রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করো নি....
সময় বহিয়া যায়... ঘাট অঘাট হয়... চারদিকে কলিকাল.. ঘোর কলিকাল। মানবিকতা, মূল্যবোধ, ন্যায়, অন্যায় শুধু বাংলা একাডেমির ডিকশনারির পাতার নিচে চাপা পড়ে যায়। চারদিকে শরতের ফুরফুরে হাওয়া শুধুই বদ্লে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তবে এটা যদি পজেটিভ হতো... দেশের মানুষের কোন দু:খ থাকত না... কষ্টটা এইখানেই বাজে বারবার।
গতকাল সংসদেরর স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউতে স্পিড ব্রেকার দেবার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে তাগাদা দিয়েছেন। অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। কেন? কারণ ন্যাম ফ্ল্যাট থেকে সংসদ ভবনে যাতায়াতে সাংসদদের প্রচুর সমস্যা হয়।
মাননীয় স্পিকার, আপনি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত... জনগণের খেদমতের জন্য নির্বাচিত... রাষ্ট্রের সেবক... আপনি কি একবারও ভেবেছেন যে, সংসদ্ সদস্যরা পুলিশ প্রটেকশনে থাকার পরেও তাদের সমস্যা হয় ... তাহলে আমাদের আমজনতার কি অবস্থা? আপনি কি এখন আমাদের কর্মস্থলে যাতায়াতের ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কোন নির্দেশ দিবেন? অর্ধাহারে অনাহারে থাকা গরীব মানুষগুলোর ভোগান্তির জন্য আপনার হৃদয়ে কি একটুও রক্তক্ষরণ হয় না?
মাননীয় স্পিকার, আপনি কি একটু মনে করে বলবেন যে, এমন কয়টা নির্দেশ আপনি দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনকে যেটা আমজনতার অসুবিধা লাঘব করেছে? এমন কোন নির্দেশ আপনি দিয়েছেন কিনা যার মাধ্যমে পাবনার সংসদ্ তার সন্ত্রাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিস কোন একশন নিয়েছে? এমন কোন নির্দেশ আপনি কি দিয়েছেন যখন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রীকে যখন নিয়োগ বাণিজ্যে তুলাধুনা করে? বিষয়টা এরকম না যে, আপনি কাউকে নির্দেশ দিতে পারবেন না।
মাননীয় স্পিকার, সেনাবাহিনী যখন ঢাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকে তখন ঢাকায় কোন যানজট থাকেনি। রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতায় থাকলে এমনটা কেন হয়? আপনি কি সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে নির্দেশ দেবেন ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে?
মাননীয় স্পিকার, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ সারাদিন কুত্তার মত পরিশ্রম করে সেই অর্জিত আয় থেকে ট্যাক্স পরিশোধ করি। কিন্তু মহান সংসদের সাংসদদের আপনি তাদের ট্যাক্সের আওতার বাহিরে রাখেন। আপনার/আপনাদের নৈতিকতায় কি এই সুবিধা গ্রহণ একটুও বাধে না? কয়টা টাকা ট্যাক্স হয়? এই কয়টা টাকাও যদি সাংসদরা দিতে রাজী না হয় তাহলে তাদের ওপর ১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ কীভাবে দেন?
মাননীয় স্পিকার, তৃতীয় বিশ্বের সবচাইতে দরিদ্র একটা দেশের সাংসদদের নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনের জন্য কোটি টাকার ট্যাক্স ফ্রি গাড়ির প্রয়োজন পড়ে। ১০/২০ লাখ টাকা দামের গাড়িতে চড়ে নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া যায় না? নির্বাচনের আগে তারা কীভাবে যায় মাননীয় স্পিকার? মাননীয় স্পিকার আপনার সাংসদদের কি একটুও লজ্জা করেনা গরীব একটা দেশের গরীব মানুষের টাকার এমন অপচয়ে? আপনি কি কখনো তাদের বলেছেন জনগণের জীবনমানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে?
