ফটোগ্রাফী এবং গবেষণা
একটা অসাধারণ ছবির পেছনে অনেক কষ্টের গল্প থাকে... যা আমরা জানি না। জানতে চাইও না। আমরা কখনো ভাবতে চাইনা ফটোগ্রাফারের ভিউটা। আমরা বই এবং ম্যাগাজিনে দূর্দান্ত সব ছবি দেখি... কিন্তু এইসব ছবিটা দেখেই ওয়াও বলেই আমাদের কাজ শেষ ... কিন্তু কখনো খুজি না যে, ছবিটা তোলার পেছনে একজন ফটোগ্রাফারকে কতদুর যেতে হইছে? কত সময় ব্যায় করতে হইছে? কতটা অর্থ ব্যয় করতে হইছে?
বিখ্যাত সব ফটোগ্রাফারদের কার্যক্রম পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ছবির বিষয় নিয়ে গবেষণায় তার অনেক সময় চলে যায়। যেটা আমরা কখনোই করি না ... আমরা যেই কাজটা করছি... এক দঙ্গল লোক বিশাল বিশাল ক্যামেরা নিয়া বের হইলাম... যাইয়া ধুমাইয়া কোপাইয়া চাইলা আসলাম। এভাবে এক্সিডেন্টালী ভালো ছবি আসে না তা না। অবশ্যই আসে... সেটা উল্লেখ করার মত নয়।
ভালো একটা ছবি পেতে হলে আপনাকে বিষয়ের প্রতি বিস্তারিত জ্ঞান থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। এই ধরেন আপনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি তুলতে চান... ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে চান আকাশে মেঘের ছুটোছুটি। নিশ্চয় এটা শীত কালে সম্ভব হবে না .... আবার একদিন বাসে যাইয়া কয়টা ছবি তুইলা চাইলা আসলেন ... আপনে জানলেইনই না যে, জাতীয় স্মৃতী সৌধ কি এবং ক্যান... এভাবে তো আপনি দূর্দান্ত কোন ছবি পাবেন না... কারণ বিষয়টার প্রতি আপনার মনের গভিরে কোন ছবিই তৈরী হয় নি।
যে কাজগুলো আসলে এজন ফটোগ্রাফারের জন্য প্রয়োজনীয়:
১. আপনাকে ছবির লাইব্রেরী ঘেটে স্মৃতিসৌধের ছবিগুলো দেখলে নিজের ছবিতে কি চান সেই ধারনা আরো ভলো হবে;
২. স্মৃতিসৌধের ইতিহাস এবং স্থাপত্য নিয়ে কিছু লেখালেখী পড়লে ছবিটার ঐতিহাসিক গ্রহণযোগ্যতা এবং মানুষের আবেগকে ধরতে পারবেন। যেটা আপনার ছবিকে আরো বেশী শক্তিশালী করবে ;
৩. গুগল ম্যাপের সহযোগীতায় জায়গাটার বিস্তারিত খেয়াল করলে আখেরে উপকার পাবেন;
৪. অবশ্যই দিনের এবং বছরের বিভিন্ন সময়ের আলোর অবস্থাটা বিবেচনায় নিতে হবে
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, একটা ভালো ছবির পেছনে সময় নিয়ে গবেষণাটা কতটা প্রয়োজনীয়। যাস্ট মনে রাখেবেন... একটা ছবি শুধু একটা ছবিই না... একটা গল্পও হতে পারে... একজন ফটোগ্রাফারের কাজই হচ্ছে ছবিতে গল্পটা ফুটিয়ে তোলা
মন্তব্য করুন