ইউজার লগইন

মিনহাজ আহমেদ'এর ব্লগ

নিরানন্দ নিউ ইয়ার

mpwgp7k4tzs28g93ddzm.jpg

মন খারাপ করে নিজের রুমে চুপচাপ বসে আছে ফারদিন । গতকাল নিউ ইয়ার গিয়েছে । সেই হিসেবে মন ভাল থাকার কথা । এনজয় সে ঠিকই করেছে তার বন্ধুদের সাথে । কিন্তু ওর মনটি খারাপ অন্য কারনে । কাল সকালে উঠেই সাদিয়াকে নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা দিয়েছিল মেসেজে । কিন্তু সাদিয়া এখনও মেসেজের কোন উত্তর দেয়নি । ফারদিন ওকে কয়েকবার কলও দিয়েছিল ওর ফোন নাম্বারে । কলব্যাক করা তো দূরে থাক একটা কল এখন পর্যন্ত রিসিভডও করেনি সাদিয়া । সে কারনেই মন আরও বেশি খারাপ । নিউ ইয়ার টাই গেল নিরানন্দ ।
মেয়েটি ওরই ক্লাসের । ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ভিতরে একজন । মেয়েটিকে সে অসম্ভব ভালবাসে । কিন্তু মেয়েটি ওকে ভালবাসে কিনা আজও সে তা বুঝতে পারেনি ।

অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি ।

( সবাইকে ঈদের উপহার হিসেবে গল্পটা দিলাম ) Smile Crazy

rainy_day_lovers.jpg

মেয়েটির সাথে ছেলেটির পরিচয় ওদের স্কুলের একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে । ছেলেটির নাম ছিল রাজ ।

তখন ওরা দুজনই পড়ত ক্লাস এইটে । প্রেম কি জিনিস ঠিক মত বুঝতেও পারত না । ওদের পরিচয় স্কুলের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ।
মেয়েটি যখন পুরষ্কার নিতে এসেছিল ছেলেটি আগ্রহ হয়ে মেয়েটিকে তার নাম জিজ্ঞেস করে বসে ।
তোমার নাম কি ?
মেয়েটি উত্তর দেয় , আমার নাম নাজরিন সংক্ষেপে নাজ বলে ডাকতে পারো ।
দুজনের নামের ছিল অনেক মিল । এভাবেই ওদের পরিচয় হয়ে যায় ।

চিরন্তন ভালবাসার স্বপ্ন ।

lost-love~1.jpg

আমি ছিলাম তখন আমার কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র আর মেয়েটি ছিল এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ।
একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল সে ছাতা ছাড়া ভিজে ভিজে রাস্তায় হাঁটছিল কোন রিক্সা পাওয়া যায় কিনা । আমি এগিয়ে এসে তাকে ছাতা মেলে ধরে সাহায্য করি রিক্সা পেতে । সে তখন কোনভাবে একটি রিক্সা ঠিক করে বাসাতে চলে যায় । পরেরদিন আবার তার সাথে আমার কলেজে দেখা আমি তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম , এভাবে না ভিজে পরে বাসাতে গেলেইতো পারতে এত্ত তারাহুড়ো কি ছিল ?
সে বলেছিল আপনি যদি সেদিন আমাকে সাহায্য না করতেন আমার হয়তো আরও দেরি হত বাড়িতে পৌছাতে কারণ আমার মা অসুস্থ ছিলেন । কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে আমি জানলাম সে আমাদের কলেজের এইচ এসসির ছাত্রী । তার নাম ফারহানা ।

অজানা পরি ।

lonely_boy_0.jpg

আজ প্রথমেই ভার্সিটিতে মেয়েটির সাথে লিফটে উঠার সময় দেখা । তেমন একটা গুরুত্ত দেইনি । কত মেয়েইতো এরকম প্রতিদিন দেখি । যাইহোক আমার বন্ধু পান্থর ফ্লোরে মানে আঁট তালাতে উঠার পর মেজাজ খারাপ হয়ে গেল বাজে মাত্র ১১.৪৫ ওদের ক্লাস এখনও চলছে, আমাকে যে কমপক্ষে পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে । তার উপর বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে এখানে এসেছি ।

দ্বিতীয় ট্র্যাজেডি কি হব তাহলে আমরা রানা প্লাজার অনুরুপ ???