মাননীয় স্পিকার, আপনি নিজের বিবেককে একবার জিজ্ঞাসা করুন যে, ইব্রাহিম হত্যা মামলায় আপনি শাওনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? পুলিশ কমিশনার এই শাওনের পক্ষে কেন সাফাই গায়? মাননীয় স্পিকার, এই শাওন কি এতই ধোয়া তুলসী পাতা? বিগত সময় সে আপনার দলের শান্তি মিছিল থেকে গুলি করেছিল। অবশ্য শান্তি মিছিল থেকে গুলি করাটা দোষের নয় হয়তো ... তাইনা মাননীয় স্পিকার? দিন শেষে সেটা তো শান্তির জন্য মিছিলই
মাননীয় স্পিকার, বেতন ভাতা বৃদ্ধিতে আপনার সংসদের সাংসদদের মাঝে ব্যাপক ঐক্যমত হতে দেখা যায়। সেখানে সরকার আর বিরোধী দল গলায় গলায়। মাননীয় স্পিকার আপনি বলুন যে, আপনার সাংসদদের একটুও লজ্জা করেনা যে, যারা কখনো দেশের ভালর জন্য একবারের জন্যও একমত হতে পারে না সেই তারা নিজেদের সুবিধার জন্য ঠিকই একমত হয়।
মাননীয় স্পিকার ... আমার এই দেশটা খুবই গরীব... প্রতিটা খাত থেকে টাকা বাঁচিয়ে দেশটার উন্নয়নে সততার সাথে ভূমিকা রাখলে এই দরিদ্রতা থাকবেনা। আবার আমাদের গোলা ভরা ধান থাকবে... পুকুর ভরা মাছ থাকবে। আর তা ভোগ করবে আপনার উত্তরসুরি।
মাননীয় স্পিকার... আমাদের খুবই লজ্জা করে আপনাদের এইসব নোংরামি দেখে। প্রতি নিয়তই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে আবার যখন ঘুরে দাঁড়াতে যাই তখন এই সকল সংবাদ আমাদের হৃদয়টা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে দেয়। আমাদের এই চোখের জল কি কখনো শুকাবে না? আমরা তাহলে কোথায় যাব ... বলতে পারেন?
কয়েকদিন যাবৎ বউ দেশ ছাড়ার জন্য ব্যাপক চাপে ফেলছে... ইচ্ছা করছে না অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে... কিন্তু তাকেও থামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এত অন্যায়ের মাঝে আমার ছেলেটা কি ভাল মানুষ হয়ে বড় হতে পারবে? আমার সন্তানের জন্য একটি বাসযোগ্য দেশ তৈরি না করে পালিয়ে যাওয়া কি অন্যায় না?
আর কত? ভাল লাগেনা এইসব ভাবনা গুলো
আম জনতার মূল্য এদেশে নাই। আপেল জনতার দেশ এইটা।
সবাই যদি অতিষ্ট হয়ে পালাতে চায় তাহলে দেশকে ভালোবাসবে কে?দেশকে নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন কে দেখবে?
কনফিউজড হইয়া যাইতেছি দিন দিন
শোনেন, এখন যারা বিদেশ যায়, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। কারণ এই দেশের পক্ষে ১৬ কোটি লোকের ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব! সীমিত সম্পদ নিয়া ১৬ কোটি লোক কামড়াকামড়ি করতেছে। যতই নীতি নৈতিকতার কথা বলি, সম্ভব না ভালো কিছু হওয়ার। তারচেয়ে বরঞ্চ ৫/৬ কোটি লোক যদি বিদেশ যাইতে পারে, সেটা তাদের পরিবারের জন্যেও মঙ্গল, দেশের জন্যই মঙ্গল। সুতরাং সুযোগ পাইলে পরিবার নিয়া দেশত্যাগ দেশপ্রেমিকের কর্তব্য।
জটিল বলেছেন মুকুল!
