হাম হাম জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গল
গত ০৫/১০/২০১১ ইং তারিখে টুটুল ভাই বান্দরবন-থানচি-রেমাক্রীর ভ্রমন কাহিনী পড়ে প্রশ্ন করেছিলেন "হাম হাম" দেকছেন? উত্তরে বলেছিলাম " অপেক্ষা করেন বস"। ০৬ অক্টাবর, ২০১১ ইং তারিখ পূজার বন্ধ, আর কোন কথা নাই বোচকা-বুচকী বাধা শুরু হয়ে গেল, এবার লক্ষ্য শ্রীমংগল এর রাজকান্দী রিজার্ভ ফরেস্ট এর "হাম হাম জলপ্রপাত"। প্রথমেই বাধা ট্রেন এ সবার টিকিট নাই, কি করা ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেলাম একদল ট্রেন অপর দল বাস। ৭ তারিখ ভোরে সবাই একত্র হয়ে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার নিয়ে নিলাম। চাদের (জিপ) গাড়ী নিয়ে আমাদের গাইড শুভ সময় মতো হাজির। যাহোক সকাল ৯ টার ভিতর আমরা চাম্পারায় চা বাগান পৌছে গেলাম। এরপর ছবিতে দেখুন
১) প্রাকৃতিক ফ্রেম, শুরু হয়ে গেল ফ্রেম বন্দী হয়ে ছবি তোলা, ছবিতে ফ্রেম বন্দী ইকবাল
(২) প্রাচীন বৃক্ষ, এই গাছের চারদিকে দেয়াল দেয়া, সম্ভবত পূজা দেয়া হয়
(৩) শিব মন্দির
(৪) ট্রেকিং শুরু হবার পর প্রথম বাধা
(৫) ঝিরি পথে ট্রেকিং
(৬) ট্রেকিং করতে করতে ক্লান্ত, কিছুক্ষণ বিশ্রাম
(৭) পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোতধারা, আনন্দিত দু'ই সহযাত্রী
(৮) বিপদজনক পথের শুরু, পিচ্ছিল পথে পদে পদে বিপদ
(৯) জায়গায় জায়গায় এরকম পাথর এর দেখা পাওয়া যায়, একটু অসতর্ক হলেই ধপ্পাস
(১০) অবেশেষে কাংখিত হাম হাম
(১১)হামহাম এর স্রোতধারা , অবিরাম ঝরে পড়ছে
(১২) পর্যটক মুখিরত হাম হাম জলপ্রপাত
(১৩) সবুজ রঙ এর সাপ , ট্রেকিং করতে হলে শুধু পথের নিচে লক্ষ্য না করে মাথার বরাবরে গাছ থাকলে তার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে
(১৪)সাহসী নারী, কোন বাধাই বাধা নয়, স্যালুট
(১৫) আনন্দে মেতেছে পর্যটক
(১৬) ফেরার সময় দেখলাম , মানুষের নিস্ঠুরতা.....কিছুক্ষণ এর ব্যবধান এ জীবিত কে মৃত করে ফেলে।
এই ট্রেকিং/ ভ্রমনটা একদিনেই করা সম্ভব অর্থাৎ সকালে গিয়ে বিকালেই ফেরা যাবে। এখানে গেলে চাবাগান, চিরসবুজ বন, বিভিন্ন ধরনের প্রানী বৈচিত্র, অ্যাডভেন্চার, ট্রেকিং সব ধরনের স্বাদ পাওয়া যাবে।
এই জায়গাটাতে যাব বলে অপেক্ষা করছি খুবই আগ্রহ নিয়ে। একটু ডিটেইল কি লিখা যায় কিভাবে যাব কি সমাচার?
সুন্দর জায়গা একদিন রওনা হয়ে যান। ঢাকা েথকে ট্রেন বা বাস এ শ্রীমঙ্গল, শ্রীমঙ্গল থেকে সারাদিনের জন্য অর্থাৎ যাওয়া-আসার জন্য রির্জাভ গাড়ী/জিপ ভাড়া করে (সব খরচ ও গাইডসহ ২৫০০/- টাকা লেগেছিল) চাম্পারায় পর্যন্ত, তবে ঢাকা থেকে বা আগে থেকে গাইড আর গাড়ী ঠিক করে গেলে অনেক সময় কম লাগবে। ভালো হয় যদি ৭/৮ জনের একটি টিম নিয়ে যান, তা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। এরপর হাটা জঙ্গল, ছোট-খাট টিলা, ঝিরিপথ, পাথর পূর্ণ পিচ্ছিল রাস্তা পার হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা পর হাম হাম জলপ্রপাত। সকাল সকাল বের হয়ে গেলে বিকাল ৫ টার মধ্যে খুব সহজেই ফেরা যায়।।
যাক আর যাওয়া লাগলো না
.... আপনার চোখ দিয়েই দেখে ফেল্লাম... অনেক অনেক ধইন্যা
বান্দরবনে নাকি একটা আবিষ্কার হইছে? সেইটা সম্পর্কে কিছু জানেন?
টুটুল ভাই মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। ।সময়-সুযোগ পাইলে কোনটাই বাদ যাবে না।
দারুন জায়গাতো! জল্প্রপাতটা অনেক সুন্দর!
কিন্তুক যাবার ঝক্কিতো অনেক! 
সত্যই দারুন জায়গা কিন্তু এখন এত্তো লোক যাচ্ছে যে প্রকৃতির আসল চেহারা হারিয়ে যচ্ছে। জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
মনে হলো আমিও বেড়াচ্ছি...ধন্যবাদ বিনা খরচে এরকম ভ্রমণের সুযোগ দান করার জন্য।
আপনাকেও
এইটা আগে দেখি নাই কেন??
পোস্ট কোথায় ছিলো আগে?
ভাইরে ভাবছিলাম আগেই প্রকাশ করবো কিন্তু কিছু ছবি আপলোড হবার পর নেট কানেকশন এ সমস্যার কারনে দেয়া হয় নাই , যেদিন পোস্ট করলাম দেখলাম যে পোস্ট পিছনে চলে েগছে।
বান্দরবন গেছি দারুণ লাগছে। আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। হাম হাম যাওয়া হয় নাই। যাওয়া লাগবে
নামটা হাম হাম ক্যানো
দারুন সব ছবি
নামটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে।
পড়ার জন্য 
উচ্ছল ভাই, আমিও আপনার মত। গত বছর অল্প ব্যাযাম দিয়ে কেওকারাডং, জাদিপাই ঝরণায় যেতে-আসতে খুব কষ্ট হয়েছে(http://www.sswapan.blogspot.com/)। এবার বেশ ব্যায়াম শুরু করেছি। জানুয়ারী যাব তাজিংডং।
আমার খুব ভাল লাগল
আপনার ছবিগুলো আমাদেরকে দিবেন?? আমাদের পত্রিকায় প্রকাশ করব
??
আশরাফুল ভাই,
তবে প্রত্রিকার সৌজন্য কপি চাই
নিজেরা যেতে পারেন তবে রাস্তা চিনে যেতে হবে, তানা হলে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
ছবি নিতে পারেন
ভালো থাকবেন।
মন্তব্য করুন