936967_536823989702960_973641915_n.jpg

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আমি অনেক দিন ধরে অধ্যয়নরত । এই ভার্সিটি সিলেটের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভারসিটি হিসেবে পরিচিত । নিজেদের যোগ্যতা তা দ্বারা আমাদের এই ভার্সিটি এখন সিলেটের অন্যতম নামকরা একটি প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয় । প্রতি বছরই এখানে প্রায় হাজার খানেক স্টুডেন্ট ভর্তি হয় । বিশেষত বিবিএ ডিপার্টমেন্টে । কিন্তু অনেক দুঃখের সাথে লিখতে হচ্ছে যে । সাভারের রানা প্লাজার মত আমাদের এই ভার্সিটির বিল্ডিঙের মধ্যেয় রয়েছে অনেক ফাটল । এখানে উল্লেক্ষ আমাদের এই ভার্সিটি মধুবন নামে একটি মার্কেটের উপর অবস্থিত । সেই মার্কেটের বিভিন্ন অংশেই রয়েছে ফাটল । সম্প্রতি সিলেটে ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পে এই ফাটল বেড়েছে । এখানে বলে চলে প্রতিনিয়ত এই মার্কেটের ভিতরে প্রায় ২৫০০ থেকে ৩৫০০ মানুষ চলাচল করে ।

আমার বন্ধুর প্রেম ।

w

আমার কলেজ লাইফের ছোট্ট একটি ঘটনা বলছি । প্রথম কলেজে উঠার পর খালি গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে চিন্তা করত আমার এক বন্ধু । আমার যদি একটি গার্ল ফ্রেন্ড থাকত ।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল একদিন আমার বন্ধু আমাকে বললঃ দোস্ত আমার একটি মেয়ে পছন্দ হয়েছে আমি বললাম কোন সেকশনের ? সে বলল তাতো জানিনা মনে হয় নতুন ভর্তি হয়েছে ।
আয় আমার সাথে । বলেই সে আমাকে বাংলা ডিপার্টমেনট এর সামনে নিয়ে গেল । আমি সেখানে আনুমানিক ২৪ কি ২৫ বয়সী একটি সুন্দরী মেয়েকে দেখতে পেলাম । সে বলল এটিই সেই মেয়েটি । আমি দেখে বললাম বলিস কি এই মেয়ে আবার কবে ভর্তি হয়েছে ? আর বয়সেতো মনে হচ্ছে আমাদের থেকে বেশ বড় । আর বাংলা ডিপার্টমেনট এ কি করে ? মনে হয় কোন টিচারের মেয়ে হবে ।
আমার বন্ধু বলল হতে পারে , কিন্তু মেয়েটি কি সুন্দর নয় ?
আমি বললাম হ্যাঁ দেখতে তো বেশ সুন্দর । কিন্তু মেয়েটি কোন সেকশনে ?
সে বলল এটা তো জানিনা । তিনদিন ধরে কলেজে দেখছি । তুই বল এখন কি করা যায় ।
আমি বললাম দেখ আগে মেয়েটির সাথে কথা বল বন্ধুত্ত করার চেষ্টা কর । এরপর দেখা যাবে কি করা যায় ।

এক বিদেশিনী মেয়ে এবং এক বাংলাদেশী ছেলের গল্প ।

f5f712a7e093c9bd6b7cd49yq3.jpg
প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসার গল্প বিভিন্ন রকম হতে পারে । যদি মেয়েটি হয় বিদেশিনী এবং ছেলেটি হয় বাংলাদেশি ।

কাছে আসবে আসবে বলে আর আসতে পারলনা......
এভাবে আমি একটু কল্পনা করেছি আর কিছুই নয় ।
****************************************************************************

রিহানের সাথে মেয়েটির পরিচয় হয়েছিল একটি চ্যাট সাইটে । মেয়েটির নামছিল টিউলিপ পার্কার । অভাক হবার কারণ নেই । মেয়েটি বাংলাদেশি ছিলনা মেয়েটি ছিল বিদেশিনী ।
টিউলিপের দেশ ছিল ফ্রান্স ।
চ্যাটে ওরা দুজন অনেক কথা বলত । একদিন রিহান টিউলিপকে বলল, আমরাতো এখানে সবসময় চ্যাট করি এবার এসো ফেসবুকে চ্যাট করি এতে আমাদের দুজনেরই সুবিধা হবে।
টিউলিপ কোন আপত্তি না করে লক্ষি মেয়ের মত রাজি হয়ে গেল । এভাবে ফেসবুকেও ওরা অনেক কথা বলত । টিউলিপ রিহানকে একবার বলেবসে আমরা কেন ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিনা ? এটা দিয়ে আমরাতো ভয়েস চ্যাট করতে পারি ।