এই পোস্টতো দেখি তাইলে ড্রাফট কৈরা ফেলতে হয়... বউ দেখলে খবর আছে
নিজেদের জন্যে গাড়ি, বিবিধ সুবিধা, সংবাদপত্রে মানহানিকর কথা(ভাসাব এমন তারা মানহানিকর কান্ড ঘটাইতে পারবে কিন্তু কেউ টু শব্দ করাও দোষের!!) এমন কি নিজেদের পথ চলার রাস্তার চিন্তায় বিভোর স্পিকার, দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে, ভোগান্তিতে আছে কিনা তাই ভাবে না, আর আপ্নে বলছেন তাদের জন্য উনারদের হৃদয়ে কি একটুও রক্তক্ষরণ হয় না!!!...
এসব লোকদের আবার হৃদয় আছে নাকি? যেসব ভাব দেখায় তাতো ভন্ডমি।লোকদেখানো।
রক্ত থাকলেতো
কতো যন্ত্রণা থেকে লিখেছেন বুঝতে পারি। স্পিকারকে আর কী বলবেন, খাজা বাবার দরবার খুলে জামিনবানিজ্য করছেন যেনারা, কে কেন কার পতাকাঅলা গাড়িকে স্যালুট দেয় নাই, কে কোথায় গিয়ে মেহমানদারি ঠিকমতো পায় নাই, সেইসবের জন্য বেঞ্চ বসিয়ে জবাবদিহিতা দাবী করেন। খবরের কাগজের পাতাটা খুলে হাসপাতাল-প্রত্যাখ্যাত আসন্নপ্রসবা অসহায় মেয়েটা কেন ফুটওভারব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের আর সন্তানের যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে বাধ্য হলো, সেজন্য কাউকে জবাব দিতে বলেন না।
মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে একটা রাস্তা পার হতে হয় হেঁটে। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা, কিন্তু পাঁচ কিলোমিটার এপার-ওপারের মধ্যে কোন স্পিড ব্রেকার কিংবা সিগনাল লাইট নাই। দূরপাল্লার ট্রাকবাসও চলে তীব্র গতিতে। চল্লিশ ফুট চওড়া রাস্তা পার হতে দশ মিনিট লাগে, ঝুঁকির কথা বাদ দিলাম। বাচ্চাকাচ্চা আতঙ্কে কাঁদতে থাকে।
মুকুলের মন্তব্যে জাঝা। একটা মানুষ দেশ ছাড়া মানে জনঅরণ্যের ভীড় থেকে একজন কমা, হাসপাতালের কিউ দেড়ফুট কমে আসা, একটা পলিউশন ফ্যাক্টরি কমে যাওয়া। "ওভারকোয়ালিফাইড" (
) না হইলে ভাবীর পরামর্শ মেনে নেন টুটুলদা।
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ
ওভারকোয়ালিফাইড????
শরম পাইলাম
অসম্ভব একটা ভালো লেখা টুটুলদা। অসহ্য এ দিনরাতের যন্ত্রনা। যানজটমুক্ত ঢাকা আর বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে যে সরকার পারবে তাকে এ্যাওয়ার্ড দেয়া হোক।
টুটুলদা, এমন লেখায় টাইপো থাকা ঠিক না দাদা
টাইপো ধরাইয়া না দেয়ার জন্য আপ্নার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন...
শাস্তি ১: প্রতিদিন একটা কৈরা পোস্ট
শাস্তি ২: প্রতিদিন ১০০+ মন্তব্য (বিভিন্ন পোস্টে)
চোখ বন্ধ... বেছে নেন
কি হইলো?
সবই ঠিক ছিলো, কিন্তু শয়তানডার নাম শাওন!!
