ইউজার লগইন

মামুন হক'এর ব্লগ

শিশুবার্তা ইজ ব্যাক!

কেমন আছেন সবাই? অনেকদিন নানা ঝামেলায় এদিকে আসা হয় না। আগে নিয়মিত বাচ্চাদের ছবি নিয়ে পোস্ট দিতাম সেটাও অনেক দিন ধরে বন্ধ। ইন্টারনেটে বাচ্চাদের ছবি পোস্টানো নিয়ে অনেকে ভয়ধরানো সব সাবধানবাণী শোনায়, যার কারণে ফেসবুকে ছবি আপ্লোডানোও আগের মতো নিয়মিত না। তবুও এবির বন্ধুরা আয়লা-এষার সেই জন্মলগ্ন থেকেই সাথে আছেন, তাঁদেরকে মাঝেমধ্যে আপডেট না জানালে বড় ধরনের বেয়াদবি হবে। তাই বেশ কয়েকমাস বন্ধ থাকার পরে আবারও শিশুবার্তা নিয়ে হাজিত হলাম আপনাদের সামনে।

আয়লা-এষা এখন বেশ বড় হয়ে গেছে। হাঁটাচলা তো হাতের ময়লা, মাঝেমধ্যে প্রায় স্প্রিন্টারের গতিতে ছুট লাগায়। এদের দৌড়-ঝাপ আর দুষ্টমির দৌড়াত্মে আমার জান ঝালাপালা, তবে বড় মধুর সে যন্ত্রণা। বাপ-মা যারা তাঁরা ঠিকই জানেন।

এই সব দিন রাত্রি

সবাই মিলে ধরে মাইর লাগানোর আগেই মাফ-টাফ চেয়ে রাখি। বিশ্বাস করেন হাজারো ঝামেলায় আউলা-ঝাউলা থাকার কারণে ব্লগ লেখার যাবতীয় প্রচেষ্টা ফেল মেরে যায়। বন্ধুদের আমি ভুলি নাই, আশাকরি বন্ধুরাও আমাদের ভুলেন নাই। গত দুই মাস যাবত অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভাঙ্গা দৌড়ের উপরে। বাংলাদেশে যখন গেলাম, মানে কোরবানীর সময়ে, তখন সবার সাথে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এক বন্ধুর গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জে ঈদের পরের দিন যাওয়ার পরে মেয়ে দুইটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রাম থেকে কারও সাথে যোগাযোগের কোনো উপায়ও ছিল না। সেখান থেকে ঢাকা ফিরে ওদের মায়ের অস্থিরতায় অতীষ্ঠ হয়ে একদিন পরেই তাইওয়ানে ফিরে আসি। তবে ওরা আরেকটু বড়, শক্ত-পোক্ত হলে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য দেশে আসবো, তখন ওরা নিজেরাই ছোটাছুটি করে সবার আদর আর ভালোবাসা কুড়িয়ে নিয়ে আসবে।

মাটির টানে, ঘরের পানে

মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। কল্পনা আর বাস্তবতার এই বেরসিক গোঁজামিল কখনো হৃদয় বিদারক, কখনো হতাশাব্যঞ্জক আবার কখনো ঘোর গ্রীস্মে মেঘ না চাইতেই এক পশলা শান্তিময় বারিষ। আমার ক্ষেত্রে ঘটলো শেষেরটাই। কথা ছিল আব্বা-আম্মা আসবেন তাইওয়ানে, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাবার আগেই নাতনীদের দেখতে। কিন্তু দেখা গেল তাদের ভিসা নিয়ে ঝামেলার এক শেষ, থাইল্যান্ড গিয়ে ভিসা নিতে হবে, সেখানে আবার অপেক্ষায় থাকতে হয় চার-পাঁচ দিন। বুড়ো হাড়ে এর এত ঝামেলা সইবে না বলে বাবার অসোয়াস্তি শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেরাই থাইল্যান্ডে চলে গিয়ে তাদের সাথে সপ্তাহখানেক সময় কাটাতে। কিন্তু সেখানেও অনেক হাঙ্গামা, ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি রিসোর্ট পাওয়াই মুশকিল। পাতায়া বা ফুকেটের অর্ধ নগ্ন বীচে তাঁদের পোষাবে না। তাই হুট করে অনেকটা ঝোঁকের মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমরা বরং বাংলাদেশেই চলে আসি এক সপ্তাহের জন্য। খুবই অল্প সময়, নিজের দেশে বেড়াবার জ

বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা

শিরোণামের কথাটা হয়তো কিউই পক্ষীর দেশের লোকেরা আগে শুনে নাই। তবে এবার শুনুক বা না শুনুক একদল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হাতে নিদারুণ নাকানিচুবানি খেয়ে কথাটার বাস্তবতা যে হাড়ে-মজ্জায় অনুভব করতেছে সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সমীহ জাগানো শক্তি নিউজিল্যান্ড, এর আগের প্রতিটি সফরেই হেসে খেলে সিরিজ জিতে 'বাংলাদেশ এগোচ্ছে, লেগে থাকলে হবে, জয় নয় অংশগ্রহণই বড় কথা'- জাতীয় মায়াময় বক্তব্য দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। কিন্তু এবারের বাংলাদেশ শুধু তাদেরই না বলতে গেলে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। ভারতীয় আনন্দবাজার গোষ্ঠী ছাড়া ( এরা কেবল বেছে বেছে বাংলাদেশের হারার খবরগুলোই ফলাও করে প্রচার করে) অন্যান্য অনেক দেশের খেলার খবরে স্থান করে নিয়েছে বাংলার বাঘের হাতে অল ব্ল্যাকসদের নাস্তানাবুদ হবার ঘটনা।

মাসিক শিশুবার্তা

এমনিতেই একদিন দেরী হয়ে গেছে, আরও একদিন দেরী করলে রাসেল আশরাফ আর জয়িতা আমারে ভেজে খেয়ে ফেলবে। তাই তড়িঘড়ি করে অফিস থেকেই এই ছবি ব্লগের সূত্রপাত। আসলে বেশ একটা ঘটনাবহুল মাস গেলো--ঈদ, ভয়াবহ টাইফুনের নির্দয় হামলা, দেশ-বিদেশ থেকে আত্মীয় পরিজনদের বেড়াতে আসা, কর্মক্ষেত্রে নিদারুণ ব্যস্ততায় খাবি খাওয়া, চন্দ্র মাস উপলক্ষে চন্দ্রোৎসব, আয়লা-এষার আজগুবি ভঙ্গীতে হামাগুড়ি শেখা আরও কত্তো কী! ইচ্ছা ছিল সবিস্তারে একটা জমজমাট ব্লগ লিখবো, কিন্তু কপালের নাম গোপাল। তাই আহা উঁহু বাদ্দিয়ে যা পারি তাই লিখে আপনাদের পাতে তুলে দেই। সময়াভাবে অন্যদের সব ব্লগ পড়তে পারি না, অথচ নিজে হাবিজাবি লিখে পাতা ভরিয়ে ফেলি-- ক্ষমা-ঘেন্না করে দিয়েন গো Smile

গল্প লেখার গল্প

সে এক বহুকাল আগের কথা। আমি তখন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ি। ক্লাসমেট, বেঞ্চমেট এবং ফুটবল টিমমেট হিমেল আমার খুবই কাছের বন্ধু। পড়াশোনায় আমি ছিলাম বরাবরই ফাঁকিবাজ আর ও হাড়মাস কালা করা ধরনের সিরিয়াস। কিন্তু মজার বিষয় হলো প্রায় প্রতিবারেই আমার রেজাল্ট ওর চেয়ে ভালো হতো। আমরা ক্লাস এইট থেকেই এক গ্রুপে। খেয়াল করে দেখতাম প্রতিটা পরীক্ষার আগেই ওর চোখেমুখে ভয়াবহ রকমের ভীতি খেলা করতো। রাতদিন জেগে সব মুখস্থ করে এসেও পরীক্ষার হলে গিয়ে টেনশনে সব ভুলে বসতো। আমার পরীক্ষা-ভীতি বলতে গেলে ছিলই না। বরংচ রীতিমতো নিয়ম করে পরীক্ষার দুই দিন আগে থেকেই পড়ালেখা সব বন্ধ করে দিয়ে সেবা-হুমায়ুন-শীর্ষেন্দুতে ডুবে থাকতাম। ঠিক পরীক্ষার দিন সকালে নোটগুলোতে আরেকবার দায়সারা গোছের চোখ বুলিয়ে হেসেখেলে পরীক্ষার হলে ঢুকতাম। হিমেলকে দেখতাম পরীক্ষা শুরুর মিনিট খানেক আগ পর্যন্ত রিভিশন দিতে দিতে গলা শুকিয়ে ফেলতে। ক্লাসের ফার

প্রবাসে ঈদ

এর আগে এক লেখায় আপনাদের জানিয়েছিলাম তাইওয়ানের মতো পাণ্ডববর্জিত দেশে রোজার মাসে কষ্টে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থার কথা। তো সমস্ত রোজার মাস যদি হয় ফূটন্ত কড়াই তাহলে খোদ ঈদের দিনটি হলো জ্বলন্ত উনুন। এক হচ্ছে প্রবাসে বাপ-মা, আত্মীয়-স্বজন, পুরানা বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই। বাসায় ফোন করলেই মায়ের ফোঁপানো, কান্না সামলে ফ্যাঁসফেঁসে গলায় কী খেয়েছি, কী রেঁধেছি ইত্যাদির ফিরিস্তি চাওয়া। বাবার থমথমে গলায় হাঁটু ফুলে যাবার বয়ান, ভাই-বোনদের অভিযোগ-অনুযোগ ইত্যাদিতে জেরবার করে তোলা। আর দ্বিতীয় হলো নিজেও বানিয়ে বানিয়ে খুব ভালো থাকার-খাবার বর্ণনা ইত্যাদি দিয়ে সবাইকে আপাতত ঠাণ্ডা করে একছুটে সাগর পাড়ে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকা। পরেরটাতেই কষ্ট লাগে বেশি, হিমঘরে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হৃদয় গলে ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরে।

