হুমায়ুন ফরিদীর মৃত্যুতে
কয়েক বছর আগে ঈদের অবকাশেই সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী চরিত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি নাটক হয়েছিলো, মিসির আলী আমার পছন্দের চরিত্রগুলোর একটি, এত প্রিয় চরিত্র নিয়ে একটি টিভি নাটক চলছে আর আমি পরিচালককে গালাগাল দিচ্ছি মনে মনে। মিসির আলী চরিত্রে যে অভিনেতা অভিনয় করেছিলেন তাকে ঠিক আমার কল্পনার মিসির আলীর সাথে কোনোভাবেই মেলাতে পারছিলাম না।
অনেক ভেবে মনে হলো যে মানুষটার কোনো স্পষ্ট অবয়ব আদতে উপন্যাসগুলোতে নেই সে মানুষটাকে কল্পনায় যেমন বুদ্ধিদৃপ্ত, সাবলীল, মায়াময় এবং চিন্তাশীল হিসেবে কল্পনা করেছিলাম, এই অভিনেতার মেক আপ, সংলাপ উচ্চারণ, অভিব্যক্তি এবং সম্পূর্ণ উপস্থাপনে সেই কল্পনাগুলো ভীষণ রকম আহত হচ্ছে। আসাদুজ্জামান নুর, যিনি কোথাও কেউ নেই নাটকে বাকের ভাই হিসেবে অভিনয় করেছেন, তার সম্পূর্ণ অভিনয় পারদর্শীতা মেনে নিয়েও বুঝলাম আমার কল্পনার মিসির আলী কখনও এমন দাঁড়াল ছিলেন না, মনে হলো আবুল হায়াতের কথা, তার চেহারার ভেতরে বহুব্রীহির খ্যাপাটে রিটায়ার্ড বাবার ছাপ, সেখানেও মিসির আলী নেই, তখন মনে হলো যদি হুমায়ুন ফরিদী থাকতো নাটকটাতে তাহলে আর অন্য কিছু ভাবতে হতো না। কল্পনার মিসির আলীকে ছাপিয়ে যেতে পারতো যার অভিনয় তিনি হুমায়ুন ফরিদী।
মঞ্চে প্রবেশের পর থেকে সংলাপ উচ্চারণের আগ পর্যন্ত একটা আবহ তৈরি করতে হয়, প্রতিটি সংলাপ উচ্চারণের একটা মুহূর্ত থাকে, সে মুহূর্তে শাররীকঅভিব্যক্তিসমেত সংলাপ উপস্থাপন একজন অভিনেতার সাথে রাম শ্যাম যদু মধুর তফাতটুকু তুলে ধরতে পারে। সংলাপ উচ্চারণের আগে নিজের উপস্থিতি এবং অভিব্যক্তি দিয়ে সংলাপের ভেতরে অন্য একটা মাত্রা নিয়ে আসার যে অনায়াস দক্ষতা ছিলো হুমায়ুন ফরিদীর সেটা বাংলাদেশের খুব কম অভিনেতার বিশেষত ১৮ চ্যানেলে ঘুরে ফিরে যাদের মাঝেমাঝে চোখে পরে তাদের ভেতরে খুব কম কয়েকজনের ভেতরে আছে।
হুমায়ুন আহমেদের কোনো একটি নাটকে হুমায়ুন ফরিদী গৃহশিক্ষকের অভিনয় করেছিলেন, ছাত্রকে চিড়িয়াখানায় রেখে এসে নির্বিকার হাঁটছেন গৃহশিক্ষক, বাসাশুদ্ধ মানুষ অস্থির, সে অবস্থায় গৃহশিক্ষক বললেন সব শিখিয়ে দিয়েছি, নিজে নিজেই চলে আসবে। তার এই সংলাপ উচ্চারণের আগে উপস্থিত সবার দিকে তাকানো, খুব ধীরে সংলাপ উচ্চারণের ভেতরে এক ধরণের নাটকীয়তা ছিলো , যা সম্ভবত ২ যুগ পরেও মনে আছে।
কিংবা সংশপ্তকের রমজান যে মুহূর্তে হুরমতির কপালে পয়সার ছাপ দিচ্ছে সেই দৃশ্য দেখে বাসার সবার আঁতকে ওঠা এবং ক্রমশ ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা রমজান যে মুহুর্তে বলছে এসডিও সাহেবকে আমি সামলাবো, টাকা আমার চাই, নইলে জমি। এই একটি সংলাপই ক্ষমতার চুঁড়ায় থাকা অহংকারী একজনকে উপস্থাপন করে অনায়াসে। তবে হুমায়ুন ফরিদীর যে দৃশ্যটা ভুলতে পারছি না, সেলিম আল দীনের যাত্রাপালার দল নিয়ে একটি নাটকে হুমায়ুন ফরিদী অভিনয় করেছিলেন, সেখানে মালতী নামক একটি চরিত্রের স্বামী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন হুমায়ুনফরিদী(সম্ভবত), অনামিকা আর কনিষ্ঠার ফাঁকে একটি সিগারেট রেখে কষে টান দিয়ে যখন সংলাপটা উচ্চারিত হলো " মালতী কেমন আছো?" সেই একটা ফ্রেমেই হুমায়ুন ফরিদীকে আটকে রেখে দিতে পারি আমি।