শাওন নামে একটা ভালো মানুষই খালি আমার চোখে পড়ছে, এডা একটা আফসুস
আর স্পীকার আমাগো লাইগা আদেশ দিবো কেন? সেডাতো স্পীকারের এলাকা না, এমনে মানিক মিয়ার টা কৈছে আসতে যাইতে সমস্যা হয় সেডার জন্য আরকি।
আর আমাগো লাইগা যাদের যা করার কথা, তার কুনটা কুনটা করে নাই, তার হিসাব নেয়ার দিন কি আর আছে ভাই? আফসুস---
এইভাবে ভাবলেই টেনশন হবে। এই যে যেমন আমি, ভ্যালু এডেড ট্যাক্স ছাড়া অন্য কোনো ট্যাক্স দেইনা, সেইতেই কি খুশি, আমার ট্যাক্সের টাকাতো আর খায়না ওনারা!!
যার যার তার তার, আব্দুস সাত্তার
একঠা দেশের ১০০% মানুষই দূর্নিতী বাজ হৈলেও, দেশটা তো আর থাইমা থাকবোনা, চলতেই থাকবে, সো, টেনশন কৈরা কি হবে?
তখন শুধু বাঙ্গালী ইগো একটু ক্যাচ খাইবো, কোনো কিছু নিয়াই গর্ব গর্ব ভাবটা করতে পারুমনা!!
তার মানে ওইডা তুমি? এরম কৈরা আরেকজন্রে ফুটা কৈরা দিতের্লা?
বিলাই দ্যা গ্রেট
টুটুল ভাই যে সাংসদদের মতো বক্তব্যই দিয়ে ফেললেন। অবশ্য সামনে মাউথপিস নেই এই বাচোঁয়া। একজন প্রিয় ব্লগারকে সরকারী ভেড়া-খোঁয়াড়ের ভেড়াদের মতো অবস্থায় দেখলে বড়ই মনোস্তাপে দগ্ধ হতে হতো।
ভাইরে আমাদের সবারই একই দশা। কিছুই বলার নাই।
বাঙালী তো ... সুযোগ পাইলে বক্তিমা ঝাইড়া দিতে ইচ্ছা করে বস
আর কাহাতক সহ্য করা যায়?
বিদেশেই চলে যান আর দেশে থাকলে বোবা , অন্ধ, বধির হয়ে থাকুন।
দেশ ছাড়তে ইচ্ছা করে না
প্রয়োজনীয় মনের কথা সবই বলে দিলেন । লেখা প্রিয়তে।
ধইন্যা নাহিদ...
মা ক্যামন আছেন?
স্পিকারটা জানি কি জিনিষ? ঐ টারে কি আমি ম্যাঙ্গো পাবলিক কখনো চোখে দেখছি? টেলোভিশন খুললে কি ঐ জিনিষ দেখা যায়?
টুটুল ভাই, নাখাল পাড়ায় যখন এমপি হোস্টেল ছিল, তখন আমরা স্বপরিবারে বিশেষ প্রয়োজনে ২/৩ দিন ছিলাম। তখন দেখেছি, বেশীর ভাগ এমপিরাই ওখানে সংসার পেতেছেন। বউ বাচ্চা নিয়ে রিতীমত সংসার করেন। খানা দিয়ে যায় বাবুর্চিরা। এমপিদের বউদের রাঁধতে পর্যন্ত হায় না। আর এইসব সরকারী পয়সায় রান্নার বিল সহজে কেউই পরিশোধ করেন না।
আমরা যে রুমে ছিলাম, টার পাশের রুমের যে এমপি পরিবার, তাদের সঙ্গে তার ছোট ভাইও থাকে। সে বিজনেস করে। কেসের বিজনেস জানিনা। তবে সেই ভদ্রলোক সিঙ্গাপুরী টুথপেস্ট ছাড়া দাঁত মাজেনা। মাসে একবার যায় সিঙ্গাপুর সেখান থাকে টুথপেস্ট কিনে আনে।
এই ঘটনা আজ থেকে কমপক্ষে ২০ বছর আগেকার হবে।
এমপিদেরই এই অবস্থা মন্ত্রী পর্যন্ত তো গেলামই না।
এখন তো দেশ অনেক এগিয়ে গেছে
এই সব মানুষের কাছে আবার আশা.....
