বিজয় দিবস ও পাকি কুত্তার ঘেউ ঘেউ
তুমি শরৎ প্রভাতে সবুজ ঘাসের
উপর জমে থাকা শিশির বিন্দু
নাকি শিশির বিন্দুর উপর সূর্যের কিরন
পড়ে চিক চিক করা মুক্তা সদৃশ, মুক্তা
তুমি তিমির বিদারী আলোয় ভাসানো
পূর্ণিমা শশী
যা প্রকৃতির সাথে মনের আঁধার ঘুচিয়ে দেয়।
নাকি অমাবর্ষার নিকষ
কালো অন্দকার
যা আমাকে জেগেও স্বপ্ন দেখায়,
তুমি অন্ধকারে দিশাহীন পথে
জোনাকির আলো
যার মিটি মিটি প্রিদিম পথ চলতে
সাহায্য করে।
নাকি তুমি দিগন্ত বিস্তৃত
সোনালী ধানের ক্ষেতে
হিন্দোল তুলে
বয়ে যায় মৃদু মন্দ শীতল হাওয়া,
কোথাও গমের ভুই
কোথাও নয়ন জুড়ানো
হলুদাভ সরিষার ক্ষেত।
আরও আরও কত কি!
তুমি কিশোর প্রেমের
অবাধ্য আবেগ
নাকি পড়ন্ত জীবনে
স্মৃতি কাতরতার সুখস্মৃতি।
তুমি আধো আধো বোল
শিশুর প্রতি মা বাবার অকৃত্রিম ভাল বাসা
নাকি শেষ বয়সে যোগ্য সন্তানের প্রতি
তাকিয়ে গর্ব বোধ করে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা।
তুমি সুউচ্চ পর্বত হতে বিচ্ছুরিত
অধোগামী শ্বেত শুভ্র জলরাশি
যাকে আমরা ঝর্ণা বলি
নাকি অথৈই সমুদ্রে ভাসমান
দুঃসাহসী মাঝি, মণি মোক্তা আহরনকারী।
তুমি মোর পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সকল
ভাল লাগা- মন্দ লাগা
তুমি সৃষ্টি কর্তার প্রদত্ত
অমূল্য জীবনের অফুরন্ত উচ্ছ্বাস
আনন্দ বেদনার সংমিশ্রণ।
তুমি মোর তব খেলাফ বিদ্বেশ
পোষন কারীর বিরুদ্ধ ঘৃণা
ও সশস্ত্র প্রতিরোধ।
তুমি মোর বিশ্বের বুকে সবচেয়ে বড়
লাল সবুজের গর্বিত পতাকা।
তোমার আগমন কালে তোমার
এ সন্তানেরা ছিল, জন্ম দিনের
পোষাকে।
তারা যখন বুঝতে শিখেছে
কতই আফসোস করেছে
তোমার আসার পথের
দূঃখ কষ্ট বেদনার কথা শুনে।
কিন্তু আজ যদি নর ঘাতক
নর পিশাচেরা আবার সামনে আসে
পুরণ হবে সে সাধ।
বুঝিয়ে দেবে
ইদুরের গর্তে থেকে
বকবকানির মজা।
এই কি সে ইমরান খান
যার জন্য তব বুকে
অবস্থান কারী
কিছু কুকুরের দল
যারা ক্রিকেট মাঠে
চাঁদ তারা পতাকা দোলায়।
হে আমার মায়ের ঝান্ডা
তুমি নিশ্চিত থেকো
একদিন তোমার বুক থেকে
এ কুলাঙ্গাররা বিতারিত হবেই।
নিজের পাছায় যার কাপড়
নেই সে কি করবে অন্যকে দান
ওরা না
না শুধরালে আমরাই ওদের
যুদ্ধ করার সাধ মিটিয়ে দেব।
চির তরে, চির তরে।
ডিসেম্বর,১৮,২০১৩ খ্রীঃ
চলুক .. কবিতার রেলগাড়ি..
চেষ্টা করব-ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ বন্ধু।
ধন্যবাদ, আপু কেমন আছেন?
মন্তব্য করুন