দিন যায়, কথা থাকে

I become ugly when I don’t love
And I become ugly when I don’t write
--Nizar Kabbani

হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস...( শেষ পর্ব)

পবিত্র রমজান মাস চলে আসতেছে। ভেগাস নিয়া পোস্টে দিতে দেরী করলে পরবর্তীতে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করার অপরাধে আমার ফাঁসির দাবী আসতে পারে। তাই হাজার ঝামেলার মধ্যেও শেষ পর্বটা নামিয়ে ফেললাম। তাড়াহুড়া করে লেখা, ছবি পোস্টানো, ভুল-ত্রুটি মার্জনীয় Smile

ঘোর শ্রাবণে পৌষ মাস, আয়লা-এষার ছয় মাস

দেখতে দেখতে ছয় মাস হয়ে গেল! হ্যাঁ ভাই, আয়লা আর এষার আজকে হাফ জন্মদিন। অর্ধ দিবস হরতালের মতো, বা জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মতো উপলক্ষ নয়, ছোট্ট পরীদের মুখের স্বর্গীয় হাসি এবং অনাবিল আনন্দের আভা বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেয়ার এখনই সময়।

হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস...

শিরোনামের কথাটা শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে। নাটিকে, সিনেমায়, বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় সবাই লাস ভেগাসের প্রসঙ্গ উঠলেই কথায় কথায় বলে বসে হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস স্টেইজ ইন ভেগাস। কিন্তু কেউ ব্যাখ্যা করে বলে না, আসলে এর মানে কী। অনেকদিন যাবতই ইচ্ছা ছিল আমরিকা গেলে ভেগাসে একবার একটা চক্কর মেরে আসব। এমনই কপাল এবার কনফারেন্সের ভেন্যুই গিয়ে পড়ল একেবারে মালীর ঘাড়ে--মানে লাস ভেগাসে। আর পায় কে, লাস্ট মিনিটে টিকেট

ভ্রমণ প্রমাদ

(এইটা একটা আজাইরা পোস্ট, নিজ দায়িত্বে পড়ুন)

বেড়াল এবং কাঁকড়া পূরাণ

ব্যাপক তত্ত্ব-তালাশের পরে একটা বিষয় জেনে মনটা একটু শান্ত হলো। অস্ট্রেলিয়ান সরকার অন্তত একটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষদের কুকুর-বিড়ালের চাইতে বেশিই মর্যাদা দেয়। সেটা হলো বাংলাদেশে শিক্ষিত, শান্তিপ্রিয়, ভদ্দরলুকদের জন্য বিস্তর কাটখড় পোড়ানোর পরে অস্ট্রেলিয়ায় ঘাঁটি গাঁড়ার সুযোগ থাকলেও, বাংলাদেশী কুকুর-বিড়ালদের জন্য সেই সুযোগ একেবারেই নাই, বেচারিরা এক্কেবারে অচ্ছুৎ সেই সব পেয়েছির দেশে। গত কিছুদিন যাবৎ

আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা-৩

সম্মানীত সূধীবৃন্দ,
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আবারও আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে মাসিক শিশুবার্তা। আমাদের এই পর্বে থাকছে ছোট্ট এষা এবং আয়লার ছয় মাসে পদার্পণের সুখবরের পাশাপাশি বাছাই করা কিছু ছবি।

বাংলাদেশে পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদ প্রসারের নীলনকশা: একটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা

আজকের প্রথম আলোতে দেখলাম পাকিস্তান ’৭১ এ বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছে, দেখে মুখ ভরে গেল থুথুতে, মাথায় উন্মাদ রাগ চাড়া দিয়ে উঠলো। মনে পড়ে মাস কয়েক আগে আরেকটা খবরে দেখেছিলাম পাকিরা কূটনৈতিক পর্যায়ে বিনা ভিসায় বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য দেন-দরবার করছে। এইসব দেখে পুরানা কিছু কথা আবারও মনে পড়ে গেল। কথাগুলো গত বেশকিছুদিন যাবতই মাথায় ঘুরছে। লিখবো লিখবো বলে যখনই অলসতার কাছে আত্মসমর্পণ কর