এইসব লোক সারাক্ষণই আঙ্গুল উঁচিয়ে আমাদের বলে,
"ঐ যে দূরে লম্বা রেখাটা দেখছ,
তার অনেক নীচে তোমার অবস্থান।
তুমি দরিদ্র, তুমি বঞ্চিত।
কচুর মাননীয়! যাহারা আমার বিষায়েছে বায়ু, জীবন করেছে ঝাঁমা ঝাঁমা
তাহাদের তুমি মাননীয় বলো তাহাদের ডাকো মামা!!!( মাফ কইরেন কবিগুরুসহ টুটুল ভাই)
মাথায় রাগ চড়লো তাই রাগের মাথায় আমি চড়ে কবিতার দফারফা করলাম। এর বেশি আর কিই বা বলি! দেশের বেশির ভাগ লোকেরই দশা এখন অনেকটাই এই লাইনটার মতো,
"আগুন আগুন বলে ছুটে চলেছে লালদমকল, অথচ ভেতর মহল পুড়ছে আমার!"
তবুও প্রার্থনা করি এসবের মাঝেই ভালো থেকো বন্ধুসকল। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
মননীয় না কইলে সংসদেরে সামনে কৈফিয়ত তলব করবে
ভাই আর দেশে আইসেন না
লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হইলো, সংসদে এরকম একটা বক্তব্য দেয়ার লোক নাই!
মুকুলের বুদ্ধিটা বেশ ভালো
কি আর বলবো জ্বিনজী
আমার ভাই তোমার ভাই
টুটুল ভাই টুটুল ভাই
টুটুল ভাইএগিয়ে চলো
আমরা আছি তোমার সাথে।
লেখা সেইরকম হয়ছে।
ঘটনা কি ? আমি কি ইলেকশনে খাড়াইছি?
একবার যখন সাংসদরা সংসদে মারামারি করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তখন পত্রিকার সম্পাদকীয়গুলোতে একটা রিকারেন্ট থীম ছিল যে সাংসদদের কাছ থেকে এরকম আচরণ একদমই অপ্রত্যাশিত, বিশেষ করে তারা যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন(?)। পল্লবীতে জমি নিয়ে শ্রদ্ধেয় ইলিয়াস মোল্লা যা করছেন, তার তুলনায় সংসদে হাতাহাতি-গালাগালি করা তো আমার কাছে শিশুতোষ মনে হয়েছে। আমাদের জমির বিপরীতের বাড়ির মালিকটি একজন সাধারণ বাঙ্গালী মধ্যবিত্তের মতই রক্ত জল করে একটি বাড়ি তুলেছিলেন। ভদ্রলোক এখন ফেরারি, নিজের বাড়িতে থাকতে চাওয়ার অপরাধে দেশের একজন আইন-প্রণেতার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে।
এদেরকেই আবার আমরা ভোট দেই... নির্বাচিত করি... তারপর আবার এমন পোস্ট পয়দা করি।
সবকিছুর শেষ আছে... সেটা দেখার অপেক্ষা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই
পোষ্ট পড়ে কীবোর্ড থেকে হাত সরায়ে দাঁতমুখ খিঁচায়ে কিছু গালি দিলাম, ওগুলো উল্লেখ করাটা ঠিক হবে না।
সমস্যা এইসব দুনম্বরী না শুধু, জনগণের কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। সবাই সব মেনে নিছে, এটাই সবচায়ে ভয়ানক ব্যাপার।
বস... না মাইনা তো উপায় নাই...
