ডিজিটাল বিড়াল!
ডিজিটাল বাংলাদেশে
বিড়ালগুলো হায়!
মাছ-মাংস কাঁটা রেখে
দুধ নাহি খায়।
আদ্যিকালের বিড়ালেরা
দিব্যি মানতো পোষ
ডিজিটাল যুগে এসে
মাছ-মাংসে বেহুঁশ।
আরাম প্রিয় বিড়ালের
নেই তো এখন সুখ
মাছ-মাংসেই অভ্যস্ত
সেজেছে রাজপুত।
বিড়ালের গোঁফ-দাড়ি
এখন যেমন নেই
চুক চুক দুধের শব্দ
আছে শুধু পুরাণেই।
ডিজিটাল বিড়ালের
হলো কি যে দশা!
গেরস্তের ঘুম হারাম
নতুন এক হতাশা।
পাল্টে গেছে বিড়ালের
আসল চরিত্র
ফরমালিনের ভেজালে
বিপন্ন ধরিত্র।
গরুর খাঁটি দুধ এখন
গল্পেতে কেবল
দুধ প্রিয় বিড়াল তাই
খুঁজে ফেরে জল।
৩০.০৮.২০১১
কবিতা বরাবরের মতোই মজার।
ভেজাল শুধু? মানুষ খাইতে পায় না আর বিড়াল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কথাটি একদম মিথ্যে নয়, তবে মানুষ খাচ্ছে সাধ্যানুযায়ী। আর পশুপাখিরা আজ বিড়ম্বিত। আগে মানুষের খাবারের উচ্ছ্বিষ্টাংশ খেয়ে ওরা বেঁচে থাকতো। এখন বুঝি মানুষ অভাবে থালা-বাসন চেটেপুটে খায়। উচ্ছ্বিষ্ট বলতে কিছু থাকে না। ডিজিটাল যুগের কারণেই বুঝি এমনটি ঘটছে। তাই বলে কি বিড়াল-কুকুরদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? এদেশ থেকে শকুন বিদায় নিয়েছে বটে, মানুষ নামধারী কিছু শকুন এর কিছুটা স্থান দখল করে নিয়েছে। কাকের অবস্থা সবারই জানা।
এবার দেখি বিড়াল নিয়ে পড়লেন। এই বিড়াল আসলে কে? কিংবা কি?
চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন তো, কে হতে পারে?
হ্যাঁ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।
(
মন্তব্য করুন