এরপর থেকেই হুমায়ুন ফরিদী টিভি নাটকে অনিয়মিত হলেন, ক্রমশ: জড়িয়ে গেলেন বাংলা সিনেমার খলচরিত্রে অভিনয়ের দিকে। তার এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে এখনও হঠকারী, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মনে হয়, মনে হয় সেটা খুবই ভুল একটা সিদ্ধান্ত ছিলো। বাংলা ছবির পরিচালকদের মান এবং উপস্থাপন বিষয়ে সম্মানজনক মন্তব্য করা খুব কঠিন।বাংলা ছবির অভিনয়ের মাণ নির্ধারণ করে মান্না, আলেকজান্ডার বো, ইমন আর ডিপজল। সে মাণে নেমে অভিনয় করাটা কঠিন। বাংলা ছবির পরিচালকদের হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আগে যদি হুমায়ুন ফরিদী দ্বিতীয়বার ভাবতেন তাহলে আমি আনন্দিত হতাম। বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক বার ভাববার প্রয়োজন আছে। চৌরাশিয়ার হাতে হুইসেল তুলে দিয়ে তাকে দিয়ে নাইট গার্ডের কাজ চালানোর বিলাসিতা বাংলা ছবির পরিচালকেরা করতে পারেন, এটা তাদের অযোগ্যতা, অদক্ষতা, সেটা নিয়ে গর্বিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি অভিনয় কমিয়ে দিয়ে নিজেকে স্মৃতিময় করে তুলেছিলেন অনেক আগেই, ধীরে ধীরে তার এই প্রায় নি:শব্দ পশ্চাতসরণে সাম্প্রতিক নাটকে তেমন কোনো ক্ষতি হয় নি। নতুন যুগের এইসব পরিচালকদের কাছে হুমায়ুন ফরিদী অনেক আগেই মৃত, তার আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটলো, সে মৃত্যু সংবাদ জেনেছি পরদিন দৈনিক পত্রিকায়। কিছুটা দু:খবোধ, কিছুটা বিস্ময় কিছুটা ঘোরের ভেতরেই কাটলো সারা দিন।
আড্ডাবাজ হিসেবে সুপরিচিত এই অভিনেতার এমন নিসঙ্গ মৃত্যু হয়তো তার ব্যক্তিগত জীবনের বন্ধুসুহৃদদের জন্য দু:খজনক, তারা সেসব সময়কে কল্পনা করে শোকগ্রস্ত হবেন, যদি কখনও কোনো চিত্রনাট্য লিখে সমাপ্ত করতাম, সেখানকার কোন না কোন একটি চরিত্রে আমি হুমায়ুন ফরিদীকে চাইতাম, সেই চাওয়াটুকু আর কখনও পুরণ হবে না এটা ভেবেই আমি শোকগ্রস্ত হই। তার মৃত্যুতেএকই সাথে আনন্দিতই হই, নিরন্তর অবহেলা আর উপেক্ষার কষ্টটুকু আর সহ্য করতে হবে না প্রিয় অভিনেতাকে।
একজন অ্যাক্টর সেলিব্রিটিরে ভালো লোক-মন্দ লোক এই বিবেচনার সমালোচনায় চইলা যায় বেশিরভাগ মানুষ। তোমার লেখায় তুমি পুরাই এই জাজমেন্ট মূক্ত থাকতে পারছো। এই কারনেই গতোকাল থেইকা এই পোস্টে কমেন্ট করার ফুরসত খুজতেছিলাম, কিন্তু একই কথা ডিটো করা হইয়া যাইতো বইলা আর কমেন্ট করা হয় নাই। আজকে মনে হইলো এই জাজমেন্টের বাইরে থাকার বিষয়টাই লেখিনা ক্যান!