উপরের পৃথীবির কমেন্টসা দেখেন... নিজের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে আবার তাকেই ফেরারি বানিয়ে দিয়েছে।
টুটুল ভাই,
অনেকদিন পরে একটা ধারালো লেখা পড়লাম। কিন্তু আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের চামড়া গণ্ডারের মতো, লেখার ধারে বা কথার ভারে তাদের থামানো মুশকিল। আসলেই দেশবদলের ক্ষমতা চলে গেছে সব নষ্টদের অধিকারে। আমি নিজে জীবন দিয়ে চেষ্টা করেও দেশে টিকতে পারি নাই, যদিও দেশ ছাড়ার আক্ষেপ এখনও রাত-বিরেতে তাড়া করে, কিন্তু উপায় নাই রে ভাই। রাজনৈতিক আর কর্পোরেট বেনিয়াদের জোগসাজশে হাইজ্যাক হয়ে গেছে আমাদের বাপ-চাচাদের রক্তে স্বাধীন করা দেশ। এখন মনে হয় না আর কোনোদিন স্থায়ীভাবে ঘরে ফেরা হবে। পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে, যদিও হাল ছাড়ার পক্ষপাতী আমি মোটেও না। আপনি আমার চেয়ে শক্তপোক্ত মানুষ, হয় তো চেষ্টা করলে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা আপনার দ্বারা সম্ভব হলেও হতে পারে।
দেখি চেষ্টা করে কতদুর যেতে পারি

ম্যানেজ করতে করতে কবে যে আমি নিজেই ম্যানেজ হয়ে যাই সেটাই ভাবনার
এইমাত্র আইডিয়াটা মাথায় আসলো।
নির্বাচনের পরে সংসদ এমপিদের কাজকর্ম নিয়ে জনগনের কি পর্যবেক্ষণ/প্রতিক্রিয়া তার জন্য জাতীয় সংসদের গেটে একটা বড় বিলবোর্ড স্থাপন করা উচিত। সেখানে দৈনিক অন্ততঃ একটা করে বাণী শোভা পাবে। তাহলে সংসদে যেতে আসতে সাংসদগন দেখতে পাবেন তাদের কর্মের প্রতি জনতা কতটা সন্তুষ্ট/অসন্তুষ্ট।
এই লেখাটা সেই বিলবোর্ডে শোভা বর্ধন করতে পারে অন্ততঃ সপ্তাহব্যাপী। এই গনতন্ত্রে বিশ্বাস হারিয়েছি বলে গত পনের বছর নির্বাচন নামক বিষয়টি বর্জন করে যাচ্ছি। বাংলাদেশী গনতন্ত্রের প্রতি সেই অবিশ্বাস কৃতিত্বে সাথে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছেন মানিক মিয়া এভিনিউর এই মাননীয় হর্তাকর্তাগন!
জনগণের সন্তুষ্টি/অসন্তুষ্টিতে তাদের কিছু যায় আসে না বস... আবার যখন নির্বাচন আসবে তখন টাকা দিয়ে নির্বাচিত হবে। আমরাও তখন সব ভুলে এদের পেছনে লাইন দিবে। সো আমরা যারা টাকা খাইয়া তাদের ভোট দেই... তাদের গালি দেয়ার অধিকার এর পর আর থাকে না
আমি সাংসদদের ক্ষমতা কমানোর পক্ষে। তাদের শুধু আইন প্রনেতা বানানো হোক... এবং অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বোচ্চ লেভেল নির্ধারন করার পক্ষে।
যেহেতু জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত সেহেতু সপ্তাহে একদিন জনগণের মুখোমুখি করা যেতে পারে।
একটা এক্সামপল দেই... ঢাকা ৪ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রথমবার যখন নির্বাচন করে নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর মদ খেয়ে ডেমরা থানায় গিয়ে ওসিকে গালাগাল করে এবং লুঙ্গি খুলে ওসির টেবিলে নাচে। সেই মোল্লা এখন আবার এমপি... কিভাবে? বলতে পারেন?
