ব্লগর ব্লগর
দেশের অগ্রগতী নিয়া বিস্তর আলোচনা শুনি বিভিন্ন ফোরামে... পত্রিকায়... রিপোর্টে... বৈদেশিক গবেষণায়। দেখে পুলকিত হই। ভালোলাগায় বুকটা ৩ ফুট উচা হইয়া যায়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
বাস্তবতা আসলে কি?
৮৯'এ ডিফরেন্টাচ নামের একটা ব্যান্ডের প্রথম এলবাম বের হয়। সুপার হিট সেই এলবামে তখনকার রাজনীতি নিয়ে একটা গান ছিলো। আজ ২০১৪ থেকে মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে দাড়াইয়া অবস্থার কোন পরিবর্তন পেলামনা
জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র রক্ষায় দুই নেত্রীতো বলতে বলতে মুখে ফ্যানা তুইলা ফেলতেছে। সেই ফেনিল বুদ্বুবুদে আমাদের নি:শ্বাস যে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হইছে... সেদিকে খেয়াল নেই কারোই।
আজ হাটে মাঠে ঘাটে সর্বত্রই আলোচ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনী প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী। হয়তো এটাই আমাদের একমাত্র বিনোদন। আরতো কিছু করার নাই আমাদের। শুধু দেখেই যাব। আর হিসাব করবো কোন দল কার চাইতে কত বেশীতে জিতল।
======================
একটু দেখেন ৮৯এ ডিফরেন্টাচের সেই গানটা এখনো কতটা ঠিক
===========
হাল জামানার রাজনীতি ভাই, করতাছি যে আমরা সবাই
পেছন পকেট সদাই গরম , গলা বাজির আছে যে সায়।।
এ মন হায়,
একবার দুইবার নেতা হইবার চায়
শুনছি নাকি নেতারা সব এয়ারকন্ডিশন পায়।।
হরতাল মিছিল চালাইয়া যাও, রিকশা গাড়ি ভাইঙ্গা ফালাও
পেছন পেছন আছি আমি, কোন কিছুর ভরশা নাই।
বিশ্রামেতে যাইয়া নেতা সপ্নে চোখ বুলাই
বঙ্গভবন যাইতে নেতা মার্সিডিজ চালায়
বাইরে গরম চলতায়াছে, সেখানে তা নাই
মরলে মরব যুবকরা সব, আর মরলে টোকাই।।
বড় সাধ,
একবার আমি মিনিষ্টার হব
মিনিষ্টারি না পাইলেও এমপি হব
ইলেকশনে দাড়াইবেন ভাই, শিক্ষাগত যোগ্যতা চাই
প্রাইমারি পাশ না হইলে স্যার হইয়া যাইবেন ডিসকোয়ালিফাই।।
দেশের সেবা করব বলে, দাড়াইছি ভাই দলে দলে
খুন খারাবির দোষ তাতে কি , রায়টা আমার পক্ষে যে চাই
গনপতি কবে হব, সুইস ব্যাঙ্কে নোট জমাব
হর হামেশা চিন্তা শুধু, বিনা লাভে দিন বুঝি যায়।
এবার কন,
কার কি মনে চায় একটা বার হুনতাম
কপাল গুনে যদি দ্যাশের গদিটা পাইতাম
একশ কথার এক কথা ভাই , বলতে মোদের দোষ কিছু নাই
ভক্তি আছে যেমন তেমন, কাম করনের নাইকো বালাই
ঝড় বন্যাতে ভাইসা গেছে, বৈদেশি ডলার আইসাছে
ডুব দিয়াছে কোন গুদামে, আমরা কিন্তু কিছু দেহিনাই
গানটারে ভালো পাই!
অনেকদিন পর গানটার কথা মনে পড়লো। তখন খুব শুনতাম।
সেই এক কালের মজার গান।
এইতো সেদিনের কথা...মাঝে ২৪ বছর চলে গেছে? খাইছে...
ছোট্ট একটা ভুল তথ্য দেয়া হইসে লেখার মধ্যে।
এই দুইটা অধিকার আসলে এক নেত্রীই রক্ষার ঠিকা নিছে। আরেক নেত্রী রক্ষা করতেসে সাংবিধানিক অধিকার।
কথাটা শুক্রবার সকালে শুনলাম বিচারপতি হাবিবুরের মুখে।
দেশের জন গন যখন সম্মিলিত ভাবে দেশের ভালোর বিষয়ে ঐক্যমত্যে না আসতে না পারবে ততদিন এসব সমস্যা গুলো চলতেই থাকবে
মন্তব্য করুন