মানুষ পসন্দের মানে বা মাপকাঠিতে আমি হুমায়ূন ফরিদীরে প্রায় অপছন্দ করি। কিন্তু একজন অভিনেতা হিসাবে এই লোক লিজেন্ড। খুব কাছ থেইকা তার যেই কয়টা অভিনয় দেখছি তাতে মনে হইছে চরিত্র আত্মস্থ করতে তার টাইম লাগতো অনেক কম, কারণ সে অভিনয়টারে একেবারেই মতাদর্শিক জায়গা থেইকা দেখতো। স্তানিস্লাভস্কাইট অভিনেতা হিসাবে তারে উপমহাদেশের অনেকেও গুরু মানে। তুমি যেই উদাহরণটা দিলা সিগারেটে কষে টান দিয়া একটা মোমেন্ট ক্রিয়েইট কইরা তারপর ড্রামাটিকালি ডায়ালগ থ্রো করার ধরণ...এই স্টাইলটাই অবশ্য সবাই ফলো করে, কিন্তু হুমায়ূন ফরিদী অমন ম্যানারিজম সেকেন্ড টাইম ব্যবহার করে নাই এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। সে চরিত্রের জন্য ম্যানারিজম তৈরী করতো খুব মজা কইরা, ডিরেক্টরের মাথা থেইকা বিশাল একটা দায়িত্ব নাইমা যাইতো এতে।
তবে হুমায়ূন ফরিদী'র পরিবর্তনকামী গাট্সটা শেষ জমানায় সেই ইগো আর ডিগনিটি'র চক্করে পইড়া গেছিলো। যেই কারনে তার সাথে অ্যাক্টিং করার উত্তেজনা নিয়া আসা কো-অ্যাক্টররা বহুত বিপদে পড়ছে। রিহার্সেলের ফরিদী ভাই আর শট দেয়ার সময়কার ফরিদী ভাই এক হইতো কালে ভদ্রে। এইটা ইনোভেটিভ লাগে বাইরে থেইকা দেখলে, কিন্তু এর ডেলিবারেসীটা টের পাইতো কোঅ্যাক্টর। একটা দৃশ্যে ফরিদী ভাই ক্যারেক্টর হিসাবে যেই ওজনই ধরুক না কেনো, দর্শকের কাছে সে'ই প্রধান হইয়া উঠে। এইটা সে ইচ্ছাকৃতভাবেই করতো...
তবে প্রতিযোগিতার এই মনোভাবই তো আমাগো সময়ের সবচাইতে বড় বৈশিষ্ঠ্য...ফরিদী ভাই সেই প্রতিযোগিতায় দুইবার হারছেন...দ্বিতীয়বারে সেইটার মূল্য দিতে হইবো এই জাতিগোষ্ঠীরে...তিনি সত্যিই আমাদের সময়কার নায়ক!
যতই সক্ষমতা থাকুক, যতই সাফল্য আসুক, জীবনে সেগুলি ধরে রাখতে ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা লাগে - হুমায়ুন ফরিদী চলে গিয়ে সেটাই আবার শিখিয়ে গেলেন ...