বিএনপির দৌড় সালাহউদ্দিন এত অপকর্মের পর আবার কিভাবে এমপি হয়?
এদেশে গনতন্ত্র মানে নির্বাচনের মৌজ। ইলেকশান করো, এমপি হও, মৌজ করো, দশ হাতে কামাও, দুনিয়ামে ফুর্তি লাগাও।
জনগনের কথা বাদ দিলাম। 'সংসদ' মানে যে 'আইন সভা' এটা কত শতাংশ এমপি জানে? আইন প্রণয়ন করতে পারবে সেরকম যোগ্যতা আছে কয় শতাংশের?
এমপি হলে মন্ত্রীদের সাথে ডাইরেক্ট কানেকশান, সচিবালয়ে অবাধ প্রবেশ। লাল পাসপোর্টে বিদেশ ভ্রমন। চোদ্দ গুষ্টি কৃতার্থ হয়ে যায় একবার এমপি হতে পারলে। সে চোর হোক কিংবা ডাকাত হোক।
আমি এই পুস্ট পড়ুম না। রাষ্ট্রদ্রোহী টাইপ কথাবার্তা। সংসদে এর পর কইবো ব্লগও বন্ধ কইরা দেওয়া উচিৎ
শুধু কি ব্লগ বন্ধ? পোস্ট লেখার অপরাধে আমারে তাদের সামনে ডাইকা নিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করপে
... আর ক্রসফা...... ডরাইছি
আমারও ভয় লাগছে। থারপর যদি বলে, এই পোস্ট যারা পড়েছে, তাদেরও ক্রসফায়ারে...মারাত্মক ভয় পাচ্ছি।
...তারপর...
বস। মাঝে মাঝে লাথথি মাইরা দেশ ছাইড়া যাইতে ইচ্ছা করে। আবার ভাবি এই কুত্তার বাচ্চাগুলার জন্য আমার দেশ ছাড়ব?বস , বিশ্বাস করেন , বড় দোটানায় থাকি মাঝে মাঝে।কত সুন্দর করে , কত প্ল্যান করে সবাই দেশ গড়ব। এইবার এখনো আয়কর রিটার্ন জমা দিইনি,ইচ্ছা ও করছে না- কিন্তু তবু ও মদনের মত টাকা দিয়ে আসবো ।
একটা উত্তরাধুনিক এক কথায় প্রকাশ শুনেন নাই ?
"যেখানে অনেক 'সং'কে একই সঙ্গে পাওয়া যায়-- সংসদ !"
এই প্রাণীগুলা মিনিটে মিনিটে সংসদের খরচের বিল বাড়ায়া পরস্পররে দোষারোপ করা ছাড়া আর কোন কাম করেনা । আপনার নামে স্পিকারের মানহানীর মামলা হউন উচিত !
আরেকদল আছে, সংসদে যায়বো না, মাগার মধুটা খাইবো (এইটা বলতে অবশ্য প্রত্যেকবারই আমি একটা কইরা গালি দেই)
মাননীয় স্পিকার, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ সারাদিন কুত্তার মত পরিশ্রম করে সেই অর্জিত আয় থেকে ট্যাক্স পরিশোধ করি। কিন্তু মহান সংসদের সাংসদদের আপনি তাদের ট্যাক্সের আওতার বাহিরে রাখেন। আপনার/আপনাদের নৈতিকতায় কি এই সুবিধা গ্রহণ একটুও বাধে না? কয়টা টাকা ট্যাক্স হয়? এই কয়টা টাকাও যদি সাংসদরা দিতে রাজী না হয় তাহলে তাদের ওপর ১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ কীভাবে দেন?
হাজিরা দিয়ে গেলাম
কাঁকন্দির আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম
ক্যামন আছেন? এতদিন পর কৈ থিক্কা? তারাতারি বিস্তারিত জানান ... আম্রা অপেক্ষায়
টুটুল ভাই, দেশ ছাইরেন না।
আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন।
মন্তব্য করুন