পৃথিবীর এক দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ।

mossad-seal.jpg
http://www.amrabondhu.com/sites/default/files/mossad-seal.jpg
পৃথিবীর সব বড় ও মাঝারি শক্তিধর দেশেরই নিজস্ব বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা
রয়েছে । যেমন সিআইএ, এমআইসিক্স , কেজিবি, মোসাদ ইত্যাদি ।
কিন্তু ইসরায়েলের ‘মোসাদ'কে ঘিরে যেসব রহস্যজনক ও চাঞ্চল্যকর গল্প চালু আছে, তার কোন তুলনা হয়না ।
মোসাদের নামতো কমবেশি সবাই শুনেছেন মাসুদ রানা পড়লে আরও আগে জানার কথা ।
মোসাদের এমন কিছু অপারেশন রয়েছে যেগুলো গল্পের বই বা সিনেমা কেও হার মানায় । এই গ্রুপটি WORLD MOST EFFICENT KILLING MACHINE নামেও পরিচিত । গুপ্ত হত্যায় মোসাদ এক এবং অদ্বিতীয় । মার্কিন সিআইএ এবং মোসাদের ভিতরে পার্থক্য রয়েছে যে সিআইএ গুপ্ত হত্যার চেয়ে সরাসরি হামলা বেশি চালায় । অন্যদিকে মোসাদ খুব গোপনে তাদের শিকারদের শেষ করে ।

বৃষ্টি ভেজা দিঘি ।

অনেকক্ষণ ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ । ভার্সিটির ক্লাসের তিনতলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছেলেটি । তার নাম রানা , যতদুর চোখ যায় বৃষ্টি ভেজা এক বিশাল অরণ্য । সবুজ গাছের সাথে লতাগুল্ম একে অন্যের সাথে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে । উপর থেকে দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি ভেজা এক কার্পেট বিছানো । রানা একটু অভাক হয়ে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
রানা খুব সাদাসিদে একটা ছেলে।সে কলেজ শেষ করে এখন ভার্সিটিতে পরছে । মানুষের সাথে তার মেলা মেশা তেমন একটা বেশি নয় । আর মেয়েদের সাথেতো প্রায় নেই বললেও চলে ।।রানা দেখতে এমনিতে খারাপ নয় ।ওর চেহারাতে কেমন একটা সাম্য ভাব রয়েছে । দেখে যেকোন মেয়েরই ভাল লাগার কথা ।

আমার প্রিয় সেই পাইলট স্কুল ।

আমার হাই স্কুল জীবন কেটেছে সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে ।আমার স্কুল জীবনে অনেক ঘটনা রয়েছে ।তার কয়েকটি ঘটনা আজ ব্লগ এ তুলে ধরছি ।
১।অঙ্কে ডাবল জিরোঃতখন আমি ক্লাস সিক্স এ পরতাম মানে একেবারে প্রাইমারি পাস করে নতুন হাই স্কুলে ।সিক্স এর অঙ্ক তখন একেবারে বুঝতাম না ।কিভাবেই বা বুঝব কারণ তখন আমার কোন টিচার ছিলনা ।যাই হোক যখন ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা হয়েছিল এর পরিশ্রুতিতে আমি অঙ্কে ডাবল জিরো পেয়েছিলাম ।কিন্তু খাতা আমি বাসাতে দেখাইনি ।আবশ্য এর থেকে পরে পার পেতে পারি নাই ।কারণ আমাদের ক্লাস টিচার নুরুল ইসলাম স্যার আমার বাবাকে ফোন দিয়ে এ কথা জানান ।এমনি স্যার বাসায় এসে পর্যন্ত এই কথা বলে যান । তখন বাসাতে পিটুনি না খেলেও অবস্থা যা হয়েছিল তা আর বলার মত নয় ।

২। টিফিন টাইমে ঘুরাফেরাঃ ক্লাস সিক্সে থাকতে আম্মু আমাকে আনা নেয়া করতেন । আমাকে সময় বলে যেতেন স্কুল থেকে যেন না বের হই । কিন্তু আমি আম্মু চলে যাবার পরই টিফিন টাইমে রাস্তা ঘাটে , নদীর পারে ঘুরতে বের হয়ে যেতাম । একদিন ধরা খাওয়ার পর বাসাতে নিয়ে গিয়ে ধোলাই দিয়েছিলেন।

সবাই কে সালাম ।

সবাইকে আগে সালাম জানাচ্ছি ।
আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন ।
আমার বন্ধু ব্লগ অনেক পোস্ট আগে পরেছি, ঘুরেছি কিন্তু এটি আমার বন্ধু ব্লগে প্রথম পোস্ট । এর আগেও অন্য ব্লগে লিখেছি এখনও লিখছি । এই ব্লগে এই প্রথম এলাম । আশা করি এখানেও ভাল মত লিখতে পারব । সবাই ভাল থাকবেন ।