~
হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে আমার আবেগটা একটু বেশিই। তাঁর হঠাৎ মৃত্যুর পর থেকে বিষণ্নতা কাটছে না আমার, কথাও বলতে পারছি না, যদি আবেগে ভেসে যাই এই ভয়ে! আপনার লেখাটা পড়ে আবেগটা জেগে উঠলো নতুন করে, তীব্রভাবে।
আমাদের কালের সবচেয়ে শক্তিমান অভিনেতা তিনি। টেলিভিশনের ছোট্ট পর্দায় তাঁকে আটকানো যায় না, কিন্তু এ দেশের চলচ্চিত্র জগতে এমন কোনো পরিচালক নেই/ছিলেন না যিনি তাঁর মতো প্রতিভাবান অভিনেতার যোগ্য চরিত্র তৈরি করতে পারেন। বাধ্য হয়েই তাঁর প্রতিভার অধিকাংশটুকু ব্যয়িত হয়েছে টেলিভিশনে, বেশ খানিকটা মঞ্চে, বাকিটা চলচ্চিত্রে। খলনায়ক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে যাওয়ার ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন আমি তার সঙ্গে একমত। হয়তো জীবিকার জন্যই যেতে হয়েছিল তাঁকে, শখ করে বা ওখানে গিয়ে প্রতিভা প্রদর্শনের কথা তিনিও ভাবেননি - যতদূর জানি।
সেলিম আল দীনের ওই ধারাবাহিক নাটকটির নাম ছিলো - গ্রন্থিকগণ কহে। একটিমাত্র পর্বে তিনি এসেছিলেন অতিথিশিল্পী হিসেবে। অথচ যে অভিনয় করলেন সেটা ভুলে যাবার কোনো সুযোগ রাখলেন না!
হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি নাটকে তিনি বৃদ্ধ শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন (সম্ভবত 'অযাত্রা')। গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন ওই বৃদ্ধ (সম্ভবত) চিকিৎসার জন্য, উঠেছেন এক পরিচিতের বাসায়, গৃহকর্ত্রী (সারা যাকের) একটু বিরক্ত, স্বামীর গ্রাম থেকে এরকম হুটহাট লোকজন এসে পড়াটা তিনি পছন্দ করেন না। তিনি বিরক্ত হলেও শিক্ষকের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের শিশুকন্যাটির, যে কী না গান গেয়ে ফুল ফোটাতে চায়। প্রতিদিন নিয়ম করে সে গান শোনায় গাছকে - 'বল গোলাপ মোরে বল, তুই ফুটবি সখী কবে!' গৃহকর্ত্রীর বিশ্বাস নেই এতে, কন্যাকে মৃদু গালমন্দও করেন, আর বৃদ্ধ শিক্ষক শিশুটির পক্ষ নিয়ে তাকে উৎসাহিত করেন। সত্যি সত্যিই গাছে একদিন ফুল ফোটে... আবেগপ্রবণ গৃহকর্ত্রী মেয়েকে নিয়ে আসেন শিক্ষকের কাছে দোয়া চাইতে... সেই দৃশ্য ভুলবার মতো নয়!
আরেকটা নাটকের কথা মনে পড়ে। আখতার ফেরদৌস রানা'র 'শীতের পাখি'। মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরাপত্তার কথা ভেবে যুবক ফরীদিকে জোর করে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তার আমলা পিতা। যুদ্ধ শেষ, দেশ স্বাধীন, তার আর ফেরা হয় না। ওখানেই বিয়ে করে সংসারী হয় সে। আর বহুবছর পর বাংলাদেশে 'বেড়াতে' এসে বাবা আর পরিবারের অন্য সদস্যদের মুখোমুখি হলে এক জটিল মনস্তাস্ত্তিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকদিন পর আবার ফিরে যাবার সময় বাবা - 'চলে যাবি বাবা, ওদেরকে নিযে এখানেই চলে আয় না!' - বললে তার উত্তর - 'কেন ফিরবো? এটা তো আমার দেশ নয়। এই দেশের জন্য আমি কিছুই করিনি, বরং প্রয়োজনের সময় পালিয়েছি! এটা তো তোমাদের দেশ, আর ওটা (পাকিস্তান) ওদের (বউ-বাচ্চা) দেশ! তাহলে আমার দেশ কোনটা, বাবা? কোনটা আমার দেশ?'... অবিস্মরণীয় সেই অভিনয়..।
কতো কতো নাটকের কথা যে মনে পড়ছে... কটা লিখবো?
মন ভার হয়ে যায়, ভারি হয়েই থাকে...
