয়ে ভাবনা-চিন্তায় সময় নষ্ট না করাই ভালো হবে।
সে তো মহাপুরুষ হওয়ার তালে আছে
ম্যান ইস মরটাল = মানুষ মাত্রই মিসা কথা কয়
মুই তো মানুষ না
মন্তব্য করুন