হুমায়ুন ফরিদীর নাটকের অনেক অনেক দৃশ্য সেই শিশুকালে টিভিতে দেখলেও এখনো মনে পড়ে। 'রেললাইন বহে সমান্তরাল' গানটা আমি প্রথম ফরিদীর মুখেই তার কোন একটা নাটকে শুনছিলাম। আরো একটা নাটকে একটা শিশু মেয়েকে নিয়ে মাঠে দাড়িয়ে গাইছিলো 'মোমের পুতুল'।
এই নাটকটার নাম আমি অনেকদিন ধরেই মনে করতে পারছি না, কেউ কি জানেন ??
নাটকখানের নাম একদিন হঠাৎ কৈ যানি লো কোয়ালিটির ডাউনলোড লিংকুও দেক্সিলাম।
হ, মিনিটখানেক আগে ব্লগার বাফড়া আমারে এসএমএস কইরা নাটকটার নাম দিছে। ভয়াবহ লো কোয়ালিটির লিংক পাইছি ... নামতাছে
লো কোয়ালিটি কেন, বেশ ভাল কোয়ালিটির ইউটিউব লিংক ই দিচ্ছি। দেখে নিন হঠাত একদিন
http://www.youtube.com/watch?v=g4554CW-L4w
হুমায়ুন ফরীদির মতো অভিনেতা একবারই জন্ম নেয়।
Ami ashole apluto lekhata pore....hoyto bolle barabrai hobe na jodi boli- Farideer moto obhineta hajaar bochhoreo ashbe na. Tobe ek jaigai dimot poshon kori ami, sheta holo cholchitrer beparta. aajker humayun faridee poripurno hoto film na korle.ekjon villain kibhabe film er hero hote paare uni sheta kore dekhiyechhile. bola hoto uni hero k petale dorshok haat taali dito. Ashole Farideer beauty etai, shob maddhome, shob storer dorshoker jonno taar kaaj!!
দর্শকের বাহবা, হাততালি হয়তো এক ধরণের সাময়িক উত্তেজনার প্রকাশ, হলে সিটি বাজানো মানুষের কাছে কোনো দৃশ্য উপভোগ্য হলে তারা সিটি বাজাবে, হাততালি দিবে, হয়তো পরবর্তী কোনো আড্ডায় তার স্মৃতিচারণ করবে, এর বাইরে অভিনেতার তৃপ্তির বিষয়টিও থাকে।
অভিনেতা হাত তালি পেলে বুঝতে পারেন তার অভিনয় দর্শক গ্রহন করেছে, ময়ুরী পাছা দুলালেও দর্শক হাত তালি মারে, সিটি বাজায়, কিন্তু আমি ময়ুরীর পাছার দুলুনীর সাথে হুমায়ুন ফরিদীর অভিনয় পারদর্শীতাকে তুলনীয় করতে অনাগ্রহী।
লোকজন চলচিত্রে এসে একটা বিষয়কে প্রাধান্য দেয়, বড় পর্দায়, বড় পরিসরে একটি স্বার্থক চলচিত্রে অভিনয় একজন অভিনেতার অভিনয়ের ব্যপ্তি বাড়িয়ে দেয়। জীবন থেকে নেয়া ছবিতে খান আতার অভিনয় এখনও উপভোগ্য যদিও তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন অনেক আগেই। এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে গানটির সাথে তিনিও টিকে থাকবেন বড় পর্দার কল্যানে। টিভি নাটকের মতো ক্ষণজীবি মাধ্যমে অভিনয়ের আনন্দ আছে কিন্তু পরিসর আর কালের ব্যপ্তি সংক্ষিপ্ত।
আমি বাংলা ছবির খুব বেশী ভক্ত দর্শক না, মাঝেমাঝে টিভিতে সুযোগ পেলে বাংলা ছবির খন্ডাংশ দেখি, তবে মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো ছবি আদতে খুঁজে পাই না, হুমায়ুন ফরিদীর চলচিত্র অভিনয় হলে গিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয় নি, কিংবা দেখলেও একটা কিংবা দুইটা ছবিতে তার অভিনয় দেখেছি, সেসব ছবির নাম মনে নেই বলেই মনে হচ্ছে একজন হুমায়ুন ফরিদী চলচিত্রে তেমনভাবে ব্যবহৃত হন নি।
হুমায়ন ফরিদী কোথায় কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? সেসব
যুদ্ধের বিস্তারিত জানতে চাই
মন্তব্য করুন